সালাফী আকিদা ও মানহাজে - Salafi Forum

Salafi Forum হচ্ছে সালাফী ও সালাফদের আকিদা, মানহাজ শিক্ষায় নিবেদিত একটি সমৃদ্ধ অনলাইন কমিউনিটি ফোরাম। জ্ঞানগর্ভ আলোচনায় নিযুক্ত হউন, সালাফী আলেমদের দিকনির্দেশনা অনুসন্ধান করুন। আপনার ইলম প্রসারিত করুন, আপনার ঈমানকে শক্তিশালী করুন এবং সালাফিদের সাথে দ্বীনি সম্পর্ক গড়ে তুলুন। বিশুদ্ধ আকিদা ও মানহাজের জ্ঞান অর্জন করতে, ও সালাফীদের দৃষ্টিভঙ্গি শেয়ার করতে এবং ঐক্য ও ভ্রাতৃত্বের চেতনাকে আলিঙ্গন করতে আজই আমাদের সাথে যোগ দিন।
A

Profile posts Latest activity Postings Resources Awards About

  • প্রশ্ন (১/৪১) :কারো জন্য মাগফিরাত প্রার্থনার সময় তার রূহের মাগফিরাত কামনা করতে হবে নাকি সরাসরি ব্যক্তির মাগফিরাত কামনা করতে হবে?

    উত্তর : যেহেতু রূহই মানুষের মৌলিক বিষয়, সেজন্য আমাদের দেশে মৃত ব্যক্তির রূহের মাগফিরাত কামনার প্রচলন রয়েছে। তবে হাদীছের বর্ণনায় দেখা যায়, রাসূল (ছাঃ) ও ছাহাবায়ে কেরাম রূহ নয়; বরং ব্যক্তির নাম ধরেই দো‘আ করতেন। যেমন রাসূল (ছাঃ) বলেন, হে আল্লাহ! তুমি আবু সালামাকে ক্ষমা করে দাও (মুসলিম হা/৯২০; মিশকাত হা/১৬১৯)। তাছাড়া রূহ মূল হ’লেও শরীর সমেতই ব্যক্তির পরিচয় নির্ধারিত হয়। কবরের শাস্তিও কেবল রূহের উপর নয়, শরীরের উপরও হবে। যেমন রাসূল (ছাঃ) বলেন, এছাড়া পাপীর জন্য তার কবরকে সংকীর্ণ করে দেয়া হয়, ফলে তার একদিকের পাঁজর অপর দিকের পাঁজরের মধ্যে ঢুকে যায় (আবুদাউদ হা/৪৭৫৩; মিশকাত হা/১৩১, সনদ ছহীহ)। প্রতিটি মানুষ কবর থেকে উঠে হাশরের মাঠে সমবেত হবে বলে ছহীহ হাদীছে বর্ণিত হয়েছে (বুখারী হা/৪৯৩৫; মিশকাত হা/৫৫২১; মাজমূ‘উল ফাতাওয়া ৪/২৮৪; ওছায়মীন, মাজমূ‘ ফাতাওয়া ২/২৬)।
    সাহাবায়ে কিরামের(রাঃ) যুগ থেকেই ইসলামে ইজতিহাদী বিষয়ে মতপার্থক্য সৃষ্টি হয়ে আসছে। ইজতিহাদী মতপার্থক্য কখনো মুজতাহিদগণের খামখেয়ালির কারণে সৃষ্টি হয়নি। বরঞ্চ ইজতিহাদ এবং মতপার্থক্যের মূল ভিত্তি ছিলো সুন্নাতে রাসুল(সঃ) এবং সাহাবায়ে কিরামের আছার। সাহাবায়ে কিরাম(রাঃ), তাবেয়ী এবং ইমাম মুজতাহিদগণের কালে মতপার্থক্য ইসলামের জন্য ক্ষতিকর কিছু ছিলোনা। বরঞ্চ তখন তা ছিলো রহমত ও কল্যাণময়। কিন্তু পরবর্তীতে কিছু লোক মতপার্থক্যকে বড় করে দেখতে থাকে। এটাকে বিদ্বেষ, গোঁড়ামী ও বিবাদ বিসম্বাদের হাতিয়ার হিসেবে পরিণত করে। ফলে মুসলমানদের মধ্যে সৃষ্টি হয় বিভিন্ন দল উপদলের। অজ্ঞতাবশত এদের এক দল নিজেদের মতকেই সঠিক আর ভিন্ন মতকে বেঠিক বলে আখ্যায়িত করতে শুরু করে। ফলে সত্য সন্ধানী লোকেরা পড়েন বিপাকে। সাধারণ মানুষ হয় বিভ্রান্ত।

    এ ধরণের মতপার্থক্য ও মতবিরোধপুর্ণ বিষয়ে কোন্‌ মত গ্রহনীয় আর কোন্‌ মত বর্জনীয়, একজন সত্যসন্ধানী কিভাবে উবয় মতের মধ্যে সমতা বিধান এবং তা অবলম্বনের জন্যে সঠিক পন্থাটাই বা কি সে সম্পর্কে মশহুও মুজতাহিদ ও মুজাদ্দিদ শাহ ওয়ালিউল্লাহ দেহ্লাবী তার ‘আল ইনসাফ ফী বায়ানী আসবাবিল ইখতিলাফ’ গ্রন্থে অত্যন্ত সুন্দরভাবে যুক্তিসিধ পর্যালোচনা ও সমাধান পেশ করেছেন।

    গ্রন্থটি মুসলমানদের বিভিন্ন মসলকের মধ্যকার বিদ্বেষ, গোঁড়ামী, মতবিরোধ, বিবাদ বসম্বাদ ও রেষারেষী দূর করে তাদেরকে সীসাঢালা প্রাচীরের মধ্যে গ্রথিত ইটসমূহের ন্যায় মজবুতভাবে ঐক্যবদ্ধ উম্মাতে পরিণত করতে দারূণভাবে সহায়ক হবে বলে আমি মনে করি। সেই মহান উদ্দ্যেশ্য হাসিলের লক্ষ্যে অনেকদিন থেকেই গ্রন্থখানা অনুবাদ করার আশা পোষণ করে আসছিলাম। এ কাজের গুরুত্বের কথা আরো অনেকেই চিন্তা করেছেন, বলেছেন। অবশেষে করুণাময় আল্লাহ ত’আলার উপর ভরসা করে এ গুরুত্বপুর্ণ কাজে হাত দিই। ‘মতবিরোধপুর্ণ বিষয়ে সঠিকপন্থা অবলম্বনের উপায়’ শিরোনামে সেই মুল্যবান গ্রন্থটিরই বঙ্গানুবাদ পাঠকগণের হাতে তুলে দিতে পেরে আল্লাহ্‌র শুকরিয়া আদায় করছি।
  • Loading…
  • Loading…
  • Loading…
  • Loading…
  • Loading…
Total Threads
8,094Threads
Total Messages
9,690Comments
Total Members
1,361Members
Latest Messages
Amir104Latest member
Top