What's new

Latest posts

Latest books

লা তাহযান হতাশ হবেন না - PDF Yaseen
গায়রে সালাফি লা তাহযান হতাশ হবেন না - PDF ড. আয়েজ আল কারনী
ডাউনলোড করুন লা তাহযান হতাশ হবেন না বইয়ের পিডিএফ
সালাত পরিত্যাগকারীর বিধান - PDF MuhabbatShovon
বাংলা বই সালাত পরিত্যাগকারীর বিধান - PDF শাইখ মুহাম্মদ বিন সলেহ আল উসাইমিন (রাহি.)
ডাউনলোড করুন সালাত পরিত্যাগকারীর বিধান বইয়ের পিডিএফ
মুছতলাহুল হাদিস - PDF Sarfaraaz Khan
বাংলা বই মুছতলাহুল হাদিস - PDF আব্দুল্লাহ বিন আব্দুর রাযযাক
ডাউনলোড করুন মুছতলাহুল হাদিস বইয়ের পিডিএফ
তিনিই আমার রব (৩য় খণ্ড) - PDF Abu Abdullah
গায়রে সালাফি তিনিই আমার রব (৩য় খণ্ড) - PDF শাইখ ড. রাতিব আন-নাবুলুসি
ডাউনলোড করুন তিনিই আমার রব (৩য় খণ্ড) বইয়ের পিডিএফ
তিনিই আমার রব (২য় খণ্ড) - PDF Abu Abdullah
গায়রে সালাফি তিনিই আমার রব (২য় খণ্ড) - PDF শাইখ ড. রাতিব আন-নাবুলুসি
ডাউনলোড করুন তিনিই আমার রব (২য় খণ্ড) বইয়ের পিডিএফ
তিনিই আমার রব - PDF Abu Abdullah
গায়রে সালাফি তিনিই আমার রব - PDF শাইখ আলী জাবির আল ফাইফী
ডাউনলোড করুন তিনিই আমার রব বইয়ের পিডিএফ
আরবি ভাষার ফজিলত ও ভুল ক্রুটির উপর তিরস্কার - PDF abdulazizulhakimgrameen
ভাষা শিক্ষা বই আরবি ভাষার ফজিলত ও ভুল ক্রুটির উপর তিরস্কার - PDF শায়খ আহমাদ বিন আব্দুল্লাহ আল বাতিলি
ডাউনলোড করুন আরবি ভাষার ফজিলত ও ভুল ক্রুটির উপর তিরস্কার বইয়ের পিডিএফ
কীভাবে আমরা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে ভালোবাসব? - PDF Abu Abdullah
ডাউনলোড করুন কীভাবে আমরা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে ভালোবাসব? বইয়ের পিডিএফ
আল ফিকহুল মুয়াসসার - PDF abdulazizulhakimgrameen
বাংলা বই আল ফিকহুল মুয়াসসার - PDF সৌদি আরবের ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের বিশেষজ্ঞ
ডাউনলোড করুন আল ফিকহুল মুয়াসসার বইয়ের পিডিএফ
আল্লাহর প্রিয় বান্দা হবেন কিভাবে? - PDF Abu Abdullah
বাংলা বই আল্লাহর প্রিয় বান্দা হবেন কিভাবে? - PDF আবু আহমাদ সাইফুদ্দীন বেলাল
ডাউনলোড করুন আল্লাহর প্রিয় বান্দা হবেন কিভাবে? বইয়ের পিডিএফ

Latest profile posts

জরুরী প্রয়োজন হারামকে বৈধ করে দেয়:

এর উদাহরণ হলো, স্বাভাবিক অবস্থাতে শুকুরের গোশত, রক্ত ও মৃত জন্তু খাওয়া হারাম। কিন্তু কেউ যদি নিরূপায় হয়ে যায়, তার জরুরী প্রয়োজন হয়ে পড়ে, তাহলে তখন তার প্রয়োজন অনুযায়ী শুকরের গোশত বা রক্ত বা মৃত জন্তু খাওয়া বৈধ হবে।

মুখতাসার ফিকহুস সুন্নাহ, ১ম খন্ড,পৃ নং ৪২।
আদম সন্তানের উচ্ছিষ্ট পবিত্র, সে অপবিত্র অবস্থাতেই থাকুক অথবা হায়েয বা নিফাস অবস্থাতেই থাকুকঃ

