আবু হুরাইরাহ রাদিয়াল্লাহ আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন:
হাদীসে বর্ণিত নিচে দাগ দেওয়া শব্দসমূহের ভাবার্থ কি?
উত্তর: উক্ত হাদীসে রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জাহেলিয়াতের কুসংস্কারসমূহ বর্জনের কথা বলেছেন। জাহেলরা আল্লাহর ইচ্ছা ব্যতীত বিভিন্ন কারণে শুভ-অশুভ লক্ষণ বিশ্বাস ও নির্ধারণ করে নিত। যেমন; আদওয়া: রুগ্ন ব্যক্তির রোগ ব্যাধি সংক্রমিত হয়ে সুস্থ্য ব্যাক্তিকে আক্রান্ত করে। জাহেলী যুগের লোকেরা বিশ্বাস করতো যে; রোগ-ব্যধি আপনা-আপনি বিভিন্ন জনকে আক্রান্ত করতো আল্লাহর ইচ্ছা ব্যতীতই।
ত্বিয়ারাতা: উড়ন্ত কোনকিছুর দ্বারা অশুভ লক্ষণ গ্রহণ করা।
হা-ম্মা: রাতের পাখী পেঁচা। জাহেল সম্প্রদায় বিশ্বাস করতো যে, এ পাখী যার ঘরের উপরে আসবে তার মৃত্যু অথবা ঐ ঘরের যে কোনো সদস্যের মৃত্যু সংবাদ বুঝতে হবে। আর হাদীসে এজাতীয় বিশ্বাসকে ভুল আখ্যায়িত করা হয়েছে।
সফর: এটা হিজরী ২য় মাস, জাহেলী লোকেরা এ মাসকে অশুভ মনে করতো। আর কেউ কেউ বলেন, এটা হলো পেটের ভিতরের কৃমি যা ক্ষুধার সময় নড়াচড়া করে হয়তবা জীবনই বিপন্ন করে দেয়। অজ্ঞ বা জাহেল লোকেরা বিশ্বাস করে যে, ঐসব কৃমি জাতীয় কিট খোস-পাচড়া থেকেও বিপদজনক। রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এগুলোকেও বাতিল অলিক বলেছেন।
নাওউ: যে স্থানে তারকা পতিত হয়। কেউ কেউ বলেন যে, এটা একটা তারকা এর কারণেই বৃষ্টি বর্ষিত হয় বলে জাহেল লোকদের ধারণা।
গৌল: ভূত-প্রেত; এক ধরনের শয়তান। ইসলাম পূর্ব অন্ধকার যুগের লোকেরা বিশ্বাস করতো যে, এ শয়তান তাদেরকে পথে-ঘাটে বাধা দিয়ে ও বিভ্রান্ত করে পথ ভুলিয়ে বিপদাক্রান্ত করে থাকে। রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এগুলো অস্বীকার করেছেন। কেননা যে ব্যক্তি আল্লাহর যিকির (স্মরণ) করে এবং তাঁর উপর তাওয়াক্কুল (নির্ভর) করে তাকে কেউই বিভ্রান্ত করতে সক্ষম হয় না।[1]
«لاَ عَدْوَى وَلاَ طِيَرَةَ، وَلاَ هَامَةَ وَلاَ صَفَرَ» وزاد مسلم: «ولا نوء ولا غول» رواه البخاري ومسلم.
হাদীসে বর্ণিত নিচে দাগ দেওয়া শব্দসমূহের ভাবার্থ কি?
উত্তর: উক্ত হাদীসে রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জাহেলিয়াতের কুসংস্কারসমূহ বর্জনের কথা বলেছেন। জাহেলরা আল্লাহর ইচ্ছা ব্যতীত বিভিন্ন কারণে শুভ-অশুভ লক্ষণ বিশ্বাস ও নির্ধারণ করে নিত। যেমন; আদওয়া: রুগ্ন ব্যক্তির রোগ ব্যাধি সংক্রমিত হয়ে সুস্থ্য ব্যাক্তিকে আক্রান্ত করে। জাহেলী যুগের লোকেরা বিশ্বাস করতো যে; রোগ-ব্যধি আপনা-আপনি বিভিন্ন জনকে আক্রান্ত করতো আল্লাহর ইচ্ছা ব্যতীতই।
ত্বিয়ারাতা: উড়ন্ত কোনকিছুর দ্বারা অশুভ লক্ষণ গ্রহণ করা।
হা-ম্মা: রাতের পাখী পেঁচা। জাহেল সম্প্রদায় বিশ্বাস করতো যে, এ পাখী যার ঘরের উপরে আসবে তার মৃত্যু অথবা ঐ ঘরের যে কোনো সদস্যের মৃত্যু সংবাদ বুঝতে হবে। আর হাদীসে এজাতীয় বিশ্বাসকে ভুল আখ্যায়িত করা হয়েছে।
সফর: এটা হিজরী ২য় মাস, জাহেলী লোকেরা এ মাসকে অশুভ মনে করতো। আর কেউ কেউ বলেন, এটা হলো পেটের ভিতরের কৃমি যা ক্ষুধার সময় নড়াচড়া করে হয়তবা জীবনই বিপন্ন করে দেয়। অজ্ঞ বা জাহেল লোকেরা বিশ্বাস করে যে, ঐসব কৃমি জাতীয় কিট খোস-পাচড়া থেকেও বিপদজনক। রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এগুলোকেও বাতিল অলিক বলেছেন।
নাওউ: যে স্থানে তারকা পতিত হয়। কেউ কেউ বলেন যে, এটা একটা তারকা এর কারণেই বৃষ্টি বর্ষিত হয় বলে জাহেল লোকদের ধারণা।
গৌল: ভূত-প্রেত; এক ধরনের শয়তান। ইসলাম পূর্ব অন্ধকার যুগের লোকেরা বিশ্বাস করতো যে, এ শয়তান তাদেরকে পথে-ঘাটে বাধা দিয়ে ও বিভ্রান্ত করে পথ ভুলিয়ে বিপদাক্রান্ত করে থাকে। রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এগুলো অস্বীকার করেছেন। কেননা যে ব্যক্তি আল্লাহর যিকির (স্মরণ) করে এবং তাঁর উপর তাওয়াক্কুল (নির্ভর) করে তাকে কেউই বিভ্রান্ত করতে সক্ষম হয় না।[1]
[1] আল-জামে আল ফরিদ: ১২২।