উত্তর: যারা নাবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সুন্নাতকে শক্ত করে ধারণ করে এবং তাঁর ছাহাবাদের ও তাঁদের অনুগামীদের সুন্নাতকে এবং আক্বীদাহ-বিশ্বাসে, কথা ও কর্মে তাঁদের পথে চলে তাঁরাই হলো আহলুস সুন্নাহ ওয়ালজামা'আ (أهل السنة والجماعة)[১৬]
ছলাত ও সালাম বর্ষিত হোক আমাদের নাবী মুহাম্মাদ ছল্লাল্লাহু...
উত্তর: সে সময় ফিতনা থেকে দূরে থাকা এবং মুসলিম জামা'আত ও তাদের নেতাদের সাথে থাকা আবশ্যক। উক্ত বিষয়ে করণীয় কী হবে তা সুদক্ষ, পারদর্শী আলেমদের নিকট থেকে যেনে নেয়া জরুরী।
আল্লাহ তা'আলা বলেন,
وَإِذَا جَاءَهُمْ أَمْرٌ مِنَ الْأَمْنِ أَوِ الْخَوْفِ أَذَاعُوا بِهِ، وَلَوْ رَدُّوهُ إِلَى الرَّسُولِ...
উত্তর: শাসকদের জন্য উপদেশ হবে একাকী গোপনে (প্রকাশ্যে নয়)। এ বিষয়ে প্রিয় নাবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
مَنْ أَرَادَ أَنْ يَنْصَحَ لِذِي سُلْطَانٍ فَلَا يُبْدِهِ عَلَانِيَةً، ولكن يَأْخُذُ بِيَدِهِ فَيَحْلُوا بِهِ، فإن قبل منه منه فذاكَ، وَإِلَّا كَانَ قَدْ أَدى الَّذِي عَلَيْهِ
যে...
উত্তর: তাঁদের কর্তব্য হলো শাসকদের আদেশ শ্রবণ করা ও আনুগত্য করা যদি তা আল্লাহর নাফরমানীর বিষয়ে না হয়। তাঁদেরকে সঠিক উপদেশ দেয়া, তাঁদের জন্য কল্যাণের দু'আ করা এবং মিম্বারে ও জনগণের সামনে মাহফিলে তাঁদেরকে অপমানজনক কথা না বলা এবং নিন্দাবাদ না করা। কেননা এতে ফিতনা-ফাসাদ সৃষ্টি হতে পারে।
উত্তর: শ্রেষ্ঠতম ছাহাবীগণ হলেন চার খলিফা। যথাক্রমে: আবু বকর সিদ্দীক, অতঃপর উমার ইবনুল খাত্তাব, তারপর উসমান ইবনে আফফান, তারপর আলী ইবনু আবী ত্বলেব। অতঃপর জান্নাতের সুসংবাদ প্রাপ্ত দশজন ছাহাবী (রা.) ছাহাবীগণের মধ্যে শ্রেষ্ঠতর।
উত্তর: তাদেরকে মুহাব্বাত করা ফরয এবং এই বিশ্বাস রাখা যে নাবী ও রসূলগণের (তাঁদের ওপর শান্তি বর্ষিতহোক) পর সকল মানুষের মধ্যে তাঁরাই মর্যাদাশীল ও উত্তম মানুষ। তাঁদের বিষয়ে ভালো কথা বলা ব্যতীত কোনোরূপ খারাপ মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকতে হবে, তাঁদের কাউকেও কটু কথা বলা ও কোনোরূপ গাল-মন্দ করা হারাম।
এ...
উত্তর: মুসলিমগণকে কাফির বলা হারাম ও কঠিন গুনাহের কাজ। এ বিষয়ে প্রিয় নাবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
أَيُّمَا امْرِئٍ قَالَ لأخيه: يَا كَافِرُ، فَقَدْ بَاء بها أَحَدُهُمَا، إِنْ كَانَ كَمَا قَالَ، وَإِلَّا رجَعَتْ عَلَيْهِ
যে ব্যক্তি তার ভাইকে বললো, হে কাফির, যদি সে কাফির না হয়, তাহলে...
উত্তর: ছলাত পরিহার করা কুফরী।[১৪] এ বিষয়ে জাবির (রা.) থেকে বর্ণিত। প্রিয় নাবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
إن بين الرجل وبَيْنَ الشِّرْكِ وَالْكُفْرِ تَرْكَ الصَّلَاةِ
নিশ্চয় মুসলিম ব্যক্তি এবং শিরক ও কুফর এর মধ্যে পার্থক্য হলো ছলাত পরিহার করা। (ছহীহ মুসলিম হা/৮২)
[১৪] অলসতা ও...
