ইমাম উসমান ইবন সাঈদ আদ-দারেমি বলেন:
আমি ইব্রাহিম ইবনুল হুসাইনের সাথে ছিলাম, তখন প্যাচ পরা একজন লম্বা লোক আমাদের কাছে প্রবেশ করল এবং বলা হল: এ হচ্ছে ইবন কাররাম।
ইবরাহীম তাকে বললেনঃ তুমি কি কোন আলেমদের কাছে আসা যাওয়া করেছ?
সে বলল, না।
তিনি বললেনঃ তুমি কি উসমান ইবন আফফান আস-সিজিস্তানির সাথে দেখা...
মাতুরিদী একটি বিদ‘আতী ধর্মতাত্ত্বিক ফের্কা। এদেরকে আবূ মানছূর আল-মাতুরিদির দিকে নিছবত করা হয়ে থাকে। মূলত এরা মু‘তাযিলা ও জাহমিয়্যাদের দার্শনিক ব্যাখ্যার বিরোধিতা করে এবং যুক্তি ও দর্শন ভিত্তিক ব্যাখ্যার মাধ্যমে দ্বীনের আক্বীদা প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা করে থাকে (মাওসূ‘আতুল মাইসিরাতু ফিল আদইয়ান ওয়াল...
শাইখুল ইসলাম, মুজাদ্দিদ, ইমাম ইবন তাইমিয়্যাহ রাহিমাহুল্লাহ'র যামানায় ইলমুল কালাম দর্শনশাস্ত্র বা ইলমুল মানতিক তর্কশাস্ত্র খুব গুরুত্ব সহকারে চর্চা করা হতো। অথচ এ বিদ্যার উৎস কুরআনও নয় হাদীসও নয়। এমনকি মক্কা-মদীনা থেকে আগতও নয়। বরং ইউনান গ্রীক থেকে আমদানী কৃত শুদ্ধ ও ভুলে ভরা কিছু পেচানো...
সালাফে সালেহীন ইমামগণ ‘ইলমুল কালাম' দর্শনশাস্ত্র বা 'ইলমুল মানতিক' তর্কশাস্ত্রের নিন্দা করে গিয়েছেন। যেমন, ইমাম আবু হানীফা রাহিমাহুল্লাহ'র পুত্র হাম্মাদ বলেন: এক শুক্রবারে আবু হানীফা (রাহিমাহুল্লাহ) আমার হাত ধরে মসজিদে প্রবেশ করেন।.... তিনি দীন (আকীদাহ) বিষয়ে বিতর্কে (কালাম চর্চায়) লিপ্ত একদল...
ইলমুল কালাম’ ‘ইলমুল মানতিক' তথা দর্শনশাস্ত্র চর্চা মুসলিমদের কাঁধে চাপার ফলে কাদারিয়া, জাবারিয়া, জাহমিয়া, মু'তাযিলা, আশ'আরী, মাতুরিদী ইত্যাদি জন্ম হয়।
ফলে ওহী তথা কুরআন-সুন্নাহ নির্ভর, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও সাহাবায়ে কিরামের অনুসারী, সহীহ আকীদায় বিশ্বাসী আহলে...
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও সাহাবায়ে কেরামের যুগে মুসলিম সমাজে ‘ইলমুল কালাম’ দর্শনশাস্ত্র বা ‘ইলমুল মানতিক' তর্কশাস্ত্রের কোনো পরিচিতি ছিল না।
দ্বিতীয় হিজরী শতক থেকে বিশেষত ১৩২ হিজরী (৭৫০ খ্রিষ্টাব্দ) সালে আব্বাসী খিলাফতের প্রতিষ্ঠার পর মুসলিম উম্মাহর মধ্যে গ্রীক, ভারতীয় ও...
আল-কালাম' অর্থ কথা, বাক্য, বক্তব্য, বিতর্ক ইত্যাদি। গ্রীক ‘লগস' শব্দ থেকে কালাম শব্দটি গৃহীত হয়েছে। লগস শব্দটির অর্থ বাক্য, যুক্তিবৃত্তি, পরিকল্পনা ইত্যাদি।
লগস শব্দ থেকে লজিক শব্দটির উৎপত্তি, যার অর্থ তর্কশাস্ত্র বা যুক্তিবিদ্যা। সম্ভবত মূল অর্থের দিকে লক্ষ্য রেখে হিজরী দ্বিতীয় শতকের আরব...
