আক্বীদাহ আত-তাওহীদ বিষয়ে ১০০ প্রশ্নোত্তর

  1. Abu Umar

    ৪০। মালাঈকা বা ফেরেশতা কাদের বলা হয়?

    উত্তর: মালাঈকা বা ফেরেশতাগণ হলেন, অদৃশ্য জগতের এমন এক সৃষ্টিজীব, যাদেরকে আল্লাহ তা'আলা তার ইবাদতের জন্য সৃষ্টি করেছেন।
  2. Abu Umar

    ৩৯। ঈমানের রুকন (স্তম্ভ) গুলি কী কী?

    উত্তর: ঈমানের মূল ভিত্তি ছয়টি। যথা - ১। আল্লাহ তা'আলার প্রতি বিশ্বাস (الإيمان بالله) ২। মালাঈকা বা ফেরেশতাগণের প্রতি বিশ্বাস (الإيمان بالملائكة) ৩। আসমানী কিতাবসমূহের প্রতি বিশ্বাস (الإيمان بالكتب) ৪। রসূলগণের প্রতি বিশ্বাস (الإيمان بالرسل) ৫। আখিরাত বা শেষ দিবসের প্রতি বিশ্বাস (الإيمان باليوم...
  3. Abu Umar

    ৩৮। ঈমানের সংজ্ঞা বা পরিচিতি কী?

    উত্তর: ঈমান হলো, অন্তরে দৃঢ় বিশ্বাস, মুখে স্বীকৃতী ও কর্মে বাস্তবায়নের নাম, যা আনুগত্যের মাধ্যমে বৃদ্ধিপায় ও নাফরমানীর দ্বারা কমে যায়।
  4. Abu Umar

    ৩৭। ইসলামের রুকন (স্তম্ভ) গুলি কী কী?

    উত্তর: ইসলামের রুকন (স্তম্ভ) ৫টি। সেগুলো হলো যথাক্রমে- ১। এ কথার সাক্ষ্য দেয়া যে, আল্লাহ ছাড়া সত্য কোন ইলাহ বা মা'বুদ নেই এবং মুহাম্মাদ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল্লাহর বান্দা ও রসূল। ২। ছলাত প্রতিষ্ঠা করা। ৩। যাকাত প্রদান করা। ৪। রমাযান মাসের ছিয়াম পালন করা ৫। আর সক্ষম ব্যক্তিদের জন্য...
  5. Abu Umar

    ৩৬। ইসলামের সংজ্ঞা কী?

    উত্তর: আল্লাহকে একক বলে বিশ্বাস করে তার নিকট আত্মসমর্পণ করা ও তার আদেশসমূহকে বাস্তবায়নের মাধ্যমে তার আনুগত্য করা এবং শিরক ও শিরককারীদের সাথে সকল প্রকার সম্পর্ক ছিন্ন করার নাম ইসলাম।
  6. Abu Umar

    ৩৫। মুহাম্মাদ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে প্রেরণের পর আল্লাহ দীন ইসলাম ব্যতীত অন্য দীন গ্রহণ করবেন কী?

    উত্তর: না। রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে প্রেরণের পর, আল্লাহ ইসলাম ছাড়া অন্য কোন দীন গ্রহণ করবেন না। এর প্রমাণে আল্লাহ তা'আলার বাণী: وَمَن يَبْتَغِ غَيْرَ الْإِسْلَامِ دِينًا فَلَن يُقْبَلَ مِنْهُ وَهُوَ فِي الْآخِرَةِ مِنَ الْخَاسِرِينَ যে ব্যক্তি ইসলাম ছাড়া অন্য কোন দীন তালাশ করে...
  7. Abu Umar

    ৩৪। তোমার দীন কী?

    উত্তর: আমার দীন ইসলাম। এ বিষয়ে আল্লাহ তা'আলা বলেন, وَإِنَّ الَّذِينَ عِندَ اللَّهِ الْإِسْلَامُ আল্লাহর নিকট একমাত্র দীন হলো ইসলাম। (সূরা আলি-ইমরান ৩:১৯)
  8. Abu Umar

    ৩৩। আল্লাহর গুণসমূহ আমাদের গুণের সাদৃশ্য নয় কুরআনে এর দলীল-প্রমাণ কী?

    উত্তর: আল্লাহ তা'আলার এই বাণী: لَيْسَ كَمِثْلِهِ شَيْءٌ وَهُوَ السَّمِيعُ الْبَصِيرُ কোন কিছুই তাঁর সদৃশ নয়, আর তিনি শোনেন ও দেখেন'। (সূরা আশ- শূরা ৪২:১১)
  9. Abu Umar

    ৩২। আল্লাহর নাম এবং গুণাবলির প্রতি ঈমান রাখা বিষয়ে মুসলিমগণের কর্তব্য কী?

    উত্তর: তাহলো আল্লাহ তা'আলা নিজের জন্য যে সকল নাম ও গুণাবলি সাব্যস্ত করেছেন এবং তাঁর রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল্লাহর জন্য যে সকল নাম ও গুণসমূহ সাব্যস্ত করেছেন ঠিক সেভাবেই সাব্যস্ত করা এবং তাতে কোনরূপ 'তাহরীফ' (التحريف) বা পরিবর্তন- পরিবর্ধন করা যাবে না, 'তা'জ্বীল' (التعطيل) বা সঠিক...
  10. Abu Umar

    ৩১। আল্লাহ ছাড়া অন্যের নামে কসম করার শারঈ বিধান কী? যেমন: নাবীর নামে, আমানত কিংবা মর্যাদা ইত্যাদির নামে কসম করা।

    উত্তর: আল্লাহ ছাড়া অন্যের নামে কসম করা ছোট শিরক। এ বিষয়ে প্রিয় নাবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, «مَنْ كَانَ خَالِفًا، فَلْيَحْلف بالله أَوْ لَيَصْمُت» যে ব্যক্তি কসম করতে চায়, সে যেন আল্লাহর নামে কসম করে অথবা চুপ থাকে। (ছহীহ বুখারী হা/২৬৭৯)
  11. Abu Umar

    ৩০। আল্লাহ ছাড়া অন্যের উদ্দেশ্যে পশু যবেহ বা কুরবানী করা ও সিজদা করার শারঈ বিধান কী?

    উত্তর: তাহলো শিরকে আকবার বা বড় শিরক, যা ব্যক্তিকে মিল্লাতে ইসলাম থেকে বের করে দেয়। এ বিষয়ে আল্লাহ তা'আলার বাণী: قُلْ إِنَّ صَلَاتِي وَنُسُكِي وَمَحْيَايَ وَمَمَاتِي لِلَّهِ رَبِّ الْعَالَمِينَ لَا شَرِيكَ لَهُ وَبِذَلِكَ أُمِرْتُ وَأَنَا أَوَّلُ الْمُسْلِمِينَ "আপনি বলুন, আমার ছুলাত, আমার...
  12. Abu Umar

    ২৯। আমরা কার উদ্দেশ্যে পশু যবেহ (কুরবানী) করব ও ছলাত আদায় করব?

    উত্তর: একমাত্র আল্লাহ তা'আলার জন্য যিনি একক সত্তা, যার কোন শরীক নেই। এ বিষয়ে তিনি বলেন, فَصَلِّ لِرَبِّكَ وَانْحَرْ অতএব আপনার পালনকর্তার উদ্দেশ্যে ছলাত পড়ুন ও কুরবানী করুন। (সূরা আল-কাওছার ১০৮:২)
  13. Abu Umar

    ২৮। মৃতরা কি আহ্বানে সাড়া দিতে পারে?

    উত্তর: না। মৃতরা আহ্বানে সাড়া দিতে পারে না। এর প্রমাণে আল্লাহ তা'আলার বাণী: إإِن تَدْعُوهُمْ لَا يَسْمَعُوا دُعَاءَكُمْ وَلَوْ سَمِعُوا مَا اسْتَجَابُوا لَكُمْ وَيَوْمَ الْقِيَامَةِ يَكْفُرُونَ بِشِرْكِكُمْ তোমরা আহ্বান করলে তারা (মৃতরা) তোমাদের আহ্বান শুনে না। শুনলেও তোমাদের ডাকে সাড়া দেয় না।...
  14. Abu Umar

    ২৭। কোন সৃষ্টির মাধ্যমে আল্লাহকে ডাকার প্রয়োজন আছে কী?