এক হলো, পান করার পরে পাত্রে যেই পানি অবশিষ্ট থাকে।

আনাস ইবনু মালিক (رضي الله عنه) হতে বর্ণিত যে,

أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أُتِيَ بِلَبَنٍ قَدْ شِيبَ بِمَاءٍ، وَعَنْ يَمِينِهِ أَعْرَابِيٌّ وَعَنْ يَسَارِهِ أَبُو بَكْرٍ فَشَرِبَ، ثُمَّ أَعْطَى الْأَعْرَابِي وَقَالَ: الْأَيْمَنَ فَالْأَيْمَنَ

রসূলুল্ল-হ (ﷺ) এর কাছে পানি মেশানো কিছু দুধ আনা হলো। তার ডান দিকে একজন বেদুঈন ছিল, বাম দিকে ছিলেন আবু বকর (رضي الله عنه) )। তিনি পান করলেন। অতঃপর বেদুঈনকে দিয়ে বললেন, আগে ডান দিক থেকে হওয়া বাঞ্ছনীয়।
[সহীহ মুসলিম, হা/২০২৯।]

সহীহ বুখারী আবু হুরায়রা (رضي الله عنه) থেকে বর্ণিত হাদীসে, তিনি (ﷺ) বলেছেন,

سُبْحَانَ اللَّهِ، إِنَّ الْمُسْلِمَ لَا يَنْجُسُ

সুবহানাল্লাহ! মুসলিম ব্যক্তি অপবিত্র হয় না।
[সহীহ বুখারী, হা/২৮২, সহীহ মুসলিম, হা/৩৭২।]


আবার আয়িশা(رضی اللہ عنھا) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন,

كُنْتُ أَشْرَبُ وَأَنَا حَائِضُ، ثُمَّ أُنَاوِلُهُ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَيَضَعُ فَاهُ عَلَى مَوْضِعِ فِي فَيَشْرَبُ، وَأَتَعَرَّقُ الْعَرْقَ وَأَنَا حَائِضُ، ثُمَّ أُنَاوِلُهُ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَيَضَعُ فَاهُ عَلَى مَوْضِعِ فِي

আমি ঋতুবতী অবস্থায় পানি পান করতাম এবং পরে নবী (ﷺ) কে অবশিষ্টটুকু প্রদান করলে আমি যেখানে মুখ লাগিয়ে পান করতাম তিনিও পাত্রের সে স্থানে মুখ লাগিয়ে পান করতেন। আবার আমি ঋতুবতী অবস্থায় হাড় খেয়ে তা নবী (ﷺ) কে দিলে আমি যেখানে মুখ লাগিয়েছিলাম তিনি সেখানে মুখ লাগিয়ে খেতেন।
[সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ৩০০]
বিড়ালের উচ্ছিষ্ট পবিত্রঃ

কাবশাহ বিনতে কা'ব ইবনু মালিক (রহি.) থেকে বর্ণিত। তিনি ছিলেন আবু কাতাদাহ (رضي الله عنه) এর পুত্রবধূ। তিনি বলেন,

أَنَّ أَبَا قَتَادَةَ دَخَلَ عَلَيْهَا، قَالَتْ: فَسَكَبْتُ لَهُ وَضُوءًا، قَالَتْ: فَجَاءَتْ هِرَّةٌ تَشْرَبُ، فَأَصْغَى لَهَا الإِنَاءَ حَتَّى شَرِبَتْ، قَالَتْ كَبْشَةُ: فَرَآنِي أَنْظُرُ إِلَيْهِ، فَقَالَ: أَتَعْجَبِينَ يَا بِنْتَ أَخِي؟ فَقُلْتُ: نَعَمْ، فَقَالَ: إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «إِنَّهَا لَيْسَتْ بِنَجَسٍ، إِنَّمَا هِيَ مِنَ الطَّوَّافِينَ عَلَيْكُمْ، أَوِ الطَّوَّافَاتِ