আবু হুরায়রা (রা) সম্পর্কে আরোপিত অভিযোগ সমূহের বিস্তারিত জবাব। - ১ম পর্বের পরবর্তী পর্ব
তিনি কি অর্থ আত্মসাৎকারী ছিলেন?
নাউযুবিল্লাহ! প্রাচ্যবিদরা সকল সীমানা অতিক্রম করে আবু হুরায়রা (রাঃ)-কে অর্থ আত্মসাত্রে অভিযোগে অভিযুক্ত করার দুঃসাহস দেখিয়েছে। আল্লাহর অভিশাপ তাদের উপর বর্ষিত হোক! আমীন...
সম্মানীত পাঠকগণ অবশ্যই এসব আলোচনা সব স্থানে ছড়িয়ে দিবেন।আমি হাদিস অস্বীকারকারীদের নিয়ে বিস্তারিত পড়াশুনা করতে গিয়ে দেখলাম হাদিস অস্বীকারকারীরা সাহাবীদের মধ্যে সবার প্রথম আবু হুরায়রা (রা) কে আক্রমণ করেছে।পরে দেখলাম হাদীস অস্বীকারকারীরা কেবল এই কাজে নয় বরং তারা এসব কিছু লালন করেছে প্রাচ্যবীদদের...
১. হাদীস অস্বীকারকারীগণের কুরআন মাজীদ বোঝার জন্য অভিধানের ব্যবহার জরুরি। এতে যে অর্থ ও ব্যাখ্যা থাকে তা গ্রহণ করা হয়, এ ছাড়া অন্য কোনো গত্যন্তর নেই। সুতরাং কুরআন ছাড়াও অপর একটি বস্তু তাদেরকে গ্রহণ করতেই হয়। যদি অভিধান গ্রহণযোগ্য হয়ে থাকে, তবে কুরআন মাজীদের ঐ অভিধান কেন গ্রহণ করা হচ্ছে না—...
গভীরভাবে চিন্তা করলে স্পষ্ট হয় যে, শুধু কুরআনের উপর নির্ভর করে শরীয়তের বিধি-বিধান বুঝা ও পালন করা সম্ভব নয়। কারণ কুরআনের অনেক মূলনীতি রয়েছে, যার ব্যাখ্যা প্রয়োজন। আবার অনেক আয়াত রয়েছে দুর্বোধ্য, যার তাফসীর ও স্পষ্টকরণ জরুরী। তাই কুরআন বুঝা ও তার থেকে হুকুম বের করা হাদিস ব্যতীত সম্ভব নয়।...
হাদিস অস্বীকারকারীরা নানান অজুহাত দেখিয়ে হাদিস অস্বীকারকার করতে চায়।
প্রথম অজুহাত:
একশ্রেণী লোকের আবির্ভাব ঘটেছে, যারা হাদিসকে সম্পূর্ণ অস্বীকার করে। তাদের নিকট কুরআন ব্যতীত কোন কিছুর উপর আমল করা যাবে না। সন্দেহ নেই হাদিস অস্বীকারকারী এ শ্রেণীর লোক কাফের ও ইসলাম থেকে বহিষ্কৃত। কারণ এর মাধ্যমে...
ভূমিকা
সমস্ত প্রশংসা সৃষ্টিকুলের মহান রব আল্লাহর জন্য। উত্তম পরিণতি কেবল মুত্তাকীদের জন্য। সালাত ও সালাম নাযিল হোক তার বান্দা ও রাসূল আমাদের নবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের উপর; যাকে সকল সৃষ্টির জন্য রহমত ও সমস্ত বান্দাদের জন্য দলীল হিসেবে প্রেরণ করা হয়েছে। আরও নাযিল হোক তার...
