রদ্দে খারেজিয়্যাত

পরম দয়ালু, করুণাময় আল্লাহ্’র নামে৷ সমস্ত প্রশংসা আল্লাহ্'র জন্য। এবং আল্লাহ্’র শান্তি এবং রহমত বর্ষিত হোক রাছূল ﷺ, তাঁর ছাহাবীগণ এবং যারা তাঁর পথনির্দেশন অনুসরণ করে তাদের উপর। আম্মাবাদ: যারা মুসলিম শাসকদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ্ করে এবং তাদের বিরোধীতা করে— তাদের এইসব কর্মকান্ডের কোন দলীল নেই যদিও তারা দাবি করে যে, তারা কিছু ছালাফগণর আদর্শ অনুসরণ করছে, যারা বিদ্রোহ্ করেছিলেন৷ তারা যা ‘দলীল’ হিসেবে উপস্থাপন করে প্রকৃতপক্ষে তা তাদের পক্ষে কোনভাবেই দলীল নয়। এখন, বিভিন্ন মৌলিক ধর্মীয় কারণ রয়েছে কেন এই প্রতিবাদকারী, বিপ্লবী এবং রাজনৈতিক আন্দোলনকারীদের [দাবীর] কোন ভিত্তি নেই যখন তারা ঘোষণা করে যে তারা আল্লাহ্’র রাছূল ﷺ-এর নাতি হুছাইন ইবনু ‘আলীর [رضي الله عنه] আদর্শ অনুসরণ করছে, যখন তিনি মক্কা ত্যাগ করেছিলেন, ইরাকের জনগণের সাথে যোগ দিতে যখন তারা...
জারহ্ ও তা'দীলের ঝান্ডাবাহী মু'জাহিদ, যুগশ্রেষ্ঠ নাক্বীদ, আল মুহাদ্দিসুল ফাক্বীহ ইমাম ‘রাবী বিন হাদী উমাইর আল-মাদখালী [হাফিয্বাহুল্লাহ্] বলেন— প্রশ্ন: তার ব্যাপারে আপনার দৃষ্টিভঙ্গি কি যে বলে, ‘খাওয়ারিজ হল তারা যারা বৈধ এবং ন্যায়পরায়ণ শাসকের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ্ করে৷ এবং কেউ যদি সত্যিকারের অত্যাচারী শাসকের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করে, তবে সে খাওয়ারিজদের অন্তর্ভুক্ত নয়’? উত্তর: ‘আব্দুল-মালিক ইবনু মারওয়ান একজন অত্যাচারী শাসক ছিলেন৷ তিনি হত্যা করেছিলেন [সাহাবী] ‘আব্দুল্লাহ্ ইবনে আয-যুবা’ঈরকে [رضي الله عنه] এবং এমনকি তার প্রতিনিধিদের একজন ধ্বংস করেছিল কাবাহ্কে। তবুও [সাহাবী] ‘আব্দুল্লাহ্ ইবনু ‘উমার [رضي الله عنه] এত কিছুর পরেও তার [ইবনু মারওয়ানের] প্রতি আনুগত্য বজায় রেখেছিলেন এবং বাকী সাহাবীরাও তা-ই করেছিলেন। আল্লাহ্’র কসম, তিনি অত্যাচারী ছিলেন...
আলজেরিয়ার তুল্লাবুল ইলমদের একজন ফদ্বীলাতুশ শায়খ, মুহাম্মদ বিন ছ্বলেহ আল-‘উছাইমীনকে এমন কিছু লোকের বিষয়ে জিজ্ঞাসা করেছিল যারা কোনো নির্দেশনা ও শর্ত ছাড়াই শাসকদের তাক্বফীর করে। শাইখ উত্তর দিলেন: "যারা তাক্বফীর করে, তারাই খাওয়ারিজের উত্তরাধিকারী, যারা আলী ইবনু আবি তালিব [رضي الله عنه]-এর বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেছিল। কাফির হল সেই ব্যক্তি যাকে আল্লাহ্ ও তাঁর রাসূল صلى الله عليه وسلم কাফের ঘোষণা করেছেন, এবং তাক্বফীরের শর্ত রয়েছে, তাদের মধ্যে রয়েছে, ইলম এবং তাদের মধ্যে রয়েছ, ইরাদাহ [ইচ্ছা, অভিপ্রায়]। সুতরাং আমাদের জানা উচিত যে এই শাসক সত্যের বিরোধিতা করেছে, এবং সে সত্য জানে এবং সে ইচ্ছাকৃত বিরোধিতা করতে চেয়েছে, এবং তার কোন ত্রুটিপূর্ণ ব্যাখ্যা [সেই ব্যাপারে] নেই। যেমন একজন ব্যক্তি যখন একটি মূর্তিকে সিজদাহ্ করে এবং সে জানে যে একটি মূর্তিকে...
