Salafi Forum হচ্ছে সালাফী ও সালাফদের আকিদা, মানহাজ শিক্ষায় নিবেদিত একটি সমৃদ্ধ অনলাইন কমিউনিটি ফোরাম।
জ্ঞানগর্ভ আলোচনায় নিযুক্ত হউন, সালাফী আলেমদের দিকনির্দেশনা অনুসন্ধান করুন।
আপনার ইলম প্রসারিত করুন, আপনার ঈমানকে শক্তিশালী করুন এবং সালাফিদের সাথে দ্বীনি সম্পর্ক গড়ে তুলুন।
বিশুদ্ধ আকিদা ও মানহাজের জ্ঞান অর্জন করতে, ও সালাফীদের দৃষ্টিভঙ্গি শেয়ার করতে এবং ঐক্য ও ভ্রাতৃত্বের চেতনাকে আলিঙ্গন করতে আজই আমাদের সাথে যোগ দিন।
You are using an out of date browser. It may not display this or other websites correctly. You should upgrade or use an alternative browser.
অভিযোগঃ হাদিস অস্বীকারকারী (Quranists), শিয়া, খ্রিষ্টান মিশনারী, নাস্তিক-মুক্তমনাসহ ইসলামবিরোধীদের অনেকেই হাদিসশাস্ত্রকে বিভিন্নভাবে আক্রমণ করার চেষ্টা করে। তারা অভিযোগ করে - আবু হুরায়রা (রা.) ৭ম হিজরী সালে ইসলাম গ্রহণ করেছেন; তাঁর পূর্বে বহু সাহাবী (রা.) ইসলাম গ্রহণ করেছেন। অথচ তাঁদের বহু পরে...
প্রখ্যাত সালাফি বিদ্বান, কুয়েত বিশ্ববিদ্যালয়ের শরিয়াহ অনুষদের অধ্যাপক, আশ-শাইখ, আল-আল্লামাহ, ড. ফালাহ বিন ইসমাঈল আল-মুনদাকার (হাফিযাহুল্লাহ) [জন্ম: ১৯৫০ খ্রি.] বলেছেন—
আশ‘আরী মতাদর্শ। এটি একটি ঈপ্সিত বিষয়। এখন আমরা কাকে এই মতাদর্শ থেকে মুক্ত প্রমাণ করব? হ্যাঁ? আচ্ছা, তিনি ছাড়া আরও অনেকেই এ...
ভূমিকা: হাদীস শব্দটিক শাব্দিক অর্থ হলো- নতুন, প্রাচীন ও পুরাতন এর বিপরীত বিষয়। এ অর্থে যে সব কথা, কাজ ও বস্ত্ত পূর্বে ছিল না, এখন অস্তিত্ব লাভ করেছে তাই হাদীস। এর আরেক অর্থ হলো- কথা। ফক্বীহগণের পরিভাষায় নাবী কারীম (ﷺ) আল্লাহ্র রাসূল হিসেবে যা কিছু বলেছেন, যা কিছু করেছেন এবং যা কিছু বলার বা করার...
অনেক সময় মানুষের বিশৃঙ্খলা, অনিয়ম, অন্যায়, অবিচার ইত্যাদি দেখে বলা হয়, ‘যুগটাই খারাপ হয়ে গেছে’, ‘যুগের দোষ’, ‘যুগটা গাদ্দার হয়ে গেছে’ ইত্যাদি এমন আরও কথা বলা হয়ে থাকে। সময়ের ব্যাপারে এ ধরনের কথা বলা ইসলামে নিষিদ্ধ। কেননা, সময় বা যুগের কোনো শক্তি নেই। সময় বা যুগ কোনো কিছু ঘটাতে পারে না। সব কিছু...
কোনো কিছু নষ্ট হয়ে গেলে বা ক্ষতি হলে আফসোস করে বলে, ‘যদি ওটা না করতাম তবে এমনটা হতো না, বা যদি সে-কাজটা করতাম তবে এমনটা ঘটত না।’
ভাগ্যের ওপর সন্তুষ্ট না থেকে ঘটে যাওয়া কোনো জিনিসের ব্যাপারে আক্ষেপ, আফসোস বা হায়হুতাশ করে এধরনের কথা বলা নিষিদ্ধ। কেননা, এর মাধ্যমে আল্লাহর ফয়সালা ও নির্ধারণে...
