আসসালামু আলাইকুম ওয়ারহমাতুল্লহি ওয়াবারাকাতুহ।
রমাদানে নারীদের মাসিক অথবা অন্যান্য শরিয়াহ অনুমোদিত ভিত্তিক কারণের দরুণ ক্বাযা সওমগুলো কি ধারাবাহিকভাবে রাখা বাধ্যতামূলক নাকি ভেঙ্গে ভেঙ্গে রাখার বিধান রয়েছে?
জাযাকাল্লাহু খাইরন।
উত্তর : ডাক্তারগণ যখন কোন ব্যক্তি সম্পর্কে এই মর্মে সিদ্ধান্ত দিবেন যে, তিনি রোগে আক্রান্ত হওয়ার কারণে আর ছিয়াম পালন করতে পারবেন না এবং এ রোগ থেকে সুস্থতারও আশা করা যায় না, তখন ফিদইয়া প্রদান করা ওয়াজিব। চির রোগী ও অতি বৃদ্ধ মানুষ তিনি ছিয়াম পালনে অক্ষম, তিনি ফিদইয়া দিবেন। এজন্য প্রতি ছিয়ামের...
উত্তর : ফকীর-মিসকীন শ্রেণীর মানুষকে ফিদইয়া দিবে। নবী করীম (ﷺ) বলেছেন, ‘সে ব্যক্তি প্রকৃত মিসকীন নয়, যাকে এক-দু’লোকমা ফিরিয়ে দেয় (যথেষ্ট হয়) বরং সে-ই প্রকৃত মিসকীন যার কোন সম্পদ নেই, অথচ সে চাইতে লজ্জাবোধ করে অথবা লোকদেরকে আঁকড়ে ধরে যাচ্ঞা করে না’ (ছহীহ বুখারী হা/১৪৭৬,; ছহীহ মুসলিম, হা/১০৩৯)। আর...
উত্তর: আলহামদুলিল্লাহ। শাওয়ালের সাওম ধারাবাহিকভাবে একসাথে রাখা জরুরি নয়। একসাথে বা ভিন্ন-ভিন্ন উভয়ভাবেই শাওয়ালের রোযা আদায় করা যায়। শাওয়ালের সাওম যত দ্রুত রাখা যায় ততোই কল্যাণ। ইরশাদ হয়েছে: (তোমরা কল্যাণকর্মে প্রতিযোগিতা করো), (তোমরা দ্রুত অগ্রসর হও তোমাদের রবের পক্ষ থেকে মাগফিরাতের...
এ প্রবন্ধে রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের বাণী, “যে ব্যক্তি রমযান মাসের সিয়াম পালন করার পরে শাওয়াল মাসে ছয় দিন সিয়াম পালন করল সে যেন সারা বছর সাওম পালন করল।” শাওয়ালের ছয়টি সাওম পালন সম্পর্কিত হাদীসের ফায়েদা আলোচনা করা হয়েছে।
শাওয়ালের ছয়টি সাওম পালন সম্পর্কিত হাদীসের ফায়েদা
আবূ...
শাউওয়ালের সিয়াম সম্পর্কে পাঁচটি ফায়দা:
ফায়দা-১
রমযানের সিয়াম শেষে শাউওয়ালের ছয়টি সিয়াম রাখলে পুরো বছর সিয়াম রাখার সাওয়াব হাসিল হয়। ইমাম মুসলিম সাহাবী আবূ আইয়ূব রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণনা করেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,
«مَنْ صَامَ رَمَضَانَ وَأَتْبَعَهُ سِتًّا مِنْ...
উত্তরঃ মযী বের হলে রোযা নষ্ট হয় না। চাই মযী চিন্তার কারণে বের হোক কিংবা কোন পুরুষ তার স্ত্রীকে চুমো খাওয়ার কারণে বের হোক কিংবা অন্য কোন কারণে বের হোক। এটি ইমাম শাফেয়ি (রহঃ) এর মাযহাব। দেখুন: আল-মাজমু (৬/৩২৩)
শাইখুল ইসলাম (রহঃ) ‘আল-ইখতিয়ারাত’ গ্রন্থে (পৃষ্ঠা-১৯৩) বলেন:
চুম্বন, ছোঁয়া বা পুনঃপুনঃ...
তাঁর ইবাদতের অবস্থা ছিল নিম্নরূপ :
১. প্রথম ২০ রাত রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পূর্ণ রাত জাগরণ করতেন না। কিছু সময় ইবাদত করতেন, আর কিছু অংশ ঘুমিয়ে কাটাতেন। কিন্তু রমাযানের শেষ দশ রাতে তিনি বিছানায় একেবারেই যেতেন না। রাতের পুরো অংশটাই ইবাদত করে কাটাতেন।
সে সময় তিনি কুরআন তিলাওয়াত, সালাত...
উত্তরঃ রমযানের শেষ দশক ২১ শে রমযানের রাত থেকে শুরু হয়। চাই ৩০দিনে মাস হোক কিংবা ২৯ দিনে। এটি প্রমাণ করে সহিহ বুখারী (৮১৩) ও সহিহ মুসলিমের (১১৬৭) হাদিস: আবু সাঈদ খুদরি (রাঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন: “রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রমযানের প্রথম দশ দিন ইতিকাফ করলেন। আমরাও তাঁর সঙ্গে...
উত্তর : ১. হয়েয ও নিফাস হওয়া। এ অবস্থায় সিয়াম ভঙ্গ করে পরবর্তীতে ক্বাযা আদায় করে নেবে (মাজমূউল ফাতাওয়া ইবনে তাইমিয়্যাহ, ২৫/২২০, ২৫/২৬৭, ২৬/১৭৬: মুসলিম, ৪/২৬)। নবী (ﷺ) বলেছেন, 'আর হায়িয অবস্থায় তারা কি ছলাত । সিয়াম হতে বিরত থকে না?’ (ছহীহ বুখারী, হা/৩:০৪, ১৯৫১, ২৬৫৮; ছহীহ মুসলিম, হা/৭৯-...