প্রশ্নকারী: ঠিক আছে, বসনিয়াতে আমাদের ভাইদের সম্পর্কে আরও একটি প্রশ্ন আছে.. শায়খ আল-আলবানী: ন’আম। প্রশ্নকর্তা: আমি শুনেছি যে— আপনি কিছু ভাইকে বলেছিলেন— যারা তাদের জীবন নিয়ে আল্লাহ্'র পথে লড়াই করার জন্য সেখানে যেতে চেয়েছিল: ‘নিজের বিরুদ্ধে জি’হাদ কর’ [অর্থাৎ নিজেকে শুদ্ধ কর]। শায়খ আল-আলবানী: হ্যাঁ, এটা সত্য। প্রশ্নকারী: এর অর্থ হল যে, আপনি [লোকদের] সেখানে [জি’হাদের জন্য] যাওয়ার জন্য পরামর্শ দিচ্ছেন না? শায়খ আল-আলবানী: এটা সত্য। প্রশ্নকারী: আচ্ছা, আপনি কি মনে করেন না যে সেখানকার লোকেদের সাহায্যের প্রয়োজন? শায়খ আল-আলবানী: আমি কীভাবে এটা ভাববো না! তবে মুসলিমদের জীবনকে বৃথা মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিয়ে সাহায্য সম্পাদন করা যায়? পবিত্র কুর’আনে আমাদেরকে যে প্রস্তুতির কথা বলা হয়েছে সেই প্রস্তুতি কোথায়? প্রশ্নকর্তা: সেখানে যদি লাভ থাকে...
ইয়েমেনের সালাফী দাওয়াতের মুজাদ্দিদ, যুগশ্রেষ্ঠ মুহা’দ্দিছ, আশ-শায়খ, আল-‘আল্লামাহ্, ইমাম মুক্ববীল বিন হাদী আল-ওয়াদী’ঈ [রাহিমাহুল্লাহ্] উ’ছামা বিন লাদেন সম্পর্কে বলেন: ❝সমস্ত প্রশংসা আল্লাহ্’রই— আমরা প্রায় ছয়-বছর আগে উ’ছামা যা করেছিল তা থেকে নিজেদের মুক্ত [ঘোষণা] করেছিলাম [এই টেইপটি প্রায় ২৮ বছর আগে রেকর্ড করা হয়েছিল]। যখন সে ইয়েমেনে ফিতনাহ্ সৃষ্টি করার চেষ্টা করেছিল, আমরা তাঁর থেকে নিজেকে মুক্ত [ঘোষণা] করেছিলাম। আমার ভাইয়েরা— এই লোকটি হল রক্ত-পিপাসু। তাঁর কি হয়েছে, কেন সে পবিত্র দু’ই মাসজিদে যায় না এবং জ্ঞান অন্বেষণ করে না? তাঁর কি হয়েছে, কেন সে ‘হাদরামাঊতে যায় না এবং নিজ হাতে মাসজিদ নির্মাণ করে না, ত্বলিবুল ইলমদের বিয়ে করিয়ে দেয় না, স্কুল খোলে না বা ভাল [প্রোজেক্ট] হাতে নেয় না? তবে, তুমি যদি বন্দুক এবং রাইফেল চাও, সে তোমাকে অর্থ দিতে...
আহলুস সুন্নাহ্' ওয়াল জামা’আ, আহলুল হাদীছ সালাফিয়্যুনদের প্রথম যুগের আক্বীদাহ্ এবং মানহাজের বইগুলোতে ইজমা রয়েছে যে, মুছলিমদের শাসকদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ এবং অভ্যুত্থান করা হারাম। অন্যান্য অগণিতদের মধ্যে থেকে দু’জন ইমাম, আবূ হাতিম আর-রাযী [মৃত্যু: ২৭৭ হিজরী] এবং আবূ যুর'আ আর-রাযী [মৃত্যু: ২৬৪ হিজরী] তাদের বিখ্যাত গ্রন্থ ‘আক্বীদাতুর রাযিয়েন’ বইয়ে ইজমাটি লিপিভুক্ত করেছেন: “আমরা ধারণ করি যে শাসকদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ্ করা নাজায়েয...” ইমামগণ, যারা তাদের আগে এসেছেন [যেমন বুখারী, আহমাদ, ছুফিয়ান, ফুদ্বাইল] এই ইজমাটি যখন স্থীর হয় [তখন] এটি লিপিবদ্ধ করেছেন, ক্বিতাবের কত’ঈ দালীল, ছহীহ ছুন্নাহ এবং ছাহাবাদের মধ্যে থেকে কীবারদের ক্বওলের উপর ভিত্তি করে। আর সেসময় থেকে এই সময় পর্যন্ত কেউই এই দৃষ্টিভঙ্গির বিরোধিতা করেনি, মূর্খ বা পথভ্রষ্ট বিদ’আতী ছাড়া।...
