If you're in doubt ask الله.
Forum Staff
Moderator
Generous
ilm Seeker
Uploader
Exposer
HistoryLover
Q&A Master
Salafi User
শায়খুল ইসলাম মাজমূ' ফাতাওয়া গ্রন্থে (১৯/২০০) বলেছেন: পরবর্তী আলেমগণ যারা বলেছেন, ইজমা' শরী'আতের বিরাট একটি অংশের দলীল, যেহেতু ইজমা' শরী'আতের বিরাট একটি অংশ জানিয়েছে। কারণ কিতাব ও সুন্নাহর জ্ঞানের স্বল্পতার কারণে ইজমা'র প্রয়োজন দেখা দেয়। এটা হলো তাদের ঐ কথার মত, অধিকাংশ ঘটনায় কিয়াসের প্রয়োজন হয় সেই বিষয়ে নছের নির্দেশনা বিদ্যমান না থাকার কারণে। কারণ এটা ঐ ব্যক্তির কথা, যার কিতাব, সুন্নাহ ও বিধি-বিধানের উপরে নছের নির্দেশনা সম্পর্কে কোনো জ্ঞান নেই।
ইজমা' দ্বারা সাধারণত সাহাবাগণ দলীল পেশ করতেন না এবং তাদের ইজমা' এর প্রয়োজনও হতো না। তারাই ছিলেন ইজমা' সংঘটিত করার উপযুক্ত। তাদের পূর্বে কোনো ইজমা' নেই। কিন্তু যখন তাবেঈন এর যুগ আসল, উমার (রা:) শুরাইহ এর নিকট লিখে পাঠালেন: “তুনি আল্লাহর কিতাব দ্বারা ফায়ছালা করো, যদি কিতাবে কোনো সিদ্ধান্ত না পাও, তবে আল্লাহর রসূলের সুন্নাহ দ্বারা ফায়ছালা করো, যদি তাতেও না পাও, তাহলে তোমার পূর্ববর্তী যোগ্য ব্যক্তিদের ফায়ছালা দ্বারা ফায়ছালা করো। অন্য বর্ণনানুযায়ী: যেই সিদ্ধান্তের উপরে মানুষ ঐকমত্যে পৌঁছেছে, তা দ্বারা ফায়ছালা করো”।
উমার (রা:) কিতাবকে সুন্নাহ এর উপরে অগ্রাধিকার দিয়েছেন। এমনিভাবে ইবনু মাসঊদ (রা:) ও উমার (রা:) এর ন্যায় একই কথা বলেছেন, তিনি প্রথমে কিতাবকে অগ্রাধিকার দিয়েছেন, এরপরে সুন্নাহকে, এরপরে ইজমা'কে।
এমনিভাবে ইবনু আব্বাস (রা:) কিতাবে বিদ্যমান বিধান দ্বারা প্রথমে ফাতোয়া দিতেন, এরপরে সুন্নাহে বিদ্যমান বিধান দ্বারা, এরপরে আবূ বকর (রা:) ও উমার (রা:) এর সুন্নাহ দ্বারা। এই বিষয়ে আছারগুলো উমার, ইবনু মাস'উদ ও ইবনু আব্বাস (রা:) থেকে প্রমাণিত। আর তারাই হলেন সাহাবাদের মধ্যে ফতোয়া ও বিচারকার্যে সর্বাধিক বিখ্যাত। আর এটাই সঠিক।
কিন্তু পরবর্তী আলেমদের একদল বলেন: মুজতাহিদ প্রথমে ইজমা' এর মধ্যে দৃষ্টি নিবদ্ধ করবে, যদি সেখানে সমাধান পেয়ে যায়, তবে অন্যকোথাও দৃষ্টিপাত করবে না, যদিও সে এমন নদ্ধ পেয়ে যায়, যা তার সিদ্ধান্তের বিরোধী। কিন্তু সেই নছ তার বিশ্বাস অনুযায়ী অন্য আরেকটি নছ দ্বারা রহিত হয়ে গেছে, যা তার নিকটে পৌঁছেনি। আবার পরবর্তী আলেমদের কেউ কেউ বলেছেন: ইজমা' উক্ত নছটিকে রহিত করে দিয়েছে। মূলত পূর্ববর্তীগণের (সালাফগণের) পথই সঠিক ও নির্ভুল।
