আসসালামু আলাইকুম,
৪/৩ রাকাত বিশিষ্ট ফরজ সলাত ইমামের সাথে পড়তে গিয়ে, যদি তিন রাকাত ছেড়ে যায়, তাহলে সালাম ফিরানোর পর বাকি তিন রাকাত পুরা করার সময় সুরা ফাতিহার পরে সূরা মিলাতে হবে কি? এবং বাকি তিন রাকাত সলাত আমি একা কিভাবে সম্পন্ন করব? এবং ১/২ রাকাত ছেড়ে গেলে সালাম ফিরানোর পরে আমি একা...
ইমামের জন্য উচিৎ নয়, নামাযে জলদিবাজি করা এবং কাকের দানা খাওয়ার মত ঠকাঠক নামায শেষ করা। যেহেতু মহানবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম) ও সাহাবায়ে কেরাম এ নামাযকে খুবই লম্বা করে পড়তেন; যেমন পূর্বে এ কথা আলোচিত হয়েছে। মহানবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম)-এর রুকূ ও সিজদাহ প্রায় তাঁর কিয়ামের মতই...
যে ব্যক্তি জামাআতের ইমামের পিছনে রাতের কিছু অংশ তারাবীহ পড়বে এবং ইমাম শেষ করলে সেও শেষ করবে (অর্থাৎ, তাঁর আগে বা পরে শেষ করবে না), তার নেকীর খাতায় পূর্ণ রাত নামায পড়ার সওয়াব লিপিবদ্ধ হবে।
মহানবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম) বলেন, ‘‘যে ব্যক্তি ইমামের সাথে নামায পড়ে এবং তার নামায শেষ করা...
বিতর নামাযে কুনূত পড়া সুন্নত, ওয়াজেব নয়। কারণ, যে সকল সাহাবাবৃন্দ বিতর নামাযের হাদীস বর্ণনা করেছেন, তাঁরা তাতে কুনূতের কথা উল্লেখ করেননি। বলা বাহুল্য, যদি মহানবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম) তা প্রত্যহ করতেন, তাহলে তাঁরা সকলেই সে কথা বর্ণনা করতেন। তবে হ্যাঁ, একা উবাই বিন কা’ব বর্ণনা করেছেন...
দুই হাত তুলে কুনূতের (অনুরূপ যে কোন) দুআর শেষে মুখে হাত বুলানো সুন্নত নয়। কেননা, এ ব্যাপারে বর্ণিত সমস্ত হাদীস যয়ীফ।[1] আর যয়ীফ হাদীস দ্বারা কোন সুন্নত প্রমাণ করা আমাদের জন্য সম্ভব নয়। তাই অনেক উলামা পরিষ্কারভাবে এ কাজকে বিদআত বলেছেন।[2]
মাজমূ’ নামক কিতাবে ইমাম নওবী ইয্য্ বিন আব্দুস সালামের...
কুনূতের দুআয় ইমামের ‘ইন্নাহু লা য়্যাযিল্লু ---’ বলার সময় যেহেতু ‘আমীন’ বলা হয় না সেহেতু কোন কোন লোক এ ক্ষেত্রে ‘স্বাদাক্বতা’, ‘হাক্কব-হাক্কব’, ‘আশহাদ’, অথবা ‘ইয়াল্লাহ’ বলে থাকে। আসলে এ সব বলা বিদআত।
রমাযানের ফাযায়েল ও রোযার মাসায়েল
শাইখ আব্দুল হামীদ আল-ফাইযী আল-মাদানী
দুআ-এ মাষূর একবচন শব্দে হলে ইমাম সাহেব সেটিকে বহুবচন শব্দে ব্যবহার করবেন। কারণ, তিনি নিজের সাথে সাথে মুক্তাদীদের জন্যও দুআ করে থাকেন।[1]
[1] (সালাতুল-লাইলি অত্-তারাবীহ, ইবনে বায ৪১পৃঃ, এ ব্যাপারে অধিক দ্রঃ সালাতি মুবাশ্শির ২/২৯৩)
রমাযানের ফাযায়েল ও রোযার মাসায়েল
শাইখ আব্দুল হামীদ আল-ফাইযী...
উত্তম ও দলীলের অধিক নিকটবর্তী কাজ হল ‘আল্লাহুম্মাহদিনা ফীমান হাদাইতা’ বলে কুনূতের দুআ শুরু করা। অবশ্য যদি কেউ দুআ করার মৌলিক নীতির উপর আমল করে মহান আল্লাহর প্রশংসা ও নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম)-এর উপর দরূদ পড়ার মাধ্যমে কুনূত শুরু করে, তাহলে তাতে কোন দোষ নেই।
নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহে...
