আসসালামু আলাইকুম,
খুব শীঘ্রই আমাদের ফোরামে মেজর কিছু চেঞ্জ আসবে যার ফলে ফোরামে ১-৩ দিন আপনারা প্রবেশ করতে পারবেন না। উক্ত সময়ে আপনাদের সকলকে ধৈর্য ধারণের অনুরোধ জানাচ্ছি।
Salafi Forum হচ্ছে সালাফী ও সালাফদের আকিদা, মানহাজ শিক্ষায় নিবেদিত একটি সমৃদ্ধ অনলাইন কমিউনিটি ফোরাম।
জ্ঞানগর্ভ আলোচনায় নিযুক্ত হউন, সালাফী আলেমদের দিকনির্দেশনা অনুসন্ধান করুন।
আপনার ইলম প্রসারিত করুন, আপনার ঈমানকে শক্তিশালী করুন এবং সালাফিদের সাথে দ্বীনি সম্পর্ক গড়ে তুলুন।
বিশুদ্ধ আকিদা ও মানহাজের জ্ঞান অর্জন করতে, ও সালাফীদের দৃষ্টিভঙ্গি শেয়ার করতে এবং ঐক্য ও ভ্রাতৃত্বের চেতনাকে আলিঙ্গন করতে আজই আমাদের সাথে যোগ দিন।
You are using an out of date browser. It may not display this or other websites correctly. You should upgrade or use an alternative browser.
হজ্জ ও উমরা আদায়, রমজান মাসে রোজা রাখা, রমজানের শেষ দশকে ইবাদত-বন্দেগি করা বা অন্য কোন কল্যাণময় কাজের উদ্দেশ্যে যদি ওষুধ খেয়ে ঋতুস্রাব বিলম্বিত করা হয় তাহলে শরিয়তের দৃষ্টিতে এতে কোন সমস্যা নেই যদি তাতে স্বাস্থ্যগত কোন ক্ষতি না হয়। স্বাস্থ্যগত ক্ষতি হলে তখন তা করা বৈধ হবে না। তাই অভিজ্ঞ ও...
বর্তমানে সেলফি রোগে আক্রান্ত আমাদের যুব সমাজ। বিশেষ করে রমজান কেন্দ্রিক মুসল্লিদের এ রোগটা বেড়ে যায়। তাই ফেসবুক জুড়ে তাদের রমজান সেলফির ছড়াছড়ি।
যেমন: ইফতার রেডি করছি, ইফতার করলাম, ইফতার বিতরণ করছি, ইফতারের নানা আইটেমের ছবি, তারাবিহ পড়তে যাচ্ছি, তারাবিহ পড়ে এলাম, সেহেরি খাওয়ার জন্য ঘুম থেকে...
প্রশ্ন: আমার বিগত তিন বছরের কয়েকটা ভাংতি রোজা আছে। আমার প্রশ্ন হল, সেগুলো কি আমাকে রাখতেই হবে নাকি কাফফারা দিলে ওই রোজাগুলো আদায় হয়ে যাবে? রোজার কাফফারা কিভাবে দিতে হয় এবং কাফফারা দেয়ার নিয়ম কি?
উত্তর: রমাযানের রোযা ছুটে গেলে আগামী রমাযান আসার আগে যে কোন সময় তা কাজা করে নেয়া আবশ্যক।
আমাদের মা...
প্রশ্ন: কোন ব্যক্তি যদি রামাযানের রোযা রাখতে অক্ষম হয় এবং তার ফিদিয়া (একজন মিসকিনকে খাদ্য প্রদান) প্রদানেরও ক্ষমতা না রাখে তাহলে কী করণীয়?
উত্তর: কোন ব্যক্তি যদি বয়োবৃদ্ধ বা অসুস্থ হওয়ার কারণে রামাযানের রোযা রাখতে না পারে এবং ভবিষ্যতেও সুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা না থাকে তাহলে ফিদিয়া প্রদান করবে।...
কোনও রোজাদার ব্যক্তি যদি ইফতার করার জন্য কোনও হালাল খাদ্য-পানীয়ের ব্যবস্থা করতে না পারে তাহলে সূর্য অস্ত গেলে রোজা ভঙ্গ (ইফতার) করার নিয়ত করে নিবে। (হারাম বস্তু গ্রহণ করবে না)। তাহলে তার রোজা শুদ্ধ হয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ। কারণ রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন,
إنما الأعمال بالنيات،...
