সালাফী আকিদা ও মানহাজে - Salafi Forum

Salafi Forum হচ্ছে সালাফী ও সালাফদের আকিদা, মানহাজ শিক্ষায় নিবেদিত একটি সমৃদ্ধ অনলাইন কমিউনিটি ফোরাম। জ্ঞানগর্ভ আলোচনায় নিযুক্ত হউন, সালাফী আলেমদের দিকনির্দেশনা অনুসন্ধান করুন। আপনার ইলম প্রসারিত করুন, আপনার ঈমানকে শক্তিশালী করুন এবং সালাফিদের সাথে দ্বীনি সম্পর্ক গড়ে তুলুন। বিশুদ্ধ আকিদা ও মানহাজের জ্ঞান অর্জন করতে, ও সালাফীদের দৃষ্টিভঙ্গি শেয়ার করতে এবং ঐক্য ও ভ্রাতৃত্বের চেতনাকে আলিঙ্গন করতে আজই আমাদের সাথে যোগ দিন।
Habib Bin Tofajjal

উসূলুল ফিকহ ইজমা অন্যতম একটি শারঈ দলীল

Habib Bin Tofajjal

If you're in doubt ask الله.

Forum Staff
Moderator
Generous
ilm Seeker
Uploader
Exposer
HistoryLover
Q&A Master
Salafi User
Threads
688
Comments
1,211
Solutions
17
Reactions
6,580
Credits
5,362
ইজমা: ইজমা হলো মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর মৃত্যুর পর যেকোনো যুগে যেকোনো বিষয়ের উপর তাঁর উম্মতের মুজতাহিদগণের ঐকমত্য হওয়া।
ইজমা' কিতাব ও সুন্নাহর দলীল দ্বারা সাব্যস্ত। কিতাবের দলীল হলো আল্লাহ তা'আলার বাণী :
وَمَن يُشَاقِقِ الرَّسُولَ مِنْ بَعْدِ مَا تَبَيَّنَ لَهُ الْهُدَى وَيَتَّبِعْ غَيْرَ سَبِيلِ الْمُؤْمِنِينَ نُوَلِهِ مَا تَوَلَّى وَنُصْلِهِ جَهَنَّمَ وَسَاءَتْ مَصِيرًا
“যার নিকট হেদায়েতের পথ স্পষ্ট হয়ে যাওয়ার পরেও সে রসূলের বিরোধিতা করে এবং মুমিনগণের পথ ভিন্ন অন্য পথের অনুসরণ করে, তাকে আমি তার পথেই ঠেলে দেব এবং তাকে জাহান্নামে নিক্ষেপ করব, জাহান্নাম কতইনা নিকৃষ্ট ঠিকানা”। আন-নিসা: ১১৫।

শায়খুল ইসলাম ইবনু তাইমীয়্যাহ মাজমূ' ফাতাওয়া গ্রন্থে (১৯/১৯৩) বলেছেন: উভয়টির প্রত্যেকটিই শাস্তির দাবি রাখে, যেহেতু একটি অপরটিকে আবশ্যক করে। এমনটিই বলা হয়ে থাকে আল্লাহ ও তাঁর রসূলের অবাধ্যতার ক্ষেত্রে এবং ইসলাম ও কুরআন এর বিরোধিতার ক্ষেত্রেও। আর তাই বলা হয়: যে কুরআন ও ইসলামের বিরোধিতা করল অথবা কুরআন ও ইসলাম থেকে বের হয়ে গেল, সে জাহান্নামী। এমনিভাবে রসূলের বিরোধিতা করা ও মুমিনগণের পথ ভিন্ন অন্য পথের অনুসরণ করার বিষয়টিও এমন। যে রসূলের বিরোধিতা করবে সে মুমিনগণের পথ ভিন্ন অন্য পথের অনুসারী এটা স্পষ্ট। আর যে মুমিনগণের পথ ভিন্ন অন্য পথের অনুসরণ করে সে রসূলেরও বিরোধিতা করে। এভাবে সে নিজেকে শাস্তির অন্তর্ভুক্ত করেছে। বিধায় বোঝা গেল যে, এটা তিরস্কার এর ক্ষেত্রে প্রভাবক। তাই যে তাদের ইজমা' থেকে বের হয়ে গেল, সে নিঃসন্দেহে তাদের পথ বাদ দিয়ে ভিন্ন পথের অনুসরণ করল। আর এই আয়াতটি এই বিষয়ের নিন্দাকে আবশ্যক করে। যদি বলা হয়, তার নিন্দিত হওয়ার সম্পর্ক কেবল রসূলের বিরোধিতার সঙ্গে? আমরা বলব, যেহেতু উভয়টি একটি অপরটির জন্য অপরিহার্য, আর এটা এভাবে যে, মুসলিমগণ যেসকল বিষয়ে ঐকমত্য পোষণ করে, তা অবশ্যই রসূল থেকে সাব্যস্ত বক্তব্যই হয়ে থাকে; বিধায় এর বিরোধিতা করা রসূলের বিরোধিতা করার শামিল, যেভাবে রসূলের বিরোধিতা করা আল্লাহর বিরোধিতার শামিল। কিন্তু এই কথার দাবি হলো যত বিষয়ে ইজমা' অনুষ্ঠিত হয়েছে, তা অবশ্যই রসূল স্পষ্টরূপে বর্ণনা করেছেন, আর এটাই সঠিক মত।