শায়খ ইবনে উষাইমীন (রঃ) বলেন, নামাযের ভিতরে কুরআন-খতমের পর দুআ করার সপক্ষে রসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম)-এর সুন্নাহ থেকে অথবা সাহাবাদের আমল থেকে নির্ভরযোগ্য কোন সহীহ ভিত্তি নেই। এই দুআর সপক্ষে একমাত্র দলীল হল আনাসের আমল; তিনি কুরআন খতম করার সময় নিজের পরিবারের লোকদেরকে সমবেত করে দুআ...
কোন আয়াতকে কেন্দ্র করে ভাবতে ও ভাবাতে উদ্বুদ্ধ করার উদ্দেশ্যে তা একাধিক বার ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে পাঠ করা দোষাবহ নয়; যদি তার ফলে হৃদয়ে প্রভাব পড়ে এবং কান্না আকর্ষণ করে।[1] আর এ কথা প্রমাণিত যে, এক রাত্রে মহানবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম) একটি মাত্র আয়াতকে বারবার পাঠ করে ফজর পর্যন্ত কিয়াম...
ক্বিরাআত চলা অবস্থায় ইমাম বা মুক্তাদীর আবেগে কান্না চলে আসা নামাযের জন্য ক্ষতিকর নয়। তবে কারো জন্য উচ্চস্বরে কাঁদা উচিৎ নয়। কারণ, এতে অন্যান্য নামাযীদের নামাযে ক্ষতি হয় এবং তাতে তাদের - আর বিশেষ করে মুক্তাদী কাঁদলে ইমামের - ডিষ্টার্ব হয়। অতএব মুমিনের চেষ্টা করা উচিৎ, যাতে তার কান্নার শব্দ অন্য...
এতে কোন সন্দেহ নেই যে, একজন প্রকৃত হাফেযই ইমামতির অধিক যোগ্যতা রাখেন, যিনি নামাযে কুরআন মুখস্থ পড়বেন। কিন্তু ইমামতির জন্য যদি হাফেয না থাকেন, ইমাম সাহেব হাফেয না হন, অথবা তাঁর হিফ্য অত্যন্ত দুর্বল হয় এবং কুরআন দেখে পড়া তাঁর নিজের তথা মুক্তাদীদের জন্য বেশী উপকারী হয়, তাহলে কুরআন দেখে ক্বিরাআত...
ইসলামের মূল পাঁচটি স্তম্ভের মধ্যে ঈমানের পরেই নামাযের স্থান । আর নামায আল্লাহর স্মরণেই আদায় করতে হয় । সূরা ত্বা-হার ১৪ নং আয়াতে আল্লাহ তা’আলা বলেন, “আমার স্মরণেই নামায কায়েম কর।” কিন্তু নামাযে দাঁড়ালে মন এদিক সেদিক চলে যায় এবং নানা বিষয় মনে পড়তে থাকে। এটা নামাযীদের একটি স্থায়ী সমস্যা।...
আমরা দেখি আমাদের অনেক ভাই মসজিদের মধ্যে হার্ট অ্যাটার্ক করলেন বা মাথা ঘুরে পড়ে গেছেন। পাশেই মুসল্লিরা সালাত আদায় করছেন।
গুরুত্ব দিচ্ছেন না। তিনি হয়ত ভাবছেন—আমি নামাজ পড়তেছি এইদিকেই মনোযোগ দেই।
সেই ভাবে তাকাচ্ছেন না। না এই কাজটি শুদ্ধ নয়। কোনো কারণে, কোনো দুর্ঘটনা ঘটলে অবশ্যই যতগুলো মানুষের...
ইবাদতের ক্ষেত্রে শুদ্ধতা বিচারে যা উত্তম তা-ই গ্রহণ করা উচিত। নামায বা সালাত বিষয়ক অত্র পুস্তকের প্রতিটি তথ্য-প্রমাণ বিশুদ্ধতা যাচাই করে অনেক স্কলারদের মতামত নিয়ে বহুবার সংশোধন, সংযোজন ও বিয়োজনের পর চুড়ান্ত করা হয়েছে। বিষয়ের সাথে সাথে রেফারেন্স যুক্ত করা হয়েছে।