‼️ পোস্টটি সুন্দরভাবে দেখতে এখানে ক্লিক করুন।‼️

দল

  1. বিদাতীরা দলীল-প্রমাণকে ঘৃণা করে তাই সেগুলো গোপন করতে ভালোবাসে

    শাইখুল ইসলাম ইবনু তাইমিয়্যাহ (রাহিমাহুল্লাহ) : যেই সমস্ত বিদআত কিতাব ও সুন্নাহর বিরোধিতা ও তা অস্বীকার করার জন্য ব্যবহৃত হয়, যাকে বিদাতীরা কালামিয়াত (কালাম), আক্বলিয়াত (বুদ্ধি ও যুক্তি), ফালসাফিয়াত (দর্শন) বা যাওকিয়াত (স্বাদ ও অভিজ্ঞতা), উইজদিয়াত (অনুসন্ধান ও আবিষ্কার) এবং হাক্বাইক (বাস্তবতা)...
  2. বিদআত মিলাদুন্নবী পালন করা !

    ইমাম শাওকানী রাহি. বলেনঃ আমি এখন পর্যন্ত এমন কোন দলিল পাইনি যা প্রমান করে মিলাদুন্নবী পালন করার জন্য। না কুরআন, না সুন্নাহ, না ইজমা এবং ক্বিয়াস দ্বারা, না যুক্তির দ্বারা। আল-ফাতহুল রব্বানী, ২/১০৮৭৩
  3. হাদিস ও হাদিসের ব্যাখ্যা জান্নাতি দল ও জাহান্নামে যাওয়ার কারণ

    মু’আবিয়াহ ইবনু আবূ সুফিয়ান (رضي الله عنه) সূত্রে বর্ণিত। তিনি দাঁড়িয়ে বললেন, জেনে রাখো! তোমাদের পূর্ববর্তী আহলে কিতাব বাহাত্তর দলে বিভক্ত হয়েছে এবং এ উম্মত অদূর ভবিষ্যতে তিয়াত্তর দলে বিভক্ত হবে। এর মধ্যে বাহাত্তর দল জাহান্নামে যাবে এবং একটি জান্নাতে যাবে। আর সে দল হচ্ছে আল-জামা’আত। ইবনু ইয়াহইয়া...
  4. বিদআত বর্তমানে সহিহ আক্বিদার দলের বায়'আত গ্রহণ আর সংগঠন বিষয়ে উলামাদের মন্ত্যব্য

    শাইখুল ইসলাম ইমাম ইবন তাইমিয়া (রাহি.) ― তিনি বলেন, কারো অধিকার নেই যে, সে উম্মাতের জন্য রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহিওয়া সাল্লাম ব্যতীত অন্য কাউকে খাঁড়া করে তার পথে মানুষকে আহ্বান করবে এবংসেই পথকে কোনো মুসলিমের সাথে আন্তরিক সুসম্পর্ক গড়া বা না গড়ার মানদণ্ডহিসাবে গ্রহণ করবে। অনুরূপভাবে তার জন্য...
  5. দাওয়াহ দলীলের অনুসরণ করার মানে এ নয় যে, এর দ্বারা ইমামের মতামতের বিরোধিতা করা হলো

    দলীলের অনুসরণ করার মানে এ নয় যে, এর দ্বারা ইমামের মতামতের বিরোধিতা করা হলো মাযহাবপন্থি কতিপয় মুকাল্লিদ ধারণা করে যে, কুরআন-সুন্নাহর দলীলের ইত্তেবার দিকে দাওয়াত দেয়া এবং ইমামদের কুরআন-সুন্নাহ বিরোধী মতামতগুলোকে বর্জন করা হলে সাধারণভাবে ইমামদের সকল কথাকে পরিত্যাগ করা হলো ও তাদের ইজতিহাদের...
  6. দাওয়াহ তাক্বলীদ (দলীলবিহীন অনুসরণ) ও ইত্তেবার (দলীলভিত্তিক অনুসরণ) মধ্যে পার্থক্য