একদা আবু কাতাদাহ (বাহির থেকে) আসলে আমি তার জন্য ওযুর পানি দিলাম। এমন সময় একটি বিড়াল এসে তা থেকে পানি পান করতে লাগলো। আবু কাতাদাহ বিড়ালের জন্য পাত্রটি কাত করে ধরলেন। ফলে বিড়ালটি তৃপ্তি সহকারে পান করলো। কাবশাহ বলেন, আবু কাতাদাহ দেখলেন, আমি তার দিকে তাকিয়ে আছি। তিনি বললেন, হে ভাতিজী! তুমি কি আশ্চর্যবোধ করছ? আমি বললাম, হ্যাঁ। তিনি বললেন, রসূলুল্ল-হ (ﷺ) বলেছেনঃ বিড়াল নাপাক নয়। এরা সর্বদা তোমাদের কাছে ঘুরাফেরাকারী প্রাণী। এই হাদীসটি সহীহ।
[আবূ দাউদ, হা/৭৫, তিরমিযী, হা/৯২, নাসাঈ, ১/৫৫, ইবনে মাজাহ, হা/৩৬৭।]
কুকুরের উচ্ছিষ্ট অপবিত্রঃ

আবু হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত। রসূলুল্ল-হ (ﷺ) বলেছেনঃ إِذَا وَلَغَ الْكَلْبُ فِي إِنَاءِ أَحَدِكُمْ فَلْيُرِقْهُ، ثُمَّ لْيَغْسِلْهُ سَبْعَ مراتٍ

তোমাদের কারো পাত্রে যখন কুকুরে মুখ দিবে তখন সে যেন পাত্রের বস্তু ফেলে দেয়। তারপর পাত্রটি সাতবার ধুয়ে ফেলে। এই হাদীসটি সহীহ। [সহীহ মুসলিম, হা/২৭৯]

ইমাম নববী (رَحِمَهُ ٱللَّٰهُ) বলেন, এটি প্রমাণ করে যে, যাতে কুকুর চাটলো, সেটিও অপবিত্র হয়ে যায়,। আর সেটি যদি তরল খাবার হয়, তাহলে সেটি খাওয়া হারাম। কেননা পাত্রের বস্তু ফেলে দেয়া হলো সেটি নষ্ট করে দেয়া। যদি সেটি পবিত্রই হতো, তাহলে সেটি ফেলে দিতে আমাদেরকে আদেশ করা হতো না। বরং আমাদেরকে সম্পদ নষ্ট করতে নিষেধ করা হয়েছে। এটিই হলো আমাদের মাযহাব। আর অধিকাংশ আলেমের মত হলো, যাতে কুকুর মুখ দিয়েছে সেটি অপবিত্র হয়ে যাবে। আর এই আম বর্ণনার ভিত্তিতে এই বিষয়ে যে কুকুর ক্রয় করার অনুমতি আছে আর যেটির নেই, আবার যেটি জংলী আর যেটি সভ্য কুকুর এগুলোর মাঝে কোন পার্থক্য নেই।
[শারহু সহীহ মুসলিম ৩/১৮৪]

ইবনু খুযাইমাহ (رَحِمَهُ ٱللَّٰهُ) বলেন, এটি প্রমাণ করে যে, যারা দাবি করে, (কুকুর পাত্রে মুখ দিলে) সেই পানি পবিত্রই থাকে এবং পাত্র ধৌত করার আদেশ করা হয়েছে শর্ত করে, তাদের এই দাবি বাতিল। কেননা যেই পানি অপবিত্র নয়, বরং পবিত্র এমন পানি ফেলে দিতে নাবী (ﷺ) কখনোই আমাদেরকে নির্দেশ দিতেন না।
[ইবনু খুযায়মাহ ১/১৫১]


যদি বলা হয় যে, আল্ল-হ সুবহানাহু ওয়াতাআ'লার বাণী, তারা (প্রশিক্ষিত কুকুর) যা ধরে আনে তা তোমরা খাও
(সূরা আল মায়িদা ৫: ৪),

