সালাফী আকিদা ও মানহাজে - Salafi Forum

Salafi Forum হচ্ছে সালাফী ও সালাফদের আকিদা, মানহাজ শিক্ষায় নিবেদিত একটি সমৃদ্ধ অনলাইন কমিউনিটি ফোরাম। জ্ঞানগর্ভ আলোচনায় নিযুক্ত হউন, সালাফী আলেমদের দিকনির্দেশনা অনুসন্ধান করুন। আপনার ইলম প্রসারিত করুন, আপনার ঈমানকে শক্তিশালী করুন এবং সালাফিদের সাথে দ্বীনি সম্পর্ক গড়ে তুলুন। বিশুদ্ধ আকিদা ও মানহাজের জ্ঞান অর্জন করতে, ও সালাফীদের দৃষ্টিভঙ্গি শেয়ার করতে এবং ঐক্য ও ভ্রাতৃত্বের চেতনাকে আলিঙ্গন করতে আজই আমাদের সাথে যোগ দিন।

New profile posts

ক্ষমাচেয়ে ও তওবা করে ফিরে আসলে তবেই আল্লাহ তায়ালা আমাদের মুষল ধারায় বৃষ্টি দেবেন:

وَ یٰقَوۡمِ اسۡتَغۡفِرُوۡا رَبَّکُمۡ ثُمَّ تُوۡبُوۡۤا اِلَیۡهِ یُرۡسِلِ السَّمَآءَ عَلَیۡکُمۡ مِّدۡرَارًا وَّ یَزِدۡکُمۡ قُوَّۃً اِلٰی قُوَّتِکُمۡ وَ لَا تَتَوَلَّوۡا مُجۡرِمِیۡنَ

হে আমার সম্প্রদায়! তোমরা তোমাদের রবের কাছে ক্ষমা প্রার্থন কর, তারপর তার দিকেই ফিরে আস। তিনি তোমাদের উপর প্রচুর বৃষ্টি বর্ষাবেন। আর তিনি তোমাদেরকে আরো শক্তি দিয়ে তোমাদের শক্তি বৃদ্ধি করবেন এবং তোমরা অপরাধী হয়ে মুখ ফিরিয়ে নিও না। (১) [সূরা হুদ: ৫২]

তাফসীর:

(১) আল্লাহ তা'আলা হুদ আলাইহিস সালামকে আদ জাতির প্রতি নবীরূপে প্রেরণ করেছিলেন। দৈহিক আকার আকৃতিতে ও শারীরিক শক্তি সামথ্যের দিক দিয়ে আদ জাতিকে মানব ইতিহাসে অনন্য বলে চিহ্নিত করা হয়। [সা’দী] হুদ আলাইহিস সালামও উক্ত জাতিরই অন্তর্ভুক্ত ছিলেন। এ আয়াত ও পূর্ববর্তী আয়াত থেকে বুঝা যায় যে, তিনি তাদেরকে মৌলিকভাবে তিনটি দাওয়াত দিয়েছিলেন।

এক). তাওহীদ বা একত্ববাদের আহবান এবং আল্লাহ ব্যতীত অন্য কোন সত্তা বা শক্তিকে ইবাদত উপাসনা না করার আহবান।

দুই). তিনি যে তাওহীদের দাওয়াত নিয়ে এসেছেন, তাতে তিনি একজন খালেস কল্যাণকামী, এর জন্য তিনি তাদের কাছে কোন পারিশ্রমিক চান না।

তিন). নিজেদের অতীত জীবনে কুফরী শির্কী ইত্যাদি যত গোনাহ করেছ সেসব থেকে আল্লাহর দরবারে ক্ষমা প্রার্থনা কর এবং ভবিষ্যতের জন্য ঐসব গোনাহ হতে তওবা কর। যদি তোমরা সত্যিকার তাওবা ও এস্তেগফার করতে পার তবে তার বদৌলতে আখেরাতের চিরস্থায়ী সাফল্য ও সুখময় জীবন তো লাভ করবেই।
দুনিয়াতেও এর বহু উপকারিতা দেখতে পাবে। দুর্ভিক্ষ ও অনাবৃষ্টির পরিসমাপ্তি ঘটবে যথাসময়ে শক্তি সামর্থ্য বর্ধিত হবে। এখানে ‘শক্তি’ শব্দটি ব্যাপক অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে। যার মধ্যে দৈহিক শক্তি এবং ধন বল ও জনবল সবই অন্তর্ভুক্ত।
[দেখুন, কুরতুবী; ইবন কাসীর]

এর দ্বারা আরো জানা গেল যে তওবা ও এস্তেগফারের বদৌলতে দুনিয়াতেও ধন সম্পদ এবং সন্তানাদির মধ্যে বরকত হয়ে থাকে।


[তাফসীরে জাকারিয়া]
কুরআন মাজীদের উপর বিদ‘আতের আবরণ: পর্ব ২

(২) কুরআন দিয়ে তাবীযের ব্যবসা :