বঙ্গালমূলকের অনেকের মুখেই ‘মূসার জাদুর লাঠি’ বাক্যটি শোনা যায়। এটি কুরআনের একাধিক আয়াতের পরিপন্থি কথা। মূসা আলাইহিস সালামের লাঠি নিয়ে আল্লাহ তাআলা একাধিক আয়াতে আলোচনা করেছেন। তিনি অনেক আয়াতে স্পষ্টভাবে ঘোষণা করেছেন, "তার লাঠি কোনো জাদু ছিল না; বরং তা ছিল এক মুজিযা"। মূসা আলাইহিস সালামের লাঠিকে...
আমরা যখন অন্যের কল্যাণ কামনা করে বলি অথবা বিদায় মুহূর্তে বলি ‘ভালো থাকো’। মুসলিম হিসেবে এ বাক্যের পরিবর্তে ‘আল্লাহ আপনাকে ভালো রাখুন’ বলা উচিত। কেননা, মানুষ নিজেকে ভালো রাখতে পারে না। মানুষের জীবনে ভালো-মন্দ যা কিছু ঘটে সব আল্লাহর ইচ্ছায় ও অনুমতিতেই ঘটে। আল্লাহ তাআলা বলেন, "তোমরা যেসব নেয়ামত ভোগ...
কোনো কাফিরকে জনাব বা মিস্টার বা সাইয়েদ বা নেতা বা সম্মানজনক কোনো শব্দ বলা যাবে না। আল্লামা বিন বায রাহিমাহুল্লাহকে জিজ্ঞেস করা হয়, অনেকে জানা সত্ত্বেও কাফিরের মেমো বা চালানে ‘মিস্টার অমুক’ লিখে থাকে। এভাবে লিখা কতটুকু বৈধ? জবাবে তিনি বলেন, কোনো কাফিরকে সাইয়েদ বা মিস্টার বলা যাবে না। রাসূলুল্লাহ...
কোনো মন্দব্যক্তি মারা গেলে অনেকেই তার ব্যাপারে মন্তব্য করেন যে, ‘জাহান্নামীটা আজ মারা গেল’ বা ‘সে বুঝবে জাহান্নামের ঠেলা’ কিংবা ‘সে একজন জাহান্নামী’ অথবা ‘বুঝছে, এখন কবরে কেমন শাস্তি হয়’। অপরপক্ষে কোনো ভালো মানুষ মারা গেলে বলা হয়, ‘সে জান্নাতী’ বা ‘সে জান্নাত পাবে’ ইত্যাদি।
কারো জান্নাতে যাওয়া...
কারো কাজ ও সিদ্ধান্তের অতিরঞ্জিত প্রশংসা করতে গিয়ে বলা হয়, ‘আপনার কী আর ভুল হয়!’ এটি একটি বেমালুম ভুল ও ইসলামী আকীদাহ পরিপন্থি কথা। কারণ, নির্ভুলতার গুণ একমাত্র আল্লাহর জন্য প্রযোজ্য। আল্লাহ কোনোই ভুল করেন না। আল্লাহ ছাড়া সকল সৃষ্টি ভুল করতে পারে। আর প্রত্যেক মানুষ ভুল করে। এমন কোনো মানুষ নেই যে...
অনেকে কারো রূপের প্রশংসা করতে গিয়ে আবেগের আতিশয্যে বলে ফেলে, ‘আল্লাহ তোমাকে তাঁর নিজ হাতে এমন নিখুঁত করে বানিয়েছেন।’ অনেকে তো আবার এক কাঠি সরের হয়ে বলে, 'আল্লাহ তোমাকে অনেক ভেবে চিন্তে সময় নিয়ে সৃষ্টি করেছেন'। উভয় উক্তির কোনোটাই সঠিক নয়; বরং ইসলামি বিশ্বাস পরিপন্থী। আল্লাহ তা'আলা চারটি বস্তু...
ইমাম উসমান ইবন সাঈদ আদ-দারেমি বলেন:
আমি ইব্রাহিম ইবনুল হুসাইনের সাথে ছিলাম, তখন প্যাচ পরা একজন লম্বা লোক আমাদের কাছে প্রবেশ করল এবং বলা হল: এ হচ্ছে ইবন কাররাম।
ইবরাহীম তাকে বললেনঃ তুমি কি কোন আলেমদের কাছে আসা যাওয়া করেছ?
সে বলল, না।
তিনি বললেনঃ তুমি কি উসমান ইবন আফফান আস-সিজিস্তানির সাথে দেখা...
একদল লোক সালাফী মানহাজের নাম শুনলেই মনে করে, এটি একটি নতুন ফিরকা ও দল। তারা মনে করে, আশআরী, মাতুরিদী, শিআ, মুতাযিলা ইত্যাদি যেমন ফিরকা, সালাফীরাও তেমন একটি ফিরকা।
যারা এমনটি মনে করে তারা মূলত সালাফী মানহাজ সম্পর্কে অজ্ঞাত অথবা অহংকার ও জিদবশত এমন কথা বলে। অথচ সালাফী মানহাজ কোনো ফিরকা ও দল নয়।...