    তাক্বলীদ (দলীলবিহীন অনুসরণ) ও ইত্তেবার (দলীলভিত্তিক অনুসরণ) মধ্যে পার্থক্য শানকীত্বী (রাহি.) বলেন,[1] জেনে রাখুন যে, তাক্বলীদ ও ইত্তেবার মধ্যে পার্থক্য জানা জরুরী। ইত্তেবার স্থলে কোন অবস্থাতেই তাক্বলীদ করা বৈধ নয়। এর বিস্তারিত আলোচনা এই যে, যে সব বিধানের ব্যাপারে কুরআন, হাদীস অথবা মুসলমানদের...
  7. ভ্রান্তি নিরসন সালাফী মানহাজ কি কোনো দল ও ফিরকার নাম?

    একদল লোক সালাফী মানহাজের নাম শুনলেই মনে করে, এটি একটি নতুন ফিরকা ও দল। তারা মনে করে, আশআরী, মাতুরিদী, শিআ, মুতাযিলা ইত্যাদি যেমন ফিরকা, সালাফীরাও তেমন একটি ফিরকা। যারা এমনটি মনে করে তারা মূলত সালাফী মানহাজ সম্পর্কে অজ্ঞাত অথবা অহংকার ও জিদবশত এমন কথা বলে। অথচ সালাফী মানহাজ কোনো ফিরকা ও দল নয়।...
  8. উসূলুল হাদিস তাদলীস, মুদাল্লাস হাদিস ও মুদাল্লিস রাবী

    মুদাল্লাস হাদিস ‏‏مدلس‏‏ শব্দটি تدليس থেকে গৃহীত, যার ধাতু دُلسة অর্থ অন্ধকার। ‘তাদলিস’ শব্দটি মূলত ব্যবহার হয় কেনাকাটায়। ক্রেতাদের বিভ্রাটে ফেলার জন্য পশু মোটা-তাজা করাকে তাদলিস বলা হয়। অনুরূপ গাভীর স্তনে দুধ জমা করে বিক্রির জন্য প্রস্তুত করাও তাদলিস, কারণ তার দ্বারা ক্রেতাকে ধোঁকা দেওয়া হয়।...
  9. প্রবন্ধ আহলে হাদীসগণ দ্বীনের হেফাজতকারী

    ইমাম খতীব আল বাগদাদী(মৃত্যুঃ ৪৬৩হি.) রাহিমাহুল্লাহ বলেন, قد جعل رب العالمين الطايفة المنصورة حراس الدين، و وصرف عنهم كيد المعاندين، لتمسكهم بالشرع المتين، واقتفايهم اثار الصحابة والتابعين، فشانهم حفظ الاثار وقطع المفاوز والقفار، وركوب البراري والبحار، في اقتباس ما شرع الرسول المصطفى، لا يعرجون...
  10. উসূলুল ফিকহ ইজমা অন্যতম একটি শারঈ দলীল

    ইজমা: ইজমা হলো মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর মৃত্যুর পর যেকোনো যুগে যেকোনো বিষয়ের উপর তাঁর উম্মতের মুজতাহিদগণের ঐকমত্য হওয়া। ইজমা' কিতাব ও সুন্নাহর দলীল দ্বারা সাব্যস্ত। কিতাবের দলীল হলো আল্লাহ তা'আলার বাণী : وَمَن يُشَاقِقِ الرَّسُولَ مِنْ بَعْدِ مَا تَبَيَّنَ لَهُ الْهُدَى...
  11. উসূলুল ফিকহ যেই বিষয়ে মানুষের প্রয়োজন অনেক ব্যাপক, যদি সেই বিষয়ে কোনো নির্দিষ্ট দলীল না থাকে, তাহলে বুঝতে হবে বিষয়টি বৈধ।

