সিয়াম ও রামাদান

  1. Abu Abdullah

    সালাত তারাবীহর রাকআত-সংখ্যা

    সুন্নত ও আফযল হল এই নামায বিত্র সহ ১১ রাকআত পড়া। মহানবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম)-এর রাতের নামায সম্বন্ধে সর্বাধিক বেশী খবর রাখতেন যিনি, সেই আয়েশা (রাঃ)কে জিজ্ঞাসা করা হল যে, রমাযানে আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম)-এর নামায কত রাকআত ছিল? উত্তরে তিনি বললেন, ‘তিনি রমাযানে এবং...
  2. Abu Abdullah

    সালাত তারাবীহ নামাযের নিয়ত

    নিয়ত মানে মনের সংকল্প। আর তার স্থান হল অন্তর; মুখ নয়। মহানবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম) ও তাঁর সাহাবাদের কেউই কোন নির্দিষ্ট শব্দ মুখে উচ্চারণ করতেন না। তাই তা মুখে উচ্চারণ করা বিদআত। তাছাড়া নিয়তের জন্য কোন বাঁধা-ধরা শব্দাবলীও নেই। জ্ঞাতব্য যে, তারাবীহর শুরুতেই কেউ যদি সমস্ত নামাযের একবার...
  3. Abu Abdullah

    সালাত তারাবীহর নামায আদায় করার সময়

    তারাবীহর নামায আদায় করার সময় হল, রমাযানের (চাঁদ দেখার রাত সহ) প্রত্যেক রাত্রে এশার ফরয ও সুন্নত নামাযের পর বিত্র পড়ার আগে। অবশ্য শেষ রাত্রে ফজর উদয় হওয়ার আগে পর্যন্ত এর সময় বিস্থির্ণ। যেহেতু মহানবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম) প্রথম রাত্রে তার প্রথম ভাগে শুরু করে রাত্রের এক-তৃতীয়াংশ অতিবাহিত...
  4. Abu Abdullah

    সালাত তারাবীহর নামাযের মান ও তার মাহাত্ম্য

    তারাবীহর নামায নারী-পুরুষ সকলের জন্য সুন্নাতে মুআক্কাদাহ। বহু হাদীসগ্রন্থে আবূ হুরাইরা (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত, তিনি বলেন, ‘আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম) কিয়ামে রামাযানের ব্যাপারে (সকলকে) উৎসাহিত করতেন; কিন্তু তিনি বাধ্যতামূলকরূপে আদেশ দিতেন না। তিনি বলতেন, ‘‘যে ব্যক্তি ঈমান রেখে...
  5. Abu Abdullah

    সালাত তারাবীহর নামায বা কিয়ামে রামাযান

    কিয়ামে রামাযান বা রমাযানের কিয়ামকে স্বালাতুত তারাবীহ বা তারাবীহর নামায বলা হয়। ‘তারাবীহ’ মানে হল আরাম করা। যেহেতু সলফে সালেহীনগণ ৪ রাকআত নামায পড়ে বিরতির সাথে বসে একটু আরাম নিতেন, তাই তার নামও হয়েছে তারাবীহর নামায। আর ঐ আরাম নেওয়ার দলীল হল মা আয়েশার হাদীস; যাতে তিনি বলেন, ‘নবী (সাল্লাল্লাহু...
  6. Abu Abdullah

    সিয়াম রমাযানে যে যে কাজ করা রোযাদারের কর্তব্য

    মাহাত্ম্যপূর্ণ রমাযান মাসে কি কি নেক কাজ করা কর্তব্য তা উল্লেখ করার পূর্বে কয়েকটি বিষয় লক্ষ্যণীয়ঃ- (এই মৌসমের মূল্য ও মাহাত্ম্য প্রকৃতভাবে উপলব্ধি করা। আপনি এ কথা স্মরণে রাখবেন যে, যদি এই সওয়াবের মৌসম আপনার হাত ছাড়া হয়ে যায়, তাহলে তা পুনরায় ফিরে পাওয়ার কোন নিশ্চয়তা নেই। তাছাড়া এটি হল সংকীর্ণ...
  7. Abu Abdullah

    সিয়াম রোযা নষ্ট হওয়ার শর্তাবলী

    উপর্যুক্ত রোযা নষ্টকারী (মাসিক ও নিফাসের খুন ব্যতীত) সকল জিনিস কেবল তখনই রোযা নষ্ট করবে, যখন তার সাথে ৩টি শর্ত অবশ্যই পাওয়া যাবে। আর সে শর্ত ৩টি নিম্নরূপঃ- রোযাদার জানবে যে, এই জিনিস এই সময়ে ব্যবহার করলে তার রোযা নষ্ট হয়ে যাবে। অর্থাৎ, তা ব্যবহার করার সময় তার এ কথা অজানা থাকলে চলবে না যে, এই...
  8. Abu Abdullah