দেশের অধিকাংশ প্রকাশনী কুরআনের শুরুতে বা শেষে তাবীযের নকশা সংযুক্ত করে কুরআন ছাপিয়েছে। আর বিদ‘আতী খত্বীব ও মোল্লারা এই তাবীয দিয়ে ব্যবসা করছে এবং মানুষকে ধোঁকা দেয়। মসজিদের ইমাম ও খত্বীবরা হারাম উপার্জন করে থাকে। এমনিতেই তাবীয বাঁধা শিরক। অন্যদিকে পবিত্র কুরআনকে ব্যবসার মাধ্যম হিসাবে গ্রহণ করে এবং এই অপবিত্র আবর্জনাকে কুরআনের সাথে সংযুক্ত করেছে আরো জঘন্য অপরাধ। এজন্য ঈমান-আমল সবই নষ্ট বাতিল হয়ে যাবে। শরীরে তাবীয থাকা অবস্থায় ছালাত, ছিয়াম, হজ্জ, যাকাতসহ কোন ইবাদতই কবুল হবে না। এই অবস্থায় মারা গেলে শিরককারী হিসাবে আল্লাহর ক্ষমাও পাবে না। অথচ এই তাবীযকে কুরআনের নামে চালিয়ে দেয়া হচ্ছে। নিম্নের হাদীছগুলো বুঝার অনুরোধ করছি-

عَنْ عُقْبَةَ بْنِ عَامِرٍ الْجُهَنِيِّ أَنَّ رَسُوْلَ اللهِ ৎ أَقْبَلَ إِلَيْهِ رَهْطٌ فَبَايَعَ تِسْعَةً وَأَمْسَكَ عَنْ وَاحِدٍ فَقَالُوْا يَا رَسُوْلَ اللهِ بَايَعْتَ تِسْعَةً وَتَرَكْتَ هَذَا قَالَ إِنَّ عَلَيْهِ تَمِيْمَةً فَأَدْخَلَ يَدَهُ فَقَطَعَهَا فَبَايَعَهُ وَقَالَ مَنْ عَلَّقَ تَمِيْمَةً فَقَدْ أَشْرَكَ

উক্ববা বিন আমের আল-জুহানী বলেন, একদা রাসূল (ﷺ)-এর কাছে একটি কাফেলা আগমন করল। অতঃপর তিনি নয়জনকে বায়‘আত করালেন আর একজনকে বাদ দিলেন। তারা বলল, হে আল্লাহর রাসূল (ﷺ)! নয়জনকে বায়‘আত করালেন আর একে ছেড়ে দিলেন কেন? রাসূল (ﷺ) বললেন, তার শরীরে তাবীয বাঁধা আছে। অতঃপর লোকটি শরীরের ভিতরে হাত দিয়ে তাবীয ছিঁড়ে ফেলল। তারপর রাসূল (ﷺ) তাকে বায়‘আত করালেন এবং বললেন, ‘যে ব্যক্তি তাবীয বাঁধল সে শিরক করল’।[আহমাদ হা/১৭৪৫৮; সনদ ছহীহ, সিলসিলা ছহীহাহ হা/৪৯২।]

উক্ত হাদীছ থেকে বুঝা যায় যে শরীরে তাবীয বেঁধে রাখা অত্যন্ত জঘন্য অপরাধ। ইসলাম গ্রহণ করারও সুযোগ থাকে না। অন্য হাদীছে রাসূল (ﷺ) বলেন, إِنَّ الرُّقَى وَالتَّمَائِمَ وَالتِّوَلَةَ شِرْكٌ ‘নিশ্চয় ঝাড়ফুঁক করা, তাবীয বাঁধা, যাদুটোনা শিরক’।[আবুদাঊদ হা/৩৮৮৩; মিশকাত হা/৪৫৫২; বঙ্গানুবাদ মিশকাত হা/৪৩৫৩, ৮ম খণ্ড, পৃঃ ২৭২-২৭৩, ‘চিকিৎসা ও মন্ত্র’ অনুচ্ছেদ।] রাসূল (ﷺ) আরো বলেন, لاَ يُبْقَيَنَّ فِى رَقَبَةِ بَعِيرٍ قِلاَدَةٌ مِنْ وَتَرٍ وَلاَ قِلاَدَةٌ إِلاَّ قُطِعَتْ ‘কোন উটের গলায় যদি মালা বা বালা জাতীয় কিছু থাকে, তাহলে তা কেটে ফেলতে হবে’।[ছহীহ বুখারী হা/৩০০৫।] তিনি আরো বলেন,

أَنَّهُ مَنْ عَقَدَ لِحْيَتَهُ أَوْ تَقَلَّدَ وَتَرًا أَوْ اسْتَنْجَى بِرَجِيعِ دَابَّةٍ أَوْ عَظْمٍ، فَإِنَّ مُحَمَّدًا صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنْهُ بَرِيءٌ

‘যে ব্যক্তি তার দাড়িতে গিঁঠ দিল বা পেচিয়ে রাখল অথবা সূতার মালা পরিধান করল অথবা পশুর মল বা হাড্ডি দিয়ে ইস্তিনজা করল, মুহাম্মাদ (ﷺ) তার জিম্মাদারী থেকে মুক্ত’।[আবুদাঊদ হা/৩; মিশকাত হা/৩৫১।] অন্য হাদীছে এসেছে,