সুন্নাহ এর দলীল হলো নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর বক্তব্য:
إن أمتي لا تجتمع على ضلالة.
“আমার উম্মত পথভ্রষ্টতার উপরে একমত হবে না”। এটা সহীহ হাদীস, আবূ দাউদ (৪২৫৩), তিরমিযী (২১৬৭), ইবনু মাজাহ (৩৫৯০)।

ইমাম শাফেঈ আর রিসালাহ গ্রন্থে (৪৭৫ পৃষ্ঠা) বলেছেন: মুসলিমদের জামা'আত এর বক্তব্য মেনে যে ব্যক্তি মত পোষণ করে, সে তাদের জামা'আতকে আঁকড়ে ধরল। আর মুসলিমদের জামা'আতের বক্তব্যের যে বিরোধিতা করল, সে তাদের জামা'আত এর বিরোধিতা করল, যেই জামা'আতকে আঁকড়ে ধরার আদেশ তাকে দেওয়া হয়েছে। আর উদাসীনতা বিচ্ছিন্নতার মধ্যেই সম্ভব, জামা'আতের মধ্যে সকলের পক্ষে কিতাব, সুন্নাহ ও ক্বিয়াস এর মর্ম থেকে উদাসীন থাকা সম্ভব নয়, ইনশা আল্লাহ।


তাওদ্বীহু উছূলিল ফিক্বহ
- শাইখ যাকারীয়া ইবনে গুলাম ক্বাদীর পাকিস্থানী
* উসুলুল ফিকহ উস্তাযদের নিকট পড়ুন
 
Threads
0
Comments
18
Reactions
7
Credits
9
ইজমা: ইজমা হলো মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর মৃত্যুর পর যেকোনো যুগে যেকোনো বিষয়ের উপর তাঁর উম্মতের মুজতাহিদগণের ঐকমত্য হওয়া।
ইজমা' কিতাব ও সুন্নাহর দলীল দ্বারা সাব্যস্ত। কিতাবের দলীল হলো আল্লাহ তা'আলার বাণী :
وَمَن يُشَاقِقِ الرَّسُولَ مِنْ بَعْدِ مَا تَبَيَّنَ لَهُ الْهُدَى وَيَتَّبِعْ غَيْرَ سَبِيلِ الْمُؤْمِنِينَ نُوَلِهِ مَا تَوَلَّى وَنُصْلِهِ جَهَنَّمَ وَسَاءَتْ مَصِيرًا
“যার নিকট হেদায়েতের পথ স্পষ্ট হয়ে যাওয়ার পরেও সে রসূলের বিরোধিতা করে এবং মুমিনগণের পথ ভিন্ন অন্য পথের অনুসরণ করে, তাকে আমি তার পথেই ঠেলে দেব এবং তাকে জাহান্নামে নিক্ষেপ করব, জাহান্নাম কতইনা নিকৃষ্ট ঠিকানা”। আন-নিসা: ১১৫।