    সিয়াম রোযা অবস্থায় বেহুশ হওয়া

    রোযাদার যদি ফজর থেকে নিয়ে মাগরেব পর্যন্ত বেহুশ থাকে, তাহলে তার রোযা শুদ্ধ হবে না এবং তাকে ঐ দিনের রোযা কাযা রাখতে হবে। আর এ কথা পূর্বে আলোচিত হয়েছে। রমাযানের ফাযায়েল ও রোযার মাসায়েল শাইখ আব্দুল হামীদ আল-ফাইযী আল-মাদানী
  9. Abu Abdullah

    সিয়াম রোযা অবস্থায় মুরতাদ হওয়া

    কোন সন্দেহ, কথা বা কাজের ফলে যদি কোন রোযাদার মুরতাদ্দ্ (কাফের) হয়ে যায় (নাঊযু বিল্লাহি মিন যালিক), তাহলে সকলের মতে তার রোযা বাতিল হয়ে যাবে। অতঃপর সে যদি তওবা করে পুনরায় মুসলিম হয়, তাহলে ঐ রোযা তাকে কাযা করতে হবে; যদিও সে ঐ দিনে রোযা নষ্টকারী কোন জিনিস ব্যবহার না করে। যেহেতু খোদ মুরতাদ্দ্ হওয়াটাই...
  10. Abu Abdullah

    সিয়াম রোযা অবস্থায় নিয়ত বাতিল করা

    নিয়ত প্রত্যেক ইবাদত তথা রোযার অন্যতম রুকন। আর সারা দিন সে নিয়ত নিরবচ্ছিন্নভাবে মনে জাগ্রত রাখতে হবে; যাতে রোযাদার রোযা না রাখার বা রোযা বাতিল করার কোন প্রকার দৃঢ় সংকল্প না করে বসে। বলা বাহুল্য, রোযা না রাখার নিয়ত করলে এবং তার নিয়ত বাতিল করে দিলে সারাদিন পানাহার আদি না করে উপবাস করলেও রোযা বাতিল...
  11. Abu Abdullah

    সিয়াম রোযা অবস্থায় দূষিত রক্ত বের করা

    দেহ থেকে দূষিত রক্ত বের করলে রোযা নষ্ট হবে কি না - সে নিয়ে মতভেদের কথা পূর্বে আলোচিত হয়েছে এবং সঠিক মত এই যে, তাতে রোযা নষ্ট হবে না। অবশ্য পূর্বসতর্কতামূলক আমল এই যে, রোযাদার রোযা অবস্থায় দিনের বেলায় ঐ কাজ করবে না।[1] [1] (সাবঊনা মাসআলাহ ফিস্-সিয়াম ৫৬নং) রমাযানের ফাযায়েল ও রোযার মাসায়েল...
  12. Abu Abdullah

    সিয়াম রোযা অবস্থায় মহিলার মাসিক অথবা নিফাস শুরু হওয়া

    মহিলার মাসিক অথবা নিফাসের খুন বের হতে শুরু হলে তার রোযা নষ্ট হয়ে যায়। যদি সূর্য অস্ত যাওয়ার সামান্য ক্ষণ পূর্বে খুন দেখা দেয়, তাহলে তার ঐ দিনের রোযা বাতিল এবং সূর্য অস্ত যাওয়ার সামান্য ক্ষণ পরে দেখা দিলে তার ঐ দিনের রোযা শুদ্ধ।[1] [1] (সামানিয়া ওয়া আরবাঊন সুআলান ফিস্-সিয়াম ১৫পৃঃ) রমাযানের...
  13. Abu Abdullah

    সিয়াম রোযা অবস্থায় বমি করা

    ইচ্ছাকৃত বমি করলে, অর্থাৎ পেটে থেকে খাওয়া খাদ্য (বমন ও উদ্গিরণ করে) বের করে দিলে, মুখে আঙ্গুল ভরে, পেট নিঙ্রে, কোন বিকট দুর্গন্ধ জাতীয় কিছুর ঘ্রাণ নাকে নিয়ে, অথবা অরুচিকর ঘৃণ্য কিছু দেখে উল্টি করলে রোযা নষ্ট হয়ে যাবে। সে ক্ষেত্রে ঐ রোযার কাযা জরুরী।[1] পক্ষান্তরে সামলাতে না পেরে অনিচ্ছাকৃতভাবে...
  14. Abu Abdullah

