Joynal Bin Tofajjal
Student Of Knowledge
Forum Staff
Moderator
Uploader
Exposer
HistoryLover
Salafi User
- Joined
- Nov 25, 2022
- Threads
- 344
- Comments
- 475
- Reactions
- 5,291
- Thread Author
- #1
অলিভ অয়েল (যাইতুনের তেল)
আল্লাহ তাআলা বলেছেন,اللَّهُ نُورُ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ ۚ مَثَلُ نُورِهِ كَمِشْكَاةٍ فِيهَا مِصْبَاحٌ ۖ الْمِصْبَاحُ فِي زُجَاجَةٍ ۖ الزُّجَاجَةُ كَأَنَّهَا كَوْكَبٌ دُرِّيٌّ يُوقَدُ مِن شَجَرَةٍ مُّبَارَكَةٍ زَيْتُونَةٍ لَّا شَرْقِيَّةٍ وَلَا غَرْبِيَّةٍ يَكَادُ زَيْتُهَا يُضِيءُ وَلَوْ لَمْ تَمْسَسْهُ نَارٌ ۚ نُّورٌ عَلَىٰ نُورٍ ۗ يَهْدِي اللَّهُ لِنُورِهِ مَن يَشَاءُ ۚ وَيَضْرِبُ اللَّهُ الْأَمْثَالَ لِلنَّاسِ ۗ وَاللَّهُ بِكُلِّ شَيْءٍ عَلِيمٌ ﴿٣٥﴾
অর্থঃ আল্লাহ আসমানসমূহ ও যমীনের নূর। তাঁর নূরের উপমা একটি তাকের মতই। তাতে রয়েছে একটি প্রদীপ, প্রদীপটি রয়েছে একটি চিমনির মধ্যে। চিমনিটি উজ্জ্বল তারকার মতই। প্রদীপটি বরকতময় যাইতূন গাছের তেল দ্বারা জ্বালানো হয়, যা পূর্ব দিকেরও নয় এবং পশ্চিম দিকেরও নয়। এর তেল যেন আলো বিকিরণ করে, যদিও তাতে আগুন স্পর্শ না করে। নূরের উপর নূর। আল্লাহ যাকে ইচ্ছা হিদায়াত করেন তাঁর নূরের দিকে। আর আল্লাহ মানুষের জন্য উপমাসমূহ উপস্থাপন করেন। আর আল্লাহ প্রতিটি বস্তু সম্পর্কে সম্যক জ্ঞাত। (সূরা-আন নুর: ২৪:৩৫)وَشَجَرَةً تَخْرُجُ مِن طُورِ سَيْنَاءَ تَنبُتُ بِالدُّهْنِ وَصِبْغٍ لِّلْآكِلِينَ ﴿٢٠﴾
অর্থঃ আর এক বৃক্ষ যা সিনাই পাহাড় হতে উদগত হয়, যা আহারকারীদের জন্য তেল ও তরকারী উৎপন্ন করে। (সূরা মুমিনুন ২৩:২০)আল কুরতুবি (রহঃ) বলেন, এখানে জলপাই গাছের কথা বলা হয়েছে। একে এককভাবে উল্লেখ করার কারণ হল, এ গাছের অনেক উপকারী গুণ রয়েছে। আল্লাহ তা'আলা বলেন:
وَالتِّيْنِ وَالزَّيْتُوْنِ
অর্থঃ শপথ তীন ও যায়তূন-এর (যা জন্মে সিরিয়া ও ফিলিস্তিন এলাকায় যে স্থান বহু পুণ্যময় নবী ও রাসূলের স্মৃতিতে ধন্য) (আত-তীন ৯৫:১)ইবনে আব্বাস (রাঃ) বলেন, আপনারা জানেন এর দ্বারা যাইতুন (ডুমুর) ও জলপাই গাছকে বোঝানো হয়েছে। অতঃপর তিনি আরো বলেন: জলপাই গাছ হল বরকতময়। বর্ণিত আছে, আবু উসাইদ (রাঃ) বলেন, আল্লাহর রাসূল (ﷺ) বলেন:
“তোমরা জলপাইয়ের তেল খাও এবং শরীরে ব্যবহার কর, কারণ এ তেল উৎপন্ন হয় এক বরকতময় গাছ থেকে।” [সহীহুল জামি, ৪৪৯৮]
আরো বর্ণিত আছে, ইবনে ওমর (রাঃ) বলেন, আল্লাহর রাসূল (ﷺ) বলেন:
“তোমরা যয়তুন তেল রুটির সঙ্গে চাটনী হিসেবে খাও এবং এ তেল শরীরে ব্যবহার কর, কারণ এ তেল উৎপন্ন হয় এক বরকতময় গাছ থেকে।” [হাসান হাদিস, দেখুন: সহীহুল জামি, ১৮]