উত্তর: বিদ'আতীদের বিষয়ে সর্বদা সতর্ক থাকা আবশ্যক ও জনগণকে তাদের বিদ'আদ বিষয়ে সতর্ক করে দিতে হবে, তাদের সাথে উঠাবসা করা চলবেনা ও তাদের বই-পুস্তক পড়া পরিহার করতে হবে। এ বিষয়ে ইবনু আব্বাস (রা.) বলেন,
لَا تُجَالِسُ أَهْلَ الْأَهْوَاء، فَإِنَّ مُجَالَستَهم ممرضة للقُلُوب
তুমি প্রবৃত্তিপূজারীদের...
উত্তর: ইসলাম বিদ'আতে হাসানাহ্ বলে কিছু নেই। কেননা রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
وَكُلُّ بِدْعَةٍ ضَلَالَةٌ
প্রত্যেক বিদ'আত হলো পথভ্রষ্ট। (ছহীহ মুসলিম হা/৮৬৭)
উত্তর: দীনের মধ্য বিদ'আত (নতুন কিছু) করা হারাম এবং ভয়াবহ গুনাহের কাজ। কেননা প্রিয় রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
فَإِنَّ خَيْرَ الحديث كتاب الله، وَخَيْرُ الْهُدَى هُدَى مُحَمَّدٍ، وَشَرُّ الْأُمُورِ مُحْدَثَاتُهَا، وَكُلُّ بِدْعَةٍ ضَلَالَةٌ
নিশ্চয় উত্তম হাদীছ (বাণী) হলো আল্লাহর...
উত্তর: বিদ'আত হলো এই যে, এমন এক নিয়মে আল্লাহর ইবাদত করা, যে নিয়মে রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এবং তাঁর ছাহাবায়ে কেরাম (রা.) আল্লাহর ইবাদত করতেন না।
উত্তর: এ বিষয়ে শাইখ ইবনু উছাইমীন রহিমাহুল্লাহ বলেন, কাফিরদেরকে ক্রিসমাস ঈদ উৎসবে অথবা তাদের ধর্মীয় কোনো উৎসবের দিন শুভেচ্ছা জানানো সকল মুসলিমদের ঐক্যমতে হারাম। এ বিষয়ে ইবনুল কাইয়্যিম রহিমাহুল্লাহ আহকামুল যিম্মাহ গ্রন্থে বিস্তারিত বর্ণনা করেছেন। ফাতাওয়া ইবনু উছাইমীন। (৩/৪৪)
উত্তর: 'আল ওয়ালা' (الولاء) বন্ধুত্ব বা মিত্রতা হলো, মুহাব্বাত করা, ভালোবাসা ও বন্ধুত্ব করা এবং আল্লাহ, তাঁর রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও সকল মুসলিমকে সহায়তা করা।
এর প্রমাণে আল্লাহ তা'আলার বাণী:
إِنَّمَا وَلِيُّكُمُ اللَّهُ وَرَسُولُهُ وَالَّذِينَ ءَامَنُوا الَّذِينَ يُقِيمُونَ...
উত্তর: তার হুকুম হলো, যে ব্যক্তি উক্ত কাজগুলির কোন একটি করবে সে কাফির হয়ে যাবে।
এ বিষয়ে আল্লাহ তা'আলা বলেন,
قُلْ أَبِاللَّهِ وَعَايَاتِهِ وَرَسُولِهِ كُنتُمْ تَسْتَهْزِءُونَ * لَا تَعْتَذِرُوا قَدْ كَفَرْتُم بَعْدَ إِيمَانِكُمْ
আপনি বলে দিন, তোমরা কি আল্লাহ, তাঁর আয়াতসমূহ এবং তাঁর রসূলকে নিয়ে...
উত্তর: শাফা'আত হবে কেবলমাত্র তাওহীদের অনুসারীদের জন্য। এর প্রমাণে নাবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের বাণী:
أسعدُ النَّاسِ بِشَفَاعَتِي يَوْمَ القِيَامَة، مَنْ قَالَ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ، خَالِصًا مِنْ قَلْبِهِ، أَوْ نفسه
কিয়ামতের দিন আমার শাফা'আত লাভে সৌভাগ্যবান হবে সেই ব্যক্তি যে অন্তর...
উত্তর: শাফা'আতের জন্য শর্ত দুইটি।
(১) শাফা'আতকারীর জন্য আল্লাহর অনুমতি থাকা। যেমন আল্লাহ তা'আলা বলেন,
مَن ذَا الَّذِي يَشْفَعُ عِندَهُ إِلَّا بِإِذْنِهِ
এমন কে আছে যে, তাঁর সামনে সুপারিশ করতে পারে, তাঁর অনুমতি ব্যতীত। (সূরা আল-বাকারা ২:২৫৫)
(২) যার জন্য শাফা'আত বা সুপারিশ করা হবে, তার প্রতি...