ইবনুল ক্বাইয়্যীম লিখিত ই’লামুল মুওয়াক্কিঈন এর (৪/১০৬) বর্ণনানুসারে শাফেঈ বলেছেন: আর যদি কোনো মতের পক্ষে কিতাব ও সুন্নাহ এর কোনো মর্ম না থাকে, তাহলে আবূ বকর, উমার, ও উছমান এর মত আমার নিকট অন্যদের মতের চেয়ে অধিক প্রিয়, আর যদি তারাও মতানৈক্য করেন, তাহলে আমরা ঐ মতই গ্রহণ করব যেই মতের পক্ষে কিতাব...
যখন আলেমগণ কোনো কর্মে মতানৈক্য করেন, কেউ বলেন: কর্মটি বিদ’আত, আবার কেউ বলেন: কর্মটি বিদ'আত নয়, তখন এই মতানৈক্যের কারণে উক্ত কর্মের উপরে আমল করা বৈধ হয় না। বরং যার কথায় প্রমাণ ও দলীল পাওয়া যাবে তার কথাই গ্রহণ করা হবে, যেহেতু ইবাদত দলীল ব্যতীত সাব্যস্ত হতে পারে না।
মাজমূ' ফাতাওয়া গ্রন্থের...
নাবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর উপস্থিতিতে যদি কোন কর্ম করা হয়, তাতে যদি তিনি মৌন সম্মতি দেন, তাহলে সেটা দলীল হয়ে যায়, যেহেতু নাবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কোনো বিধানের বর্ণনা দেরিতে করতে পারেন না। বুখারী তার ছহীহ গ্রন্থে (হা/৭৩৫৫) বলেছেন: ঐ আলেমগণের আলোচনা সম্পর্কে, যারা...
শরী'আতের কোনো আমল ততক্ষণ ছহীহ হবে না, যতক্ষণ পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট আমলটির শুরুতে নিয়ত সংযুক্ত না হবে। আর নিয়্যাত ও আমল শুরুর মাঝে কোনো সময়ের ব্যবধান থাকবে না।
এর দলীল হল: আল্লাহ তা'আলার বাণী:
“আর তাদেরকে দীনের প্রতি একনিষ্ঠ হয়ে নিষ্ঠার সঙ্গে একমাত্র আল্লাহ তা’আলার ইবাদত করার আদেশ দেওয়া হয়েছে”...
প্রশ্নঃ ইবনে আব্দুল বার্র, ইবনু কুদামা, নববী, ইবনুল হুমাম সহ বড় বড় আলেমদের দেখি মাসয়ালা নির্ণয় করতে মাযহাবের ভিত্তিতে কথা বলেন! তারা দলীলের ভিত্তিতে কথা বলেন না কেন?
উত্তরঃ তারা মাযহাবের ভিত্তিতে কথা বলেন বটে, তবে সেটা দলীলের সাযুজ্যতায় তাদের কাছে প্রাধান্য পাওয়া বিষয়েই করেন; অন্যথায়...
নীতি- ১
যে ইবাদত তিনি নিরবিচ্ছিন্ন ভাবে করেননি, তা আমাদের জন্য নিরবচ্ছিন্ন ভাবে (বাদ না দিয়ে) করে যাওয়া বিধেয় নয়। যেহেতু ইবাদতের মৌলিক নীতি হলো, তা নিষেধ; যতক্ষণ না তা দলিল দ্বারা প্রমাণিত হয়েছে। সুতরাং যে ইবাদত নবী (ﷺ) একটানা করেননি, তা আমরা করতে পারি না।
যেমন- জামায়াতবদ্ধভাবে নফল নামাজ পড়া।...
কোনো আমলের কিছু অংশে বিদআতি কিছু করলে গোটা আমলটাই বরবাদ হয়ে যায় না। এ ক্ষেত্রে কেবল সে অংশটুকুই নষ্ট হবে। তবে যদি সে বিদআত এমন হয়, যাতে ইবাদতটাই কবুল হবে না, তাহলে ভিন্ন কথা।
যেমনঃ নামাজে কোনো বিদআতি দুআ পড়লে পুরো নামাজটাই বাতিল হয় না। কিন্তু যদি কেউ এক রাকআত বেশি করে, তাহলে পুরো নামাজটাই বাতিল...