عَنْ عِيْسَى بْنِ حَمْزَةَ قَالَ دَخَلْتُ عَلَى عَبْدِ اللهِ بْنِ عُكَيْمٍ وَبِهِ حُمْرَةٌ فَقُلْتُ أَلَا تُعَلِّقُ تَمِيْمَةً؟ فَقَالَ نَعُوْذُ بِاللَّهِ مِنْ ذَلِكَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ ৎ مَنْ تَعَلَّقَ شَيْئًا وُكِلَ إِلَيْهِ

ঈসা বিন হামযা (রাযিয়াল্লাহু আনহু) বলেন, আমি একদা আব্দুল্লাহ বিন উকাইম-এর কাছে গেলাম। তখন তার শরীরের লাল রঙের তাবীয বাঁধা ছিল। আমি বললাম, তুমি তাবীয বেঁধে রেখেছ? আমরা আল্লাহর কাছে এটা থেকে পরিত্রাণ চাচ্ছি। রাসূল (ﷺ) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি শরীরে কোনকিছু বাঁধবে, তাকে সে দিকেই সোপর্দ করা হবে’। অর্থাৎ আল্লাহর নিরাপত্তা থেকে সে বেরিয়ে যাবে।[তিরমিযী হা/২০৭২; সনদ হাসান, ছহীহ তারগীব হা/৩৪৫৬; মিশকাত হা/৪৫৫৬; বঙ্গানুবাদ মিশকাত হা/৪৩৫৭, ৮ম খণ্ড, পৃঃ ২৭৪।]

উল্লেখ্য যে, কুরআনের আয়াত ও হাদীছে বর্ণিত দু‘আ দ্বারা ঝাড়ফুঁক করা শরী‘আত সম্মত। এছাড়া শিরক মিশ্রিত কোন মন্ত্র দ্বারা ঝাড়ফুঁক করা হারাম।[ছহীহ মুসলিম হা/২২০০, ২/২২৪ পৃঃ, ‘সালাম’ অধ্যায়, অনুচ্ছেদ-২২; মিশকাত হা/৪৫৩০; বঙ্গানুবাদ মিশকাত হা/৪৩৩১, ৮ম খণ্ড, পৃঃ ২৬৭।] রাসূল (ﷺ) সূরা ফাতেহা, সূরা ফালাক্ব, নাস প্রভৃতি সূরা ও আয়াত দ্বারা ফুঁক দিয়েছেন, শরীর মাসাহ করেছেন এবং ক্ষতস্থান হলে তাতে থুথু দিয়েছেন।[ছহীহ বুখারী হা/৫৭৩৫-৫৭৩৭, ২/৮৫৪ পৃঃ, ‘চিকিৎসা’ অধ্যায়, অনুচ্ছেদ-৩২, ৩৩, ৩৪।]
কুরআন মাজীদের উপর বিদ‘আতের আবরণ: পর্ব ১

কুরআন মাজীদ তেলাওয়াত করা অত্যন্ত ফযীলতপূর্ণ ইবাদত। এর সবচেয়ে বড় মু‘জিযা হল, এটি আল্লাহর কালাম। তাই এর প্রত্যেকটি অক্ষর, শব্দ, বাক্য ও আয়াত রহমত, বরকত, হেদায়াত, প্রশান্তি ও নেকীতে পরিপূর্ণ। কিন্তু ধর্মব্যবসায়ী কুরআনের সাথে অসংখ্য বিদ‘আতের প্রচলন করেছে এবং একে ব্যবসার পুঁথি বানিয়েছে। আর এই নোংরা বিদ‘আতই কষ্টের সৎ আমলগুলোকে নষ্ট করে দিচ্ছে। কারণ হল শিরক-বিদ‘আত আর যত মিথ্যা-জাল আমল সমাজে প্রচলিত আছে, সবই ইবলীস শয়তানের কুমন্ত্রণায় সৃষ্টি হয়েছে।[সূরা আন‘আম ১১২ ও ১২১; বুখারী হা/৩২১০, ৪৭০১, ৬২১৩।] সৎ আমলের সাথে অপবিত্র ইবলীসী আমল মিশ্রিত হলে কস্মিনকালেও আল্লাহর দরবারে কবুল হবে না (সূরা বাক্বারাহ ৪২; মায়েদাহ ৫)। কারণ আল্লাহর কাছে কেবল পবিত্র আমলই কবুল হয়।[সূরা ফাত্বির ১০; মুসলিম হা/১০১৫]

(১) বাংলা উচ্চারণ করে কুরআন তেলাওয়াত করা :

