উত্তর: মৃতদের নিকট থেকে শাফা'আত চাওয়া বৈধ নয়। কেননা শাফা'আত একমাত্র এক আল্লাহর এখতিয়ারভুক্ত ও মালিকানাধীন। এ বিষয়ে আল্লাহ তা'আলা বলেন,
قُل لِلَّهِ الشَّفَاعَةُ جَمِيعًا
বলুন, সকল শাফা'আত কেবলমাত্র আল্লাহর জন্য। (সূরা আয-যুমার ৩৯:৪৪)
উত্তর: দুই প্রকার:
(১) শির্কী অসীলা: যে দু'আতে আল্লাহর সাথে শিরক করা হয়। যেমন সৎ লোকদের নিকট বিপদ হতে উদ্ধার পাওয়ার জন্য এই বলে ফরিয়াদ করা যে, হে আল্লাহর রসূল, আমাকে সাহায্য করুন অথবা বলা যে, হে জীলানী আমাকে সাহায্য করুন।
(২) বিদ'আতী অসীলা: আর তাহলো এমন এক নিয়মে অসীলা করা যে বিষয়ে শরী'আতের কোন...
উত্তর: দু'আতে বৈধ অসীলা তিন ধরনের:
(১) আল্লাহর নাম ও গুণাবলিকে অসীলা করে দু'আ করা। যেমন বলা যে "ইয়া রহমানু ইরহামনী" হে দয়াবান তুমি আমার প্রতি দয়া কর।
(২) নিজের সৎ আমলকে অসীলা করে দু'আ করা। যেমন আল্লাহ তা'আলা বলেন,
رَبَّنَا إِنَّنَا ءَامَنَّا فَاغْفِرْ لَنَا ذُنُوبَنَا وَقِنَا عَذَابَ النَّارِ...
উত্তর: দু'আতে অসীলা দুই প্রকার:
(১) বৈধ অসীলা, আর সেটা হলো দলীল-প্রমাণ ভিত্তিক শারঈ অসীলা।
(২) নিষিদ্ধ অসীলা, যেটা শরী'আত কর্তৃক নিষিদ্ধ অথবা দলীল-প্রমাণ ভিত্তিক নয় এমন অসীলা।
উত্তর: নিষিদ্ধ তাবাররুক দুই ধরনের:
(১) ইসলামী শরী'আত যে বিষয়ে নিষেধ করেছে, যেমন মূর্তি, প্রতিমার দ্বারা বরকত বা কল্যাণ চাওয়া।
(২) কোন ধারণা প্রসূত বস্তু বা খেয়ালী বস্তুর দ্বারা কল্যাণের আশা করা যার কোন বাস্তবতা নেই।
যেমন সৎ লোকদের সত্তার দ্বারা কিংবা তাদের পরিধেয় বস্ত্রের দ্বারা অথবা তাদের...
উত্তর: বৈধ তাবাররুক দুই ধরনের।
(১) অনুভবকৃত বস্তু যেমন পবিত্র যম যম পানির দ্বারা বরকত অর্জন করা।
(২) নিজের সৎ আমলের মাধ্যমে বরকত অর্জন করা।
যেমন ছলাত, দু'আ ও ছুদাকার মাধ্যমে বরকত বা কল্যাণ কামনা করা।
উত্তর: দুই প্রকার:
(১) আত-তাবাররুক আল-মাশরু বা বৈধ তাবাররুক। আর তা জায়েয ও কুরআন সুন্নাহ দ্বারা প্রমাণিত।
(২) আত-তাবাররুক আল-মামনু বা নিষিদ্ধ তাবাররুক, যেটা করা হারাম।
উত্তর: কবরের ওপর মাসজিদ নির্মাণ করা হারাম এবং শিরকের মাধ্যম।
প্রিয় নাবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
لَعْنَةُ اللَّهِ عَلَى اليَهُودِ وَالنَّصَارَى اتَّخَذُوا قُبُورَ أَنْبِيَائِهِمْ مَسَاجِدَ»
ইয়াহহুদী ও খ্রিষ্টানদের ওপর আল্লাহর লা'নত, কেননা তারা তাদের নাবীগণের কবরকে মাসজিদ বানিয়েছে।...