    শায়খুল ইসলাম মাজমূ' ফাতাওয়া গ্রন্থে (২১/২৩৬) নারীকে স্পর্শ করার কারণে উযূ ভঙ্গ হওয়ার আলোচনায় বলেছেন: এই বিষয়টি অধিকাংশ ক্ষেত্রে সংঘটিত হওয়ার পরেও কেউ এটাকে সার্বিক ক্ষেত্রে মানতে নারাজ। কারণ একজন পুরুষ সর্বদা স্বীয় স্ত্রীর সঙ্গে কিছু না কিছু লেনদেন করতেই থাকে এবং সেই বস্তুটি স্ত্রী নিজ...
  12. উসূলুল ফিকহ দলীল দ্বারা প্রমাণ উপস্থাপনের ক্ষেত্রে দলীলটি দাবির অর্থের প্রতি নির্দেশক হওয়া ওয়াজিব।

    শায়খুল ইসলাম ইবনু তাইমীয়্যাহ মানাহিজুস সুন্নাহ গ্রন্থে (৭/৪১৯) বলেছেন: নছ তার সনদ সহীহ হওয়া ও মতনের (মূল বক্তব্য) অর্থের নির্দেশনার মুখাপেক্ষী। বিধায় নছটি অবশ্যই রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে সাব্যস্ত হতে হবে এবং অবশ্যই দাবি অনুযায়ী হতে হবে। ইবনুল ক্বাইয়্যীম বাদায়ী উল...
  13. উসূলুল ফিকহ দলীল দ্বারা কোনো বিষয় সাব্যস্ত করা পূর্ণতায় পৌঁছবে না, যতক্ষণ পর্যন্ত দলীলের বাচনভঙ্গি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করা না হবে এবং দলীলের প্রাসঙ্গিক ...

    দলীল দ্বারা কোনো বিষয় সাব্যস্ত করা পূর্ণতায় পৌঁছবে না, যতক্ষণ পর্যন্ত দলীলের বাচনভঙ্গি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করা না হবে এবং দলীলের প্রাসঙ্গিক অবস্থার দিকে দৃষ্টিপাত করা না হবে ইবনুল ক্বাইয়্যীম যাদুল মা'আদ গ্রন্থে (২/১২৭) 'নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হজ্জ্বে (হজ্জ পূর্ণ করার পূর্বেই)...
  14. উসূলুল ফিকহ যে বিষয়ে স্পষ্ট দলীল বিদ্যমান সে বিষয়ে কোনো সাবধানতা অবলম্বনের প্রয়োজন নেই।

    শায়খুল ইসলাম ইবনু তাইমীয়্যাহ মাজমূ' ফাতাওয়া গ্রন্থে (২৬/৫৪) বলেছেন: আহমাদ বর্ণনা করেছেন যে, “যেসকল সাহাবা কুরবানীর পশু নিয়ে আসেননি (সামর্থ না থাকার কারণে) তাদের সকলকে নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তামাত্তু' হজ্জের নির্দেশ দিয়েছেন। এমনকি তাদের মধ্যে যারা মুফরিদ (যিনি শুধু হজ্জের...
  15. উসূলুল ফিকহ দলীল কখনো বিবেক-বুদ্ধির সাংঘর্ষিক হয় না। বরং বিবেক- বুদ্ধি দলীলের উপর কোনো অভিযোগ না করেই দলীলকে স্বীকার করবে।

    আলী বিন আবূ ত্বালিব থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন: لَوْ كَانَ الدِّينُ بِالرَّأْيِ لَكَانَ أَسْفَلُ الْخَلِ أَوْلَى بِالْمَسْحِ مِنْ أَعْلَاهُ، وَقَدْ رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَمْسَحُ عَلَى ظَاهِرٍ خُفَّيْهِ. “যদি দীন যুক্তি মেনে চলত, তাহলে মোজার উপরের অংশের চেয়ে...
  16. মানহাজ বিভিন্ন ভ্রান্ত দল ও সংগঠন থেকে সতর্ক করা কোমলমতি ছাত্রদের সমস্যার সৃষ্টি করে"। এই কথা যে বলে তার ব্যাপারে আপনার মতামত কি?