কুরআন তেলাওয়াত করতে পারে না এমন অবসরপ্রাপ্ত ও বৃদ্ধ ব্যক্তিদের মধ্যেই বাংলা কিংবা ইংরেজী ভাষায় উচ্চারণ করা কুরআন পড়ার প্রবণতা লক্ষ্য করা যায়। এ বিষয়ে ধর্মব্যবসায়ীরা তাদেরকে উৎসাহিত করে থাকে। অথচ তারা নেকী তো পাবেই না, বরং হারাম কাজ করার কারণে পাপী হবে। কারণ কুরআন মাজীদ সরাসরি আল্লাহর কালাম। অন্য কোন ভাষায় উচ্চারণ করে তেলাওয়াত করা হারাম। এতে সঠিক উচ্চারণ প্রকাশ পায় না। ফলে অর্থ বিকৃত হয়ে যায়। কুরআনুল কারীমকে আরবী ভাষায় অবতীর্ণ করা হয়েছে। তাই আরবী ব্যতীত অন্য কোন ভাষায় তিলাওয়াত করা যাবে না। তবে অন্য ভাষায় অনুবাদ করাতে কোন সমস্যা নেই।[ফাতাওয়া আল-লাজনা আদ-দায়িমাহ, ৩/১২০-১২১ পৃ.।] ইমাম যারকাশী (রাহিমাহুল্লাহ) বলেছেন, ‘আরবী ছাড়া অন্য কোন ভাষায় কুরআনুল কারীমকে তিলাওয়াত করা হারাম’।[আল-ইতক্বান, ২/১৭১ পৃ.। ] ইমাম ইবনু হাজার আল-হাইছামী (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, কুরআনুল কারীমকে আরবী ব্যতীত অন্য কোন ভাষার অক্ষরে লেখা হারাম’।[ইসলাম ওয়েব, ফৎওয়া নং-৩২৩০০।] শায়খ ইবনু বায (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, ‘আল্লাহ তা‘আলা তাঁর পবিত্র কুরআনকে আরবী ভাষাতেই অবতীর্ণ করেছেন। এটি আরবী কুরআন। সুতরাং এটিকে আরবী ব্যতীত অন্য কোন ভাষায় পাঠ করা জায়েয নয়। ছালাতের মধ্যে এবং বাইরে উভয় অবস্থাতেই কুরআনুল কারীম আরবীতেই তিলাওয়াত করতে হবে। তবে যেকোন ভাষায় কুরআনের অনুবাদ করা যাবে। যাতে কুরআনের মূলভাব ও বিধি-বিধান সম্পর্কে অবগত হতে পারে।[ফাতাওয়া নূরুন ‘আলাদ দারব ইবনু বায, তাঁর অফিসিয়াল ওয়েবসাইট, https://binbay.org.sa/fatwas/29156।] শায়খ মুহাম্মাদ ছালিহ আল-মুনাজ্জিদ (হাফিযাহুল্লাহ) বলেন, ‘আরবী ভাষা ব্যতীত অন্য কোন ভাষায় কুরআনকে প্রকাশ করা অবৈধ।[ইসলাম সাওয়াল ওয়া জাওয়াব, ফৎওয়া নং-১৯১৪৯৭।]

উল্লেখ্য যে, শায়খ ইবনু বায (রাহিমাহুল্লাহ), শাযখ আব্দুর রাযযাক আফিফী (রাহিমাহুল্লাহ) এবং আরো অনেক বড় বড় আলিমের উপস্থিতিতে এ সম্পর্কে একটি আন্তর্জাতিক ইসলামী সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। উক্ত সম্মেলনে গৃহীত সিদ্ধান্তগুলোকে পরবর্তীতে একটি স্বতন্ত্র গ্রন্থরূপে লিপিবদ্ধ করা হয়েছে। যার নামকরণ করা হয়েছে, تحريم كتابة القرآن الكريم بحروف غير عربية ‘কুরআনুল কারীমকে আরবী ভাষার অক্ষর ব্যতীত অন্য ভাষায় লিপিবদ্ধ করা হারাম’ নামে। সেখানে বলা হয়েছে, উক্ত বিষয়ে অধ্যয়ন, আলোচনা ও মতবিনিময়ের পর ঊলামা পরিষদের ঐকমত্যানুসারে এই সিদ্ধান্ত সংগৃহীত হল যে, ‘ল্যাটিন অক্ষরে বা অন্য কোন ভাষার অক্ষরে কুরআনুল কারীমকে লিপিবদ্ধ করা হারাম’।[তাহরীমু কিতাবাতিল কুরআনিল কারীম বি হুরূফি গাইরি আরাবিয়্যাহ, ১ম খণ্ড, পৃ. ৩৬। ] যারা উচ্চারণ করা কুরআন প্রিন্ট করে বাজারে ব্যবসা করছে তারা অত্যন্ত জঘন্য অপরাধ করছে।[ফাতাওয়া লাজনাহ আদ-দায়েমাহ ৫/৩৩০ পৃঃ; নববী, আল-মাজমূ‘উ ৩/৩৭৯।] আল্লাহ তাদেরকে হেদায়াত দান করুন! প্রত্যেক মুসলিমের উচিত এ সমস্ত প্রকাশনীকে প্রত্যাখ্যান করা।

তাই প্রত্যেক মুসলিমের জন্য অপরিহার্য দায়িত্ব হল, কুরআন শিক্ষা করা, বেশী বেশী তেলাওয়াত করা এবং এর অর্থ ও ভাব বুঝার চেষ্টা করা। অন্যথা কবরে ফেরেশতাদের প্রশ্নের উত্তর দেয়া সম্ভব হবে না।[আবুদাঊদ হা/৪৭৫৩, সনদ ছহীহ।]
’আয়িশাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, যে ব্যক্তি তোমাকে বলে মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম স্বীয় রবকে দেখেছেন, সে মিথ্যা বলল। কেননা আল্লাহ্ বলছেন, চক্ষু তাঁকে দেখতে পায় না। আর যে ব্যক্তি তোমাকে বলে মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম গায়েব জানেন, সেও মিথ্যা বলল। কেননা আল্লাহ্ বলেন, গায়িব জানেন একমাত্র আল্লাহ্।