শায়খ আব্দুল্লাহ্ আল-‘বুখারির কাছে একটি প্রশ্ন— একজন প্রশ্নকারী জিজ্ঞাসা করেছেন: “হে শাইখ, এই সময়ে ইউরোপ জুড়ে, মুসলিমরা বিক্ষোভ করার জন্য একত্রিত হয়। তারা বিশ্বাস করে যে এর দ্বারা তারা শামে তাদের ভাইদের সাহায্য করছে— অমুসলিম ভূখন্ডগুলিতে এই বিক্ষোভগুলি চালু করা কি জায়েয? উত্তর: প্রথমত, তুমি এই প্রশ্নটি করার আগে, অমুসলিম দেশগুলিতে এটি জায়েয কিনা, তোমার জিজ্ঞাসা করা উচিত: ‘শারিয়াতে কি আদৌ বিক্ষোভের অনুমতি আছে?’ কারণ মুসলিম দেশেই হোক বা অমুসলিম দেশেই হোক, বিধানের মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই— বিধান একই। এবং আমরা বহুবার ব্যাখ্যা করেছি যে এই বিক্ষোভগুলি ইসলামের পথনির্দেশন থেকে নয়। আমি বলতে চাচ্ছি যে বিক্ষোভ, সিট-ইন, এবং প্রতিবাদ ইত্যাদির সাথে শারীয়তের কোন সম্পর্ক নেই। আলিমগণ এ বিষয়ে আলোচনা করেছেন এবং এ বিষয়ে গ্রন্থ রচনা করেছেন। এবং...
আল্লাহর বিধান ছাড়া অন্য বিধান দিয়ে বিচার-এর ব্যাপারে সালাফদের বাণী সমূহ-০৮ ইমাম ইবনুল আরাবী আল-মালিকী রহিমাহুল্লাহ বলেনঃ "এই হুকুমটা (অবস্থাভেদে) ভিন্ন ভিন্ন হবে: -শাসক যদি নিজের জারি করা বিধানকে আল্লাহর দেয়া বিধানের মতোই মনে করে, তাহলে তো এটা আল্লাহর বিধানকে পরিবর্তনের নামান্তর। তখন এটা কুফরী হবে। -আর যদি প্রবৃত্তির তাড়নায় পড়ে ও নাফরমানি বশতঃ করে ফেলে, তাহলে আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামা'আহ-এর "পাপী মুমিনদের গুনাহ মাফের" মূলনীতি অনুযায়ী তার গুনাহ ক্ষমা হবে।" --[আহকামুল কুরআন, ২/৬২৪]
قال: ماسبب هذا الكم الهائل من المعلومات في حفظ ماء وجه ولي امركم ، وكان مدار الدين كله هو حول ولي الامر ! قلت: نعم من مقومات الدين حفظ حق ولاة الأمر، والتحذير من الخروج عليهم ؛ أما ترى أن الرسول صلى الله عليه وسلم لما أوصى وصية مودع؛ قال: "أوصيكم بتقوى الله. والسمع والطاعة وإن تأمر عليكم عبد حبشي". هل تلاحظ كيف بدأ بتقوى الله ثم ثنى بالسمع والطاعة لولاة الأمر، فهذا يدل على أن حفظ حق ولاة الأمر والتحذير من الخروج عليهم ، من مقومات الدين؛ وهذا معنى ما جاء في سنن الدارمي تحت رقم ( 257 ) عَنْ تَمِيمٍ الدَّارِيِّ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، قَالَ: "تَطَاوَلَ النَّاسُ فِي الْبِنَاءِ فِي زَمَنِ عُمَرَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ. فَقَالَ عُمَرُ: «يَا مَعْشَرَ الْعُرَيْبِ. الْأَرْضَ الْأَرْضَ. إِنَّهُ لَا إِسْلَامَ إِلَّا بِجَمَاعَةٍ. وَلَا...
قال الإمام الآجري رحمه الله: "فلا ينبغي لمن رأى اجتهاد خارجي قد خرج على إمام عدلا كان الإمام أو جائرا فخرج وجمع جماعة وسل سيفه واستحل قتال المسلمين فلا ينبغي له أن يغتر بقراءته للقرآن ولا بطول قيامه في الصلاة ولا بدوام صيامه ولا بحسن ألفاظة في العلم إذا كان مذهبه مذهب الخوارج". الشريعة: (١٣٦/١) ইমাম আজুররী রহিমাহুল্লাহ বলেনঃ যে ব্যক্তি কোনো খারেজীর এ মর্মে ইজতিহাদ দেখবে যে: সে -ন্যায়পরায়ন হোক বা যালেম- শাসকের বিরুদ্ধে বিদ্রোহের ঝান্ডা তুলেছে, একদল সংগঠিত হয়ে অস্ত্র ধারণ করেছে এবং মুসলিমদের হত্যা বৈধ ও স্বাভাবিক মনে করেছে; তাহলে সেই ব্যক্তির জন্য উচিত নয়, ঐ খারেজীর কুরআন তিলাওয়াত দেখে, সালাতের দীর্ঘ কিয়াম দেখে, টানা সিয়াম পালন দেখে কিংবা ইলমের কথার ফুলঝুড়ি দেখে ধোঁকা খাবে। --[আশ-শরী'আহ, ১/১৩৬]

Install Salafi Forum Mobile App

Download Android App

Latest books

Forum statistics

Threads
15,113
Comments
19,957
Members
5,450
Latest member
sma1
Back
Top