শায়খুল ইসলাম ইবনু তাইমীয়্যাহ মাজমূ' ফাতাওয়া গ্রন্থে (১৯/১৯৩) বলেছেন: উভয়টির প্রত্যেকটিই শাস্তির দাবি রাখে, যেহেতু একটি অপরটিকে আবশ্যক করে। এমনটিই বলা হয়ে থাকে আল্লাহ ও তাঁর রসূলের অবাধ্যতার ক্ষেত্রে এবং ইসলাম ও কুরআন এর বিরোধিতার ক্ষেত্রেও। আর তাই বলা হয়: যে কুরআন ও ইসলামের বিরোধিতা করল অথবা কুরআন ও ইসলাম থেকে বের হয়ে গেল, সে জাহান্নামী। এমনিভাবে রসূলের বিরোধিতা করা ও মুমিনগণের পথ ভিন্ন অন্য পথের অনুসরণ করার বিষয়টিও এমন। যে রসূলের বিরোধিতা করবে সে মুমিনগণের পথ ভিন্ন অন্য পথের অনুসারী এটা স্পষ্ট। আর যে মুমিনগণের পথ ভিন্ন অন্য পথের অনুসরণ করে সে রসূলেরও বিরোধিতা করে। এভাবে সে নিজেকে শাস্তির অন্তর্ভুক্ত করেছে। বিধায় বোঝা গেল যে, এটা তিরস্কার এর ক্ষেত্রে প্রভাবক। তাই যে তাদের ইজমা' থেকে বের হয়ে গেল, সে নিঃসন্দেহে তাদের পথ বাদ দিয়ে ভিন্ন পথের অনুসরণ করল। আর এই আয়াতটি এই বিষয়ের নিন্দাকে আবশ্যক করে। যদি বলা হয়, তার নিন্দিত হওয়ার সম্পর্ক কেবল রসূলের বিরোধিতার সঙ্গে? আমরা বলব, যেহেতু উভয়টি একটি অপরটির জন্য অপরিহার্য, আর এটা এভাবে যে, মুসলিমগণ যেসকল বিষয়ে ঐকমত্য পোষণ করে, তা অবশ্যই রসূল থেকে সাব্যস্ত বক্তব্যই হয়ে থাকে; বিধায় এর বিরোধিতা করা রসূলের বিরোধিতা করার শামিল, যেভাবে রসূলের বিরোধিতা করা আল্লাহর বিরোধিতার শামিল। কিন্তু এই কথার দাবি হলো যত বিষয়ে ইজমা' অনুষ্ঠিত হয়েছে, তা অবশ্যই রসূল স্পষ্টরূপে বর্ণনা করেছেন, আর এটাই সঠিক মত।

সুন্নাহ এর দলীল হলো নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর বক্তব্য:
إن أمتي لا تجتمع على ضلالة.
“আমার উম্মত পথভ্রষ্টতার উপরে একমত হবে না”। এটা সহীহ হাদীস, আবূ দাউদ (৪২৫৩), তিরমিযী (২১৬৭), ইবনু মাজাহ (৩৫৯০)।

ইমাম শাফেঈ আর রিসালাহ গ্রন্থে (৪৭৫ পৃষ্ঠা) বলেছেন: মুসলিমদের জামা'আত এর বক্তব্য মেনে যে ব্যক্তি মত পোষণ করে, সে তাদের জামা'আতকে আঁকড়ে ধরল। আর মুসলিমদের জামা'আতের বক্তব্যের যে বিরোধিতা করল, সে তাদের জামা'আত এর বিরোধিতা করল, যেই জামা'আতকে আঁকড়ে ধরার আদেশ তাকে দেওয়া হয়েছে। আর উদাসীনতা বিচ্ছিন্নতার মধ্যেই সম্ভব, জামা'আতের মধ্যে সকলের পক্ষে কিতাব, সুন্নাহ ও ক্বিয়াস এর মর্ম থেকে উদাসীন থাকা সম্ভব নয়, ইনশা আল্লাহ।


তাওদ্বীহু উছূলিল ফিক্বহ
- শাইখ যাকারীয়া ইবনে গুলাম ক্বাদীর পাকিস্থানী
* উসুলুল ফিকহ উস্তাযদের নিকট পড়ুন
Habib Bin Tofajjalআল্লাহ তাআলা আমাদের সবাইকে সঠিক জ্ঞানের সঠিক উৎস থেকে উপকৃত করুন
 
Top