উত্তর: এ বিষয়ে দলীল-প্রমাণ হলো প্রিয় নাবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের এই বাণী যে আল্লাহ তা'আলা বলেন,
من قَالَ: مُطرنا بفضل الله ورحمته فذلك مؤمن بي كافر بالكوكب، وأما من قَالَ: مُطرنا بنَوْءِ كَذَا وَكَذَا فَذَلِكَ كَافِر بِي مُؤْمِنٌ بالكوكب
যে বলল, আল্লাহর অনুগ্রহ ও তার দয়ায় বৃষ্টি...
উত্তর: তারকার দ্বারা পানি চাওয়ার বিধান দুই প্রকার:
প্রথমত: তারকার প্রতি এই বিশ্বাস রাখা যে, তারকা স্বয়ং নিজেই বৃষ্টিবর্ষণকারী, এরূপ কথা বলা কুফরী। কেননা এই কথার দ্বারা তারকাকে আল্লাহ তা'আলার সাথে অংশীদার করা হচ্ছে।
দ্বিতীয়ত: এই বিশ্বাস রাখা যে, আল্লাহ তা'আলা বৃষ্টি সৃষ্টিকারী ও বর্ষণকারী...
উত্তর: পাখির দ্বারা শুভ অশুভ মনে করা হারাম এবং সেটা ছোট শিরকের অন্তর্ভুক্ত বিষয় এবং তা কখনো বড় শিরক হিসেবে গণ্য হবে যদি তার প্রতি এই বিশ্বাস রাখা হয় যে, আল্লাহ ছাড়া নিষ্ট অনিষ্ট করার তার নিজস্ব শক্তি আছে। এ বিষয়ে প্রিয় নাবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের বাণী:
الطيرة شرك
কুলক্ষণে বিশ্বাস করা...
উত্তর: শরী'আত সম্মত রুক্কইয়া বা ঝাড়-ফুঁক হলো, কুরআন থেকে অথবা মাসনুন দু'আ থেকে পড়ে রোগীর ওপর বা ব্যাথার স্থানে ফুঁক দেয়া। আর ঝাড়-ফুঁক করা জায়েয।
এ বিষয়ে প্রিয় নাবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
لَا بَأْسَ بِالرُّقَى مَا لَمْ تَكُنْ شِرْكًا
রুক্কইয়া বা ঝাড়-ফুঁক করতে কোন অসুবিধা নেই, যদি...
উত্তর: তাবিজ মাদুলি ব্যবহার করা ছোট শিরক এবং কখনো তা বড় শিরক হিসেবে পরিগণিত হবে, যদি তাবিজ মাদুলির প্রতি এই বিশ্বাস রাখা হয় যে, আল্লাহ ছাড়া তাবিজের নিজস্ব উপকার অপকার করার শক্তি আছে।
এর প্রমাণে প্রিয় নাবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সল্লামের বাণী:
مَنْ عَلَّقَ تَمِيمَةً فَقَدْ أَشْرَكَ
যে ব্যক্তি...
উত্তর: তামায়িম বহুবচন এক বচনে তামীমাহ। তামীমাহ হলো তাবিজ-কবচ বা মাদুলি, পুঁতি, অথবা হাড় কিংবা ধাগা-সুতা, লোহা- তামা ইত্যাদি। শিশুদের গলায়, হাতে ও কমরে লটকানো অথবা বাড়িতে, গাড়িতে ঝুলানো বিপদাপদ প্রতিহত করার জন্য অথবা তা থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য।
উত্তর: রাশিফল বা ভাগ্য গণনা করা একটি জাহেলী যুগের প্রথা এবং তা গায়েবী বিষয়ে জ্যোতিষী, গণনদের কথাকে বিশ্বাস করার অন্তর্গত বিষয় (যা ইসলামে হারাম)। এ মর্মে প্রিয় নাবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
من اقتبس شعبَةً مِنَ النُّجُومِ، فَقَد اقتبس شُعْبَةً مِنَ السَّحْرِ، زَادَ مَا زَادَ
যে...