শিরক

সাহাবী আবদুল্লাহ ইবনু মাসউদ (রদিয়াল্লাহু আনহু) বলেন, সবচেয়ে বড়ো পাপ হলো : (ক) আল্লাহর সাথে শিরক করা (খ) আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ হওয়া (গ) আল্লাহর কৌশল থেকে আশঙ্কামুক্ত হওয়া (ঘ) আল্লাহর অনুগ্রহ থেকে হতাশ হওয়া। [আবদুর রাযযাক, আল-মুসনাদ: ১৯৭০১; তাবারানি, আল-মুজামুল কাবীর: ৮৭৮৩; সনদ সহীহ]

ইমাম ইবনু রজব হাম্বলী (রহ:) বলেন, ‘মানুষ কখনো কখনো লোকদের সামনে নিজেকে তুচ্ছ করে উপস্থাপন করে। এর মাধ্যমে সে নিজেকে বিনয়ী দেখাতে চায়, তাদের কাছে মহৎ সাজতে চায় আর লোকজনও তার প্রশংসা করে। মূলত এটা রিয়ার একটি সূক্ষ্ম দরজা’। [ইবনু রজব হাম্বলী, শারহু হাদীছি ‘মা যি’বানে জাই‘আন (কায়রো : আল-ফারূক্ব...

• আবু হুরায়রা (রাদিআল্লাহু আনহু) হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, ‘তোমরা ধ্বংসাতাক কাজ থেকে বিরত থাক। আর তা হল, আল্লাহর সাথে শিরক করা এবং যাদু করা।’ [1] • নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর স্ত্রী সাফিয়া (রাদিআল্লাহু আনহা) হতে বর্ণিত, নবী (সাল্লাল্লাহু...

আচ্ছা, আমরা একটি বিষয় কল্পনা করে দেখি। ধরুন, আমাকে কিংবা আপনাকে ঊর্ধ্ব গগনের উচ্চতায় নিয়ে যাওয়া হলো। কত উঁচু চিন্তা করেন। একেবারে আকাশে। এরপর হঠাৎ কেউ একজন ধাক্কা দিয়ে আমাদের ফেলে দিল পৃথিবীতে। বলুন দেখি, ওই সুবিশাল উচ্চতা থেকে পড়লে আমাদের কী অবস্থাটা হবে? আমাদের এ অবস্থা হোক, তা আমরা ভাবতেও চাই...

প্রথম প্রকার: জ্যোতিষীর কাছে এসে তাকে জিজ্ঞেস করে; কিন্তু তাকে বিশ্বাস করে না। এটি হারাম। এর শাস্তি হচ্ছে চল্লিশ দিনের নামায কবুল না হওয়া। এ মর্মে সহিহ মুসলিমে (২২৩০) সাব্যস্ত হয়েছে যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন: “যে ব্যক্তি কোন গণকের কাছে এসে তাকে কোন কিছু সম্পর্কে জিজ্ঞেস করল...

যেহেতু তাবিয-কবচ ঝুলানো জায়িয নয়, তাই তাবিয লিখাও উচিত নয়। তবে হ্যাঁ, যদি কেউ ক্বোরআনে কারীমের আয়াত দ্বারা কিংবা শারী‘য়াত সম্মত দু‘আ দ্বারা তাবিয লিখে থাকে, তাহলে তার পিছনে সালাত পড়া জায়িয হবে। আর যে ব্যক্তি শির্‌কী বিষয়াদী সম্বলিত তাবিয লিখে থাকে, তার পিছনে সালাত আদা করা যাবে না। শুধু তাই নয়...

উত্তর : পূর্বে কৃত আমলের নেকী ফিরে পাওয়া যাবে ইনশাআল্লাহ। হাকীম বিন হিযাম (রাঃ) ইসলাম গ্রহণের পর তার মুশরিক অবস্থায় কৃত ছাদাক্বা, দাসমুক্তি, আত্মীয়তার সম্পর্ক রক্ষা ইত্যাদি সৎকর্ম সমূহের পুরস্কার পাওয়া যাবে কি-না এমন প্রশ্নের উত্তরে রাসূল (ছাঃ) বলেন, তুমি যেসব সৎকর্ম করেছ, তা নিয়েই তুমি ইসলাম...

শিরক ও বিদআতের ভয়াবহ পরিনতি জানতে অত্র বইটি পড়তে পারেন।

ছোট শির্ক সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে অত্র বইটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

রশি, তাবিয, কবজ, সূতা, তাগা ইত্যাদি ব্যবহার করা: হাদীসে এসেছে, عَنْ عُقْبَةَ بْنِ عَامِرٍ الْجُهَنِي، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَقْبَلَ إِلَيْهِ رَهْدٌ، فَبَايَعَ نِسْعَةً وَأَمْسَكَ عَنْ وَاحِدٍ، فَقَالُوا: يَا رَسُولَ اللَّهِ، بَايَعْتَ تِسْعَةً وَتَرَكْتَ...

