সিয়াম ও রামাদান

  1. Abu Abdullah

    সিয়াম ফজরের পর চাঁদ হওয়ার খবর পেলে

    যে ব্যক্তি রমাযান মাস প্রবেশ (চাঁদ) হওয়ার কথা ফজরের পর দিনের কোন অংশে জানতে পারে তার উচিৎ, (আগে কিছু খেয়ে থাকলেও) বাকী দিন পানাহার ইত্যাদি থেকে বিরত থাকা। কারণ, সে দিন হল রমাযানের পহেলা তারীখ। আর রমাযানের কোন দিনে কোন গৃহবাসী (অমুসাফির) সুস্থ মানুষের জন্য রোযা ভঙ্গকারী কোন জিনিস ব্যবহার করা বৈধ...
  2. Abu Abdullah

    সিয়াম সঊদিয়ার চাঁদ অনুসারে রোযা-ঈদ চলবে না

    পূর্বেই আলোচিত হয়েছে যে, মুসলিম যে দেশে বাস করবে, সেই দেশেরই চাঁদ দেখা অনুযায়ী রোযা-ঈদ করবে। কেননা, মহানবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম) বলেন, ‘‘যেদিন তোমরা রোযা রাখ, সেদিন রোযার দিন, যেদিন তোমরা ঈদ কর, সেদিন ঈদের দিন এবং যেদিন তোমরা কুরবানী কর সেদিন কুরবানীর দিন।’’[1] সুতরাং সঊদী আরবে চাঁদ...
  3. Abu Abdullah

    সিয়াম কাফের দেশে বসবাসকারী কি করবে?

    যে মুসলিমরা কাফের দেশে বাস করে, যেখানে তাদের চাঁদ দেখার শরয়ী ব্যবস্থা নেই, সেখানে তারা নিজেরা চাঁদ দেখা শরয়ীভাবে প্রমাণ করতে পারে। তারা নিজেরাই চাঁদ দেখার দায়িত্ব বহন করবে। কিছু উলামা ও গণ্যমান্য লোক মিলে হিলাল-কমিটি গঠন করবে। অতঃপর তাঁদের কাছে চাঁদ দেখা প্রমাণ হলে প্রচার-মাধ্যমে প্রচার করবে...
  4. Abu Abdullah

    সিয়াম কেউ একা চাঁদ দেখলে কি করবে?

    যে ব্যক্তি কোন দূরবর্তী জায়গায় থেকে একাকী চাঁদ দেখে; দেখাতে তার কোন সাথী না থাকে অথবা সে ছাড়া অন্য কেউ না দেখে এবং এ দেখার ব্যাপারে নিশ্চিত হয়, তাহলে তার জন্য রোযা রাখা ওয়াজেব। কারণ, এ ব্যাপারে মহান আল্লাহর সাধারণ বাণী হল, (فَمَنْ شَهِدَ مِنْكُمُ الشَّهْرَ فَلْيَصُمْهُ) অর্থাৎ, অতএব তোমাদের...
  5. Abu Abdullah

    সিয়াম মাস প্রমাণ হবে কিভাবে?

    রমাযান মাস প্রবেশ হওয়া প্রমাণ হবে দুয়ের মধ্যে একভাবেঃ- ১। রমাযানের চাঁদ দেখে। যেহেতু মহান আল্লাহ বলেন, (فَمَنْ شَهِدَ مِنْكُمُ الشَّهْرَ فَلْيَصُمْهُ) অর্থাৎ, তোমাদের মধ্যে যে কেউ এ মাস পাবে সে যেন এ মাসে রোযা রাখে। (কুরআনুল কারীম ২/১৮৫) আর মহানবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম) বলেন...
  6. Abu Abdullah

    সিয়াম বিনা ওযরে রোযা ত্যাগ করার সাজা

    যে ব্যক্তি বিনা ওজরে রমাযানের রোযা ত্যাগ করে সে ব্যক্তির দুটি কারণ হতে পারে; হয় সে তা ফরয বলে অস্বীকার করছে এবং তাকে একটি ইবাদত বলে স্বীকৃতি দিচ্ছে না, (নাঊযু বিল্লাহি মিন যালিক।) আর না হয় সে আলসেমি করে তা রাখছে না। সুতরাং যদি সে রোযা ফরয বলে অস্বীকার করে ও বলে যে, রোযা শরীয়তে ফরয নয়, তাহলে সে...
  7. Abu Abdullah

    সিয়াম রমাযানের রোযার মান

    রমাযানের রোযা আল্লাহর কিতাব, তাঁর রসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম)-এর হাদীস ও মুসলিম উম্মাহর ইজমা’ (সর্বসম্মতি) মতে চিরকালের জন্য ফরয। কুরআন কারীমে মহান আল্লাহ বলেন, ﴿يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا كُتِبَ عَلَيْكُمُ الصِّيَامُ كَمَا كُتِبَ عَلَى الَّذِينَ مِنْ قَبْلِكُمْ لَعَلَّكُمْ...
  8. Abu Abdullah

