আবু হুরাইরাহ রাদিয়াল্লাহ আনহু বর্ণনা করেন যে, রাসূল সল্লাল্লাহ আলাইহ ওয়াসাল্লাম বলেন:
‘‘আল্লাহর নিরানববই নামটি নাম রয়েছে যে ব্যক্তি সেগুলোর যথাযথভাবে আয়ত্ব করতে সক্ষম হবে সে জান্নাতে প্রবেশ করবে’’। (বুখারী, ২৭৩৬ ও মুসলিম, ২৬৭৭)
হাদীসে উল্লেখিত ‘আহসাহা’ এ শব্দের তাৎপর্য কী? আল্লাহর নামসমূহ কি উল্লেখিত সংখ্যার মধ্যেই সীমাবদ্ধ? প্রমাণ দিন?
উত্তর: আল্লাহর নিরানব্বইটি নাম ‘ইহসা’ করার তিনটি তাৎপর্য আছে:
(১) পবিত্র শব্দসমূহ উচ্চারণসহ আয়ত্ব করা।
(২) সেগুলোর অর্থ ও তাৎপর্য অনুধাবন করা।
(৩) সে শব্দগুচ্ছের মাধ্যমে আল্লাহকে ডাকা এবং দো‘আ করা। আল্লাহর কাছে দো‘আ প্রার্থনা এবং তাঁর মহত্ব-প্রশংসা করার মাধ্যমে আল্লাহর দরবারে ধর্ণা দেওয়া ও ফরিয়াদ করা।
আল্লাহর নাম উক্ত সংখ্যার মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। তার প্রমাণ হলো প্রিয় নবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের বাণী:
‘‘হে আল্লাহ, তোমার কাছে ফরিয়াদ করছি তোমার স্বঘোষিত ঐ সব নাম নিয়ে যে নামসমূহ তুমি নিজের জন্য পছন্দ করে রেখেছো, কিংবা তোমার কিতাবে উল্লেখ করেছো অথবা তোমার বান্দাদের মধ্যে কাউকে শিখিয়েছ কিংবা তুমি নিজের কাছে গোপন করে রেখেছ’’। (আহমাদ, আবু হাতেম, ইবনে হিববান তার সহীহ গ্রন্থে)
অর্থাৎ: আল্লাহর নামসমূহ তিন প্রকারের;
(১) আল্লাহর স্বঘোষিত কিছু নাম বান্দাদের মধ্যে যাকে ইচ্ছা করেছেন তাকে জানিয়েছেন।
(২) কিছু নাম তাঁর কিতাবে উল্লেখ করেছেন এবং তা বান্দাদেরকে অবহিত করেছেন।
(৩) মহান আল্লাহ আরো কিছু নাম নিজের কাছে গোপন করে রেখেছেন এবং তা সৃষ্টির কেউই তা জানে না।
«إِنَّ لِلَّهِ تِسْعَةً وَتِسْعِينَ اسْمًا مِائَةً إِلَّا وَاحِدًا، مَنْ أَحْصَاهَا دَخَلَ الجَنَّةَ»
‘‘আল্লাহর নিরানববই নামটি নাম রয়েছে যে ব্যক্তি সেগুলোর যথাযথভাবে আয়ত্ব করতে সক্ষম হবে সে জান্নাতে প্রবেশ করবে’’। (বুখারী, ২৭৩৬ ও মুসলিম, ২৬৭৭)
হাদীসে উল্লেখিত ‘আহসাহা’ এ শব্দের তাৎপর্য কী? আল্লাহর নামসমূহ কি উল্লেখিত সংখ্যার মধ্যেই সীমাবদ্ধ? প্রমাণ দিন?
উত্তর: আল্লাহর নিরানব্বইটি নাম ‘ইহসা’ করার তিনটি তাৎপর্য আছে:
(১) পবিত্র শব্দসমূহ উচ্চারণসহ আয়ত্ব করা।
(২) সেগুলোর অর্থ ও তাৎপর্য অনুধাবন করা।
(৩) সে শব্দগুচ্ছের মাধ্যমে আল্লাহকে ডাকা এবং দো‘আ করা। আল্লাহর কাছে দো‘আ প্রার্থনা এবং তাঁর মহত্ব-প্রশংসা করার মাধ্যমে আল্লাহর দরবারে ধর্ণা দেওয়া ও ফরিয়াদ করা।
আল্লাহর নাম উক্ত সংখ্যার মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। তার প্রমাণ হলো প্রিয় নবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের বাণী:
«أَسْأَلُكَ بِكُلِّ اسْمٍ هُوَ لَكَ، سَمَّيْتَ بِهِ نَفْسَكَ، أَوْ أَنْزَلْتَهُ فِي كِتَابِكَ، أَوْ عَلَّمْتَهُ أَحَدًا مِنْ خَلْقِكَ، أَوِ اسْتَأْثَرْتَ بِهِ فِي عِلْمِ الْغَيْبِ عِنْدَكَ»
‘‘হে আল্লাহ, তোমার কাছে ফরিয়াদ করছি তোমার স্বঘোষিত ঐ সব নাম নিয়ে যে নামসমূহ তুমি নিজের জন্য পছন্দ করে রেখেছো, কিংবা তোমার কিতাবে উল্লেখ করেছো অথবা তোমার বান্দাদের মধ্যে কাউকে শিখিয়েছ কিংবা তুমি নিজের কাছে গোপন করে রেখেছ’’। (আহমাদ, আবু হাতেম, ইবনে হিববান তার সহীহ গ্রন্থে)
অর্থাৎ: আল্লাহর নামসমূহ তিন প্রকারের;
(১) আল্লাহর স্বঘোষিত কিছু নাম বান্দাদের মধ্যে যাকে ইচ্ছা করেছেন তাকে জানিয়েছেন।
(২) কিছু নাম তাঁর কিতাবে উল্লেখ করেছেন এবং তা বান্দাদেরকে অবহিত করেছেন।
(৩) মহান আল্লাহ আরো কিছু নাম নিজের কাছে গোপন করে রেখেছেন এবং তা সৃষ্টির কেউই তা জানে না।