প্রবন্ধ ঋতুবতী নারীর জন্য বিদায়ী তওয়াফ জরুরী নয়

Joined
Jan 12, 2023
Threads
827
Comments
1,075
Solutions
19
Reactions
11,878
হজ ও উমরার করণীয় কাজগুলো শেষ করে নিজের দেশের দিকে রওয়ানা হওয়ার পূর্বে যদি কোনো মহিলার রক্তস্রাব আরম্ভ হয়ে যায় এবং রওয়ানা হওয়া পর্যন্ত অব্যাহত থাকে তাহলে বিদায়ী তওয়াফ করা থেকে উক্ত মহিলা মুক্তি পেয়ে যাবে অর্থাৎ বিদায়ী তওয়াফ আর করা লাগবে না। কেননা এ প্রসঙ্গে ইবন আব্বাস সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের হাদীস রয়েছে। তিনি বলেন,

»أُمِرَ النَّاسُ أنْ يَكُوْنَ آخِرَ عَهْدِهِمْ بِالْبَيْت إلاَّ أنَّهُ خُفِّفَ عَنِ الْمَرْأةِ الْحَائِض»​

“(সকল হজকারী)-কে এ ব্যাপারে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যে, তাদের শেষ কাজ যেন কা‘বা শরীফের তাওয়াফ দিয়েই হয়। কিন্তু ঋতুবর্তী নারীর জন্য এই আদেশ শিথিল করা হয়েছে। অর্থাৎ তাদের সেই বিদায়ী তওয়াফ করতে হবে না।”[1]

প্রকাশ থাকে যে, ঋতুবতী নারীর জন্য বিদায়ের প্রাক্কালে মসজিদে হারামের দরজায় গিয়ে মোনাজাত বা প্রার্থনা করা উচিৎ নয়। কেননা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে এ ব্যাপারে কোনো কিছু বর্ণিত হয়নি। অথচ রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণিত হওয়ার ওপরই সমস্ত ইবাদতের মূল ভিত্তি। শুধু তাই নয় বরং নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণিত হাদীস এই হুকুমের বিরোধিতা করে। যেমনটি সাফিয়্যাহ রাদিয়াল্লাহু আনহার ঘটনা দ্বারা প্রমাণিত। সাফিয়্যাহ রাদিয়াল্লাহু আনহার তাওয়াফে যিয়ারার (ফরয তাওয়াফ) পর যখন ঋতুস্রাব দেখা দিল তখন প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁকে বললেন: “এখন তাহলে মদীনার দিকে বের হয়ে পড়”। এখানে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে মসজিদের দরজার দিকে যাওয়ার জন্য আদেশ দেননি। যদি বিষয়টি শরী‘আতসম্মত হতো তাহলে নিশ্চয় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তা বর্ণনা করতেন। তবে হজ ও উমরার ফরয তাওয়াফ থেকে ঋতুবতী নারী অব্যাহতি পাবে না, বরং পবিত্রতা অর্জন করার পর তাকে ফরয তাওয়াফ করতেই হবে।

নারীর প্রাকৃতিক রক্তস্রাব
শাইখ মুহাম্মাদ ইবন সালেহ আল-উসাইমীন
অনুবাদ: মীযানুর রহমান আবুল হুসাইন
সম্পাদনা: ড. আবু বকর মুহাম্মাদ যাকারিয়া​

[1] সহীহ বুখারী ও মুসলিম।
 
Back
Top