    সিয়াম রোযার প্রকারভেদ

    রোযা হল দুই প্রকার; ফরয (বাধ্যতামূলক) ও নফল (অতিরিক্ত)। ফরয রোযা আবার ৩ প্রকার; রমাযানের রোযা, কাফ্ফারার রোযা এবং নযর মানা রোযা। এক্ষণে রমাযানের রোযা সংক্রান্ত বিভিন্ন মাসায়েল আলোচনা করব। রমাযানের ফাযায়েল ও রোযার মাসায়েল শাইখ আব্দুল হামীদ আল-ফাইযী আল-মাদানী
  9. Abu Abdullah

    সিয়াম রোযার উদ্দেশ্য, লক্ষ্য, উপকারিতা ও যৌক্তিকতা

    মহান আল্লাহর ৯৯ এর অধিক সুন্দর নামাবলীর অন্যতম নাম হল ‘আল-হাকীম।’ ‘আল-হাকীম’ অর্থ হিকমত-ওয়ালা, বিজ্ঞানময়, প্রজ্ঞাময়। আর হিকমত ও প্রজ্ঞা হল সর্বকর্ম যথাযোগ্যভাবে নৈপুণ্যের সাথে সম্পাদন করা। মহান আল্লাহর এই নামের দাবী এই যে, তিনি যা কিছু সৃষ্টি করেছেন অথবা মানুষের জন্য বিধিবদ্ধ করেছেন তার...
  10. Abu Abdullah

    সিয়াম সাধারণভাবে রোযার ফযীলত

    সাধারণভাবে রোযার ফযীলত বর্ণনা করে বহু হাদীস বর্ণিত হয়েছে। নিম্নে কতিপয় সহীহ হাদীস প্রণিধানযোগ্যঃ- ১। আবু হুরাইরা (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত, তিনি বলেন, আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, ‘‘আল্লাহ আয্যা অজাল্ল বলেন, ‘আদম সন্তানের প্রত্যেক আমল তার নিজের জন্য; তবে রোযা নয়, যেহেতু তা...
  11. Abu Abdullah

    সিয়াম কাফের বা অমুসলিমের জন্য রোযা এ দুনিয়ায় আদায়যোগ্য ওয়াজেব নয়

    কাফের বা অমুসলিমের জন্য রোযা এ দুনিয়ায় আদায়যোগ্য ওয়াজেব নয়। কেননা, সে রোযা রাখলেও তা শুদ্ধ হবে না এবং আল্লাহর দরবারে কবুলও হবে না। যেহেতু রোযা (অনুরূপ যে কোন ইবাদত) শুদ্ধ হওয়ার অন্যতম প্রধান শর্ত হল ইসলাম। (যেমন শর্ত হল ইখলাস ও মুহাম্মাদী তরীকা।) মহান আল্লাহ বলেন, (وَمَا مَنَعَهُمْ أَنْ...
  12. Abu Abdullah

    সিয়াম নামায-ত্যাগীর রোযা

    যে ব্যক্তি নামায ফরয হওয়ার কথা অস্বীকার করে এবং ইচ্ছাকৃত তা ত্যাগ করে সে ব্যক্তি উলামাদের সর্বসম্মতভাবে কাফের। পক্ষান্তরে যে ব্যক্তি অবহেলায় অলসতার দরুন নামায ত্যাগ করে, সে ব্যক্তিও উলামাদের শুদ্ধ মতানুসারে কাফের। মহানবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম) বলেন, ‘‘মানুষ এবং কুফর ও শির্কের মাঝে...
  13. Abu Abdullah

    সিয়াম নাবালক ছোট শিশুর জন্য রোযা ফরয নয়

    নাবালক ছোট শিশুর জন্য রোযা ফরয নয়। মহানবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম) বলেন, ‘‘তিন ব্যক্তি নিকট থেকে (পাপ লিখার) কলম তুলে নেওয়া হয়েছে; জ্ঞানশূন্য পাগলের নিকট থেকে; যতক্ষণ না সে সুস্থ হয়েছে। ঘুমন্ত ব্যক্তির নিকট থেকে; যতক্ষণ না সে জাগ্রত হয়েছে। আর শিশুর নিকট থেকে; যতক্ষণ না সে সাবালক...
  14. Abu Abdullah