উত্তর: রমাযানে নফল ইবাদত করলে দ্বিগুণ সওয়াব পাওয়া যায়- এ কথা হাদিস সম্মত নয়। অনুরূপভাবে রমাযানে একটি নফল অন্যান্য মাসে ফরজের সমান সওয়াব অথবা রমাযানে একটি ফরজ অন্যান্য মাসে সত্তরটি ফরজের সমান মর্মে বর্ণিত হাদিসটি জঈফ বা দুর্বল।
উত্তর প্রদানে: আব্দুল্লাহিল হাদী বিন আব্দুল জলীল
মুসলিমদের সামনে ইসলামের উদারতা, সৌন্দর্য এবং মহানুভবতা প্রকাশ করা খুব গুরুত্বপূর্ণ। এটি তাদের অন্তরকে ইসলামের প্রতি আকৃষ্ট করার অন্যতম উপায়। সুতরাং ইসলামের দিকে আকৃষ্ট করার উদ্দেশ্যে কোন অমুসলিমকে মুসলিমদের ইফতার খাওয়ার জন্য ডাকা জায়েজ রয়েছে। হতে পারে, এটি তার হেদায়েতের ওসিলা হয়ে যাবে।...
উত্তর: পিরিয়ডের কারণে ছুটে যাওয়া রোযাগুলো রমাযানের পরবর্তীতে কাজা করলেও ইনশাআল্লাহ রমাযানের সমপরিমাণ সওয়াব পাওয়া যাবে।
অনুরূপভাবে সফর বা অসুস্থ জনিত কারণে রোযা ভঙ্গ করার পর যদি তা পরবর্তীতে কাজা করা হয় তাহলেও একই সওয়াব পাওয়া যাবে ইনশাআল্লাহ। কারণ সে আল্লাহর দেয়া বিধান অনুযায়ী রোযা ভঙ্গ করেছে।...
দ্বীন সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করতে পারা একজন ব্যক্তির জন্য কল্যাণের সুসংসবাদ, নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন :
من يرد الله به خيرا يفقهه في الدين
“আল্লাহ পাক যার কল্যাণ চান তাকে দ্বীনের জ্ঞান দান করেন।
দ্বীনের এই জ্ঞানের উৎস হল আল-কুরআন ও সুন্নাহ। কুরআন ও সুন্নাতের জ্ঞানে জ্ঞানী...
রোজাদ নিজের দেহের ক্ষতস্থানে ওষুধ দিয়ে ব্যান্ডেজ ইত্যাদি করা দূষণীয় নয়। তাতে সে ক্ষত গভীর হোক অথবা অগভীর। কারণ, এ কাজকে না কিছু খাওয়া বলা যাবে, আর না পান করা। তা ছাড়া ক্ষতস্থান স্বাভাবিক পানাহারের পথ নয়।[1]
[1] (আহকামুস সাওমি অল-ই’তিকাফ, আবূ সারী মঃ আব্দুল হাদী ১৪০পৃঃ)
গ্রন্থ :রমাযানের...
ফেসবুকে এ সব ছবি প্রচার-প্রসার করার কী উদ্দেশ্য?
আমাদের জানা দরকার যে, মানুষকে ইফতার খাওয়ানো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। কারণ হাদীসে এসেছে, যে ব্যক্তি কোন রোযাদারকে ইফতার করায় সে ব্যক্তি সমপরিমান সওয়াবের অধিকারী হয়।
অনুরূপভাবে ইফতারী তৈরি করাও নেকির কাজ। এর মাধ্যমে একটি ইবাদত পালনে সহায়তা করা...
না, সিয়ামের কোনো ক্ষতি হবে না। কারণ সিয়াম ভঙ্গকারী বা সিয়াম মাকরুহ হওয়ার যে কারণগুলো আছে, তার মধ্যে গোসল করা নেই। গোসল করা কখনো কখনো উত্তমও হতে পারে। আবার অসুস্থ ব্যক্তির জন্য গোসল করা ক্ষতির কারণও হতে পারে। এ ক্ষেত্রে স্বাস্থ্যের ব্যবস্থাপনা থাকা দরকার।
একজন যদি চারবার গোসল করেন, এর কারণে তিনি...
