শাইখুল ইসলাম ইবনু তাইমিয়্যাহ (রাহিমাহুল্লাহ) :
যেই সমস্ত বিদআত কিতাব ও সুন্নাহর বিরোধিতা ও তা অস্বীকার করার জন্য ব্যবহৃত হয়, যাকে বিদাতীরা কালামিয়াত (কালাম), আক্বলিয়াত (বুদ্ধি ও যুক্তি), ফালসাফিয়াত (দর্শন) বা যাওকিয়াত (স্বাদ ও অভিজ্ঞতা), উইজদিয়াত (অনুসন্ধান ও আবিষ্কার) এবং হাক্বাইক (বাস্তবতা) ইত্যাদি নামে নামকরণ করে; সবই সত্য ও মিথ্যার সংমিশ্রণকে ও সত্য গোপন করাকে অপরিহার্যরূপে বাধ্য করে। এই বিষয়টি যে সত্য তা যে কেউ বুঝতে পারবে যদি সে এর প্রতি মনোযোগ দেয় এবং তা নিয়ে গভীরভাবে চিন্তা করে।
এই কারণে সকল বিদাতী (কিতাব ও সুন্নাহর) ঐ সমস্ত দলীলকে গোপন করতে ভালোবাসে যেগুলো তার বিরোধিতা করে ও তার ভুল-ত্রুটি প্রকাশ করে। তাই ঐগুলো (অর্থাৎ
দলীল-প্রমাণাদি) সে ঘৃণা করে, এবং সে ঘৃণা করে ঐগুলো প্রকাশিত হোক, এবং ঐগুলো বর্ণনা করতে (সে ঘৃণা করে) ও ঐগুলো নিয়ে কথা বলাকে সে ঘৃণা করে, এবং যারা এই কাজটি করে (অর্থাৎ যারা দলীল-প্রমাণাদি প্রকাশ করেন) তাদেরকে সে ঘৃণা করে।
কতিপয় সালাফ যা উল্লেখ করেছেন উপরোক্ত বিষয়টি তার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ "যে ব্যক্তি কোনো বিদআত উদ্ভাবন করে, হাদীছের মিষ্টতা তার অন্তর থেকে অপসারিত হয়।" তদুপরি, যেই সমস্ত বক্তব্যের দ্বারা সে দলীল-প্রমাণাদির বিরোধিতা করে, তাতে হকের সাথে বাতিলের সংমিশ্রণ থাকাটা খুবই স্বাভাবিক। এবং কিছু শব্দ ব্যবহার কোরে বক্তব্যকে সাধারণ ও অস্পষ্ট রেখে তা (সংমিশ্রণটি খুব সূক্ষ্মভাবে) করা হয়।
সূত্র: ইবনু তাইমিয়্যাহ কর্তৃক দার'উ তা আরুদ্বিল 'আক্বলি ওয়ান-নাক্বল, (১/২২১), মুহাম্মাদ রশাদ সালিম দ্বারা তাহক্বীক্বকৃত, দ্বিতীয় সংস্করণ, ১৪১১হি, ১৯৯১ ঈসায়ী।
যেই সমস্ত বিদআত কিতাব ও সুন্নাহর বিরোধিতা ও তা অস্বীকার করার জন্য ব্যবহৃত হয়, যাকে বিদাতীরা কালামিয়াত (কালাম), আক্বলিয়াত (বুদ্ধি ও যুক্তি), ফালসাফিয়াত (দর্শন) বা যাওকিয়াত (স্বাদ ও অভিজ্ঞতা), উইজদিয়াত (অনুসন্ধান ও আবিষ্কার) এবং হাক্বাইক (বাস্তবতা) ইত্যাদি নামে নামকরণ করে; সবই সত্য ও মিথ্যার সংমিশ্রণকে ও সত্য গোপন করাকে অপরিহার্যরূপে বাধ্য করে। এই বিষয়টি যে সত্য তা যে কেউ বুঝতে পারবে যদি সে এর প্রতি মনোযোগ দেয় এবং তা নিয়ে গভীরভাবে চিন্তা করে।
এই কারণে সকল বিদাতী (কিতাব ও সুন্নাহর) ঐ সমস্ত দলীলকে গোপন করতে ভালোবাসে যেগুলো তার বিরোধিতা করে ও তার ভুল-ত্রুটি প্রকাশ করে। তাই ঐগুলো (অর্থাৎ
দলীল-প্রমাণাদি) সে ঘৃণা করে, এবং সে ঘৃণা করে ঐগুলো প্রকাশিত হোক, এবং ঐগুলো বর্ণনা করতে (সে ঘৃণা করে) ও ঐগুলো নিয়ে কথা বলাকে সে ঘৃণা করে, এবং যারা এই কাজটি করে (অর্থাৎ যারা দলীল-প্রমাণাদি প্রকাশ করেন) তাদেরকে সে ঘৃণা করে।
কতিপয় সালাফ যা উল্লেখ করেছেন উপরোক্ত বিষয়টি তার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ "যে ব্যক্তি কোনো বিদআত উদ্ভাবন করে, হাদীছের মিষ্টতা তার অন্তর থেকে অপসারিত হয়।" তদুপরি, যেই সমস্ত বক্তব্যের দ্বারা সে দলীল-প্রমাণাদির বিরোধিতা করে, তাতে হকের সাথে বাতিলের সংমিশ্রণ থাকাটা খুবই স্বাভাবিক। এবং কিছু শব্দ ব্যবহার কোরে বক্তব্যকে সাধারণ ও অস্পষ্ট রেখে তা (সংমিশ্রণটি খুব সূক্ষ্মভাবে) করা হয়।
সূত্র: ইবনু তাইমিয়্যাহ কর্তৃক দার'উ তা আরুদ্বিল 'আক্বলি ওয়ান-নাক্বল, (১/২২১), মুহাম্মাদ রশাদ সালিম দ্বারা তাহক্বীক্বকৃত, দ্বিতীয় সংস্করণ, ১৪১১হি, ১৯৯১ ঈসায়ী।