সহীহ বুখারী [(আধুনিক প্রকাশনী- ৬৮৬৪, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৮৬৬)
ইমাম আবু নসর আস-সিজযি রাহ. (মৃত্যু-৪৪৪ হি.) বলেন—

‘আমাদের ইমামগন— যেমন সুফিয়ান সাওরি, মালিক বিন আনাস, সুফিয়ান বিন উয়াইয়না, হাম্মাদ বিন সালামা, হাম্মাদ বিন যায়েদ, আব্দুল্লাহ বিন মুবারাক, ফুজায়েল বিন ইয়াজ, আহমদ বিন হাম্বল, ইসহাক বিন রাহওয়াই— সবাই এ ব্যাপারে ঐকমত্য যে, আল্লাহ তা'আলা সত্তাগতভাবে আরশের ঊর্ধ্বে রয়েছেন। আর তাঁর জ্ঞান সকল স্থানে বিদ্যমান। কিয়ামতের দিন চক্ষু দ্বারা আরশের ওপরে তাঁকে দেখা যাবে। তিনি নিকটবর্তী আকাশে অবতারণ করেন। তিনি রাগান্বিত হন। সন্তুষ্ট হন। তিনি কথা বলেন, যা তিনি চান। যে ব্যক্তি (উপর্যুক্ত) এসবের কোনোকিছু অমান্য করে, সে তাদের থেকে সম্পর্কমুক্ত এবং তাঁরাও তার থেকে সম্পর্কহীন।’

أَئِمَّتُنَا - كَسُفْيَانَ الثَّوْرِيِّ وَمَالِكِ بْنِ أَنَسٍ وَسُفْيَانَ بْنِ عُيَيْنَة وَحَمَّادِ بْنِ سَلَمَةَ، وَحَمَّادِ بْنِ زَيْدٍ، وَعَبْدِ اللَّهِ بْنِ الْمُبَارَكِ، وفضيل بْنِ عِيَاضٍ، وَأَحْمَدَ بْنِ حَنْبَلٍ، وَإِسْحَاقَ بْنِ رَاهَوَيْه - مُتَّفِقُونَ عَلَى أَنَّ اللَّهَ سُبْحَانَهُ بِذَاتِهِ فَوْقَ الْعَرْشِ وَأَنَّ عِلْمَهُ بِكُلِّ مَكَانٍ وَأَنَّهُ يُرَى يَوْمَ الْقِيَامَةِ بِالْأَبْصَارِ فَوْقَ الْعَرْشِ وَأَنَّهُ يَنْزِلُ إلَى سَمَاءِ الدُّنْيَا وَأَنَّهُ يَغْضَبُ وَيَرْضَى وَيَتَكَلَّمُ بِمَا شَاءَ. فَمَنْ خَالَفَ شَيْئًا مِنْ ذَلِكَ فَهُوَ مِنْهُمْ بَرِيءٌ وَهُمْ مِنْهُ بَرَاءٌ.

[আল ইবানাহ, মাজমুউল ফাতাওয়া, ইবনু তাইমিয়া—

৩/২২২, আল উলু, জাহাবি—২৪৮]
সুফীদের মর্যাদা বেশী না আলেমদের :

عَنْ حُذَيْفَةَ بْنِ الْيَمَانِ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صلى الله عليه وسلم فَضْلُ الْعِلْمِ خَيْرٌ مِنْ فَضْلِ الْعِبَادَةِ وَخَيْرُ دِيْنِكُمُ الْوَرَعُ.

হুযায়ফ ইবনুল ইয়ামান (রাঃ) বলেন, রাসূল (ছাঃ) বলেছেন, ‘ইলমের মর্যাদা ইবাদতের মর্যাদার চেয়ে অনেক বেশী। আর তোমাদের উত্তম দ্বীন হল পরহেযগারিতা’ (আত-তারগীব ওয়াত তারহীব হা/১০০)।

عَنْ مُعَاوِيَةَ قَالَ: قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: مَنْ يُرِدِ اللهُ بِهِ خَيْرًا يُفَقِّهْهُ فِي الدِّيْنِ وَإِنَّمَا أَنَا قَاسِمٌ وَاللهُ يُعْطِي-

মু‘আবিয়া (রাঃ) বলেন, রাসূল (ছাঃ) বলেছেন, ‘আল্লাহ তা‘আলা যার কল্যাণ কামনা করেন, তাকে দ্বীনের সুষ্ঠু জ্ঞান দান করেন। আর আমি নিছক বণ্টনকারী এবং দান করেন আল্লাহই’ (মুত্তাফাক্ব আলাইহ, মিশকাত হা/১৯০)।

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: إِذَا مَاتَ الْإِنْسَانُ انْقَطَعَ عَمَلُهُ إِلاَّ مِنْ ثَلاَثَةِ، إِلاَّ مِنْ صَدَقَةٍ جَارِيَةٍ أَوْعِلْمٍ يُنْتَفَعُ بِهِ أَوْ وَلَدٍ صَالِحٍ يَدْعُو لَهُ-