    সিয়াম রোযা অবস্থায় যা এক অর্থে পানাহার

    স্বাভাবিক পানাহারের পথ ছাড়া অন্য ভাবে পানাহারের কাজ নিলে তাতেও রোযা নষ্ট হয়ে যাবে। যেমন খাবারের কাজ দেয় এমন (স্যালাইন ইঞ্জেকশন) নিলে রোযা হবে না। কেননা, তাতে পানাহারের অর্থ বিদ্যমান। আর শরীয়তের নির্দেশ-বাণীতে যে ব্যাপক অর্থ পাওয়া যায়, যে কোন অবস্থায় সেই অর্থ পাওয়া গেলে সেই নির্দেশ ঐ অবস্থার উপর...
  15. Abu Abdullah

    সিয়াম রোযা অবস্থায় পানাহার

    পানাহার বলতে পেটের মধ্যে যে কোন প্রকারে কোন খাদ্য অথবা পানীয় পৌঁছানোকে বুঝানো হয়েছে; চাহে তা মুখ দিয়ে হোক অথবা নাক দিয়ে, পানাহারের বস্ত্ত যেমনই হোক; উপকারী বা উপাদেয় হোক অথবা অপকারী বা অনুপাদেয়, হালাল হোক অথবা হারাম, অল্প হোক অথবা বেশী। বলা বাহুল্য, (বিড়ি, সিগারেট, গাঁজা প্রভৃতির) ধূমপান রোযা...
  16. Abu Abdullah

    সিয়াম রোযা অবস্থায় বীর্যপাত

    রোযা নষ্টকারী কর্মাবলীর মধ্যে জাগ্রত অবস্থায় সকাম যৌন-স্বাদ অনুভূতির সাথে বীর্যপাত অন্যতম; চাহে সে বীর্যপাত (নিজ অথবা স্ত্রীর) হস্তমৈথুন দ্বারা হোক অথবা কোলাকুলি দ্বারা, নচেৎ চুম্বন অথবা প্রচাপন দ্বারা। কারণ, উক্ত প্রকার সকল কর্মই হল এক এক শ্রেণীর যৌনাচার। অথচ মহান আল্লাহ (হাদীসে কুদসীতে) বলেন...
  17. Abu Abdullah

    সিয়াম রোযা অবস্থায় স্ত্রী-সঙ্গম

    যে সব কারণে রোযা নষ্ট হয় তা দুই শ্রেণীর; প্রথম শ্রেণীর কারণ রোযা নষ্ট করে এবং তাতে কাযা ওয়াজেব হয়। আর দ্বিতীয় শ্রেণীর কারণ রোযা নষ্ট করে এবং কাযার সাথে কাফ্ফারাও ওয়াজেব করে। যে কারণে রোযা নষ্ট হয় এবং কাযার সাথে কাফ্ফারাও ওয়াজেব হয়; তা হলঃ- ১। স্ত্রী-সঙ্গমঃ সঙ্গম বলতে স্ত্রী-যোনীতে স্বামীর...
  18. Abu Abdullah

    সিয়াম রোযা অবস্থায় সফর করা

    রোযাদারের জন্য এমন দেশে সফর করে রোযা রাখা বৈধ, যেখানের দিন ঠান্ডা ও ছোট।[1] [1] (ইবনে উষাইমীন, মাজমূ’ ফাতাওয়া ১/৫০৬) রমাযানের ফাযায়েল ও রোযার মাসায়েল শাইখ আব্দুল হামীদ আল-ফাইযী আল-মাদানী
  19. Abu Abdullah

    সিয়াম রোযা অবস্থায় দিনে ঘুমানো

    রোযাদারের জন্য দিনে ঘুমানো বৈধ। কিন্তু সকল নামায তার যথাসময়ে জামাআত সহকারে আদায় করতে অবহেলা প্রদর্শন করা বৈধ নয়। যেমন, বিভিন্ন ইবাদতের কল্যাণ থেকে নিজেকে বঞ্চিত করা উচিৎ নয়। বরং উচিৎ হল, ঘুমিয়ে সময় নষ্ট না করে রমাযানের সেই মাহাত্ম্যপূর্ণ সময়কে নফল নামায, যিক্র-আযকার ও কুরআন কারীম তেলাঅত দ্বারা...
  20. Abu Abdullah

    সিয়াম ফজর উদয় হওয়ার পরেও নাপাক থাকা

    স্ত্রী-সঙ্গম অথবা স্বপ্নদোষ হওয়ার পরেও সময় অভাবে গোসল না করে নাপাক অবস্থাতেই রোযাদার রোযার নিয়ত করতে এবং সেহরী খেতে পারে। এমন কি সেহরীর সময় শেষ হয়ে গেলেও আযানের পর গোসল করতে পারে। এ ক্ষেত্রে রোযার শুরুর কিছু অংশ নাপাকে অতিবাহিত হলেও রোযার কোন ক্ষতি হবে না। অবশ্য নামাযের জন্য গোসল জরুরী। মা...
Back
Top