- Joined
- Feb 23, 2024
- Threads
- 62
- Comments
- 84
- Reactions
- 773
- Thread Author
- #1
হিন্দু সমাজে দেখা যায় ব্রাহ্মণের পুত্র হয় ব্রাহ্মণ, পুরোহিতের পুত্র হয় পুরোহিত। ব্রাহ্মণই পৌরহিত্য করার একমাত্র অধিকারী। কেননা হিন্দু ধর্মমতে ব্রাহ্মণ ব্রহ্মার মুখ হতে উৎপন্ন হয়েছে। সেজন্য ব্রাহ্মণকে বলা হয় বর্ণ শ্ৰেষ্ঠ । ব্রাহ্মণ মারা গেলে তার ছেলে হয় পুরোহিত। ছেলে মারা গেলে তার ছেলে, ছেলের ছেলে তস্য ছেলে- এভাবে বংশানুক্রমে এ পৌরহিত্য চলতেই থাকে । পাণ্ডিত্য থাক আর না থাক, কিছু যায় আসে না। কারণ পৌরহিত্য করাটা হচ্ছে ব্রাহ্মণদের বংশগত ব্যাপার ।
বলাবাহুল্য, হিন্দু সমাজের মত আমাদের সমাজেও এক শ্রেণীর বংশ গজিয়ে উঠেছে আর সেটা হচ্ছে এই পীর বংশ। পীর বংশের সবাই পীর, পীর বাবা, পীর মা, পীর দাদা, পীর দাদী, পীর নানা, পীর নানী, পীর খালা, পীর খালু, পীর ভাই, পীর বোন ইত্যাদি সবাই পীর। পীরে পীরে সব একাকার। পীর সাহেব ইন্তিকাল করলেন, ব্যাস্ তাঁর ছেলে হয়ে গেলেন গদ্দীনশীন পীর । ছেলে ইন্তিকাল করলে তাঁর ছেলে, ছেলের ছেলে তস্য ছেলে- এভাবে ব্রাহ্মণদের মত বংশানুক্রমে পীরগিরি চলতেই থাকে। পীর সাহেবের একাধিক ছেলে থাকলে করে নেন সব এলাকা ভাগ । অনেক সময় এলাকা ভাগ নিয়ে গদ্দীনশীনদের মধ্যে লাঠালাঠি, ফাটাফাটি, এমনকি কোর্টকাছারী পর্যন্ত ছুটাছুটি করতেও দেখা যায় । ঠিক এ যেন ফারায়েজ সূত্রে পৈত্রিক সম্পত্তির ভাগ বাঁটোয়ারা, ঠিক এ যেন বাপের জমিদারী নিয়ে কাড়াকাড়ি। পীর সাহেবের ছেলে না থাকলে ভাই, ভাতিজা, জামাই বা নাতি-পুতা যেই থাক, সেই সেজে বসে গদ্দীনশীন । কারণ এহেন লাভজনক জমিদারীটা বংশের বাইরে যেন চলে না যায় । বিদ্যা না থাক,
ইলম-কালাম না থাক, কি তাতে আসে যায়। পীরের গন্ধতো আছে। পীরের ‘নুৎফায়’ পয়দা তো বটে ।
বলাবাহুল্য, হিন্দু সমাজের মত আমাদের সমাজেও এক শ্রেণীর বংশ গজিয়ে উঠেছে আর সেটা হচ্ছে এই পীর বংশ। পীর বংশের সবাই পীর, পীর বাবা, পীর মা, পীর দাদা, পীর দাদী, পীর নানা, পীর নানী, পীর খালা, পীর খালু, পীর ভাই, পীর বোন ইত্যাদি সবাই পীর। পীরে পীরে সব একাকার। পীর সাহেব ইন্তিকাল করলেন, ব্যাস্ তাঁর ছেলে হয়ে গেলেন গদ্দীনশীন পীর । ছেলে ইন্তিকাল করলে তাঁর ছেলে, ছেলের ছেলে তস্য ছেলে- এভাবে ব্রাহ্মণদের মত বংশানুক্রমে পীরগিরি চলতেই থাকে। পীর সাহেবের একাধিক ছেলে থাকলে করে নেন সব এলাকা ভাগ । অনেক সময় এলাকা ভাগ নিয়ে গদ্দীনশীনদের মধ্যে লাঠালাঠি, ফাটাফাটি, এমনকি কোর্টকাছারী পর্যন্ত ছুটাছুটি করতেও দেখা যায় । ঠিক এ যেন ফারায়েজ সূত্রে পৈত্রিক সম্পত্তির ভাগ বাঁটোয়ারা, ঠিক এ যেন বাপের জমিদারী নিয়ে কাড়াকাড়ি। পীর সাহেবের ছেলে না থাকলে ভাই, ভাতিজা, জামাই বা নাতি-পুতা যেই থাক, সেই সেজে বসে গদ্দীনশীন । কারণ এহেন লাভজনক জমিদারীটা বংশের বাইরে যেন চলে না যায় । বিদ্যা না থাক,
ইলম-কালাম না থাক, কি তাতে আসে যায়। পীরের গন্ধতো আছে। পীরের ‘নুৎফায়’ পয়দা তো বটে ।
পীরতন্ত্রের আজব লীলা
মাওলানা আবূ তাহের বর্ধমানী (রহ.)
প্রকাশনায়: তাওহীদ পাবলিকেশন্স
মাওলানা আবূ তাহের বর্ধমানী (রহ.)
প্রকাশনায়: তাওহীদ পাবলিকেশন্স