আল-জালীল (গৌরবান্বিত),[1] আল-কাবীর (সুমহান, সবচেয়ে বড়)[2]:
গ্রন্থকার রহ. বলেছেন, আল-জালীল (গৌরবান্বিত), আল-কাবীর (সুমহান, সবচেয়ে বড়) হলেন যার গৌরবের গুণ রয়েছে তিনি আল-জালীল ও আল-কাবীর। বড়ত্ব ও অহংকারের গুণ আল্লাহর জন্য সাব্যস্ত, তাঁর থেকে বড়ত্ব ও পূর্ণতার এ গুণ কখনো আলাদা হয় না।[3]
আল্লাহ...
আল-জাব্বার (মহাপ্রতাপশালী, অতীব মহিমান্বিত)[1]।
শাইখ আস-সা‘দী রহ. বলেছেন, আল-জাব্বার শব্দের অর্থ সমুচ্চ, মহিমান্বিত। আবার এ শব্দের অর্থ আল-কাহহার তথা মহাপ্রতাবশালী, দমনকারী। আবার জাব্বার অর্থ আর-রাঊফ তথা প্রতি স্নেহশীল, সদয় ও সমবেদনা প্রকাশকারী। তিনি ভঙ্গ হৃদয়ের অধিকারী, দুর্বল, অক্ষম, যারা...
জামি‘উন নাস (মানুষকে সমবেতকারী)।[1]
আল্লাহর আরেকটি নাম হলো তিনি কিয়ামতের দিন মানুষকে হাশরের ময়দানে সমবেতকারী, তিনি তাদের আমল ও রিযিক একত্রকারী। তিনি তাদের ছোট-বড় কোন কিছুই বাদ দেন না, সব কিছুই তিনি গননা করে রাখেন। আগে ও পরে যারাই মারা যাবে তিনি তাঁর পূর্ণ কুদরত, প্রশস্ত ইলমের দ্বারা তাদের...
আত-তাওয়াব (তাওবা কবুলকারী, ক্ষমাকারী)[1]:
ইবনুল কাইয়্যিম রহ. বলেছেন, তাওয়াব হলেন যিনি সর্বদা তাওবাকারীর তাওবা কবুল করেন, আল্লাহর কাছে প্রত্যাবর্তনকারীকে তিনি ক্ষমা করেন। অত:এব যারা আল্লাহর কাছে খাঁটি তাওবা করে তিনি তাদের তাওবা কবুল করেন এবং ক্ষমা করে দেন।[2]
বান্দার ব্যাপারে আল্লাহর তাওবা কবুল...
আল-বাসীর (সর্বদ্রষ্টা)[1]:
ইবনুল কাইয়্যিম রহ. বলেছেন, আল-বাসীর (সর্বদ্রষ্টা) হলেন যিনি আসমান ও জমিনের সবকিছুতে তাঁর দৃষ্টিশক্তিতে বেষ্টন করে রেখেছেন; এমনকি অন্ধকার রাতে নির্জন মরুভূমিতে একটি কালো পিপীলিকার সন্তর্পণে চলার আওয়াজও তিনি শুনতে পান, তাঁর কাছে সে আওয়াজটি পর্যন্ত গোপনীয় নয়।
তিনি...
আল-বার: আল-বার (কল্যাণকারী), আল-ওয়াহহাব (দানশীল, স্থাপনাকারী), আল-কারীম (দয়ালু)।
ইবনুল কাইয়্যিম রহ. বলেছেন, আল্লাহর নামসমূহের মধ্যে অন্যতম হলো, আল-বার (কল্যাণকারী), আল-ওয়াহহাব (দানশীল, স্থাপনাকারী), আল-কারীম (দয়ালু) যিনি সমস্ত সৃষ্টিকে তার কল্যাণ, দান ও দয়ায় বেষ্টন করে রাখেন। তিনি উত্তম মাওলা...
বাদী‘উস সামাওয়াতে ওয়াল আরদি (আসমান ও জমিনের স্রষ্টা)।[1]
বাদী‘উস সামাওয়াতে ওয়াল আরদি (আসমান ও জমিনের স্রষ্টা) অর্থাৎ তিনি আসমান ও জমিন সূক্ষ্মতা ও পরিপূর্ণতার সাথে পূর্ব কোন আকৃতি ব্যতীতই সৃষ্টি করেছেন।[2] সর্বোচ্চ সুন্দরতম, সুবিন্যস্ত, চমৎকার ও সুপরিকল্পিত রূপে তিনি সব কিছু সৃষ্টি...
আল-বারী (নির্মাণকারী, পরিকল্পনাকারী): আল-খালিক (শূন্য থেকে সৃষ্টিকারী), আল-বারী (সৃষ্টিকারী), আল-মুসাওয়ির (আকৃতিদানকারী)।
আল-খালিক, আল-বারী, আল-মুসাওয়ির হলেন যিনি সমস্ত সৃষ্টিজগত সৃজন করেছেন, তিনি পূর্ব আকৃতি ব্যতীত এগুলোকে সৃষ্টি করেছেন, তাঁর হিকমত অনুসারে তিনি সেগুলোকে সুবিন্যস্ত ও...
আল-‘আলা: আল-আ‘লীয়ু (সুউচ্চ)[1] আল-আ‘লা (সুমহান)[2]:
আল্লাহর সুন্দর নামসমূহের মধ্যে একটি নাম হলো আল-আ‘লীয়ু আল-আ‘লা। কেননা সর্বদিক বিবেচনায় সব ধরণের বড়ত্ব, উচুঁ মর্যাদা একমাত্র আল্লাহর জন্য সাব্যস্ত, তিনি সত্ত্বাগত দিক থেকে উচুঁ[3] এবং তিনি সমস্ত সৃষ্টির উপরে তাঁর আরশে আছেন, তিনি সৃষ্টির সাদৃশ...
