ইয়েমেনের সালাফী দাওয়াতের মুজাদ্দিদ, যুগশ্রেষ্ঠ মুহা’দ্দিছ, আশ-শায়খ, আল-‘আল্লামাহ্, ইমাম মুক্ববীল বিন হাদী আল-ওয়াদী’ঈ [রাহিমাহুল্লাহ্] উ’ছামা বিন লাদেন সম্পর্কে বলেন:
❝সমস্ত প্রশংসা আল্লাহ্’রই— আমরা প্রায় ছয়-বছর আগে উ’ছামা যা করেছিল তা থেকে নিজেদের মুক্ত [ঘোষণা] করেছিলাম [এই টেইপটি প্রায় ২৮ বছর আগে রেকর্ড করা হয়েছিল]। যখন সে ইয়েমেনে ফিতনাহ্ সৃষ্টি করার চেষ্টা করেছিল, আমরা তাঁর থেকে নিজেকে মুক্ত [ঘোষণা] করেছিলাম। আমার ভাইয়েরা— এই লোকটি হল রক্ত-পিপাসু। তাঁর কি হয়েছে, কেন সে পবিত্র দু’ই মাসজিদে যায় না এবং জ্ঞান অন্বেষণ করে না? তাঁর কি হয়েছে, কেন সে ‘হাদরামাঊতে যায় না এবং নিজ হাতে মাসজিদ নির্মাণ করে না, ত্বলিবুল ইলমদের বিয়ে করিয়ে দেয় না, স্কুল খোলে না বা ভাল [প্রোজেক্ট] হাতে নেয় না? তবে, তুমি যদি বন্দুক এবং রাইফেল চাও, সে তোমাকে অর্থ দিতে প্রস্তুত! কিন্তু তুমি যদি মাসজিদটি সংস্কৃার করতে চাও, [সে বলবে]: ‘মাসজিদটি সংস্কার করার মতো [অর্থ বা সামর্থ্য] আমাদের নেই।’ তুমি যদি তাকে মাসজিদ নির্মাণ করতে বলো, সে বলবে: ‘আমাদের মাসজিদ নির্মাণ করার মতো [অর্থ বা সামর্থ্য] নেই।’ তাহলে, তার কাছে [তবে] কি আছে? এই লোকটি [উ’ছামা] রক্ত-পিপাসু। এবং আমি তাকে আল্লাহ্’র রাসূল ﷺ-এর বক্তব্য স্মরণ করিয়ে দিচ্ছি: ইবনু উমর [رضي الله عنه] থেকে— ‘একজন মু’মিন তার ঈমানকে ততক্ষণ রক্ষা করতে থাকে [এবং এইভাবে আল্লাহ্'র রহমতের আশা করে] যতক্ষণ না সে অন্যায়ভাবে রক্তপাত ঘটায়৷’ এছাড়াও আমি [তাকে স্মরণ করিয়ে দিচ্ছি] আল্লাহ্’র রাসূল ﷺ-এর বক্তব্য: ‘ক্বিয়ামতের দিন নিহত ব্যক্তি [তার হত্যাকারীর হাত ধরে নিয়ে আসবে], তখন তার শিরা হতে রক্ত প্রবাহিত হতে থাকবে। সে বলবে: ‘ইয়া আল্লাহ্! আপনি এই ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসা করুন, সে আমাকে কি কারণে হত্যা করেছিল?, এবং তাকে [হত্যাকারীকে] জাহান্নামে নিয়ে যাওয়া হবে৷’ উ’ছামা ইবনে লাদিনকে যারা অনুসরণ করে তাদের আমি তাঁকে ত্যাগ করার পরামর্শ দিচ্ছি, এমনকি যদি সে তোমাকে এত [পরিমাণ] স্বর্ণ দেয় যা এই মাসজিদকে পূর্ণ করে ফেলে [তবুও]!❞
বঙ্গানুবাদ: আব্দুল্লাহ মুহাম্মদ রাকিব খান।
সোর্স:
❝সমস্ত প্রশংসা আল্লাহ্’রই— আমরা প্রায় ছয়-বছর আগে উ’ছামা যা করেছিল তা থেকে নিজেদের মুক্ত [ঘোষণা] করেছিলাম [এই টেইপটি প্রায় ২৮ বছর আগে রেকর্ড করা হয়েছিল]। যখন সে ইয়েমেনে ফিতনাহ্ সৃষ্টি করার চেষ্টা করেছিল, আমরা তাঁর থেকে নিজেকে মুক্ত [ঘোষণা] করেছিলাম। আমার ভাইয়েরা— এই লোকটি হল রক্ত-পিপাসু। তাঁর কি হয়েছে, কেন সে পবিত্র দু’ই মাসজিদে যায় না এবং জ্ঞান অন্বেষণ করে না? তাঁর কি হয়েছে, কেন সে ‘হাদরামাঊতে যায় না এবং নিজ হাতে মাসজিদ নির্মাণ করে না, ত্বলিবুল ইলমদের বিয়ে করিয়ে দেয় না, স্কুল খোলে না বা ভাল [প্রোজেক্ট] হাতে নেয় না? তবে, তুমি যদি বন্দুক এবং রাইফেল চাও, সে তোমাকে অর্থ দিতে প্রস্তুত! কিন্তু তুমি যদি মাসজিদটি সংস্কৃার করতে চাও, [সে বলবে]: ‘মাসজিদটি সংস্কার করার মতো [অর্থ বা সামর্থ্য] আমাদের নেই।’ তুমি যদি তাকে মাসজিদ নির্মাণ করতে বলো, সে বলবে: ‘আমাদের মাসজিদ নির্মাণ করার মতো [অর্থ বা সামর্থ্য] নেই।’ তাহলে, তার কাছে [তবে] কি আছে? এই লোকটি [উ’ছামা] রক্ত-পিপাসু। এবং আমি তাকে আল্লাহ্’র রাসূল ﷺ-এর বক্তব্য স্মরণ করিয়ে দিচ্ছি: ইবনু উমর [رضي الله عنه] থেকে— ‘একজন মু’মিন তার ঈমানকে ততক্ষণ রক্ষা করতে থাকে [এবং এইভাবে আল্লাহ্'র রহমতের আশা করে] যতক্ষণ না সে অন্যায়ভাবে রক্তপাত ঘটায়৷’ এছাড়াও আমি [তাকে স্মরণ করিয়ে দিচ্ছি] আল্লাহ্’র রাসূল ﷺ-এর বক্তব্য: ‘ক্বিয়ামতের দিন নিহত ব্যক্তি [তার হত্যাকারীর হাত ধরে নিয়ে আসবে], তখন তার শিরা হতে রক্ত প্রবাহিত হতে থাকবে। সে বলবে: ‘ইয়া আল্লাহ্! আপনি এই ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসা করুন, সে আমাকে কি কারণে হত্যা করেছিল?, এবং তাকে [হত্যাকারীকে] জাহান্নামে নিয়ে যাওয়া হবে৷’ উ’ছামা ইবনে লাদিনকে যারা অনুসরণ করে তাদের আমি তাঁকে ত্যাগ করার পরামর্শ দিচ্ছি, এমনকি যদি সে তোমাকে এত [পরিমাণ] স্বর্ণ দেয় যা এই মাসজিদকে পূর্ণ করে ফেলে [তবুও]!❞
বঙ্গানুবাদ: আব্দুল্লাহ মুহাম্মদ রাকিব খান।
সোর্স: