সিয়াম ও রামাদান

  1. Abu Abdullah

    সিয়াম ফজর উদয় হওয়ার ব্যাপারে সন্দেহ হলে

    ফজর উদয় হওয়ার ব্যাপারে সন্দেহ হলে রোযাদার ততক্ষণ পর্যন্ত পানাহার করতে পারে, যতক্ষণ পর্যন্ত না সে ফজর উদয় হওয়ার ব্যাপারে নিশ্চিত হয়েছে। আর সন্দেহের উপর পানাহার বন্ধ করবে না। যেহেতু মহান আল্লাহ পানাহার বন্ধ করার শেষ সময় নির্ধারিত করেছেন নিশ্চিত ও স্পষ্ট ফজরকে; সন্দিগ্ধ ও অস্পষ্ট ফজরকে নয়। তিনি...
  2. Abu Abdullah

    সিয়াম সেহরী খাওয়ার সময় কখন?

    সেহরী খাওয়ার সময় হল অর্ধরাত্রির পর থেকে ফজরের আগে পর্যন্ত। আর মুস্তাহাব হল, ফজর হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা না হলে শেষ সময়ে সেহরী খাওয়া। আনাস (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত, যায়দ বিন ষাবেত তাঁকে জানিয়েছেন যে, তাঁরা নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম)-এর সাথে সেহরী খেয়ে (ফজরের) নামায পড়তে উঠে গেছেন। আনাস বলেন, আমি...
  3. Abu Abdullah

    সালাত ইমামের সাথে নামায শেষ করার মাহাত্ম্য

    যে ব্যক্তি জামাআতের ইমামের পিছনে রাতের কিছু অংশ তারাবীহ পড়বে এবং ইমাম শেষ করলে সেও শেষ করবে (অর্থাৎ, তাঁর আগে বা পরে শেষ করবে না), তার নেকীর খাতায় পূর্ণ রাত নামায পড়ার সওয়াব লিপিবদ্ধ হবে। মহানবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম) বলেন, ‘‘যে ব্যক্তি ইমামের সাথে নামায পড়ে এবং তার নামায শেষ করা...
  4. Abu Abdullah

    সালাত বিতর নামাযে কুনূত পড়া সুন্নত, ওয়াজেব নয়

    বিতর নামাযে কুনূত পড়া সুন্নত, ওয়াজেব নয়। কারণ, যে সকল সাহাবাবৃন্দ বিতর নামাযের হাদীস বর্ণনা করেছেন, তাঁরা তাতে কুনূতের কথা উল্লেখ করেননি। বলা বাহুল্য, যদি মহানবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম) তা প্রত্যহ করতেন, তাহলে তাঁরা সকলেই সে কথা বর্ণনা করতেন। তবে হ্যাঁ, একা উবাই বিন কা’ব বর্ণনা করেছেন...
  5. Abu Abdullah

    সালাত কুনূতের দুআর শেষে মুখে হাত বুলানো

    দুই হাত তুলে কুনূতের (অনুরূপ যে কোন) দুআর শেষে মুখে হাত বুলানো সুন্নত নয়। কেননা, এ ব্যাপারে বর্ণিত সমস্ত হাদীস যয়ীফ।[1] আর যয়ীফ হাদীস দ্বারা কোন সুন্নত প্রমাণ করা আমাদের জন্য সম্ভব নয়। তাই অনেক উলামা পরিষ্কারভাবে এ কাজকে বিদআত বলেছেন।[2] মাজমূ’ নামক কিতাবে ইমাম নওবী ইয্য্ বিন আব্দুস সালামের...
  6. Abu Abdullah

    সালাত সালাতে কুনূতের জবাব

    কুনূতের দুআয় ইমামের ‘ইন্নাহু লা য়্যাযিল্লু ---’ বলার সময় যেহেতু ‘আমীন’ বলা হয় না সেহেতু কোন কোন লোক এ ক্ষেত্রে ‘স্বাদাক্বতা’, ‘হাক্কব-হাক্কব’, ‘আশহাদ’, অথবা ‘ইয়াল্লাহ’ বলে থাকে। আসলে এ সব বলা বিদআত। রমাযানের ফাযায়েল ও রোযার মাসায়েল শাইখ আব্দুল হামীদ আল-ফাইযী আল-মাদানী
  7. Abu Abdullah

    সালাত একবচন শব্দের দুআকে বহুবচন করে পড়া

    দুআ-এ মাষূর একবচন শব্দে হলে ইমাম সাহেব সেটিকে বহুবচন শব্দে ব্যবহার করবেন। কারণ, তিনি নিজের সাথে সাথে মুক্তাদীদের জন্যও দুআ করে থাকেন।[1] [1] (সালাতুল-লাইলি অত্-তারাবীহ, ইবনে বায ৪১পৃঃ, এ ব্যাপারে অধিক দ্রঃ সালাতি মুবাশ্শির ২/২৯৩) রমাযানের ফাযায়েল ও রোযার মাসায়েল শাইখ আব্দুল হামীদ আল-ফাইযী...
  8. Abu Abdullah

    সালাত সালাতে লম্বা দুআ কি বৈধ ?