উকবাহ বিন আমির থেকে বর্ণিত, প্রিয় নবী মুহাম্মাদ (ﷺ) বলেন:
“তোমরা যয়তুন তেল ব্যবহার করবে: এটা খাবে এবং শরীরে মাখবে। কারণ এ তেল পাইলস রোগের বিরুদ্ধে উপকারী ভূমিকা রাখে।” [দুর্বল হাদিস। দেখুন: যঈফুল জামি, হাদিস নং-৩৭৮৪, আল তিব্ব আল নববিতে ইবনে আল সুন্নি কর্তৃক বর্ণিত হয়েছে]
এদের নিরাময় ক্ষমতা খুবই চমৎকার। রোগীরা তাদের ব্যথার স্থানে এ তেল ব্যবহার করতে পারেন, তবে ব্যবহারের আগে এর উপর কুরআন তেলাওয়াত করে নিতে হবে। আর যারা মন্দ জ্বিন বা ওঝা-কবিরাজের বদনজরে আক্রান্ত তারাও এ তেল ব্যবহার করে উপকার লাভ করতে পারেন।
যয়তুন তেলে রয়েছে স্বস্তি ও প্রশান্তিদায়ক ক্ষমতা। কালো জিরা থেকে উৎপন্ন তেলের তুলনায় মালিশ হিসেবে যয়তুন তেল ব্যবহার করাই উত্তম। কারণ কালো জিরার তেল অনেক উত্তপ্ত।
ডা. হাসান সুমাইসি যয়তুন তেলের ওপর গবেষণা করেছেন। তিনি এর ঔষধি গুণ গুলো উল্লেখ করার পাশাপাশি বলেন, শুষ্ক ত্বকের জন্য এটি খুবই উপকারী ময়েশ্চারাইজার। হাত ও পায়ের ফাটা দাগের জন্য এ তেল ব্যবহার করা যেতে পারে।
বিশেষ করে হৃদরোগ আক্রমণ প্রতিরোধের ক্ষেত্রে যয়তুন তেল বেশ উপকারী। এছাড়াও উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ ও পিত্ত পাথরের চিকিৎসায় এ তেল বেশ উপকারী ভূমিকা পালন করে। ডায়াবেটিসের চিকিৎসায় এটি উপকারী ভূমিকা রাখে, এ তেল পুষ্টিকর উপাদান হিসেবেও ব্যবহার করা যেতে পারে। শরীরের ক্ষতিকর কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে যয়তুন তেল ভালো কাজ করে। [ড. হাসান সুমাইসি বাশা, যাইত আল যাইতুন বাইনা আল তিব্ব ওয়াল কুরআন]
তাই আল্লাহর রাসূল (ﷺ) যথার্থই বলেছেন:
“তোমরা যয়তুন তেল খাও এবং শরীরে ব্যবহার কর, কারণ এ তেল উৎপন্ন হয় এক বরকতময় গাছ থেকে।”
অসুস্থ ব্যক্তি কোরআনের আয়াত পাঠ করা হয়েছে এমন যয়তুন তেল দিয়ে তৈরি মালিশ ব্যবহার করবে, এছাড়া একইভাবে কুরআনের আয়াত পাঠ করা পানি পান ও এ পানি দিয়ে শরীর ধৌত করলে তাও উপকারী ভূমিকা রাখবে।
অসুস্থ ব্যক্তি উপরোক্ত কর্মসূচি অনুসরণ করার পাশাপাশি বেশি বেশি করে কুরআন তেলাওয়াত করবেন, পূর্ণ মনোযোগে কুরআনের তেলাওয়াত শুনবেন, একনিষ্ঠভাবে আল্লাহর স্মরণে নিজেকে নিয়োজিত রাখবেন। এতে কারো যদি জ্বিনের ক্ষতি থেকে থাকে তাহলে সেই জ্বিন ভয়ে পালাবে এবং আর কখনো ফিরে আসবে না, অথবা জ্বিনটি মারা যাবে বা ভস্মীভূত হবে অথবা দুর্বল হয়ে যাবে অথবা এতটা পরিমাণে ওজন হারাবে যে, এ জ্বিন আর কারো ক্ষতি করতে পারবে না। আর যখন রোগীর ওপর কুরআন তিলাওয়াত করা হয়, তখন জ্বিন তিলাওয়াতকারীর আদেশ মেনে চলে।