হায়েয-নিফাস

  1. Golam Rabby

    প্রশ্নোত্তর কোন ঋতুবতী মহিলার স্বপ্নদোষ হলে তাকে ফরয গোসল করতে হবে কি?

    কোন ঋতুবতী মহিলার স্বপ্নদোষ হলে সে ফরয গোসল করবে। আল্লাহ বলেন : আর যদি তোমরা নাপাক হয়ে থাক, তাহলে গোসলের মাধ্যমে ভালভাবে পবিত্র হও। — সূরা মায়েদাহ ৫/০৬ ইমাম ইবনু কুদামাহ (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, যদি কেউ ঋতুকালীন নাপাকীর গোসল করে, তাহলে তার গোসল শুদ্ধ হবে ও নাপাকী দূর হয়ে যাবে। — মুগনী ১/৫৪...
  2. Golam Rabby

    প্রশ্নোত্তর সিজারিয়ান পদ্ধতিতে বাচ্চা প্রসবের পরে প্রসবোত্তর সময় তথা বাচ্চা প্রসবের ৪০ দিন পর্যন্ত ঐ মহিলার কি ছালাত আদায় করতে হবে?

    উত্তর : নিশ্চয় যখন কোন মহিলা প্রাকৃতিক নিয়মে জন্মনালির মাধ্যমে অথবা সিজারিয়ানের মাধ্যমে সন্তান প্রসব করে, তখন লজ্জাস্থান থেকে যে রক্তস্রাব নির্গত হয়, তা নিফাসের স্রাব হিসাবেই গণ্য হবে। এমতাবস্থায় সে পবিত্র না হওয়া পর্যন্ত অথবা ৪০ দিন অতিবাহিত না হওয়া পর্যন্ত ছালাত আদায় করা, ছিয়াম পালন করা এবং...
  3. Golam Rabby

    প্রশ্নোত্তর যদি কোন নারীর মাগরিবের পাঁচ মিনিট আগে হায়েয শুরু হয় তিনি কি রোযাটি পরিপূর্ণ করবেন?

    উত্তর: যদি কোন নারীর সূর্য ডোবার পূর্বে হায়েযের স্রাব নির্গত হয়; এমনকি এক মূহূর্ত পূর্বে হলেও; তার রোযাটি নষ্ট হয়ে যাবে এবং এই দিনের রোযাটি কাযা পালন করা তার উপর ওয়াজিব হবে। শাইখ ইবনে উছাইমীন (রহঃ) ‘মাজালিসু শাহরি রামাদান’ (পৃষ্ঠা-৩৯) বলেন: “যদি রোযা অবস্থায় হায়েয শুরু হয়, এমনকি সেটা সূর্য...
  4. Abu Abdullah

    হায়েয প্রতিরোধকারী অথবা আনয়নকারী এবং জন্ম নিয়ন্ত্রণ কিংবা গর্ভপাতের ঔষধ ব্যবহার বিধান

    দু‘টি শর্তে হায়েয প্রতিরোধ করে এমন ঔষধ ব্যবহার করা জায়েয: ১ম শর্ত: ঔষধ ব্যবহারে কোনো রকম ক্ষতির আশঙ্কা না থাকা। যদি ক্ষতির সম্ভাবনা থাকে তাহলে ব্যবহার করা জায়েয হবে না। কেননা কুরআনে মাজীদে আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন: ﴿وَلَا تُلۡقُواْ بِأَيۡدِيكُمۡ إِلَى ٱلتَّهۡلُكَةِ﴾ [البقرة: ١٩٥] ‘‘তোমরা...
  5. Abu Abdullah