ইজমা' দ্বারা সাধারণত সাহাবাগণ দলীল পেশ করতেন না এবং তাদের ইজমা' এর প্রয়োজনও হতো না। তারাই ছিলেন ইজমা' সংঘটিত করার উপযুক্ত। তাদের পূর্বে কোনো ইজমা' নেই। কিন্তু যখন তাবেঈন এর যুগ আসল, উমার (রা:) শুরাইহ এর নিকট লিখে পাঠালেন: “তুনি আল্লাহর কিতাব দ্বারা ফায়ছালা করো, যদি কিতাবে কোনো সিদ্ধান্ত না পাও, তবে আল্লাহর রসূলের সুন্নাহ দ্বারা ফায়ছালা করো, যদি তাতেও না পাও, তাহলে তোমার পূর্ববর্তী যোগ্য ব্যক্তিদের ফায়ছালা দ্বারা ফায়ছালা করো। অন্য বর্ণনানুযায়ী: যেই সিদ্ধান্তের উপরে মানুষ ঐকমত্যে পৌঁছেছে, তা দ্বারা ফায়ছালা করো”।
উমার (রা:) কিতাবকে সুন্নাহ এর উপরে অগ্রাধিকার দিয়েছেন। এমনিভাবে ইবনু মাসঊদ (রা:) ও উমার (রা:) এর ন্যায় একই কথা বলেছেন, তিনি প্রথমে কিতাবকে অগ্রাধিকার দিয়েছেন, এরপরে সুন্নাহকে, এরপরে ইজমা'কে।
এমনিভাবে ইবনু আব্বাস (রা:) কিতাবে বিদ্যমান বিধান দ্বারা প্রথমে ফাতোয়া দিতেন, এরপরে সুন্নাহে বিদ্যমান বিধান দ্বারা, এরপরে আবূ বকর (রা:) ও উমার (রা:) এর সুন্নাহ দ্বারা। এই বিষয়ে আছারগুলো উমার, ইবনু মাস'উদ ও ইবনু আব্বাস (রা:) থেকে প্রমাণিত। আর তারাই হলেন সাহাবাদের মধ্যে ফতোয়া ও বিচারকার্যে সর্বাধিক বিখ্যাত। আর এটাই সঠিক।
কিন্তু পরবর্তী আলেমদের একদল বলেন: মুজতাহিদ প্রথমে ইজমা' এর মধ্যে দৃষ্টি নিবদ্ধ করবে, যদি সেখানে সমাধান পেয়ে যায়, তবে অন্যকোথাও দৃষ্টিপাত করবে না, যদিও সে এমন নদ্ধ পেয়ে যায়, যা তার সিদ্ধান্তের বিরোধী। কিন্তু সেই নছ তার বিশ্বাস অনুযায়ী অন্য আরেকটি নছ দ্বারা রহিত হয়ে গেছে, যা তার নিকটে পৌঁছেনি। আবার পরবর্তী আলেমদের কেউ কেউ বলেছেন: ইজমা' উক্ত নছটিকে রহিত করে দিয়েছে। মূলত পূর্ববর্তীগণের (সালাফগণের) পথই সঠিক ও নির্ভুল।
তাওদ্বীহু উছূলিল ফিক্বহ
- শাইখ যাকারীয়া ইবনে গুলাম ক্বাদীর পাকিস্থানী
* উসুলুল ফিকহ উস্তাযদের নিকট পড়ুন
- শাইখ যাকারীয়া ইবনে গুলাম ক্বাদীর পাকিস্থানী
* উসুলুল ফিকহ উস্তাযদের নিকট পড়ুন
Last edited: