সিয়াম ও রামাদান

  1. Abu Abdullah

    সালাত তারাবীহর নামাযে কুরআন খতম

    তারাবীহর নামাযে কুরআন খতম করার ব্যাপারে শায়খ ইবনে বায (রঃ) বলেন, এ ব্যাপারে প্রশস্ততা আছে। তবে আমার এমন কোন দলীল জানা নেই, যাকে কেন্দ্র করে বলা যায় যে, তারাবীহর নামাযে কুরআন খতম উত্তম। অবশ্য কিছু উলামা বলেন যে, ইমামের জন্য পূর্ণ কুরআন শুনানো উত্তম; যাতে করে জামাআতের জন্য (অন্ততপক্ষে বছরে একবার)...
  2. Abu Abdullah

    সালাত তারাবীহর নামাযের ক্বিরাআত

    মহানবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম) রাতের কিয়ামকে খুব লম্বা করতেন। মা আয়েশা (রাঃ) বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম) ৪ রাকআত নামায পড়তেন। সুতরাং তুমি সেই নামাযের সৌন্দর্য ও দৈর্ঘ্যের ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করো না। (অর্থাৎ অত্যন্ত সুন্দর ও দীর্ঘ হত।) অতঃপর তিনি ৪ রাকআত নামায পড়তেন। সুতরাং...
  3. Abu Abdullah

    সালাত তারাবীহর প্রত্যেক দুই রাকআতের মাঝে যিকর

    প্রত্যেক দুই রাকআতে সালাম ফিরে তসবীহ, ইস্তিগফার বা দুআ পড়া দোষাবহ নয়। তবে এ সময় উচ্চস্বরে সে সব পড়া উচিৎ নয়। কারণ, তার কোন দলীল নেই।[1] প্রকাশ থাকে যে, ঐ সকল যিক্র বা দুআ যা ফরয নামাযের পর পড়া হয়ে থাকে। পক্ষান্তরে এই নামাযের প্রত্যেক ২ রাকআত পরপর সালাম ফিরে নির্দিষ্ট যিক্র; যেমন ‘‘সুবহানা যিল...
  4. Abu Abdullah

    সালাত তারাবীহর নামাযের পদ্ধতি

    মহানবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম)-এর রাতের নামায সাধারণভাবে একই নিয়ম-পদ্ধতির অনুসারী ছিল না। বরং তাঁর এই নামায ছিল একাধিক ধরনের একাধিক নিয়মের। নিম্নে সংক্ষেপে সেই সব নিয়মাবলী মুসলিমের অবগতির জন্য উল্লেখ করা হলঃ- ১। তিনি ১৩ রাকআত নামায পড়তেন। প্রথমে হাল্কা করে ২ রাকআত দিয়ে শুরু করতেন।...
  5. Abu Abdullah

    সিয়াম তারাবীহর জন্য অর্থের বিনিময়ে ইমাম নিয়োগ

    তারাবীহর নামাযের জন্য সুমধুর কণ্ঠবিশিষ্ট হাফেয-ক্বারী ইমাম অর্থের বিনিময়ে নিয়োগ দেয়া দোষাবহ নয়। তবে (ক্বারী সাহেবের তরফ থেকে) পারিশ্রমিক নির্দিষ্ট করা উচিৎ নয়। যেহেতু এক জামাআত সলফ এ কাজকে অপছন্দ করেছেন। অবশ্য মসজিদের জামাআত যদি অনির্দিষ্ট- ভাবে তাঁকে অনেক কিছু দিয়ে পুরস্কৃত বা সাহায্য করেন...
  6. Abu Abdullah

    সিয়াম রোযাদারের জন্য যা করা অপছন্দনীয়

    উলামাগণ কিছু এমন বৈধ কর্ম করাকে রোযাদারের জন্য অপছন্দনীয় মনে করেন, যা করার ফলে তার রোযা নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা থাকে। আর তা নিম্নরূপঃ- মুখে থুথু জমা করে গিলে নেওয়া। গয়ের বা শ্লেমা গিলা। চুইংগাম জাতীয় কিছু চিবানো। দাঁতের ফাঁকে লেগে থাকা খাবার পরি®কার না করা। অপ্রয়োজনে খাবার চেখে দেখা। কারণ, তা গলার...
  7. Abu Abdullah

    সালাত তারাবীহর জামাআতে মহিলাদের অংশগ্রহণ

    যদি কোন ফিতনা সৃষ্টির আশঙ্কা না থাকে, তাহলে তারাবীহর জামাআতে মহিলাদের উপস্থিত হওয়া দোষাবহ নয়। অবশ্য শর্ত হল, তারা যেন সম্ভ্রমপূর্ণ লেবাস পরিধান করে, বেপর্দা হয়ে নিজেদের সৌন্দর্য প্রকাশ না করে এবং কোন প্রকারের সুবাস ও সুগন্ধি ব্যবহার না করে মসজিদে যায়।[1] মহানবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম)...
  8. Abu Abdullah

    সালাত তারাবীহর জামাআত

    রমাযানের কিয়াম জামাআতে পড়া বিধেয়; যেমন একাকী পড়াও বৈধ। তবে মসজিদে জামাআত সহকারে এই নামায আদায় করাই (অধিকাংশ উলামার মতে) উত্তম। পূর্বে উল্লেখিত হয়েছে যে, রসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম) সাহাবাদেরকে নিয়ে উক্ত নামায জামাআত সহকারে আদায় করেছেন। অবশ্য তা ফরয হয়ে যাওয়ার আশঙ্কায় তিনি জামাআত করে...
  9. Abu Abdullah

    সালাত তারাবীহর রাকআত-সংখ্যা

    সুন্নত ও আফযল হল এই নামায বিত্র সহ ১১ রাকআত পড়া। মহানবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম)-এর রাতের নামায সম্বন্ধে সর্বাধিক বেশী খবর রাখতেন যিনি, সেই আয়েশা (রাঃ)কে জিজ্ঞাসা করা হল যে, রমাযানে আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম)-এর নামায কত রাকআত ছিল? উত্তরে তিনি বললেন, ‘তিনি রমাযানে এবং...
  10. Abu Abdullah

    সালাত তারাবীহ নামাযের নিয়ত

    নিয়ত মানে মনের সংকল্প। আর তার স্থান হল অন্তর; মুখ নয়। মহানবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম) ও তাঁর সাহাবাদের কেউই কোন নির্দিষ্ট শব্দ মুখে উচ্চারণ করতেন না। তাই তা মুখে উচ্চারণ করা বিদআত। তাছাড়া নিয়তের জন্য কোন বাঁধা-ধরা শব্দাবলীও নেই। জ্ঞাতব্য যে, তারাবীহর শুরুতেই কেউ যদি সমস্ত নামাযের একবার...
  11. Abu Abdullah

    সালাত তারাবীহর নামায আদায় করার সময়

    তারাবীহর নামায আদায় করার সময় হল, রমাযানের (চাঁদ দেখার রাত সহ) প্রত্যেক রাত্রে এশার ফরয ও সুন্নত নামাযের পর বিত্র পড়ার আগে। অবশ্য শেষ রাত্রে ফজর উদয় হওয়ার আগে পর্যন্ত এর সময় বিস্থির্ণ। যেহেতু মহানবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম) প্রথম রাত্রে তার প্রথম ভাগে শুরু করে রাত্রের এক-তৃতীয়াংশ অতিবাহিত...
  12. Abu Abdullah

    সালাত তারাবীহর নামাযের মান ও তার মাহাত্ম্য

    তারাবীহর নামায নারী-পুরুষ সকলের জন্য সুন্নাতে মুআক্কাদাহ। বহু হাদীসগ্রন্থে আবূ হুরাইরা (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত, তিনি বলেন, ‘আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম) কিয়ামে রামাযানের ব্যাপারে (সকলকে) উৎসাহিত করতেন; কিন্তু তিনি বাধ্যতামূলকরূপে আদেশ দিতেন না। তিনি বলতেন, ‘‘যে ব্যক্তি ঈমান রেখে...
  13. Abu Abdullah

    সালাত তারাবীহর নামায বা কিয়ামে রামাযান

    কিয়ামে রামাযান বা রমাযানের কিয়ামকে স্বালাতুত তারাবীহ বা তারাবীহর নামায বলা হয়। ‘তারাবীহ’ মানে হল আরাম করা। যেহেতু সলফে সালেহীনগণ ৪ রাকআত নামায পড়ে বিরতির সাথে বসে একটু আরাম নিতেন, তাই তার নামও হয়েছে তারাবীহর নামায। আর ঐ আরাম নেওয়ার দলীল হল মা আয়েশার হাদীস; যাতে তিনি বলেন, ‘নবী (সাল্লাল্লাহু...
  14. Abu Abdullah

    সিয়াম রমাযানে যে যে কাজ করা রোযাদারের কর্তব্য

    মাহাত্ম্যপূর্ণ রমাযান মাসে কি কি নেক কাজ করা কর্তব্য তা উল্লেখ করার পূর্বে কয়েকটি বিষয় লক্ষ্যণীয়ঃ- (এই মৌসমের মূল্য ও মাহাত্ম্য প্রকৃতভাবে উপলব্ধি করা। আপনি এ কথা স্মরণে রাখবেন যে, যদি এই সওয়াবের মৌসম আপনার হাত ছাড়া হয়ে যায়, তাহলে তা পুনরায় ফিরে পাওয়ার কোন নিশ্চয়তা নেই। তাছাড়া এটি হল সংকীর্ণ...
  15. Abu Abdullah