    ইস্তেহাযার বিধি-বিধান

    মুস্তাহাযাহ নারী এবং পবিত্র নারীর মধ্যে নিম্নলিখিত কয়েকটি বিষয় ছাড়া আর কোনো পার্থক্য নেই। ১. মুস্তাহাযাহ নারীর ওপর প্রতি সালাতে অযু করা ওয়াজিব। প্রমাণ হচ্ছে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ফাতেমা বিনতে আবী হুবাইশকে বলেছেন: «ثُمَّ تَوَضَّئِيْ لِكُلِّ صَلاَةٍ» “অতঃপর তুমি প্রত্যেক সালাতের...
  6. Abu Abdullah

    মুস্তাহাযাহ তথা অস্বাভাবিক রক্তস্রাবে আক্রান্ত নারীর বিভিন্ন অবস্থা

    অনবরত রক্ত প্রবাহিত হয় এমন নারীর অবস্থা তিন প্রকার: ১. ইস্তেহাযাহ অর্থাৎ অনবরত রক্ত প্রবাহ আরম্ভ হওয়ার পূর্বে তার প্রতি মাসে নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত ঋতুস্রাবের অভ্যাস ছিল। যদি তাই হয়ে থাকে তাহলে পূর্ব নির্ধারিত সময় পর্যন্ত প্রবাহমান রক্তকে হায়েয হিসেবে গণ্য করা হবে এবং এর ওপর হায়েযের বিধি-বিধান...
  7. Abu Abdullah

    ইস্তেহাযা কি?

    ইস্তেহাযাহর সংজ্ঞা: কোনো নারীর যদি অনবরত এমনভাবে রক্ত প্রবাহিত হয় যে কোনো সময়েই বন্ধ হয় না, অথবা খুব অল্প সময় যেমন মাসে এক কি দুই দিন পর্যন্ত বন্ধ থাকে তাহলে উক্ত প্রবাহমান রক্তকে ইস্তেহাযাহ বলা হয়। এক সাথে এমনভাবে রক্ত প্রবাহিত হওয়ার দৃষ্টান্ত সহীহ বুখারীতে আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা থেকে বর্ণিত...
  8. Abu Abdullah

    ঋতুবতী নারীর ঋতুস্রাব বন্ধ হলে গোসলের মাধ্যমে পুরো শরীরের পবিত্রতা অর্জন করা ওয়াজিব

    ঋতুবতী নারীর ঋতুস্রাব বন্ধ হলে গোসলের মাধ্যমে পুরো শরীরের পবিত্রতা অর্জন করা ওয়াজিব। এ প্রসঙ্গে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ফাতেমা বিনতে আবি হুবাইশকে বলেছিলেন: «فَإذَا أقْبَلَتِ الْحَيْضَةُ فَدَعِي الصَّلاَةَ وَإذَا أدْبَرَتْ فَاغْتَسِلِيْ وَصَلِّي» “সুতরাং যখন তোমার রক্তস্রাব আরম্ভ হবে...
  9. Abu Abdullah

    হায়েযের মাধ্যমে গর্ভাশয় সন্তানমুক্ত হওয়া সম্পর্কিত হুকুম

    গর্ভে ভ্রূণশূন্যতার সাথে শরী‘আতের কয়েকটি হুকুম সম্পৃক্ত। তন্মধ্যে যদি গর্ভাবস্থায় স্বামী মারা যায় তখন ঐ গর্ভজাত সন্তান তার উত্তরসূরী হবে। উক্ত মহিলাকে যদি পুনঃবিবাহ দেওয়া হয় স্বামী মহিলাটির ঋতুস্রাব অথবা গর্ভে সন্তান সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া পর্যন্ত তার সাথে সহবাস করবে না। এখন যদি সে অন্তঃসত্ত্বা...
  10. Abu Abdullah

    হায়েযের মাধ্যমে তালাকের ইদ্দত গণনা করা

    কোনো পুরুষ যদি স্ত্রীর সাথে সঙ্গম করার পর অথবা নির্জন স্থানে একত্রিত হওয়ার পর তালাক দেয় তাহলে পূর্ণ তিন হায়েযের মাধ্যমে ইদ্দতকাল গণনা করা তালাকপ্রাপ্তা নারীর ওপর ফরয। তবে শর্ত হচ্ছে উক্ত স্ত্রীকে ঋতুবতী মহিলাদের অন্তর্ভুক্ত হতে হবে এবং অন্তঃসত্ত্বা হবে না। প্রমাণ হচ্ছে আল্লাহ তা‘আলার ঘোষণা...
  11. Abu Abdullah

    হায়েয অবস্থায় স্ত্রীকে তালাক

    হায়েয অবস্থায় স্ত্রীকে তালাক দেওয়া স্বামীর জন্য হারাম। কেননা মহান আল্লাহ পবিত্র কুরআনের সূরা তালাকের ১ম আয়াতে বলেন, ﴿يَٰٓأَيُّهَا ٱلنَّبِيُّ إِذَا طَلَّقۡتُمُ ٱلنِّسَآءَ فَطَلِّقُوهُنَّ لِعِدَّتِهِنَّ﴾ [الطلاق: ١] ‘‘হে নবী! তোমরা যখন স্ত্রীদেরকে তালাক দিতে চাও তখন তাদেরকে ইদ্দতের প্রতি লক্ষ্য...
  12. Abu Abdullah

    হায়েয অবস্থায় স্ত্রী সহবাস

    রক্তস্রাব চলাকালীন স্ত্রী সহবাস করা স্বামীর জন্য যেমন হারাম ঠিক তেমনি ঐ অবস্থায় স্বামীকে মিলনের সুযোগ দেওয়াও স্ত্রীর জন্য হারাম। এ হুকুমটি সরাসরি পবিত্র কুরআনের আয়াত দ্বারা প্রমাণিত। মহান আল্লাহ বলেন, ﴿وَيَسۡ‍َٔلُونَكَ عَنِ ٱلۡمَحِيضِۖ قُلۡ هُوَ أَذٗى فَٱعۡتَزِلُواْ ٱلنِّسَآءَ فِي ٱلۡمَحِيضِ...
  13. Abu Abdullah

    মসজিদে ঋতুবতী নারীর অবস্থান

    ঋতুবতী নারীর মসজিদে এমনকি ঈদগাহে সালাতের স্থানে অবস্থান করা হারাম। এ প্রসঙ্গে উম্মে আতিয়্যাহ রাদিয়াল্লাহু আনহা থেকে বর্ণিত হাদীসটিকে প্রমাণ স্বরূপ পেশ করা যায়। তিনি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছেন: »لِيَخْرُجِ الْعَوَاتِقُ وَذَوَاتُ الْخُدُوْرِ وَالْحُيَّضُ وفِيه: يَعْتَزِلُ...
  14. Abu Abdullah

    প্রবন্ধ ঋতুবতী নারীর জন্য বিদায়ী তওয়াফ জরুরী নয়

    হজ ও উমরার করণীয় কাজগুলো শেষ করে নিজের দেশের দিকে রওয়ানা হওয়ার পূর্বে যদি কোনো মহিলার রক্তস্রাব আরম্ভ হয়ে যায় এবং রওয়ানা হওয়া পর্যন্ত অব্যাহত থাকে তাহলে বিদায়ী তওয়াফ করা থেকে উক্ত মহিলা মুক্তি পেয়ে যাবে অর্থাৎ বিদায়ী তওয়াফ আর করা লাগবে না। কেননা এ প্রসঙ্গে ইবন আব্বাস সাল্লাল্লাহু আলাইহি...
  15. Abu Abdullah

    প্রবন্ধ ঋতুবতী মহিলার বাইতুল্লাহ শরীফের তাওয়াফ করার হুকুম

    ঋতুবতী নারীর জন্য বাইতুল্লাহ শরীফের ফরয ও নফল উভয় প্রকার তাওয়াফ করা হারাম। যদি করা হয় তাহলে তা শুদ্ধ হবে না। এর প্রমাণ হচ্ছে, আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহার রক্তস্রাব আরম্ভ হওয়ার পর সাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে বলেছিলেন: »افْعَلِيْ مَا يَفْعَلُ الْحَاجُّ غَيْرَ أنْ لاَّ تَطُوْفِيْ...
  16. Abu Abdullah

