সহীহ হাদীসে আবু হুরাইরাহ রাদিয়াল্লাহ আনহু থেকে বর্ণিত আছে; নবী সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, মহান আল্লাহ বলেছেন:
‘‘আদম সন্তান মহাকালকে গালি দিয়ে (মন্দ বলে) আমাকে কষ্ট দেয়। কেননা আমিই মহাকাল; আমার হাতেই সবকিছু আমিই রাত এবং দিনের আবর্তন ঘটিয়ে থাকি’’। অন্য বর্ণনায় আছে ‘‘মহাকালকে গালি দিবেনা কেননা তিনি আল্লাহই প্রকৃত মহাকাল।’’ (মুত্তাফিকুন আলাইহি বুখারী হাদীস নং ১৬৯৪, মুখতাসার যুবাইদী পৃষ্ঠা নং ৫৯৩, মুসলিম: ২২৪৬)
এহাদীসের ভাবার্থ কী? মহাকালকে গালি দেয়ার হুকুম কী? ব্যাখ্যা সহ বুঝিয়ে দিন?
উত্তর: অন্ধকার যুগে আরবরা যখন কঠিন বিপদ-আপদ এবং জটিল সমস্যার সম্মুখীন হত তখনই তারা মহাকালকে গালি দিত বা মন্দ বলতো। তারা বলতো: ‘হতাশাজনক অকর্মন্য মহাকাল আমাদেরকে বিপদে ফেলেছে’। অর্থাৎ তারা বিপদ-আপদের জন্য মহাকালকে দোষারোপ করতো। অথচ বিপদ-আপদ সব আল্লাহই দিয়ে থাকেন। অতএব গাল-মন্দ আল্লাহর উপরই পতিত হয়; কেননা ভাল-মন্দ সব আল্লাহই পরিচালনা করে থাকেন। যেমন; মহান আল্লাহ বলেন; (أقلب الليل والنهار) ‘‘আমিই রাত এবং দিনের পরিবর্তন করি’’ আর এ পরিবর্তন মহান আল্লাহর কতৃত্বে সংঘটিত হয়ে থাকে তা হয়ত মানুষ পছন্দ করে কিংবা অপছন্দ করে।
‘‘মহাকাল প্রকৃত পক্ষে আল্লাহ’’ এ কথার অর্থ হচ্ছে যে, চলমান বিশ্ব জগতে মহাকালের গতিপথে ভাল কিংবা মন্দ সব কিছুই মহান আল্লাহর ইচ্ছা, সুষ্ঠু পরিকল্পনা অনুযায়ী সংঘটিত হয়ে থাকে। তিনি সুমহান পরিচালক, সর্বজ্ঞ, তিনি সর্বোচ্চ কৌশলের অধিকারী আর ভাল-মন্দ সংগঠিত করার ব্যাপারে তাঁর কোনোই শরীক নেই।
অতএব মহাকালকে গাল-মন্দ করা বা দোষারোপ করা হারাম কেননা তার ফলে আল্লাহকে গালি দেওয়া হয় এবং তাঁকে কষ্ট দেওয়া হয়। তিনি বলেছেন: ‘‘আদম সন্তান মহাকালকে গালি দিয়ে আমাকে কষ্ট দেয় কেননা আমিই মহাকাল’’।
সুতরাং মহাকালকে গালি প্রদানকারীর হুকুমের দুটি পর্যায়; হয়ত সে আল্লাহকে গালি দিচ্ছে অথবা আল্লাহর সাথে মহাকালকে শরীক করছে। যদি কেউ মনে করে মহাকাল এবং আল্লাহ যৌথভাবে বিপদ-আপদ সংঘটিত করে তাহলে সে মুশরিক হয়ে যাবে। আর যে স্বীকার করে যে, আল্লাহই এককভাবে তা সংঘটিত করেছেন তারপরও ঐ সংঘটিত কাজকে গালি দিল, প্রকৃতপক্ষে সে মহান আল্লাহকেই গালি দিল[1]।
«يُؤْذِينِي ابْنُ آدَمَ يَسُبُّ الدَّهْرَ وَأَنَا الدَّهْرُ، بِيَدِي الأَمْرُ أُقَلِّبُ اللَّيْلَ وَالنَّهَارَ» وفي رواية: «لَا تَسُبُّوا الدَّهْرَ، فَإِنَّ اللهَ هُوَ الدَّهْرُ»
‘‘আদম সন্তান মহাকালকে গালি দিয়ে (মন্দ বলে) আমাকে কষ্ট দেয়। কেননা আমিই মহাকাল; আমার হাতেই সবকিছু আমিই রাত এবং দিনের আবর্তন ঘটিয়ে থাকি’’। অন্য বর্ণনায় আছে ‘‘মহাকালকে গালি দিবেনা কেননা তিনি আল্লাহই প্রকৃত মহাকাল।’’ (মুত্তাফিকুন আলাইহি বুখারী হাদীস নং ১৬৯৪, মুখতাসার যুবাইদী পৃষ্ঠা নং ৫৯৩, মুসলিম: ২২৪৬)
এহাদীসের ভাবার্থ কী? মহাকালকে গালি দেয়ার হুকুম কী? ব্যাখ্যা সহ বুঝিয়ে দিন?