কোনো অবস্থাতেই গণকদের শরণাপন্ন হওয়া বৈধ নয়। কারণ নাবি (সা:) এই ব্যাপারে সুস্পষ্টভাবে নীতি নির্ধারণ করে দিয়েছেন। নাবি (সা:) এর স্ত্রী হাফসা থেকে সাফিয়্যা বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, “গণকের কাছে গিয়ে যদি কেউ কোনো বিষয়ে জানতে চায়, তবে তার ৪০ দিন এবং ৪০ রাতের সলাত কবুল হবে না।” (মুসলিম)...

পীর ফকিরদের ভন্ডামি শির্কের উৎসব ওরশ উৎসব নিয়ে সুন্দর আলোচনা করা হয়েছে

আল্লামা নাসিরুদ্দীন আলবানী (রহঃ) -এর “আহকামুল জানায়িয ও তার বিদআতসমূহ” বইয়ের আলোকে রচিত অত্র বইটিতে বিজ্ঞ লেখক মৃত্যুরোগ থেকে শুরু করে মৃত ব্যক্তির গোসল, জানাযা, দাফন, যিয়ারত ও সংশ্লিষ্ট বিষয়াদি নিয়ে দলীলভিত্তিক গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা পেশ করেছেন। বর্তমানে আমাদের সমাজে মৃত ব্যক্তি কেন্দ্রীক এমন কিছু...

কুফরী হলো: সত্যকে অস্বীকার করা এবং তা (সত্যকে) গোপন করা। আভিধানিক অর্থে কুফরির আসল অর্থ হলো: আবরণ তথা গোপন করা,আচ্ছন্ন করা। আর শরীয়তের পরিভাষায় ঈমানের বিপরীত অবস্থানকে কুফরী বলা হয়।কেননা কুফরী হচ্ছে আল্লাহ ও রাসূল (ﷺ)-এর প্রতি ঈমান না রাখা, চাই তাদেরকে মিথ্যা প্রতিপন্ন করা হোক কিংবা না হোক।...

Shirk meaning in English and Shirk definition Islam

কয়েকটি ইবাদাতের ক্ষেত্রে শিরকে আকবার বেশি হয়ে থাকে। এগুলো হলো- (১) দু'আর শিরক: মহান আল্লাহ বলেন, فَإِذَا رَكِبُوا فِي الْفُلْكِ دَعَوُا اللَّهَ مُخْلِصِينَ لَهُ الدِّينَ فَلَمَّا نَجْهُمْ إِلَى الْبَرِّ إِذَا هُمْ يُشْرِكُونَ ) “তারা যখন নৌযানে আরোহণ করে, তখন তারা একনিষ্ঠভাবে আল্লাহকে ডাকে।...

শিরকে আকবার ও শিরকে আসগারের মধ্যে পার্থক্য (الْفَرْقُ بَيْنَ الشِّرْكِ الْأَكْبَرِ وَ الشِّرْكِ الْأَصْغَرِ) শিরকে আকবার ও শিরকে আসগারের মধ্যে কিছু মৌলিক পার্থক্য রয়েছে। (১) শিরকে আকবারের কারণে ইসলাম থেকে বের হয়ে যায়, কিন্তু শিরকে আসগারের কারণে ইসলাম থেকে বের হয় না, তবে কবীরা গুনাহ হবে...

রিয়া দু ধরনের হতে পারে। (ক) মুনাফিকদের রিয়া বা লোকদেখানো ইবাদাত। তারা অন্তরে কুফরী আকীদা পোষণ করতো, আর মানুষকে দেখানোর জন্য বাহ্যিকভাবে আমল করত। তাদের এ রিয়া কুফরী। কারণ তারা আল্লাহ তাআলার উপর ঈমানই আনত না, দুনিয়া লাভের উদ্দেশ্যে বাহ্যিকভাবে কিছু নেক আমল করত। মহান আল্লাহ বলেন, وَ مِنَ...

শিরকে আসগার বা ছোট শিরক হলো, কুরআন ও সুন্নাহে এগুলোকে শিরক হিসেবে নামকরণ করা হয়েছে, কিন্তু এ ধরনের শিরককারী ইসলাম থেকে বের হয়ে যায় না। এ ধরনের শিরক দু'ভাবে হতে পারে- প্রথমত: শাব্দিকভাবে। যেমন, মহান আল্লাহ ব্যতীত অন্য কারো নামে শপথ করা। আবদুল্লাহ বিন উমার রাদিয়াল্লাহু আনহুমা থেকে বর্ণিত...

এ ধরনের শিরককারীর পরিণতি হলো- (১) এ ব্যক্তি কাফির ও মুশরিক হয়ে যায়। এ ধরনের শিরককারীর জন্য জান্নাত হারাম হয়ে যায় এবং স্থায়ীভাবে জাহান্নামী হয়ে যায়। তার সমস্ত আমল বিনষ্ট হয়ে যায়, তার রক্ত ও সম্পদ হালাল হয়ে যায়। (২) এ ব্যক্তির জন্য মহান আল্লাহ জান্নাত হারাম করেছেন। মহান আল্লাহ বলেন...