ইমাম নামাযে কুরআন খতমের দুআ করলে মুক্তাদীও সে দুআতে শরীক হয়ে ‘আমীন-আমীন’ বলতে পারে। যদিও নামাযের মধ্যে কুরআন-খতমের মুনাজাত করার ব্যাপারে সুন্নাহ থেকে কোন দলীল নেই, তবুও যেহেতু মুসলিমদের কিছু আয়েম্মায়ে কেরাম তা করা মুস্তাহাব বলেছেন এবং তা হল একটি বৈধ ইজতিহাদী অভিমত, আর তা ভুল হলেও হতে পারে...
শায়খ ইবনে উষাইমীন (রঃ) বলেন, নামাযের ভিতরে কুরআন-খতমের পর দুআ করার সপক্ষে রসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম)-এর সুন্নাহ থেকে অথবা সাহাবাদের আমল থেকে নির্ভরযোগ্য কোন সহীহ ভিত্তি নেই। এই দুআর সপক্ষে একমাত্র দলীল হল আনাসের আমল; তিনি কুরআন খতম করার সময় নিজের পরিবারের লোকদেরকে সমবেত করে দুআ...
কোন আয়াতকে কেন্দ্র করে ভাবতে ও ভাবাতে উদ্বুদ্ধ করার উদ্দেশ্যে তা একাধিক বার ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে পাঠ করা দোষাবহ নয়; যদি তার ফলে হৃদয়ে প্রভাব পড়ে এবং কান্না আকর্ষণ করে।[1] আর এ কথা প্রমাণিত যে, এক রাত্রে মহানবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম) একটি মাত্র আয়াতকে বারবার পাঠ করে ফজর পর্যন্ত কিয়াম...
ক্বিরাআত চলা অবস্থায় ইমাম বা মুক্তাদীর আবেগে কান্না চলে আসা নামাযের জন্য ক্ষতিকর নয়। তবে কারো জন্য উচ্চস্বরে কাঁদা উচিৎ নয়। কারণ, এতে অন্যান্য নামাযীদের নামাযে ক্ষতি হয় এবং তাতে তাদের - আর বিশেষ করে মুক্তাদী কাঁদলে ইমামের - ডিষ্টার্ব হয়। অতএব মুমিনের চেষ্টা করা উচিৎ, যাতে তার কান্নার শব্দ অন্য...
এতে কোন সন্দেহ নেই যে, একজন প্রকৃত হাফেযই ইমামতির অধিক যোগ্যতা রাখেন, যিনি নামাযে কুরআন মুখস্থ পড়বেন। কিন্তু ইমামতির জন্য যদি হাফেয না থাকেন, ইমাম সাহেব হাফেয না হন, অথবা তাঁর হিফ্য অত্যন্ত দুর্বল হয় এবং কুরআন দেখে পড়া তাঁর নিজের তথা মুক্তাদীদের জন্য বেশী উপকারী হয়, তাহলে কুরআন দেখে ক্বিরাআত...
মৌসুমি আমল ইবাদত নিয়ে ইমাম ইবনে রজব হাম্বলির 'লাতায়িফুল মাআরিফ' একটি অনবদ্য রচনা। বিশেষ করে আমাদের দেশে বারো চান্দের ফজিলত নামধারী এবিষয়ক অনির্ভরযোগ্য বই পরিহার করে সৎ পূর্বসুরিদের বইয়ের দিকে ফিরে আসাই বেশি যুক্তিযুক্ত।
আলোচ্য বইটিতে শুধু রমাদান কেন্দ্রিক লেখাগুলো বাংলায় অনুবাদ ও সম্পাদনা করে...
উক্ত বর্ণনা সঠিক নয়। বর্ণনাটি মুনকার বা সহীহ হাদীসের বিরোধী। এর সনদে ওয়ালীদ ইবনু ওয়ালীদ নামে পরিত্যক্ত রাবী আছে (সিলসিলা যঈফাহ হা/১৩২৫)।
এ ধরনের অগ্রহণযোগ্য বর্ণনা মানুষের সামনে উল্লেখ করা গর্হিত অন্যায়।
সূত্র: আল-ইখলাছ।
সমস্ত প্রশংসা আল্লাহ তা‘আলার জন্য, যিনি আমাদেরকে বরকতময় পবিত্র রামাযান মাসে উপনীত করেছেন, আল-হামদুলিল্লাহ। দরূদ ও তাসলীম বর্ষিত হোক বিশ্বনবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর প্রতি, যিনি এ মহিমান্বিত মাসের সকল সুসংবাদ আমাদেরকে জানিয়ে দিয়েছেন এবং তাঁর বাস্তব জীবনে সম্পাদনের মাধ্যমে আমাদেরকে...
ইবাদতের বসন্তকাল নামে পরিচিত মাহে রামাযানের শেষ দশক খুবই মূল্যবান। এ সময় মুমিনের জন্য বেশি-বেশি ইবাদতে মশগূল থেকে পাপ মোচন ও পুঁজি সংগ্রহের জন্য বিশেষ সুযোগ রয়েছে। কারণ এ দশদিনে একজন মুমিন ই‘তিকাফ ও লাইলাতুল ক্বদর পালন করার সৌভাগ্য অর্জন করে। যারা এ দশকের বিশেষ রাত্রি লাইলাতুল ক্বদরে ‘ইবাদত করা...
আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
شَہۡرُ رَمَضَانَ الَّذِیۡۤ اُنۡزِلَ فِیۡہِ الۡقُرۡاٰنُ ہُدًی لِّلنَّاسِ وَ بَیِّنٰتٍ مِّنَ الۡہُدٰی وَ الۡفُرۡقَانِ
‘রামাযান মাস, যাতে নাযিল করা হয়েছে আল-কুরআন। যা মানুষের হেদায়াত এবং সৎপথের সুস্পষ্ট নির্দেশ ও সত্য-মিথ্যার পার্থক্যকারী’ (সূরা আল-বাক্বারাহ : ১৮৫)। আল্লাহ...
দ্বীন পরিপূর্ণ। এখানে বাড়ানো বা কমানোর কোন সুযোগ নেই। তদুপরি বর্তমানে ইসলামের চতুর্থ স্তম্ভ রামাযান মাসে সিয়াম পালনের ক্ষেত্রে অসংখ্য নতুন আমলের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়। যার পরিণতি অত্যন্ত মারাত্মক ও ধ্বংসাত্মক।
রামাযান মাসে প্রচলিত বিদ‘আতসমূহ:
(১) রামাযান আসার পূর্বে ফযীলতের আশায় রামাযানের...
মহাগ্রন্থ আল-কুরআন বিশ্ব মানবতার চিরন্তন সংবিধান। মানব জাতির সার্বিক কল্যাণের সর্বশ্রেষ্ঠ পথনির্দেশিকা। অভ্রান্ত সত্যের চুড়ান্ত মাপকাঠি। পৃথিবীর ইতিহাসে আল-কুরআনই একমাত্র গ্রন্থ, যেখানে সন্দেহের লেশমাত্র নেই।
মহান আল্লাহ বলেন, ‘এটা ঐ গ্রন্থ যার মধ্যে কোনরূপ সন্দেহ নেই’ (সূরা আল-বাক্বারাহ : ২)।...
নিয়ত : নিয়ত অর্থ, মনন করা বা সংকল্প করা। তাই মনে মনে সিয়ামের নিয়ত করবে।[১] মুখে আরবীতে নিয়ত পড়ার শারঈ কোন ভিত্তি নেই। মুখে উচ্চারণ করে নিয়ত পড়া বিদ‘আত।
সাহারীর আযান :
(ক) রাসূল (ﷺ) বলেন, ‘বেলাল রাত্রে আযান দিলে তোমরা খানাপিনা কর, যতক্ষণ ইবনু উম্মে মাকতূম ফজরের আযান না দেয়’।[২]
সাহারীর সময়...
১- রামাযানের সিয়াম রাখা আবশ্যক
রামাযান মাস আল্লাহ তা‘আলা প্রদত্ত বিশ্ব মানবতার জন্য শ্রেষ্ঠতম উপহার। এ মাস সম্পূর্ণটাই রহমত, বরকত, মাগফিরাত ও ছওয়াবে পরিপূর্ণ। মানবতার চূড়ান্ত সংবিধান আল-কুরআন এ মাসেই অবতীর্ণ হয়েছে। হাজার মাস অপেক্ষা উত্তম রজনী ‘লায়লাতুল ক্বদর’ এ মাসেই হয়ে থাকে। তাক্বওয়া অর্জন...
উত্তর : সাহারীর সময়সূচীর ১ মিনিট বাকী থাকলেও সে সময় এক লোকমা খাদ্য বা এক ঢোক পানি পান করলে সাহারী আদায় হয়ে যাবে এবং সাহারী খাওয়ার ফযীলত পাওয়া যাবে। তাছাড়া সাহারী খেতে না পারলেও সিয়ামের নিয়ত করলে সিয়াম আদায় হয়ে যাবে (বুখারী, ফাৎহুল বারী ৪/১৭৫ হা/১৯২২-এর আলোচনা দ্রঃ ‘সাহারী ওয়াজিব নয়’ অনুচ্ছেদ...