উত্তর: অন্ধকার যুগে আরবরা যখন কঠিন বিপদ-আপদ এবং জটিল সমস্যার সম্মুখীন হত তখনই তারা মহাকালকে গালি দিত বা মন্দ বলতো। তারা বলতো: ‘হতাশাজনক অকর্মন্য মহাকাল আমাদেরকে বিপদে ফেলেছে’। অর্থাৎ তারা বিপদ-আপদের জন্য মহাকালকে দোষারোপ করতো। অথচ বিপদ-আপদ সব আল্লাহই দিয়ে থাকেন। অতএব গাল-মন্দ আল্লাহর উপরই পতিত হয়; কেননা ভাল-মন্দ সব আল্লাহই পরিচালনা করে থাকেন। যেমন; মহান আল্লাহ বলেন; (أقلب الليل والنهار) ‘‘আমিই রাত এবং দিনের পরিবর্তন করি’’ আর এ পরিবর্তন মহান আল্লাহর কতৃত্বে সংঘটিত হয়ে থাকে তা হয়ত মানুষ পছন্দ করে কিংবা অপছন্দ করে।
‘‘মহাকাল প্রকৃত পক্ষে আল্লাহ’’ এ কথার অর্থ হচ্ছে যে, চলমান বিশ্ব জগতে মহাকালের গতিপথে ভাল কিংবা মন্দ সব কিছুই মহান আল্লাহর ইচ্ছা, সুষ্ঠু পরিকল্পনা অনুযায়ী সংঘটিত হয়ে থাকে। তিনি সুমহান পরিচালক, সর্বজ্ঞ, তিনি সর্বোচ্চ কৌশলের অধিকারী আর ভাল-মন্দ সংগঠিত করার ব্যাপারে তাঁর কোনোই শরীক নেই।
অতএব মহাকালকে গাল-মন্দ করা বা দোষারোপ করা হারাম কেননা তার ফলে আল্লাহকে গালি দেওয়া হয় এবং তাঁকে কষ্ট দেওয়া হয়। তিনি বলেছেন: ‘‘আদম সন্তান মহাকালকে গালি দিয়ে আমাকে কষ্ট দেয় কেননা আমিই মহাকাল’’।
সুতরাং মহাকালকে গালি প্রদানকারীর হুকুমের দুটি পর্যায়; হয়ত সে আল্লাহকে গালি দিচ্ছে অথবা আল্লাহর সাথে মহাকালকে শরীক করছে। যদি কেউ মনে করে মহাকাল এবং আল্লাহ যৌথভাবে বিপদ-আপদ সংঘটিত করে তাহলে সে মুশরিক হয়ে যাবে। আর যে স্বীকার করে যে, আল্লাহই এককভাবে তা সংঘটিত করেছেন তারপরও ঐ সংঘটিত কাজকে গালি দিল, প্রকৃতপক্ষে সে মহান আল্লাহকেই গালি দিল[1]।
[1] আল-জামে আর ফরীদ, পৃষ্ঠা: ১৮২।