“রমজান মাসে যে কোনও ইবাদত ৭০গুণ বৃদ্ধি করা হয়” এটি ভিত্তিহীন কথা। তবে এ ধরণের একটি হাদিস পাওয়া যায় কিন্তু তা মুনকার বা মারাত্মক দুর্বল। তা হল, “যে ব্যক্তি এ মাসে একটি নফল কাজ করবে, সে যেন অন্য মাসের একটি ফরজ আদায় করল। আর যে ব্যক্তি এ মাসে একটি ফরজ আদায় করেন, সে যেন অন্য মাসের সত্তরটি ফরজ সম্পাদন...
উত্তর: ইসলামী শরীয়তের দৃষ্টিকোণ থেকে যে ব্যক্তির মধ্যে ৫টি শর্ত পাওয়া যায়; তার উপর সাওম পালন করা ওয়াজিব। যেমন: (১). যদি সে মুসলিম হয়। (২). যদি সে মুকাল্লাফ (যার উপর শারীআতের বিধি-বিধান প্রযোজ্য) হয়। (৩). যদি সে সাওম পালন করতে সক্ষম হয়। (৪). যদি সে অবস্থানকারী (মুকিম) হয়। এবং (৫). যদি সাওম পালনে...
প্রশ্ন: যদি কোনো মুসলিম নারী সোম ও বৃহস্পতিবারের সিয়াম পালনে অভ্যস্থ হয়ে থাকে, তবে কি তার জন্য সেই সিয়ামের দ্বারা রমযান মাসের ফাওত হওয়া (ছুটে যাওয়া দিনগুলোর) কাযা আদায় করার সুযোগ নেওয়া জায়েয নাকি নিয়্যাত স্বতন্ত্র (আলাদা) হওয়া ওয়াজিব?
উত্তর: সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্য।
“রমযান মাসের ছুটে যাওয়া...
উত্তর: যদি অসুস্থতার কারণে কেউ রোজা ছেড়ে দেয় এবং রোজার পরেও অসুস্থ থাকে। এমনকি ঐ অবস্থায় সে মারা যায় তবে তার ওয়ারিশদেরকে সে রোজার কাযা আদায় করতে হবে না এবং কোনো কাফফারাও দিতে হবে না। কেননা সে রোজা কাযা করার সুযোগ পায়নি। যদি আরোগ্যলাভ করে রোজা রাখার সুযোগ পায় কিন্তু অলসতা অবহেলা বশতঃ তা আদায় না...
উত্তর: যে কোনো কারণে কোনো ব্যক্তি ইচ্ছাকৃত বমি করলে তাকে সে দিনের কাযা আদায় করতে হবে। আর যদি রোজাদারের অনিচ্ছায় বমি হয় তবে তাকে ঐ দিনের রোজা কাযা করতে হবে না।
হাদীসে এসেছে, আবু হুরাইরা (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ কোন লোকের রোযা থাকাবস্থায় বমি হলে সে লোককে...
নীচের প্রশ্নের উত্তরগুলো যারা জানেন না তারা সতর্ক হন, আপনি হয়তো ইসলাম সম্পর্কে এর চাইতে অধিক গুরুত্বপূর্ণ অনেক জিনিসই আসলে জানেন না। মনে রাখবেন, অজ্ঞতা মানুষের বড় দুশমন। আজকে হিন্দুরা মূর্তি পূজার করে, নামধারী মুসলিমরা পহেলা বৈশাখে মূর্তিপূজারীদের জাহেলিয়াতের অনুকরণ করে, এর বড় কারণ হচ্ছে...
আমরা কেউই ভুলের ঊর্ধ্বে নই তাই আমাদের ফোরামে কোনো ভুল ত্রুটি (ছোট কিংবা বড়) চোখে পড়লে সেটাকে প্রচার করার পূর্বে আমাদের জানানোর অনুরোধ করছি। আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলা বলেছেন: নিশ্চয় মুমিনরা পরস্পর ভাই ভাই। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন: এক মুসলিম আরেক মুসলিমের ভাই। সে তার ওপরে জুলুম করে না।