উত্তর: জাদু ও তা শিক্ষা করা ও শিক্ষা দেওয়া সকল কিছুই হারাম ও কুফরী কর্ম। তার কোন কিছুই বৈধ নয়। এ বিষয়ে আল্লাহ তা'আলার বাণী:
وَمَا كَفَرَ سُلَيْمَانُ وَلَكِنَّ الشَّيَاطِينَ كَفَرُوا يُعَلِّمُونَ النَّاسَ السحر
সোলাইমান আলাইহিস সালাম কুফরী করেননি বরং কুফরী করেছিল শয়তান, সে লোকদেরকে জাদু শিক্ষা...
উত্তর: জ্যোতিষী, গণক ও জাদুকরদের নিকট (কোন বিষয়ে জিজ্ঞাস করার উদ্দেশ্যে) যাওয়া হরাম। এ বিষয়ে ছুহীহ মুসলিমের হাদীসে প্রিয় নাবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
«مَنْ أَتَى عَرَّافًا فَسَأَلَهُ عَنْ شَيْءٍ، لَمْ تُقْبَلْ لَهُ صَلَاةٌ أَرْبَعِينَ لَيْلَةً»
যে ব্যক্তি কোন জ্যোতিষীর নিকট আসল ও...
উত্তর: আররাফ বা জ্যোতিষী ঐ ব্যক্তিকে বলা হয়, গায়েবী বা ভবিষ্যত বিষয় (যেমন কোন হারানো বস্তু, চোরের সন্ধান ও স্থান) সম্পর্কে বলে দেয়ার দাবি করে। কারো উক্তি জ্যোতিষী (ভবিষ্যদ্বক্তা) মুনাজ্জেম (নক্ষত্র গণনা) ও রাম্মাল (বালু বা মাটির ওপর দাগ কেটে হস্ত চালনাকারী) উভয়েরই নাম কাহেন বা গণক। অনুরূপ যারা...
উত্তর: জাদু হলো এমন এক প্রকার শয়তানী কর্ম যার বাস্তব প্রভাব অন্তর ও শরীরের ওপর পতিত হয় এবং ভেলকিবাজি বা ইন্দ্রজালও এক প্রকার জাদু যা চোখের ওপর প্রভাব সৃষ্টি করে কিন্তু বাস্তবে তার বিপরীত (যেমন মানুষকে দ্বিখণ্ডিত করে দেখানো কিন্তু বাস্তবে তা নয়)।
উত্তর: আমার নাবী মুহাম্মাদ ইবনে আবদুল্লাহ ইবনে আবদুল মুত্তালেব ইবনে হাশেম। হাশেম হলো কোরায়েশ বংশ থেকে আর কোরায়েশ হলো কেনানা বংশের, আর কেনানা হলো আরব বংশের আর আরব হলো ইসমাঈলের সন্তান আর ইসমাঈল হলো ইবরাহীম আলাইহিস সালামের সন্তান।
উত্তর: ইহসান হলো, তুমি একাগ্র মনে এমনভাবে আল্লাহর ইবাদত করবে, যেন তুমি তাঁকে দেখছ। যদিও তুমি তাঁকে দেখতে না পাও, তবে যেনে রেখ নিশ্চয় তিনি তোমাকে দেখছেন।
উত্তর: ফরয। তাক্বদীরের প্রতি ঈমান[১৩] ব্যতীত ঈমান গৃহীত হবে না।
[১৩] তাকদীরের প্রতি বিশ্বাস চারটি বিষয়কে অন্তর্ভুক্ত করে:
প্রথম: এ বিশ্বাস রাখা যে আল্লাহ তা'আলা সকল বিষয় সংক্ষিপ্ত ও বিস্তারিত জানেন। আল্লাহ তা'আলা সকল সৃষ্টিজীব সম্পর্কে সৃষ্টির পূর্ব থেকেই অবগত আছেন। তিনি বান্দার সৃষ্টির পূবেই...
উত্তর: ফরয। শেষ বিবসের প্রতি ঈমানা[১২] ব্যতীত ঈমান গৃহীত হবে না।
[১২] শেষ দিবসের প্রতি বিশ্বাসের অর্থ: কিয়ামত আসবে নিশ্চিতভাবে এ দৃঢ় বিশ্বাস রাখা এবং তার জন্য আমল করা। কিয়ামতের পূর্বে সংঘটিত আলামতসমূহের প্রতি বিশ্বাসও এর অন্তর্ভুক্ত হবে।
১। মৃত্যু ও তৎপরবর্তী কবরের পরীক্ষা, আযাব, নিয়ামত।
২।...
উত্তর: সুমহান কিতাব হলো, মহাগ্রন্থ আল-কুরআন[১১], যেটি মুহাম্মাদ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ওপর আল্লাহ তা'আলা নাযিল করেছেন এবং তা সকল আসমানী কিতাবকে মানসুখ বা রহিতকারী।
সুতরাং কুরআনের বিধান ব্যতীত অন্য কিছুর দ্বারা আল্লাহর ইবাদত করা জায়েয নয়।
এই মর্মে আল্লাহ তা'আলার বাণী:
وَأَنزَلْنَا...
উত্তর: ফরয। কিতাবসমূহের প্রতি ঈমানা[১০] ব্যতীত ঈমান গৃহীত হয় না।
[১০] আসমানী কিতাবসমূহে বিশ্বাস তিনটি বিষয়কে অন্তর্ভুক্ত করে:
১। এ বিশ্বাস রাখা যে আসমানী কিতাবসমূহ আল্লাহর পক্ষ থেকেই অবতীর্ণ।
২। আল্লাহ তা'আলা তার যে সকল কিতাবের নাম আমাদেরকে জানিয়েছেন তা বিশ্বাস করা। যেমন,
ক। আল্ কুরআন যা...
উত্তর: মালাঈকা বা ফেরেশতাদের প্রতি ঈমান[৯] আনা ফরয, তাদের প্রতি ঈমান ব্যতীত ঈমান গৃহীত হবে না।
[৯] ফেরেস্তাগণের প্রতি ঈমান চারটি বিষয়কে অন্তর্ভুক্ত করে:
১। ফেরেস্তাগণ আছেন এ বিশ্বাস রাখা।
২। আমরা যে সকল ফেরেস্তার নাম জানি যেমন জিবরীল আলাইহিস সালাম তাদের প্রতি বিশ্বাস রাখা। যাদের নাম জানি না...