সৌদি আরবের ‘ইলমী গবেষণা ও ফতোয়া প্রদানের স্থায়ী কমিটি (আল-লাজনাতুদ দা’ইমাহ লিল বুহূসিল ‘ইলমিয়্যাহ ওয়াল ইফতা) প্রদত্ত ফতোয়ায় বলা হয়েছে—
“ইয়াযীদ বিন মু‘আউয়িয়াহর ব্যাপারে মানুষ দুটো প্রান্তিক ও একটি মধ্যপন্থি দলে বিভক্ত। ইয়াযীদের ব্যাপারে তিনটি অভিমতের মধ্যে সবচেয়ে ন্যায়নিষ্ঠ মত হলো—সে মুসলিমদের...
আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলো ‘হিউম্যান বিয়িং' নামক সত্তাকেই একমাত্র মানুষ মনে করে। অন্যরা হলো বর্বর, অসভ্য; পৃথিবীতে বসবাসের অযোগ্য। তাই এদের জন্য কোনো মানবাধিকার নেই। এদেরকে আগুনে পুড়িয়ে মারা হোক, হিংস্র পশুর শিকার বানানো হোক কিংবা যত নির্মম আচরণই তাদের সাথে করা হোক, এতে মানবাধিকার...
আবু হুরায়রা (রা) সম্পর্কে আরোপিত অভিযোগ সমূহের বিস্তারিত জবাব। - ১ম পর্বের পরবর্তী পর্ব
তিনি কি অর্থ আত্মসাৎকারী ছিলেন?
নাউযুবিল্লাহ! প্রাচ্যবিদরা সকল সীমানা অতিক্রম করে আবু হুরায়রা (রাঃ)-কে অর্থ আত্মসাত্রে অভিযোগে অভিযুক্ত করার দুঃসাহস দেখিয়েছে। আল্লাহর অভিশাপ তাদের উপর বর্ষিত হোক! আমীন...
সম্মানীত পাঠকগণ অবশ্যই এসব আলোচনা সব স্থানে ছড়িয়ে দিবেন।আমি হাদিস অস্বীকারকারীদের নিয়ে বিস্তারিত পড়াশুনা করতে গিয়ে দেখলাম হাদিস অস্বীকারকারীরা সাহাবীদের মধ্যে সবার প্রথম আবু হুরায়রা (রা) কে আক্রমণ করেছে।পরে দেখলাম হাদীস অস্বীকারকারীরা কেবল এই কাজে নয় বরং তারা এসব কিছু লালন করেছে প্রাচ্যবীদদের...
১. হাদীস অস্বীকারকারীগণের কুরআন মাজীদ বোঝার জন্য অভিধানের ব্যবহার জরুরি। এতে যে অর্থ ও ব্যাখ্যা থাকে তা গ্রহণ করা হয়, এ ছাড়া অন্য কোনো গত্যন্তর নেই। সুতরাং কুরআন ছাড়াও অপর একটি বস্তু তাদেরকে গ্রহণ করতেই হয়। যদি অভিধান গ্রহণযোগ্য হয়ে থাকে, তবে কুরআন মাজীদের ঐ অভিধান কেন গ্রহণ করা হচ্ছে না—...
গভীরভাবে চিন্তা করলে স্পষ্ট হয় যে, শুধু কুরআনের উপর নির্ভর করে শরীয়তের বিধি-বিধান বুঝা ও পালন করা সম্ভব নয়। কারণ কুরআনের অনেক মূলনীতি রয়েছে, যার ব্যাখ্যা প্রয়োজন। আবার অনেক আয়াত রয়েছে দুর্বোধ্য, যার তাফসীর ও স্পষ্টকরণ জরুরী। তাই কুরআন বুঝা ও তার থেকে হুকুম বের করা হাদিস ব্যতীত সম্ভব নয়।...
আমরা কেউই ভুলের ঊর্ধ্বে নই তাই আমাদের ফোরামে কোনো ভুল ত্রুটি (ছোট কিংবা বড়) চোখে পড়লে সেটাকে প্রচার করার পূর্বে আমাদের জানানোর অনুরোধ করছি। আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলা বলেছেন: নিশ্চয় মুমিনরা পরস্পর ভাই ভাই। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন: এক মুসলিম আরেক মুসলিমের ভাই। সে তার ওপরে জুলুম করে না।