হজ্জ ও উমরা আদায়, রমজান মাসে রোজা রাখা, রমজানের শেষ দশকে ইবাদত-বন্দেগি করা বা অন্য কোন কল্যাণময় কাজের উদ্দেশ্যে যদি ওষুধ খেয়ে ঋতুস্রাব বিলম্বিত করা হয় তাহলে শরিয়তের দৃষ্টিতে এতে কোন সমস্যা নেই যদি তাতে স্বাস্থ্যগত কোন ক্ষতি না হয়। স্বাস্থ্যগত ক্ষতি হলে তখন তা করা বৈধ হবে না। তাই অভিজ্ঞ ও...
বর্তমানে সেলফি রোগে আক্রান্ত আমাদের যুব সমাজ। বিশেষ করে রমজান কেন্দ্রিক মুসল্লিদের এ রোগটা বেড়ে যায়। তাই ফেসবুক জুড়ে তাদের রমজান সেলফির ছড়াছড়ি।
যেমন: ইফতার রেডি করছি, ইফতার করলাম, ইফতার বিতরণ করছি, ইফতারের নানা আইটেমের ছবি, তারাবিহ পড়তে যাচ্ছি, তারাবিহ পড়ে এলাম, সেহেরি খাওয়ার জন্য ঘুম থেকে...
প্রশ্ন: আমার বিগত তিন বছরের কয়েকটা ভাংতি রোজা আছে। আমার প্রশ্ন হল, সেগুলো কি আমাকে রাখতেই হবে নাকি কাফফারা দিলে ওই রোজাগুলো আদায় হয়ে যাবে? রোজার কাফফারা কিভাবে দিতে হয় এবং কাফফারা দেয়ার নিয়ম কি?
উত্তর: রমাযানের রোযা ছুটে গেলে আগামী রমাযান আসার আগে যে কোন সময় তা কাজা করে নেয়া আবশ্যক।
আমাদের মা...
প্রশ্ন: কোন ব্যক্তি যদি রামাযানের রোযা রাখতে অক্ষম হয় এবং তার ফিদিয়া (একজন মিসকিনকে খাদ্য প্রদান) প্রদানেরও ক্ষমতা না রাখে তাহলে কী করণীয়?
উত্তর: কোন ব্যক্তি যদি বয়োবৃদ্ধ বা অসুস্থ হওয়ার কারণে রামাযানের রোযা রাখতে না পারে এবং ভবিষ্যতেও সুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা না থাকে তাহলে ফিদিয়া প্রদান করবে।...
কোনও রোজাদার ব্যক্তি যদি ইফতার করার জন্য কোনও হালাল খাদ্য-পানীয়ের ব্যবস্থা করতে না পারে তাহলে সূর্য অস্ত গেলে রোজা ভঙ্গ (ইফতার) করার নিয়ত করে নিবে। (হারাম বস্তু গ্রহণ করবে না)। তাহলে তার রোজা শুদ্ধ হয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ। কারণ রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন,
إنما الأعمال بالنيات،...
উত্তর: রমাযানে নফল ইবাদত করলে দ্বিগুণ সওয়াব পাওয়া যায়- এ কথা হাদিস সম্মত নয়। অনুরূপভাবে রমাযানে একটি নফল অন্যান্য মাসে ফরজের সমান সওয়াব অথবা রমাযানে একটি ফরজ অন্যান্য মাসে সত্তরটি ফরজের সমান মর্মে বর্ণিত হাদিসটি জঈফ বা দুর্বল।
উত্তর প্রদানে: আব্দুল্লাহিল হাদী বিন আব্দুল জলীল
মুসলিমদের সামনে ইসলামের উদারতা, সৌন্দর্য এবং মহানুভবতা প্রকাশ করা খুব গুরুত্বপূর্ণ। এটি তাদের অন্তরকে ইসলামের প্রতি আকৃষ্ট করার অন্যতম উপায়। সুতরাং ইসলামের দিকে আকৃষ্ট করার উদ্দেশ্যে কোন অমুসলিমকে মুসলিমদের ইফতার খাওয়ার জন্য ডাকা জায়েজ রয়েছে। হতে পারে, এটি তার হেদায়েতের ওসিলা হয়ে যাবে।...
উত্তর: পিরিয়ডের কারণে ছুটে যাওয়া রোযাগুলো রমাযানের পরবর্তীতে কাজা করলেও ইনশাআল্লাহ রমাযানের সমপরিমাণ সওয়াব পাওয়া যাবে।
অনুরূপভাবে সফর বা অসুস্থ জনিত কারণে রোযা ভঙ্গ করার পর যদি তা পরবর্তীতে কাজা করা হয় তাহলেও একই সওয়াব পাওয়া যাবে ইনশাআল্লাহ। কারণ সে আল্লাহর দেয়া বিধান অনুযায়ী রোযা ভঙ্গ করেছে।...
দ্বীন সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করতে পারা একজন ব্যক্তির জন্য কল্যাণের সুসংসবাদ, নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন :
من يرد الله به خيرا يفقهه في الدين
“আল্লাহ পাক যার কল্যাণ চান তাকে দ্বীনের জ্ঞান দান করেন।
দ্বীনের এই জ্ঞানের উৎস হল আল-কুরআন ও সুন্নাহ। কুরআন ও সুন্নাতের জ্ঞানে জ্ঞানী...