ঝাড়ফুঁক

উত্তর: কুরআন হাদিসের দলীল, সাহাবায়ে কেরামের আমল এবং আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাআতের প্রসিদ্ধ আলেমগণের মতামত অনুযায়ী বিশুদ্ধ কথা হচ্ছে, দূর থেকে অর্থাৎ অনুপস্থিত ব্যক্তির জন্য টেলিফোনে, মাইক কিংবা ক্যাসেট ইত্যাদির মাধ্যমে রুকিয়াহ করার কোন দলিল ইসলামে নেই। বরং এটি দ্বীনের মধ্যে নতুন আবিষ্কার। কারণ...

শরী‘আতসম্মত উপায়ে ঝাড়-ফুঁক জায়েয। পবিত্র কুরআন ও সহীহ হাদীসে অসংখ্য দু‘আ বর্ণিত হয়েছে, যার মাধ্যমে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) নিজেও তাঁর সাহাবীদেরকে ঝাড়-ফুঁক করতেন। একবার জিবরীল (আলাইহিস সালাম) নবী করীম (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট এসে বললেন, হে মুহাম্মাদ...

কুরআন ও ছহীহ হাদীছের বক্তব্য অনুযায়ী ঝাড়ফুঁক বৈধ হওয়ার জন্য তিনটি শর্ত রয়েছে। প্রথম শর্ত : ‘সেটি কুরআনের আয়াত অথবা আল্লাহ তা‘আলার যিকির এবং বৈধ দু‘আর মাধ্যমে হবে’। ইমাম ইবনু আব্দিল বার্র (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, ‘আমার জানা মতে বদ-নযর, জ্বর, সাপ-বিচ্ছুর দংশন ইত্যাদি বিষয়ে ঝাড়ফুঁক বৈধ হওয়ার ব্যাপারে...

বদনজর দ্বারা আক্রান্ত হওয়ার আগেই একে বাতিল করা এটা করা হয় আল্লাহর অনুগ্রহ কামনার মাধ্যমে। যদি কোনো ব্যক্তি আরেকজনের উপর বদনজর দিয়ে আল্লাহর অনুগ্রহ কামনা করে তাহলে আল্লাহর রহমতে ওই বদনজরের প্রভাব বাতিল হয়ে যায় এবং সেটা আর কাজ করে না। আল্লাহ তাঁর নিজের আদেশের মাধ্যমে ওই লোকের আদেশ বাতিল করে...

ভূমিকা যারা জ্বীন, যাদু এবং বদনজরের সাথে সম্পর্কিত সমস্যা সম্পর্কে অভিযোগ করেন তাদের সকলের জন্য শাইখ 'আদিল ইবনে তাহির আল-মুকবিল এই প্রোগ্রামটির পরামর্শ দিয়েছেন। শায়খ বলেছেন যে তিনি বহু বছর ধরে এটি দুর্দান্ত সাফল্যের সাথে ব্যবহার করছেন এবং এটি এখনও তাদের পক্ষে গুরুত্বপূর্ণ যারা এখনও রক্বী...

জ্বিনের আছরের আলামত: জনৈক অভিজ্ঞতাসম্পন্ন ব্যক্তি জ্বিনের আছরের কিছু আলামত উল্লেখ করেছেন। সেগুলোর মধ্যে রয়েছে: ১। আযান ও কুরআন তেলাওয়াত শুনা থেকে চরমভাবে মুখ ফিরিয়ে নেয়া। ২। তার উপরে তেলাওয়াত করাকালে বেহুশ হয়ে পড়া, খিঁচুনি দেয়া কিংবা ধরাশায়ী হওয়া। ৩। বেশি বেশি ভয়ানক স্বপ্ন দেখা। ৪। একাকী...

যমযমের পানি পান ভূমিকা হাদীসে বর্ণিত আছে যে, আল্লাহর রাসূল (ﷺ) যমযমের পানি পান করতেন এবং বলতেন: “এতে বরকত রয়েছে”। তিনি আরো বলেন: “এতে পুষ্টি রয়েছে এবং এটা অসুস্থতার জন্য নিরাময়”। [আবু দাউদ, আত-তাইয়ালিসি, ৪৫৯।] আরো বর্ণিত আছে যে, আল্লাহর রাসূল (ﷺ) বলেন: “পৃথিবীর বুকে সর্বোৎকৃষ্ট পানি হল...

ভারতীয় কস্টাস (সুগন্ধীযুক্ত বৃক্ষ) বৃক্ষের তৈরি নাকের ড্রপ ধূর্ত জ্বিনকে বিরক্ত করার জন্য ভারতীয় কস্টাসের তৈরি বিশেষ নাকের ড্রপ ব্যবহার করা যেতে পারে। রোগী এ ড্রপ এমনভাবে গ্রহণ করবে, যাতে এটা সরাসরি মস্তিস্কে চলে যায়, যেখানে জ্বিন অবস্থান করে। আর এভাবে ড্রপ গ্রহণ করার ফলে জ্বিন এতটাই বিরক্ত...

বরই পাতা অথবা কর্পূর পাতা বরই পাতার অবর্তমানে কর্পূর বা কর্পূরপাতা ব্যবহার করা যায়। “আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আসমা (রাঃ) রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর নিকট এসে বললেন, হে আল্লাহর রসূল! আমাদের কেউ ঋতুস্রাব থেকে পবিত্র হয়ে কীভাবে গোসল করবে? তিনি বললেন, সে গোসলে বরই পাতা মিশ্রিত পানি ব্যবহার...

অলিভ অয়েল (যাইতুনের তেল) আল্লাহ তাআলা বলেছেন, اللَّهُ نُورُ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ ۚ مَثَلُ نُورِهِ كَمِشْكَاةٍ فِيهَا مِصْبَاحٌ ۖ الْمِصْبَاحُ فِي زُجَاجَةٍ ۖ الزُّجَاجَةُ كَأَنَّهَا كَوْكَبٌ دُرِّيٌّ يُوقَدُ مِن شَجَرَةٍ مُّبَارَكَةٍ زَيْتُونَةٍ لَّا شَرْقِيَّةٍ وَلَا غَرْبِيَّةٍ يَكَادُ...

জাদুটোনার জন্য কাপিং থেরাপী কাপিং হলো নবীদের (ﷺ) ব্যবহৃত একটি উপকারী চিকিৎসা পদ্ধতি। কবচ করার স্থানে যদি কাপিং করা হয় তাহলে এটা ওই স্থানের সকল দূষিত জিনিস বের করে দেবে এবং এর মাধ্যমে আল্লাহর রহমতে মন্ত্রের কার্যকারিতা নষ্ট ও বাতিল হয়ে যাবে। কিন্তু নবীদের (ﷺ) ব্যবহৃত এ অতি উপকারী চিকিৎসা...

জাদুটোনার চিকিৎসায় সোনামুখীর রস পান ভূমিকা আল্লাহর রাসূল (ﷺ) থেকে বর্ণিত ওষুধগুলোর মধ্যে সোনামুখীর রেচক সবচেয়ে উপকারি। জাদুটোনায় ব্যবহৃত জিনিসপত্র বা তাবিজ-কবচ যদি রোগীর পেটের মধ্যে থেকে থাকে তাহলে সম্ভব হলে এগুলো দ্রুত রোগীকে বমি করানোর মাধ্যমে বের করে আনতে হবে। আর রোগী যদি বমি করতে না...

কালোজিরা বিখ্যাত হাদীস বর্ণনাকারী আবু হুরাইরা (রাঃ) এই নবী করীম (ﷺ) থেকে এ কথা শ্রবণ করেছেন যে, “কালােজীরাতে মৃত্যু ছাড়া সব রােগের আরােগ্যকারী গুণ আছে।” (বুখারী, মুসলিম, মিশকাত ৩৮৭পৃঃ) আল্লামা ত্বীবী (রহঃ) বলেন যে, উপরােক্ত হাদীসে 'কালােজীরা'কে সর্বরােগনাশক ভেষজ বা ঔষধ বলা হয়েছে। কারণ, উহার...

মধু আল্লাহ তাআলা বলেছেন, يَخْرُجُ مِن بُطُونِهَا شَرَابٌ مُّخْتَلِفٌ أَلْوَانُهُ فِيهِ شِفَاءٌ لِّلنَّاسِ ﴿٦٩﴾ অর্থঃ “তার (মৌমাছির) পেট থেকে বিভিন্ন রঙের পানীয় বের হয়, যাতে মানুষের জন্যে রয়েছে শিফা।” (সূরা নাহল: ৬৯) রসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, “যে ব্যক্তি প্রতিমাসে তিনদিন সকালে মধু চেটে খাবে, সে...

ভূমিকা অনেক রোগীই বেশি বেশি কুমন্ত্রণার শিকার বলে অভিযোগ করেন যা আরবীতে ওয়াসওয়াসা রোগ নামে পরিচিত। এটি সরাসরি কারোও কণ্ঠ শুনা কিংবা কুচিন্তার রূপ নিতে পারে। এই চিন্তাভাবনাগুলি বেশিরভাগই নিন্দামূলক এবং রোগীর পক্ষে চরম বিরক্তিকর হতে পারে, এমনকি এতবেশি পরিমাণে কুমন্ত্রণার শিকার হতে পারে যে রোগীর...

রুকিয়াহ মানে ঝাড়ফুঁক হলেও ইসলামে কেবল সেসব রুকিয়াহরই অনুমতি আছে, যেটা সরাসরি কুরআন-সুন্নাহ হতে গৃহীত। যদি কুরআন-সুন্নাহ ছাড়া অন্য কিছু পাঠ করে রুকিয়াহ করা হয়, তা কখনােই শারীআসম্মত রুকিয়াহ বলে গণ্য হবে না। যেমন কুফুরিকালাম বলা কিংবা আল্লাহ ছাড়া অন্য কারও সাহায্য চাওয়া। তবে হ্যাঁ, সরাসরি...

চলুন! জ্বিন ও জাদুর চিকিৎসায় কুরআন পাঠের যৌক্তিকতা ও কার্যকারিতা অনুধাবনের জন্য আগে সূরা ফালাক ও সূরা নাসের অর্থ পড়ে নিইঃ বল, ‘আমি আশ্রয় প্রার্থনা করছি ঊষার রবের কাছে, তিনি যা সৃষ্টি করেছেন তার অনিষ্ট থেকে, আর রাতের অন্ধকারের অনিষ্ট থেকে যখন তা গভীর হয়, আর গিরায় ফুঁ-দানকারী নারীদের অনিষ্ট...

এই প্রশ্নটির উত্তরে বলতে হয়, অবশ্যই প্রযােজ্য। কারণ আল্লাহ তাআলা মানুষের জন্য কুরআনে শিফা রেখেছেন; যেমন তিনি মধু ও জয়তুনের মাঝে শিফা রেখেছেন। মুসলিম-অমুসলিম নির্বিশেষে সকলের জন্যই মধু ও জায়তুন আরােগ্য। মধু ও জায়তুনের মতাে কুরআনের ক্ষেত্রেও মুসলিম ও অমুসলিমের ভেদাভেদ থাকবে না, এটিই কুরআনের...

ইমাম ইবনু তাইমিয়্যা রহিমাহুল্লাহ বলেন, “রুকিয়াহ করে বিনিময় নেওয়ায় কোনও আপত্তি নেই। এ বিষয়ে ইমাম আহমাদ রহিমাহুল্লাহ-এর সুস্পষ্ট অভিমত রয়েছে।' [ইমাম ইবনু তাইমিয়্যা, ফাতাওয়া আল-কুবরা, ৫/৪০৮] প্রমাণস্বরূপ আমরা আবু সাঈদ (রাঃ) থেকে বর্ণিত পূর্বের হাদীসটি স্মরণ করতে পারি। হাদীসটি আবারও...

ভূমিকা তেলাওয়াতকৃত পানির দিয়ে গোসল করাকে বলা হয় রুকিয়াহ গোসল। রুকিয়াহ গোসলের পানি প্রস্তুতের জন্য পানির কাছে মুখ লাগিয়ে তেলাওয়াত করতে হবে। তেলাওয়াত করার সময় একটু পর পর ফুঁক দিতে হবে (কিছুটা থুথুর ছিটাসহ) রুকিয়াহ গোসল যদি প্রতিদিন করা হয় তাহলে ইনশা-আল্লাহ পজেটিভ রেসাল্ট পাওয়া যাবে। যদি রোগ বেশি...