এই আয়াত বাহ্যিকভাবে প্রমাণ করে যে, কুকুরের লালা পবিত্র। আর এই হাদীসে যেখানে কুকুরের লালা পড়বে তা সাধারণভাবে ধৌত করার আদেশ করা হয়েছে। তাহলে আমি (লেখক) বলবো যে, এই আয়াতে কুকুরের লালা ধৌত করার আদেশ না থাকাটা সেটি পবিত্র হওয়াকে প্রমাণ করে না। কেননা এটি সম্ভব যে, স্পষ্টভাবে না বলাটা অপবিত্রতাকে পবিত্র করার দলীলগুলোই যথেষ্ট হবে, যেই দলীলগুলো যা ধৌত করার ওয়াজিব সেগুলো বর্ণনা করে। আর কত বিধান রয়েছে! যেগুলোতে শরীআত প্রণেতার পক্ষ থেকে বর্ণনা রয়েছে, কিন্তু এর অনুগামী অনেক বিধানের কারণে এটি তার স্বস্থান থেকে পরিবর্তিত হয়ে যায়।

মুখতাসার ফিকহুস সুন্নাহ, ১ম খন্ড,পৃ নং ১২৬-১২৭।
দাড়ি লম্বা করা এবং মোচ খাটো করাঃ

দাড়ি লম্বা করা ওয়াজিব এবং তা মুণ্ডন করা হারাম। কেননা এটি হলো আল্ল-হ সুবহানাহু ওয়াতাআ'লার সৃষ্টির পরিবর্তন করা। আর সেটি শয়তানের কাজ। আল্ল-হ সুবহানাহু ওয়াতাআ'লা শায়ত্বন সম্পর্কে সূরা আন নিসাতে বলেন যে, সে বলেছিল,

وَلَآمُرَنَّهُمْ فَلَيُغَيِّرُنَّ خَلْقَ اللَّهِ

আর অবশ্যই তাদের নির্দেশ দেব, ফলে তারা আল্লাহর সৃষ্টি বিকৃত করবে (সূরা আন নিসা: ১১৯)।

আর দাড়ি মুণ্ডন করাতে মহিলাদের সাদৃশ্য হয়। অথচ ইবনু আব্বাস (رضي الله عنه) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন,

لَعَنَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الْمُتَشَبِّهِينَ مِنَ الرِّجَالِ بِالنِّسَاءِ، وَالْمُتَشَبِّهَاتِ مِنَ النِّسَاءِ بِالرِّجَالِ

নবী (ﷺ) ঐ সব পুরুষকে লা'নত করেছেন যারা নারীর বেশ ধরে এবং ঐসব নারীকে যারা পুরুষের বেশ ধরে। এই হাদীসটি সহীহ।
[সহীহ বুখারী, হা/৫৮৮৫।]

আর নাবী (ﷺ) দাড়ি লম্বা করার আদেশ করেছেন। আর নাবী (ﷺ)এর আদেশ ওয়াজিব হওয়াকে বুঝায়, যেমনটি সুপরিচিত।

আবু হুরায়রা (رضي الله عنه) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্ল-হ (ﷺ) বলেছেনঃ
جُرُّوا الشَّوَارِبَ، وَأَرْخُوا اللَّحَى، خَالِفُوا الْمَجُوسَ

তোমরা মোচ কেটে ফেলে এবং দাড়ি লম্বা করে অগ্নি পূজকদের বিরুদ্ধাচরণ করো। এই হাদীসটি সহীহ।
[সহীহ মুসলিম, হা/২৬০]


ইবনু উমার (رضي الله عنه) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্ল-হ (ﷺ) বলেছেনঃ

خَالِفُوا الْمُشْرِكِينَ، أَحْفُوا الشَّوَارِبَ، وَأَوْفُوا اللَّحَى

তোমরা মুশরিকদের বিরোধিতা করবে, দাড়ি লম্বা রাখবে, গোঁফ ছোট করবে। এই হাদীসটি সহীহ।
[সহীহ বুখারী, হা,৫৮৯২ ]

যায়িদ ইবনু আরকাম (رضي الله عنه) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্ল-হ (ﷺ) বলেছেনঃ

مَنْ لَمْ يَأْخُذْ شَارِبَهُ فَلَيْسَ مِنَّا

যে ব্যক্তি গোঁফ খাটো করে না, সে আমাদের দলভুক্ত নয়। এই হাদীসটি সহীহ।
[নাসাঈ, হা/১৩]


মুখতাসার ফিকহুস সুন্নাহ, ১ম খন্ড,পৃ নং ১৪০-১৪
Back
Top