    প্রবন্ধ ঋতুবতী মহিলার সাওম পালন করার হুকুম

    ঋতুবতী নারীর পক্ষে ফরয-নফল সর্ব প্রকার সাওম রাখা হারাম এবং সাওম রাখাও তার জন্য জায়েয হবে না। কিন্তু ফরয সাওমের কাযা তার ওপর ওয়াজিব। কেননা আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, »كَانَ يُصِيْبُنَا ذَلِكَ, تَعْنِيْ الْحَيْضَ فَنُؤْمَرُ بِقَضَاءِ الصَّوْمِ وَلاَ نُؤْمَرُ بِقَضَاءِ...
  17. Abu Abdullah

    প্রবন্ধ হায়েযের বিধি-বিধান

    হায়েযের বিশটিরও অধিক হুকুম রয়েছে, তন্মধ্যে সর্বাপেক্ষা অধিক প্রয়োজনীয়গুলো এখানে উল্লেখ করা হচ্ছে। ১. সালাত: ঋতুবতী মহিলার জন্য ফরয হোক কিংবা নফল, সকল প্রকার সালাত পড়া নিষিদ্ধ। যদি পড়া হয় তাহলে সে সালাত শুদ্ধ হবে না। এমনিভাবে ঋতুবতী মহিলার জন্য সালাত ফরযও নয়। তবে পবিত্র হওয়ার পর অথবা ঋতুস্রাব...
  18. Abu Abdullah

    প্রবন্ধ হায়েয অবস্থায় আপতিত কিছু বিষয়

    হায়েয অবস্থায় আপতিত বিষয়াদি কয়েক প্রকার: ১ম বিষয়: রক্তস্রাব নির্দিষ্ট নিয়ম ও পরিমাণের চেয়ে কম অথবা বেশি হওয়া। যেমন কোনো নারীর প্রতি মাসে ছয় দিন করে ঋতুস্রাবের অভ্যাস ছিল কিন্তু এক মাসে ৭ দিন পর্যন্ত ঋতুস্রাব অব্যাহত থাকে অথবা কোনো মেয়ে লোকের ৭ দিন করে ঋতুস্রাব হয়ে থাকে সেখানে ৬ দিন থাকার পর...
  19. Abu Abdullah

    প্রবন্ধ গর্ভবতী মহিলার রক্তস্রাব

    সাধারণত নারী যখন গর্ভবতী হয় তখন রক্তস্রাব বন্ধ হয়ে যায়। ইমাম আহমদ রহ. বলেন, ‘রক্তস্রাব বন্ধ হওয়ার মাধ্যমে গর্ভবতী বলে প্রমাণিত হয়। সন্তান সম্ভবা মহিলা যদি প্রসবের অল্প সময় পূর্বে যেমন দুই দিন অথবা তিন দিন পর্যন্ত রক্তস্রাব দেখে এবং সাথে যদি প্রসব বেদনা থাকে তাহলে উহাকে নিফাস (প্রসবোত্তর...
  20. Abu Abdullah

    প্রবন্ধ রক্তস্রাবের বয়স ও তার সময়-সীমা

    ১. নারীদের রক্তস্রাব কত বছর বয়স থেকে শুরু হয় এবং কত বছর বয়স পর্যন্ত চালু থাকে। ২. রক্তস্রাবের সময়-সীমা। প্রথম বিষয়: সাধারণত ১২ বছর বয়স থেকে ৫০ বছর বয়স পর্যন্ত নারীদের রক্তস্রাব হয়ে থাকে। তবে কখনো কখনো অবস্থা, আবহাওয়া এবং পরিবেশ-পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে উল্লিখিত বয়সের পূর্বে এবং পরেও রক্তস্রাব...
Back
Top