আধুনিক যুগে হাদীস অস্বীকার মূলতঃ প্রাচ্যবিদদের ( Orientalist) দ্বারা প্রভাবিত একদল মুসলিম স্কলারের হাতে হয়। যার কেন্দ্র বলা যায় ভারত ও মিসর। মিশরের মুফতী আবদুহু, সৈয়দ রশীদ রিযা, ড. আহমাদ আমীন ও মাহমূদ আবু রাইয়ার হাতে এ ফিতনা অঙ্কুরিত হয়। এদের মধ্যে মাহমুদ আবু রাইয়ার আক্রমণ সবচেয়ে নিকৃষ্ট...
হাদিস অস্বীকারকারিদের অপপ্রচারের বদৌলতে একথা আজ খুব প্রচলিত হয়ে গেছে যে, ২০০ হিজরির আগে হাদিস লিপিবদ্ধকরণ শুরুই হয় নাই। হাদিসকে যারা একেবারে অস্বীকার করেন না তারাও এই প্রোপাগান্ডার দ্বারা প্রভাবিত হয়ে হাদিসকে কম গুরুত্বপূর্ণ কিছু মনে করতে শুরু করেছেন এবং যেনতেন ভাবে অনেক শক্তিশালী সহিহ হাদিসকেও...
আধুনিক যুগে হাদীস অস্বীকার মূলতঃ প্রাচ্যবিদদের (Orientalist) দ্বারা প্রভাবিত একদল মুসলিম স্কলারের হাতে হয়। যার কেন্দ্র বলা যায় ভারত ও মিসর। মিশরের মুফতী আবদুহু, সৈয়দ রশীদ রিযা, ড. আহমাদ আমীন ও মাহমূদ আবু রাইয়ার হাতে এ ফিতনা অঙ্কুরিত হয়। এদের মধ্যে মাহমুদ আবু রাইয়ার আক্রমণ সবচেয়ে নিকৃষ্ট...
‘হাসান বলেন, একদা ইমরান ইবনে হুছাইন (রাঃ) রাসূল (ﷺ) থেকে আমাদেরকে হাদীস শুনাচ্ছিলেন। তখন তাকে এক ব্যক্তি বলল, হে আবু নুজাইদ! আমাদেরকে কুরআন শুনাও! তখন ইমরান ইবনে হুছাইন (রাঃ) বললেন, তুমি কি মনে কর তুমি এবং তোমার সাথীরা কুরআন পড়ে আমাকে স্বর্ণ, উট, গরু ও সম্পদের যাকাতের পরিমাণ জানাতে পারবে? অতঃপর...
বর্তমান সময়ে আমাদের দেশে যে কয়টি ফিতনা মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে এর মধ্যে একটা হলো আহলে কুরআন নামে পরিচিত নব্য মুতাযিলা ফিরকা,যাদের কূটকৌশল এর ধোকা বুঝতে না পেরে অনেকে নিজের ঈমাণকে বিলিয়ে দিচ্ছে , তাই তাদের ধোঁকা থেকে সতর্ক করার জন্য তাদের কিছু ভ্রান্ত প্রশ্নের জবাব দেওয়ার চেষ্টা করবো ইনশাআল্লাহ।...
১. ডা. মতিয়ার রহমান: তিনি খুলনা জেলার ডুমুরিয়া থানার আরজি-ডুমুরিয়া গ্রামের জন্মগ্রহন করেন। পেশাগত জীবনে তিনি একজন চিকিৎসক ও সমাজসেবক হিসেবেই পরিচিত। তিনি তার অপব্যাখ্যা মানুষের মাঝে ছড়িয়ে দেয়ার জন্য "ক্বুরআন রিসার্চ ফাউন্ডেশন" প্রতিষ্ঠা করেন, যার চেয়ারম্যান হিসেবে তিনি নিজে দায়িত্ব পালন করছেন।...
মুনকিরীনে হাদীসদের কতিপয় ফিতনার একটি হচ্ছে - রাসূলুল্লাহ অর্থ হলো কুরআন মাজীদ। সুতরাং কুরআনের ইতাআত বা আনুগত্য করা ফরয।
জবাব: কুরআন মাজীদের কোথাও কুরআনকে রাসূল বলা হয়নি। বরং এর বিপরীতে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর নামটি বলে দেওয়া হয়েছে। সেই মহান নামটি কয়েকটি স্থানে উপস্থাপনার সাথে সাথে তাঁকে রাসূল...