আবু হুরায়রা (রাঃ) বলেন, রাসূল (ছাঃ) বলেছেন, ‘যখন মানুষ মারা যায়, তখন তার আমল (ও তার ছওয়াব) বন্ধ হয়ে যায়। কিন্তু তিনটি আমল (এগুলির ছওয়াব বন্ধ হয় না), (১) ছাদাক্বায়ে জারিয়া, (২) ইলম-যার দ্বারা (লোকের) উপকার সাধিত হয় এবং (৩) সুসন্তান- যে তার জন্য দো‘আ করে’ (মুসলিম, মিশকাত হা/১৯৩)।

عَنْ عَائِشَةَ أَنَّهَا قَالَتْ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: إِنَّ اللهَ عَزَّ وَجَلَّ أَوْحَى إِلَيَّ أَنَّهُ مَنْ سَلَكَ مَسْلَكًا فِيْ طَلَبِ الْعِلْمِ سَهَّلْتُ لَهُ طَرِيْقَ الْجَنَّةِ وَمَنْ سَلَبْتُ كَرِيمَتَيْهِ أَثَبْتُهُ عَلَيْهِمَا الْجَنَّةَ. وَفَضْلٌ فِيْ عِلْمٍ خَيْرٌ مِنْ فَضْلٍ فِي عِبَادَةٍ وَمِلاَكُ الدِّيْنِ الْوَرَعُ.

আয়েশা (রাঃ) বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-কে বলতে শুনেছি, তিনি বলেছেন, ‘আল্লাহ আমার নিকট অহী পাঠিয়েছেন যে ব্যক্তি ইলম অন্বেষণের উদ্দেশ্যে কোন পথ অবলম্বন করবে, তার জন্য আমি জান্নাতের পথ সহজ করে দিব এবং যে ব্যক্তির দুই চক্ষু আমি নিয়ে গিয়েছি, তাকে তার পরিবর্তে আমি জান্নাত দান করব। ইবাদত অধিক হওযা অপেক্ষা ইলম অধিক হওয়া উত্তম। দ্বীনের (তথা ইলম ও আলেমের) সাথে হচ্ছে সন্দেহের জিনিস হতে বেঁচে থাকা’ (বায়হাক্বী, শু‘আবুল ঈমান, মিশকাত হা/২৩৮)।

_______________________
ব্রাদার রাহুল হোসেন রুহুল আমিন
Habib Bin Tofajjal
Habib Bin Tofajjal
আসসালামু আলাইকুম,
ফোরামে প্রোফাইল পোস্টে রিচ কম।
আপনি চাইলে পোস্টগুলো ফোরামের উপযুক্ত ক্যাটাগরিতে করতে পারেন রিচ বেশী হবে ইনশাআল্লাহ।
সুন্নী ব্রেলভীদের অতিরিক্ত শিথিলতার জন্য। তাদের মধ্যে থেকেই শীয়াআ গ্রুপ মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে।
সুন্নিদের মধ্যে থেকে অনেকেই শিয়া হয়ে গেছে। আহালে বায়াতের মুহাব্বাতের নামে অতিরিক্ত ভক্তি। এবং মুয়াআবিয়ার রাযি সমালোচনা এখন তারা প্রকাশে করছে।

তাসাউফ এর নামে শিয়াদের আক্বিদা প্রচার করছে। হিন্দুদের অদ্বৈত মতবাদ প্রচার করছে।এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য সাইফুল আজম বাবার আযহারী। আলাউদ্দীন জি|হাদী তার প্রতিবাদ করাতে তাকেই এখন দুশমানে আহালে বায়াত ট্যাগ দিয়ে। আটরশী দরবার থেকে বিতারিত করেছে।

সুন্নী ব্রেলভীরা যদি এখন থেকে এই প্রতিবাদ না করে তাহলে আগামী সুন্নী ব্রেলভী পরিবারের প্রজন্ম পাক্কা শিয়া হয়ে যাবে।

সুফীদের মর্যাদা বেশী না আলেমদের :

عَنْ حُذَيْفَةَ بْنِ الْيَمَانِ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صلى الله عليه وسلم فَضْلُ الْعِلْمِ خَيْرٌ مِنْ فَضْلِ الْعِبَادَةِ وَخَيْرُ دِيْنِكُمُ الْوَرَعُ.

হুযায়ফ ইবনুল ইয়ামান (রাঃ) বলেন, রাসূল (ছাঃ) বলেছেন, ‘ইলমের মর্যাদা ইবাদতের মর্যাদার চেয়ে অনেক বেশী। আর তোমাদের উত্তম দ্বীন হল পরহেযগারিতা’ (আত-তারগীব ওয়াত তারহীব হা/১০০)।

عَنْ مُعَاوِيَةَ قَالَ: قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: مَنْ يُرِدِ اللهُ بِهِ خَيْرًا يُفَقِّهْهُ فِي الدِّيْنِ وَإِنَّمَا أَنَا قَاسِمٌ وَاللهُ يُعْطِي-

মু‘আবিয়া (রাঃ) বলেন, রাসূল (ছাঃ) বলেছেন, ‘আল্লাহ তা‘আলা যার কল্যাণ কামনা করেন, তাকে দ্বীনের সুষ্ঠু জ্ঞান দান করেন। আর আমি নিছক বণ্টনকারী এবং দান করেন আল্লাহই’ (মুত্তাফাক্ব আলাইহ, মিশকাত হা/১৯০)।

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: إِذَا مَاتَ الْإِنْسَانُ انْقَطَعَ عَمَلُهُ إِلاَّ مِنْ ثَلاَثَةِ، إِلاَّ مِنْ صَدَقَةٍ جَارِيَةٍ أَوْعِلْمٍ يُنْتَفَعُ بِهِ أَوْ وَلَدٍ صَالِحٍ يَدْعُو لَهُ-

আবু হুরায়রা (রাঃ) বলেন, রাসূল (ছাঃ) বলেছেন, ‘যখন মানুষ মারা যায়, তখন তার আমল (ও তার ছওয়াব) বন্ধ হয়ে যায়। কিন্তু তিনটি আমল (এগুলির ছওয়াব বন্ধ হয় না), (১) ছাদাক্বায়ে জারিয়া, (২) ইলম-যার দ্বারা (লোকের) উপকার সাধিত হয় এবং (৩) সুসন্তান- যে তার জন্য দো‘আ করে’ (মুসলিম, মিশকাত হা/১৯৩)।

عَنْ عَائِشَةَ أَنَّهَا قَالَتْ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: إِنَّ اللهَ عَزَّ وَجَلَّ أَوْحَى إِلَيَّ أَنَّهُ مَنْ سَلَكَ مَسْلَكًا فِيْ طَلَبِ الْعِلْمِ سَهَّلْتُ لَهُ طَرِيْقَ الْجَنَّةِ وَمَنْ سَلَبْتُ كَرِيمَتَيْهِ أَثَبْتُهُ عَلَيْهِمَا الْجَنَّةَ. وَفَضْلٌ فِيْ عِلْمٍ خَيْرٌ مِنْ فَضْلٍ فِي عِبَادَةٍ وَمِلاَكُ الدِّيْنِ الْوَرَعُ.

আয়েশা (রাঃ) বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-কে বলতে শুনেছি, তিনি বলেছেন, ‘আল্লাহ আমার নিকট অহী পাঠিয়েছেন যে ব্যক্তি ইলম অন্বেষণের উদ্দেশ্যে কোন পথ অবলম্বন করবে, তার জন্য আমি জান্নাতের পথ সহজ করে দিব এবং যে ব্যক্তির দুই চক্ষু আমি নিয়ে গিয়েছি, তাকে তার পরিবর্তে আমি জান্নাত দান করব। ইবাদত অধিক হওযা অপেক্ষা ইলম অধিক হওয়া উত্তম। দ্বীনের (তথা ইলম ও আলেমের) সাথে হচ্ছে সন্দেহের জিনিস হতে বেঁচে থাকা’ (বায়হাক্বী, শু‘আবুল ঈমান, মিশকাত হা/২৩৮)।

_______________________
ব্রাদার রাহুল হোসেন রুহুল আমিন
তারিখঃ ২৫ মার্চ ২০২৪
সময় : ০৬:৩০ ভারত
Habib Bin Tofajjal
Habib Bin Tofajjal
আসসালামু আলাইকুম,
ফোরামে প্রোফাইল পোস্টে রিচ কম।
আপনি চাইলে পোস্টগুলো ফোরামের উপযুক্ত ক্যাটাগরিতে করতে পারেন রিচ বেশী হবে ইনশাআল্লাহ।
আসসালামু আলাইকুম, প্রিয় দ্বীনি ভাইয়েরা, আমি মাকসুদুর রহমান সুমন। আমি নতুন মেম্বার। ইনশাআল্লাহ কুরআন সুন্নাহ ভিত্তিক আলোচনা হবে।
আপলোড করার অপশন পাচ্ছি না। প্লিজ হেল্প।
কুইজ প্রশ্নউত্তর

Attachments

  • কুইজ প্রশ্নউত্তর.pdf
    323.5 KB · Views: 2
কুকুর ক্রয়-বিক্রয় এ মাসআলা
সহিহ হাদিস বনাম হানাফি ফিক্বহ্।

---হানাফি ফিক্বহ্----

‎قال ويجوز بيع الكلب والفهد والسباع ، المعلم وغير المعلم في ذلك سواء ... ولنا ( أنه عليه الصلاة والسلام نهى عن بيع الكلب إلا كلب صيد أو ماشية ) ولأنه منتفع به حراسة واصطيادا فكان ما لا يجوز بيعه ، بخلاف الهوام المؤذية ؛ لأنه لا ينتفع بها ، والحديث محمول على الابتداء قلعا لهم عن الاقتناء ولا نسلم نجاسة العين ، ولو سلم فيحرم التناول دون البيع .