    উত্তর: না। কোন সৃষ্টির মাধ্যমে আল্লাহকে ডাকার প্রয়োজন নেই। এর প্রমাণে আল্লাহর বাণী: وَإِذَا سَأَلَكَ عِبَادِي عَنِّي فَإِنِّي قَرِيبٌ أُجِيبُ دَعْوَةَ الدَّاعِ إِذَا دَعَانِ فَلْيَسْتَجِيبُوا لِي وَلْيُؤْمِنُوا بِي لَعَلَّهُمْ يَرْشُدُونَ (হে নাবী) আমার বান্দারা যখন আপনার কাছে জানতে চায় আমার...
  15. Abu Umar

    ২৬। মৃতদেরকে ডাকা বা তাদের নিকট কিছু চাওয়ার বিধান কী?

    উত্তর: মৃতদের ডাকা বা তাদের কাছে কিছু চাওয়া বড় শিরক যা লোকদেরকে ইসলাম থেকে বের করে দেয়। এর প্রমাণে কুরআনের বাণী: وَمَن يَدْعُ مَعَ اللَّهِ إِلَيْهَا وَاخَرَ لَا بُرْهَانَ لَهُ بِهِ فَإِنَّمَا حِسَابُهُ عِندَ رَبِّهِ إِنَّهُ لَا يُفْلِحُ الْكَافِرُونَ যে কেউ আল্লাহর সাথে অন্য উপাস্যকে ডাকে, তার...
  16. Abu Umar

    ২৫। ছ্বলেহীন বা সৎকর্মশীলদের বিষয়ে গুলু বা বাড়াবাড়ি করা অর্থ কী?

    উত্তর: তাহলো তাদের প্রশংসায় বাড়াবাড়ি এবং তাদেরকে নিজের আসন থেকে উচ্চে উঠিয়ে স্রষ্টার আসনে আসীন করে তাদের ইবাদত করা। এর প্রমাণে আল্লাহ তা'আলা বলেন, يَأَهْلَ الْكِتَابِ لَا تَغْلُوا فِي دِينِكُمْ হে কিতাবধারীগণ, তোমরা তোমাদের দীনে "গুলু" বা বাড়াবাড়ি করিও না। (সূরা আন-নিসা ৪:১৭১) প্রিয় নাবী...
  17. Abu Umar

    ২৪। নূহ আলাইহিস সালাম এর জাতির মধ্যে শিরকের সূচনা হয় কীভাবে?

    উত্তর: প্রথম দিকে শিরকের সূচনা ছিল আল-গুলু অর্থাৎ ছ্বলেহীন বা সৎকর্মশীল লোকদের নিয়ে ভালোবাসার ক্ষেত্রে বাড়াবাড়ি করার কারণে।
  18. Abu Umar

    ২৩। মানুষ সর্বপ্রথম কখন শিরকে আপতিত হয়?

    উত্তর: মানুষের মাঝে সর্বপ্রথম শিরক সংঘটিত হয় নূহ আলাইহিস সালামের জাতির মধ্যে।
  19. Abu Umar

    ২২। শিরকের প্রকারগুলি কী কী?

    উত্তর: শিরক দু'প্রকার। (১) বড় শিরক الشرك الأكبر ও (২) ছোট الشرك الأصغر প্রথম প্রকার হলো, শিরকে আকবার বা বড় শিরক: তাহলো ঐ সকল বিষয় যেগুলো আল্লাহ ও তাঁর রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম শিরক হিসেবে নির্ধারণ করেছেন, যা শিরককারীকে ইসলাম হতে বের করে দেয়। যেমন: মূর্তীর (ইবাদত) পূজা করা, মৃত...
  20. Abu Umar

    ২১। আল্লাহর নিষেধকৃত পাপের মধ্যে সবচেয়ে বড় কোনটি?

    উত্তর: সবচেয়ে বড় পাপ যা করতে আল্লাহ তা'আলা নিষেধ করেছেন তাহলো "শিরক" বা আল্লাহর ইবাদতের সাথে অন্যকে অংশীদার করা। এর প্রমাণে যেমন আল্লাহ তা'আলা বলেন, إِنَّ اللَّهَ لَا يَغْفِرُ أَن يُشْرَكَ بِهِ وَيَغْفِرُ مَا دُونَ ذَلِكَ لِمَن يَشَاءُ নিশ্চয় আল্লাহ তাকে ক্ষমা করেন না, যে ব্যক্তি তার সাথে...
Back
Top