    কোন কোন ইমাম দুআকে এত লম্বা করেন যে, তাতে মুক্তাদীদের অনেকের অথবা সকলের কষ্ট হয়। পক্ষান্তরে আর এক শ্রেণীর ইমাম আছেন, যাঁরা কুনূতের দুআকে কবিতা আবৃত্তির মত গড়গড় করে পড়ে ফেলেন। কিন্তু যখন মুনাজাত শুরু করেন, তখন একই দুআকে বারবার বলে বেশ দীর্ঘ সময় ব্যয় করেন। ফলে কেউ কেউ প্রায় আধ ঘ¦টা ধরে কুনূত পড়েন।...
  9. Abu Abdullah

    অন্যান্য দুআয় ছন্দ ব্যবহার

    দুআ করার সময় অনিচ্ছাকৃতভাবে যদি দুআর শব্দাবলীতে ছন্দ এসে যায়, তাহলে তাতে কোন দোষ নেই। দূষণীয় হল কষ্টকল্পনার সাথে ছন্দ বানিয়ে দুআ করা। কারণ, মহানবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম) কথায় ছন্দ ব্যবহারের নিন্দা করেছেন। এক ব্যক্তির বাঁধা-ছাঁদা কথা শুনে তিনি বলেছিলেন, ‘‘এ ছন্দ তো গণকের ছন্দের মত!’’...
  10. Abu Abdullah

    প্রবন্ধ কুনূতের কতিপয় আনুষঙ্গিক মাসায়েল

    উত্তম ও দলীলের অধিক নিকটবর্তী কাজ হল ‘আল্লাহুম্মাহদিনা ফীমান হাদাইতা’ বলে কুনূতের দুআ শুরু করা। অবশ্য যদি কেউ দুআ করার মৌলিক নীতির উপর আমল করে মহান আল্লাহর প্রশংসা ও নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম)-এর উপর দরূদ পড়ার মাধ্যমে কুনূত শুরু করে, তাহলে তাতে কোন দোষ নেই। নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহে...
  11. Abu Abdullah

    সালাত নামাযে খতমের দুআয় শরীক হওয়া

    ইমাম নামাযে কুরআন খতমের দুআ করলে মুক্তাদীও সে দুআতে শরীক হয়ে ‘আমীন-আমীন’ বলতে পারে। যদিও নামাযের মধ্যে কুরআন-খতমের মুনাজাত করার ব্যাপারে সুন্নাহ থেকে কোন দলীল নেই, তবুও যেহেতু মুসলিমদের কিছু আয়েম্মায়ে কেরাম তা করা মুস্তাহাব বলেছেন এবং তা হল একটি বৈধ ইজতিহাদী অভিমত, আর তা ভুল হলেও হতে পারে...
  12. Abu Abdullah

    সালাত নামাযে কুরআন-খতমের দুআ

    শায়খ ইবনে উষাইমীন (রঃ) বলেন, নামাযের ভিতরে কুরআন-খতমের পর দুআ করার সপক্ষে রসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম)-এর সুন্নাহ থেকে অথবা সাহাবাদের আমল থেকে নির্ভরযোগ্য কোন সহীহ ভিত্তি নেই। এই দুআর সপক্ষে একমাত্র দলীল হল আনাসের আমল; তিনি কুরআন খতম করার সময় নিজের পরিবারের লোকদেরকে সমবেত করে দুআ...
  13. Abu Abdullah

    সালাত সালাতে আয়াতের পুনরাবৃত্তি

    কোন আয়াতকে কেন্দ্র করে ভাবতে ও ভাবাতে উদ্বুদ্ধ করার উদ্দেশ্যে তা একাধিক বার ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে পাঠ করা দোষাবহ নয়; যদি তার ফলে হৃদয়ে প্রভাব পড়ে এবং কান্না আকর্ষণ করে।[1] আর এ কথা প্রমাণিত যে, এক রাত্রে মহানবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম) একটি মাত্র আয়াতকে বারবার পাঠ করে ফজর পর্যন্ত কিয়াম...
  14. Abu Abdullah

    সালাত ক্বিরাআত পড়তে পড়তে কান্না করা

    ক্বিরাআত চলা অবস্থায় ইমাম বা মুক্তাদীর আবেগে কান্না চলে আসা নামাযের জন্য ক্ষতিকর নয়। তবে কারো জন্য উচ্চস্বরে কাঁদা উচিৎ নয়। কারণ, এতে অন্যান্য নামাযীদের নামাযে ক্ষতি হয় এবং তাতে তাদের - আর বিশেষ করে মুক্তাদী কাঁদলে ইমামের - ডিষ্টার্ব হয়। অতএব মুমিনের চেষ্টা করা উচিৎ, যাতে তার কান্নার শব্দ অন্য...
  15. Abu Abdullah

    সালাত তারাবীহতে মুক্তাদীর কুরআন দেখা

    নামায অবস্থায় মুক্তাদীর কর্তব্য হল, বিনয়-নম্রতা ও ধীরতা-স্থিরতা অবলম্বন করা, ইমামের ক্বিরাআত মনোযোগ সহকারে শ্রবণ করা, ডান হাতকে বাম হাতের উপর রেখে বুকে বাঁধা, সিজদার জায়গায় দৃষ্টি নিবদ্ধ রাখা ইত্যাদি। কিন্তু হাতে কুরআন নিলে উক্ত সকল সুন্নাহ পরিত্যক্ত হয়ে যায়। পৃষ্ঠা ও আয়াত নম্বর খুঁজতে গিয়ে অনেক...
  16. Abu Abdullah

    সালাত তারাবীহতে কুরআন দেখে ক্বিরাআত পড়া

    এতে কোন সন্দেহ নেই যে, একজন প্রকৃত হাফেযই ইমামতির অধিক যোগ্যতা রাখেন, যিনি নামাযে কুরআন মুখস্থ পড়বেন। কিন্তু ইমামতির জন্য যদি হাফেয না থাকেন, ইমাম সাহেব হাফেয না হন, অথবা তাঁর হিফ্য অত্যন্ত দুর্বল হয় এবং কুরআন দেখে পড়া তাঁর নিজের তথা মুক্তাদীদের জন্য বেশী উপকারী হয়, তাহলে কুরআন দেখে ক্বিরাআত...
  17. baten

    বাংলা বই রমযানের দায়িত্ব-কর্তব্য - PDF ইমাম ইবনে রজব হাম্বলি (রাহি.)

    মৌসুমি আমল ইবাদত নিয়ে ইমাম ইবনে রজব হাম্বলির 'লাতায়িফুল মাআরিফ' একটি অনবদ্য রচনা। বিশেষ করে আমাদের দেশে বারো চান্দের ফজিলত নামধারী এবিষয়ক অনির্ভরযোগ্য বই পরিহার করে সৎ পূর্বসুরিদের বইয়ের দিকে ফিরে আসাই বেশি যুক্তিযুক্ত। আলোচ্য বইটিতে শুধু রমাদান কেন্দ্রিক লেখাগুলো বাংলায় অনুবাদ ও সম্পাদনা করে...
  18. baten

    গায়রে সালাফি রমাদান-আত্মশুদ্ধির বিপ্লব - PDF ড. খালিদ আবু শাদি

    রমাদান পরিবর্তনের মাস। রমাদান গাফিলতি ঝেড়ে নিজেকে শুধরে নেওয়ার মাস। রমাদান আত্মশুদ্ধির সুবর্ণ সময়। রমাদান তাকওয়া অর্জনের শ্রেষ্ঠ সময়। রমাদান নেক আমলের বসন্ত। রমাদান কুরআন নাজিলের মাস। রমাদান বিজয়ের মাস। রমাদান আল্লাহর নৈকট্যলাভের শ্রেষ্ঠ সময়। প্রিয় ভাই, আমাদের জীবনে প্রতি বছরই রমাদান...
  19. I

    বাংলা বই রমযান স্বাগতম - PDF আব্দুল হামীদ ফাইযী আল-মাদানী

    এই বইটিতে রমাদানের সিয়াম সম্পর্কিত খুঁটিনাটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন শাইখ (হাফিঃ)।
  20. Mahmud ibn Shahidullah

    সিয়াম নবী করীম (ﷺ) বলেছেন, ‘তাঁর উম্মতকে রামাযান মাসের শেষ রাতে মাফ করা হয়। জিজ্ঞেস করা হল, হে আল্লাহ্র রাসূল (ﷺ)! এটা কি ক্বদরের রাত্রি? তিনি

    যঈফ। এর সনদে হিশাম নামে যঈফ রাবী আছে (মির‘আতুল মাফাতীহ, ৬/৪২৩ পৃ.; যঈফ আত-তারগীব, হা/৫৮৬; তাহক্বীক্ব মিশকাত, হা/১৯৬৮)। সূত্র: আল-ইখলাছ।
Back
Top