ইমাম কুদুরি রহিমাহুল্লাহ বলেন: কুকুর, চিতা ও অন্যান্য হিংস্র প্রাণী বিক্রি করা জায়েয। এক্ষেত্রে প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত ও অপ্রশিক্ষণপ্রাপ্ত পশু সমান। আমাদের ... প্রমাণ হলো বর্ণিত হাদীস যে, নবী (সাঃ) কুকুর বিক্রি নিষেধ করেছেন, শিকারের কুকুর এবং পশুপাল পাহারা দেওয়ার কুকুর বিক্রি নিষিদ্ধ নয়।
তা ছাড়া এ কারণে যে, প্রহরার এবং শিকারের উদ্দেশ্যে এই কুকুর দ্বারা উপকার লাভ হয়। সুতরাং এটি (অর্থমূল্য সম্পন্ন) মাল হবে। তাই তা বিক্রি করা জায়েয হবে। কষ্টদায়ক কীট পতঙ্গের বিষয়টি ভিন্ন। কেননা তা দ্বারা উপকার লাভ হয় না। আর ইমাম শাফেঈ রহিমাহুল্লাহ বর্ণিত হাদীসটি ইসলামের প্রাথমিক অবস্থার সঙ্গে সম্পৃক্ত। উদ্দেশ্য ছিল তাদের কুকুর পালার অভ্যাস নির্মূল করা। আর আমরা কুকুরের সত্তাগত নাপাকির দাবি স্বীকার করি না এবং যদি স্বীকারও করা হয় তাহলে আমাদের বক্তব্য এই যে, এ কারণে তা খাওয়া হারাম হবে। বিক্রি করা হারাম হবে না।"৭০৪

----সহিহ হাদিস ---

‎وعن جابر أن رسول الله صلى الله عليه وسلم نهى عن ثمن الكلب والسنور

"জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণিত: রাসূলুল্লাহ (সাঃ) সহীহ হাদীস কুকুর ও বিড়ালের মূল্য নিতে নিষেধ করেছেন।৭০১

‎عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ﷺ مَنْ أَمْسَكَ كَلْبًا فَإِنَّهُ يَنْقُصُ كُلَّ يَوْمٍ مِنْ عَمَلِهِ قِيرَاطٌ إِلَّا كَلْبَ حَرْثٍ أَوْ مَاشِيَةٍ... كَلْبَ صَيْدٍ أَوْ مَاشِيَةٍ

আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রসলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন:
যে ব্যক্তি শস্য ক্ষেতের পাহারা কিংবা পশুর হেফাযতের উদ্দেশ্য ছাড়া কুকুর পোষে, প্রতিদিন তার নেক আমল হতে এক কীরাত পরিমাণ (সওয়াব) কমতে থাকবে।...(অপর বাক্যটি হলো) শিকারী কুকুর বা পশুর হেফাযতের (জন্যে)। ৭০২

অন্যত্র কুকুরের অপবিত্রতা সম্পর্কে নবী (সাঃ) বলেছেন:-

‎إِذَا وَلَغَ فِيْهِ الْكَلْبُ أَنْ يَغْسِلَهُ سَبْعَ مَرَّاتٍ أَوْلَهُنَّ بِالتُّرَابِ

যখন কোন পাত্রে কুকুর মুখ দেয়, তখন সাতবার ধোও এবং প্রথমবার মাটি দ্বারা” অন্য বর্ণনায় আছে: فَلْيُرِقْهُ “সেটির উচ্ছিষ্ট বস্তু ফেলে দেও।৭০৩
-----------------
উল্লেখ্য শিকারী বা অনুরূপ কুকুর পোষা এবং সবধরনের কুকুর করা একই কথা নয়। তা ছাড়া কুরআন ও সহীহ হাদীস দ্বারা কুকুরের অপবিত্রতা প্রমাণিত। যা 'হিদায়া' গ্রন্থে স্বীকার করা হয়নি। আল্লাহ তাআলা সত্য বুঝার তাওফিক্ক দিন।

৭০১. সহীহ মুসলিম, মিশকাত (এমদা) ৬/২৬৪৮ নং। কুকুরের মূল্য নিষেধ হওয়া সম্পর্কে আরও হাদীস দ্রঃ সহীহ বুখারী, সহীহ মুসলিম, মিশকাত (এমদা) ৬/২৬৪৩, ২৬৪৪ নং
৭০২. সহীহ বুখারী-কিতাবুল মুযারাআত (চাষাবাদ অধ্যায়) بَابِ اقْتِنَاءِ الْكَلْبِ لِلْحَرْثِ হা: ২৩২২
৭০৩. সহীহ মুসলিম, বুলুগুল মালাম হা১০
৭০৪. আল-হিদায়া (ইফা) ৩/১৪০ পৃ.আশরাফুল হিদায়া ৫/৫৭১ পৃ.

-Mahfuj Ibn-Al DelowAr
-বিস্তারীত জানতে পড়ুন:- ইমাম আবূ হানীফা রহিমাহুল্লাহর ব্যক্তিত্ব ও মাযহাব।
Habib Bin Tofajjal
Habib Bin Tofajjal
আসসালামু আলাইকুম,
ফোরামে প্রোফাইল পোস্টে রিচ কম।
আপনি চাইলে পোস্টগুলো ফোরামের উপযুক্ত ক্যাটাগরিতে করতে পারেন রিচ বেশী হবে ইনশাআল্লাহ।
Total Threads
12,653Threads
Total Messages
15,946Comments
Total Members
3,162Members
Latest Messages
mahiLatest member
Top