    প্রশ্নঃ "বিভিন্ন ভ্রান্ত দল ও সংগঠন থেকে সতর্ক করা কোমলমতি ছাত্রদের সমস্যার সৃষ্টি করে"। এই কথা যে বলে তার ব্যাপারে আপনার মতামত কি? উত্তরঃ সে ভুল বলেছে। এক্ষেত্রে তার প্রবৃত্তি কাজ করেছে। কারণ, সে অপছন্দ করে যে, তাদের থেকে সতর্ক করা হোক। অথচ সালাফগণ ছোট্ট শিক্ষার্থীদেরও তাদের আকীদা বিনষ্টকারী...
  17. উসূলুল ফিকহ একই বিষয়ে বর্ণিত সকল দলীল গ্রহণ করা ওয়াজিব। কোনো দলীল ছেড়ে দেওয়া যাবে না। বরং প্রতিটি দলীলকেই যথাযথ স্থানে ব্যবহার করতে হবে।

    একই বিষয়ে বর্ণিত সকল দলীল গ্রহণ করা ওয়াজিব। কোনো দলীল ছেড়ে দেওয়া যাবে না। বরং প্রতিটি দলীলকেই যথাযথ স্থানে ব্যবহার করতে হবে। আর যেই দলীলটি বিষয়ের মূল দলীল, সেই দলীলের আলোকে সকল দলীলের ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ করা হবে। শায়খুল ইসলাম ইবনু তাইমীয়্যাহ মাজমূ' ফাতাওয়া গ্রন্থে (২২/৬৬) বলেছেন: আহলুল...
  18. উসূলুল ফিকহ কোনো প্রকার বাড়াবাড়ি ও শিথিলতা না করে ভারসাম্যপূর্ণতার সঙ্গে দলীলের ব্যাখ্যা করা ও তা বোঝা ওয়াজিব।

    ইবনুল ক্বাইয়্যীম কিতাবুর রূহ গ্রন্থে (৬২ পৃষ্ঠা) বলেছেন: কোনো প্রকার বাড়াবাড়ি ও শিথিলতা না করে রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যা উদ্দেশ্য করেছেন সেটাই বোঝা উচিত। তাঁর বাক্য এমন অর্থে প্রয়োগ করা যাবে না, যা হওয়ার সম্ভাবনা নেই। আবার তাঁর বাক্যে হেদায়েত ও বর্ণনামূলক যেই স্পষ্ট উদ্দেশ্য...
  19. উসূলুল ফিকহ যেকোনো মূলনীতি অথবা মাসআলা গঠনের মূলভিত্তি হলো দলীল।

    শায়খুল ইসলাম ইবনু তাইমীয়্যাহ মাজমূ' ফাতাওয়া গ্রন্থে (৩০/২৬৯) বলেছেন: কখনো কখনো নবী – সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম – এমন নস (কুরআন-হাদীছের ভাষ্য) ব্যবহার করে থাকেন, যেই নসটি কায়দা বা মূলনীতি হওয়ার উপযুক্ত। কিন্তু নসটি অনেক আলেমদের দৃষ্টিগোচর না হওয়ায় তারা উক্ত কায়দার অধীন কিছু কিছু...
  20. উসূলুল ফিকহ দলীলে উদ্ধৃত বিষয়ের সঙ্গে এমন বিষয় সংযুক্ত করা যাবে না যা দলীলে উদ্ধৃত হয়নি।

    কোনো দলীলের আলোচনায় উদ্ধৃত নির্দিষ্ট বস্তুসমূহের ক্ষেত্রে মূলনীতি হলো সেই উদ্ধৃত নির্দিষ্ট বস্তুগুলোর মধ্যেই দলীলের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য সীমাবদ্ধ থাকবে, অন্যকোনো বিষয় সেই দলীলের সাথে সংযোজন করা যাবে না। এই কথাও বলা যাবে না: “উদ্ধৃত নির্দিষ্ট বস্তুগুলো সাধারণ বাচনিক ভঙ্গিতে উল্লেখ করা হয়েছে...