    সিয়াম পাগলের উপর রোযা ফরয নয়

    পাগলের উপর রোযা ফরয নয়। কারণ, তার উপর থেকে কলম তুলে নেওয়া হয়েছে; যেমন পূর্বোক্ত হাদীসে উল্লেখ করা হয়েছে। অনুরূপ আধ-পাগলা, যার ভালো-মন্দের তমীয নেই এবং অনুরূপ স্থবির বৃদ্ধ, যার তমীয-জ্ঞান নষ্ট হয়ে গেছে। এ সকল জ্ঞানহীন মানুষদের তরফ থেকে খাদ্যদানও ওয়াজেব নয়।[1] পাগল দিনের ভিতরে সুস্থ হলে তার জন্য...
  15. Abu Abdullah

    সিয়াম অক্ষম ব্যক্তির জন্য রোযা ফরয নয়

    ১। বৃদ্ধ ও স্থবির বা অথর্ব ব্যক্তি, যার শারীরিক ক্ষমতা নিঃশেষ হয়ে গেছে এবং দিনের দিন আরো খারাপের দিকে যেতে যেতে মরণের দিকে অগ্রসর হতে চলেছে, সে ব্যক্তির জন্য রোযা ফরয নয়। কষ্ট হলে সে রোযা রাখবে না। মহান আল্লাহ বলেন, (وَعَلَى الَّذِيْنَ يُطِيْقُوْنَهُ فِدْيَةٌ طَعَامُ مِسْكِيْنٍ) অর্থাৎ, যারা...
  16. Abu Abdullah

    সিয়াম মুসাফিরের জন্য রোযা কাযা করা বৈধ

    মুসলিম উম্মাহর সর্বসম্মতিক্রমে মুসাফিরের জন্য রোযা কাযা করা বৈধ; চাহে সে মুসাফির রোযা রাখতে সক্ষম হোক অথবা অক্ষম, রোযা তার জন্য কষ্টদায়ক হোক অথবা না হোক, অর্থাৎ মুসাফির যদি ছায়া ও পানির সকল সুবিধা নিয়ে সফর করে এবং তার সাথে তার খাদেমও থাকে অথবা না থাকে, (সফর এরোপে½নে হোক অথবা পায়ে হেঁটে); যেমনই...
  17. Abu Abdullah

    সিয়াম ইসলামী শরীয়তে রোযা ও তার পর্যায়ক্রম

    মহাবিজ্ঞান ও হিকমতময় মহান আল্লাহর একটি হিকমত ও অনুগ্রহ এই যে, তিনি বান্দার উপর যে আদেশ-নিষেধ আরোপ করেছেন তার মধ্যে বহু বিষয়কেই পর্যায় অনুক্রমে ধীরে ধীরে ফরয অথবা হারাম করেছেন। অনুরূপ তাঁর এক ফরয হল সিয়াম বা রোযা। যা তিনি উম্মতে মুহাম্মাদীর উপর পর্যায়ক্রমে কিছু কিছু করে ফরয করেছেন। যেমনঃ- প্রথম...
  18. Abu Abdullah

    সিয়াম নিফাস ও ঋতুমতী মহিলা খুন থাকা অবস্থায় রোযা রাখবে না

    নিফাস ও ঋতুমতী মহিলা খুন থাকা অবস্থায় রোযা রাখবে না। অবশ্য যে কয় দিন তাদের রোযা ছুটে যাবে তা পরে কাযা করে নেবে। ঋতুমতী যখন মাসিকের খুন বন্ধ হওয়ার পর সাদা স্রাব আসতে দেখবে, তখন রাত থাকলে রোযার নিয়ত করে রোযা রাখবে। কিন্তু সে যদি মাসিক শেষে অভ্যাসগতভাবে সে স্রাব লক্ষ্য না করে থাকে, তাহলে কিছু তুলো...
  19. Abu Abdullah

    সিয়াম পূর্ববর্তী ধর্মমতে রোযা

    মানুষের জন্য রমাযানের রোযাই প্রথম রোযা নয়। কারণ, রোযা হল এমন ইবাদত, যা আল্লাহ তাআলা মানুষ সৃষ্টির পর থেকেই নিজের বান্দার জন্য ফরয করেছেন। তিনি কুরআন মাজীদে বলেন, (يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا كُتِبَ عَلَيْكُمُ الصِّيَامُ كَمَا كُتِبَ عَلَى الَّذِينَ مِنْ قَبْلِكُمْ لَعَلَّكُمْ تَتَّقُونَ)...
  20. Abu Abdullah

    সালাত তাড়াহুড়া না করে সুন্দরভাবে তারাবীহ পড়া

    ইমামের জন্য উচিৎ নয়, নামাযে জলদিবাজি করা এবং কাকের দানা খাওয়ার মত ঠকাঠক নামায শেষ করা। যেহেতু মহানবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম) ও সাহাবায়ে কেরাম এ নামাযকে খুবই লম্বা করে পড়তেন; যেমন পূর্বে এ কথা আলোচিত হয়েছে। মহানবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম)-এর রুকূ ও সিজদাহ প্রায় তাঁর কিয়ামের মতই...
Back
Top