    সিয়াম রোযা নষ্ট হওয়ার শর্তাবলী

    উপর্যুক্ত রোযা নষ্টকারী (মাসিক ও নিফাসের খুন ব্যতীত) সকল জিনিস কেবল তখনই রোযা নষ্ট করবে, যখন তার সাথে ৩টি শর্ত অবশ্যই পাওয়া যাবে। আর সে শর্ত ৩টি নিম্নরূপঃ- রোযাদার জানবে যে, এই জিনিস এই সময়ে ব্যবহার করলে তার রোযা নষ্ট হয়ে যাবে। অর্থাৎ, তা ব্যবহার করার সময় তার এ কথা অজানা থাকলে চলবে না যে, এই...
  16. Abu Abdullah

    সিয়াম রোযা অবস্থায় বেহুশ হওয়া

    রোযাদার যদি ফজর থেকে নিয়ে মাগরেব পর্যন্ত বেহুশ থাকে, তাহলে তার রোযা শুদ্ধ হবে না এবং তাকে ঐ দিনের রোযা কাযা রাখতে হবে। আর এ কথা পূর্বে আলোচিত হয়েছে। রমাযানের ফাযায়েল ও রোযার মাসায়েল শাইখ আব্দুল হামীদ আল-ফাইযী আল-মাদানী
  17. Abu Abdullah

    সিয়াম রোযা অবস্থায় মুরতাদ হওয়া

    কোন সন্দেহ, কথা বা কাজের ফলে যদি কোন রোযাদার মুরতাদ্দ্ (কাফের) হয়ে যায় (নাঊযু বিল্লাহি মিন যালিক), তাহলে সকলের মতে তার রোযা বাতিল হয়ে যাবে। অতঃপর সে যদি তওবা করে পুনরায় মুসলিম হয়, তাহলে ঐ রোযা তাকে কাযা করতে হবে; যদিও সে ঐ দিনে রোযা নষ্টকারী কোন জিনিস ব্যবহার না করে। যেহেতু খোদ মুরতাদ্দ্ হওয়াটাই...
  18. Abu Abdullah

    সিয়াম রোযা অবস্থায় নিয়ত বাতিল করা

    নিয়ত প্রত্যেক ইবাদত তথা রোযার অন্যতম রুকন। আর সারা দিন সে নিয়ত নিরবচ্ছিন্নভাবে মনে জাগ্রত রাখতে হবে; যাতে রোযাদার রোযা না রাখার বা রোযা বাতিল করার কোন প্রকার দৃঢ় সংকল্প না করে বসে। বলা বাহুল্য, রোযা না রাখার নিয়ত করলে এবং তার নিয়ত বাতিল করে দিলে সারাদিন পানাহার আদি না করে উপবাস করলেও রোযা বাতিল...
  19. Abu Abdullah

    সিয়াম রোযা অবস্থায় দূষিত রক্ত বের করা

    দেহ থেকে দূষিত রক্ত বের করলে রোযা নষ্ট হবে কি না - সে নিয়ে মতভেদের কথা পূর্বে আলোচিত হয়েছে এবং সঠিক মত এই যে, তাতে রোযা নষ্ট হবে না। অবশ্য পূর্বসতর্কতামূলক আমল এই যে, রোযাদার রোযা অবস্থায় দিনের বেলায় ঐ কাজ করবে না।[1] [1] (সাবঊনা মাসআলাহ ফিস্-সিয়াম ৫৬নং) রমাযানের ফাযায়েল ও রোযার মাসায়েল...
  20. Abu Abdullah

    সিয়াম রোযা অবস্থায় মহিলার মাসিক অথবা নিফাস শুরু হওয়া

    মহিলার মাসিক অথবা নিফাসের খুন বের হতে শুরু হলে তার রোযা নষ্ট হয়ে যায়। যদি সূর্য অস্ত যাওয়ার সামান্য ক্ষণ পূর্বে খুন দেখা দেয়, তাহলে তার ঐ দিনের রোযা বাতিল এবং সূর্য অস্ত যাওয়ার সামান্য ক্ষণ পরে দেখা দিলে তার ঐ দিনের রোযা শুদ্ধ।[1] [1] (সামানিয়া ওয়া আরবাঊন সুআলান ফিস্-সিয়াম ১৫পৃঃ) রমাযানের...
Back
Top