আল-আহাদ: আল-ওয়াহিদ (এক)[1] আল-আহাদ (একক, অদ্বিতীয়)।[2]
আল্লাহ আল-ওয়াহিদ (এক), আল-আহাদ (একক, অদ্বিতীয়)। তিনি সমস্ত পূর্ণতায় একক, সব ধরণের পরিপূর্ণতা, মর্যাদা, মহত্ব, সৌন্দর্য, প্রশংসা, হিকমত, রহমত, ও অন্যান্য পূর্ণতার গুণাবলীতে এক ও অদ্বিতীয়। তাঁর কোনো উপমা ও সাদৃশ নেই, কোনো কিছুই কোনো...
আল্লাহ [1] :
আল্লাহ হলেন সাধারণত যার ইবাদত করা হয়, যিনি নির্ভরশীল মা‘বূদ এবং সমস্ত সৃষ্টির উপর ইলাহ ও মা‘বূদ হওয়ার যোগ্য। তিনি ইলাহ হওয়ার সমস্ত গুণাবলীতে গুণান্বিত।[2] আল্লাহ নিজেই বলেছেন, তাঁর মধ্যে উলুহিয়্যাতের সমস্ত গুণাবলী একত্রিত হয়েছে। তিনিই সমস্ত দিক থেকে একমাত্র ইলাহ হওয়ার যোগ্য যা...
আল-ইলাহ [1]:
গ্রন্থকার শাইখ আস-সা‘দী রহ. বলেছেন, ইলাহ হলেন যার মধ্যে সমস্ত পূর্ণাঙ্গ গুণাবলী ও মহান আল্লাহর সমস্ত বৈশিষ্ট্য একত্রিত হয়েছে। এ নামের মধ্যে আসমাউল হুসনার সমস্ত নাম সন্নিবেশিত হয়েছে। এ কারণেই এ কথা বলা বিশুদ্ধ যে, আল্লাহই মূলত ইলাহ। কেননা আল্লাহ এমন এক নাম যার মধ্যে সমস্ত আসমাউল...
প্রশ্ন : আল্লাহর নাম ও গুনাবলিতে তাওহীদ বলতে কি বুঝায় ?
উত্তর : আলহামদুলিল্লাহ্।
আল্লাহ তাআলা তাঁর কিতাবে নিজেকে যেসব গুণে গুণান্বিত করেছেন অথবা তাঁর রাসূল (ﷺ) বিশুদ্ধ হাদীসে তাঁর যেসব গুণাবলি বর্ণনা করেছেন তা প্রকৃত অর্থে, কোনরূপ অপব্যাখ্যা, তাঁর কোন সৃষ্টির সাথে সাদৃশ্য স্থাপন, তাঁর...
উত্তর : যে মুমিন আসমাউল হুসনার ৯৯টি নাম অর্থ অনুধাবন সহ পূর্ণ ঈমান ও আনুগত্যের সাথে এবং আল্লাহর উপর অটুট নির্ভরতার সাথে মুখস্ত করবে, সে জান্নাতে প্রবেশ করবে (বুখারী হা/৭৩৯২; মুসলিম হা/২৬৭৭; ফাৎহুল বারী ১১/২২৬-২২৭)। কিন্তু এর অর্থ এটা নয় যে, পিলার নির্মাণ করে এগুলির প্রদর্শনী করা হবে। রাসূলুল্লাহ...
উত্তর : কোন মুসলিম ব্যক্তি পশু যবেহ করলে সুধারণা রাখতে হবে এবং অযথা সন্দেহ পরিহার করতে হবে। আর বিসমিল্লাহ বলে খাবে (নববী, আল-মাজমূ‘ ৮/৪০৫; ফাতাওয়া লাজনা দায়েমাহ ২২/৩৬৫)। কারণ একদা মদীনার গ্রামাঞ্চলের নওমুসলিমরা মদীনা শহরে গোশত বিক্রি করতে আসলে এবং ছাহাবীগণ বিসমিল্লাহ বলা হয়েছে কিনা সন্দেহ করলে...
উত্তর : না, আল্লাহর নামগুলো নির্দিষ্ট সংখ্যায় সীমিত নয় (মুসনাদে আহমাদ হা/৩৭১২; সিলসিলা ছহীহাহ হা/১৯৯)। আল্লাহর নামের ভাণ্ডারে যে সমস্ত নাম সংরক্ষিত রেখেছেন, তা একমাত্র আল্লাহ ছাড়া কেউ জানেন না। অতএব আল্লাহর নাম সীমিত নয়। তবে বুখারীতে একটি হাদীছে ৯৯টি নামের কথা এসেছে। কিন্তু সেটা দ্বারাও...
উত্তর : আসমাউল হুসনা মুখস্থ করা আবশ্যিক নয়, বরং এগুলির মর্ম অনুধাবন করা আবশ্যিক। রাসূল (ছাঃ) বলেন, আল্লাহ তা‘আলার নিরানববইটি অর্থাৎ এক কম একশ’টি নাম আছে। যে ব্যক্তি এগুলি মুখস্থ করে রাখবে, সে জান্নাতে প্রবেশ করবে’ (বুখারী হা/৬৪১০; মুসলিম হা/২৬৭৭)। এর অর্থ হ’ল ঐ নামগুলি অর্থ সহ মুখস্থ করবে পূর্ণ...