নীতি-
সাহাবীর উক্তি শরীয়তের এক প্রকার দলিল। তবে শর্ত হলো তা সহিহ প্রমাণিত হতে হবে; যদিও তা প্রসিদ্ধ না হয়। কুরআন হাদীসের উক্তির বিরোধী হওয়া যাবে না। অন্য কোনো সাহাবী তার বিপরীত বলবেন না।
নীতি-
সাহাবীর উক্তি প্রসিদ্ধ ও খ্যাত হলে এবং তার কোনো বিরোধী না পাওয়া গেলে তা ইজমা বলে গণ্য হবে।
নীতি-...
ফিকহী উত্তরাধিকারের মর্যাদা ও এর বৈশিষ্ট্য
ইসলামী ফিকহ শাস্ত্র অন্যান্য শাস্ত্র থেকে বেশ কিছু অনন্য বিশেষত্ব ও বৈশিষ্ট্যমণ্ডিত। নিম্নে এগুলোর একটি আলোচনা করা হলো:
ইসলামী ফিকহর মূল হলো আল্লাহ প্রদত্ত অহী: হ্যাঁ, ইসলামী ফিকহ অন্যান্য শাস্ত্র থেকে আলাদা। কেননা এর মূল উৎস হলো আল্লাহর অহী, যা কুরআন...
হানাফী আলেমগণ ওয়াজিব ও ফরযের মাঝে পার্থক্য করে থাকেন। তাদের মতে ওয়াজিব হলো এমন বিধান, যা খবরে আহাদ দলীল দ্বারা সাব্যস্ত হয়। আর তাদের মতে ফরয হলো এমন বিধান, যা মুতাওয়াতির দলীল দ্বারা সাব্যস্ত হয়। এই পার্থক্য সালাফে ছ্বলিহ এর মতাদর্শের বিপরীত। কারণ তারা ওয়াজিব ও ফরয এর মাঝে পার্থক্য করতেন...
শায়খুল ইসলাম মাজমূ' ফাতাওয়া গ্রন্থে (১৯/২০০) বলেছেন: পরবর্তী আলেমগণ যারা বলেছেন, ইজমা' শরী'আতের বিরাট একটি অংশের দলীল, যেহেতু ইজমা' শরী'আতের বিরাট একটি অংশ জানিয়েছে। কারণ কিতাব ও সুন্নাহর জ্ঞানের স্বল্পতার কারণে ইজমা'র প্রয়োজন দেখা দেয়। এটা হলো তাদের ঐ কথার মত, অধিকাংশ ঘটনায় কিয়াসের...
শায়খুল ইসলাম মাজমূ' ফাতাওয়া গ্রন্থে (১৯/১৯৫) বলেছেন: এমন কোনো ঐকমত্যপূর্ণ মাসআলা পাওয়া যাবে না, যা রসূলের পক্ষ থেকে বর্ণিত হয়নি। কিন্তু এই বিষয়টি অনেক মানুষের দৃষ্টির আড়ালে থেকে যায়। আর সে ইজমা' মনে করে তা দ্বারা দলীল পেশ করে। যেমন ঐ ব্যক্তি যে নছের মর্ম না বুঝে নছ দ্বারা দলীল পেশ করে...
ইজমা'র বিষয়ে যদি দুইজন আলেম মতভেদ করেন; একজন দাবী করেন এবং অন্যজন খন্ডন করেন, তাহলে যিনি ইজমা'র খন্ডন করছেন এবং মাসআলায় মতভেদ থাকার কথা বর্ণনা করছেন, তার কথা অগ্রাধিকার পাবে। কারণ তাঁর কাছে অতিরিক্ত ইলম আছে। আর যিনি ইজমা'র কথা বলছেন, তার কাছে কোন মতভেদের কথা পৌঁছেনি। (মাজমূউ ফাতাওয়া ইবনে...