- Joined
- Feb 23, 2024
- Threads
- 62
- Comments
- 84
- Reactions
- 771
- Thread Author
- #1
যেখানে সেখানে হঠাৎ গজিয়ে উঠা কতকগুলো পীর আমরা দেখতে পাই। এরা আসলে কুরআন হাদীসের ইল্ম কিছুই জানে না। বি.এ, এম.এ, ডাক্তারী, মাষ্টারী, উকালতি, ব্যারিষ্টারী সার্টিফিকেট কারো কারো থাকতে পারে কিন্তু কুরআন হাদীসের বিদ্যায় এরা একেবারে ইয়াতিম । কুরআন মাজীদের যে কোন তফসীরের কিতাব অথবা বুখারী, মুসলিম, আবু দাউদ, নাসায়ী, তিরমিযী, ইবনু মাজাহ প্রভৃতি হাদীসের যে কোন একখানা কিতাব খুলে দিলে, এদের হিম্মত নেই যে, একটা লাইন শুদ্ধভাবে পড়ে দিতে পারে, অথচ এরাই সেজেছে মুসলিম সমাজের পথপ্রদর্শক । এরাই পীরে কামেল, হাদিয়ে জামান ।
মহিমান্বিত আল-কুরআনের কোন্ আয়াত, কোন্ ঘটনাকে কেন্দ্র করে, কোন্ অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে, কি উদ্দেশে অবতীর্ণ হল, কুরআনের ধারক বাহক ও প্রচারক, সৃষ্টির সেরা, নবীকুল শিরোমণি, মুহাম্মাদ মোস্তফা (সঃ) তাঁর জীবনে যত কথা বলে গেছেন, যে সব কাজ করে গেছেন আর যে সব বিষয়ে মৌন সম্মতি দিয়ে গেছেন, সেগুলি জানবার, বুঝবার ও পড়বার সুযোগ যে হতভাগার কপালে জুটল না, সে যদি হঠাৎ চাকরী করতে করতে, ডাক্তারী বা উকালতি করতে করতে, ব্যবসা বা কৃষিকাজ করতে করতে, পীরি-মুরীদির দু’একখানা কিতাবের দু'চারটা গৎ মুখস্থ করে, লম্বা পিরাহান গায়ে দিয়ে ও লম্বা পাগড়ী মাথায় বেঁধে, হঠাৎ পীর সেজে বসে যায় আর লোকজনকে বলে যে আমার হাতে তোমরা মুরীদ হও, আমি আল্লাহ আর তোমাদের মাঝখানে মধ্যস্থ হয়ে তোমাদের সব ফরিয়াদ আল্লাহর কাছে পৌছে দিব, আর এই কথা শুনে হাজার হাজার লোক যদি সেই মূর্খের কাছে ভীড় জমায়, তাহলে সে সমাজ কোন্ স্তরে পৌঁছে গেছে— চিন্তা করা দরকার ।
আর সবচেয়ে মজার ব্যাপার হচ্ছে, এই সব মূর্খরা নিজেরাই নিজেদেরকে সাইনবোর্ড, পোস্টার, বিজ্ঞাপন ও খবরের কাগজের মাধ্যমে, পীরে কামেল, হাদীয়ে জামান, আওলীয়া কুল শিরোভূষণ, মুজাদ্দেদে মিল্লাত, মাহবুবে সুবহানী, কুতুবে রব্বানী প্রভৃতি বিশেষণে বিশেষিত করে প্রচার করতে বা কিছু দালালের দ্বারা প্রচার করাতে একটুকুও লজ্জাবোধ করে না বা দিল কাঁপে না। হায়রে স্বার্থ- তোমার মহিমা বুঝা ভার।
মহিমান্বিত আল-কুরআনের কোন্ আয়াত, কোন্ ঘটনাকে কেন্দ্র করে, কোন্ অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে, কি উদ্দেশে অবতীর্ণ হল, কুরআনের ধারক বাহক ও প্রচারক, সৃষ্টির সেরা, নবীকুল শিরোমণি, মুহাম্মাদ মোস্তফা (সঃ) তাঁর জীবনে যত কথা বলে গেছেন, যে সব কাজ করে গেছেন আর যে সব বিষয়ে মৌন সম্মতি দিয়ে গেছেন, সেগুলি জানবার, বুঝবার ও পড়বার সুযোগ যে হতভাগার কপালে জুটল না, সে যদি হঠাৎ চাকরী করতে করতে, ডাক্তারী বা উকালতি করতে করতে, ব্যবসা বা কৃষিকাজ করতে করতে, পীরি-মুরীদির দু’একখানা কিতাবের দু'চারটা গৎ মুখস্থ করে, লম্বা পিরাহান গায়ে দিয়ে ও লম্বা পাগড়ী মাথায় বেঁধে, হঠাৎ পীর সেজে বসে যায় আর লোকজনকে বলে যে আমার হাতে তোমরা মুরীদ হও, আমি আল্লাহ আর তোমাদের মাঝখানে মধ্যস্থ হয়ে তোমাদের সব ফরিয়াদ আল্লাহর কাছে পৌছে দিব, আর এই কথা শুনে হাজার হাজার লোক যদি সেই মূর্খের কাছে ভীড় জমায়, তাহলে সে সমাজ কোন্ স্তরে পৌঁছে গেছে— চিন্তা করা দরকার ।
আর সবচেয়ে মজার ব্যাপার হচ্ছে, এই সব মূর্খরা নিজেরাই নিজেদেরকে সাইনবোর্ড, পোস্টার, বিজ্ঞাপন ও খবরের কাগজের মাধ্যমে, পীরে কামেল, হাদীয়ে জামান, আওলীয়া কুল শিরোভূষণ, মুজাদ্দেদে মিল্লাত, মাহবুবে সুবহানী, কুতুবে রব্বানী প্রভৃতি বিশেষণে বিশেষিত করে প্রচার করতে বা কিছু দালালের দ্বারা প্রচার করাতে একটুকুও লজ্জাবোধ করে না বা দিল কাঁপে না। হায়রে স্বার্থ- তোমার মহিমা বুঝা ভার।
পীরতন্ত্রের আজব লীলা
মাওলানা আবূ তাহের বর্ধমানী (রহ.)
মাওলানা আবূ তাহের বর্ধমানী (রহ.)
প্রকাশনায়: তাওহীদ পাবলিকেশন্স
Last edited: