সিয়াম ও রামাদান

  1. Golam Rabby

    সিয়াম যেসব ওজরগ্রস্ত ব্যক্তির রোযা ভঙ্গ করা জায়েয

    ১. হায়েজ ও নিফাসগ্রস্ত নারীর সিয়াম ভঙ্গ করা ফরয। ২. কাউকে ধ্বংস থেকে উদ্ধার বা রক্ষা করতে হলে যদি সিয়াম ভঙ্গ করতে হয় তবে তখন তার জন্য সিয়াম ভঙ্গ করা ওয়াজিব। যেমন- ডুবে যাওয়া বা এ ধরনের ব্যক্তিকে রক্ষা করা। ৩. যে সফরে সালাত কসর করা জায়েয, তার জন্য সিয়াম ভঙ্গ সুন্নত। ৪. সিয়াম পালনে রোগ বৃদ্ধি...
  2. abdulazizulhakimgrameen

    সিয়াম মুয়াজ্জিন আযান দিচ্ছেন এ সময় সাহরী খাওয়ার হুকুম কী

    আযান শুরু হওয়ার পর সাহরী খাওয়া সংক্রান্ত বিষয়টি বিশ্লেষণসাপেক্ষ অর্থাৎ যদি ফজরের ওয়াক্ত শুরু হওয়ার সাথে সাথে মুয়াজ্জিন আযান দেন, তাহলে রোজাদারের জন্য ওয়াজিব হল ফজরের ওয়াক্ত থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত রোযা ভঙ্গকারী যাবতীয় বিষয়সমূহ (মুফাত্তিরাত) থেকে বিরত থাকা। কারণ আল্লাহ্‌ তাআলা বলেন: “আর তোমরা...
  3. Abu Abdullah

    সিয়াম রোযার আরকান

    রোযার হল দুটি রুকন; যদ্দবারা তার প্রকৃতত্ব সংগঠিতঃ- ১। ফজর উদয় হওয়ার পর থেকে নিয়ে সূর্য অস্ত যাওয়া পর্যন্ত সময় ধরে যাবতীয় রোযা নষ্টকারী জিনিস থেকে বিরত থাকা। মহান আল্লাহ বলেন, (وَكُلُوْا وَاشْرَبُوْا حَتَّى يَتَبَيَّنَ لَكُمُ الْخَيْطُ الأَبْيَضُ مِنَ الْخَيْطِ الأَسْوَدِ مِنَ الْفَجْرِ، ثُمَّ...
  4. Abu Abdullah

    সিয়াম সিয়াম শব্দের তাৎপর্য

    অভিধানে صيام (সিয়াম)-এর সাধারণ অর্থ হল, বিরত থাকা। আর এ জন্যই কথা বলা থেকে যে বিরত থাকে -অর্থাৎ চুপ ও নিস্তব্ধ থাকে তাকে صائم (সায়েম) বলা হয়। মহান আল্লাহ মারয়্যাম (আঃ)-এর ইতিহাস উল্লেখ করে বলেন, (فَإِمَّا تَرَيِنَّ مِنَ الْبَشَرِ أَحَداً فَقُولِي إِنِّي نَذَرْتُ لِلرَّحْمَنِ صَوْماً فَلَنْ...
  5. Abu Abdullah

    সিয়াম কি খেলে সেহরী খাওয়া হবে?

    অল্প-বিস্তর যে কোন খাবার খেলেই সেহরী খাওয়ার বিধি পালিত হয়ে যাবে। এমনকি কেউ যদি এক ঢোক দুধ, চা অথবা পানিও খায় অথবা ২/১টি বিস্কুট বা খেজুরও খায়, তাহলে তারও সেহরী খাওয়ার সুন্নত পালন হয়ে যাবে। আর এই সামান্য পরিমাণ খাবারেই রোযাদার এই বিরাট ফরয রোযা পালনের মাধ্যমে মহান আল্লাহর আনুগত্য করতে বল পাবে এবং...
  6. Abu Abdullah

    সিয়াম সেহরী বা সাহারী খাওয়া

    মুসলিম উম্মাহর সর্বসম্মতিক্রমে রোযার জন্য সেহরী খাওয়া মুস্তাহাব এবং যে ব্যক্তি তা ইচ্ছাকৃত খায় না সে গোনাহগার নয়। আর এ কারণেই যদি কেউ ফজরের পর জাগে এবং সেহরী খাওয়ার সময় না পায়, তাহলে তার জন্য জরুরী রোযা রেখে নেওয়া। এতে তার রোযার কোন ক্ষতি হবে না। বরং ক্ষতি হবে তখন, যখন সে কিছু খেতে হয় মনে করে...
  7. Abu Abdullah

    সিয়াম মুসাফিরের জন্য রোযা রাখা ভালো, না কাযা করা ভালো?

    সফরে মুসাফিরের ৩ অবস্থা হতে পারেঃ- ([1]) ১। রোযা তার জন্য কষ্টকর নয়। এমন অবস্থায় রোযা রাখা বা কাযা করার মধ্যে যেটা তার জন্য সহজ ও সুবিধা হবে, সেটাই সে করবে। মহান আল্লাহ বলেন, (يُرِيْدُ اللهُ بِكُمُ اليُسْرَ وَلاَ يُرِيْدُ بِكُمُ الْعُسْرَ) অর্থাৎ, আল্লাহ তোমাদের জন্য সহজ চান এবং তিনি তোমাদের...
  8. Abu Abdullah

    সিয়াম রোযা ভাঙ্গতে বাধ্য ব্যক্তি

    কোন মৃত্যু-কবলিত মানুষকে আগুন, পানি বা ধ্বংসস্ত্তপ থেকে বাঁচাতে যদি কোন রোযাদারকে রোযা ভাঙ্গতে হয় এবং সে ছাড়া অন্য কোন রোযাহীন লোক না পাওয়া যায়, তাহলে প্রাণ রক্ষার জন্য তার পক্ষে রোযা ভাঙ্গা ওয়াজেব। অবশ্য সে ঐ দিনটিকে পরে কাযা করতে বাধ্য। তবে এ ব্যাপারে প্রশস্ততা বৈধ নয়। বরং কেবল অতি প্রয়োজনীয়...
  9. Abu Abdullah

    সিয়াম গর্ভবতী ও দুগ্ধদাত্রী মহিলার রোযার বিধান

    গর্ভবতী অথবা দুগ্ধদাত্রী মহিলা রোযা রাখার দরুন যদি নিজেদের কষ্ট হয় অথবা তাদের শিশুর ক্ষতির আশঙ্কা করে, তাহলে উভয়ের জন্য রোযা না রেখে যখন সহজ হবে অথবা ক্ষতির আশঙ্কা দূর হবে তখন রোযা কাযা করে নেওয়া বৈধ।[1] বলা বাহুল্য, (কিছু উলামার নিকট) গর্ভবতী ও দুগ্ধদাত্রী মহিলাকে রোগীর উপর কিয়াস করাই সঠিক।...
  10. Abu Abdullah

    সিয়াম শা’বানের শেষ দুই বা একদিন রোযা রেখে রমাযান বরণ করা

    পূর্বসতর্কতামূলকভাবে রমাযানের এক দিন আগে থেকে রোযা রাখা বৈধ নয়। কারণ, রমাযানের রোযা চাঁদ দেখার সাপেক্ষে। সুতরাং এ ব্যাপারে নিজেকে ভারগ্রস্ত করা উচিৎ নয়। আবূ হুরাইরা (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত, নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম) বলেন, ‘‘তোমাদের কেউ যেন রমাযানের আগে আগে একটি বা দুটি রোযা না রাখে।...
  11. Abu Abdullah

    সিয়াম আমরা রমাযান মাসকে কি দিয়ে স্বাগত জানাব?

    রমাযান এমন একটি মাস, যার রয়েছে এত এত বৈশিষ্ট্য, এত এত মাহাত্ম্য। এই মাসকে আমরা কি দিয়ে বরণ করব? কোন্ জিনিস দিয়ে তাকে ‘খোশ আমদেদ‘ জানাব? এই পবিত্র মাসকে স্বাগত জানাতে দুই রকম দুই শ্রেণীর মানুষ রয়েছে; প্রথম প্রকার মানুষ হল তারা; যারা এ মাস নিয়ে খুশী হয়, এর আগমনে আনন্দবোধ করে। তার কারণ, তারা এ...
  12. Abu Abdullah

    সিয়াম ফজরের পর চাঁদ হওয়ার খবর পেলে

    যে ব্যক্তি রমাযান মাস প্রবেশ (চাঁদ) হওয়ার কথা ফজরের পর দিনের কোন অংশে জানতে পারে তার উচিৎ, (আগে কিছু খেয়ে থাকলেও) বাকী দিন পানাহার ইত্যাদি থেকে বিরত থাকা। কারণ, সে দিন হল রমাযানের পহেলা তারীখ। আর রমাযানের কোন দিনে কোন গৃহবাসী (অমুসাফির) সুস্থ মানুষের জন্য রোযা ভঙ্গকারী কোন জিনিস ব্যবহার করা বৈধ...
  13. Abu Abdullah

    সিয়াম সঊদিয়ার চাঁদ অনুসারে রোযা-ঈদ চলবে না

    পূর্বেই আলোচিত হয়েছে যে, মুসলিম যে দেশে বাস করবে, সেই দেশেরই চাঁদ দেখা অনুযায়ী রোযা-ঈদ করবে। কেননা, মহানবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম) বলেন, ‘‘যেদিন তোমরা রোযা রাখ, সেদিন রোযার দিন, যেদিন তোমরা ঈদ কর, সেদিন ঈদের দিন এবং যেদিন তোমরা কুরবানী কর সেদিন কুরবানীর দিন।’’[1] সুতরাং সঊদী আরবে চাঁদ...
  14. Abu Abdullah

    সিয়াম কাফের দেশে বসবাসকারী কি করবে?

    যে মুসলিমরা কাফের দেশে বাস করে, যেখানে তাদের চাঁদ দেখার শরয়ী ব্যবস্থা নেই, সেখানে তারা নিজেরা চাঁদ দেখা শরয়ীভাবে প্রমাণ করতে পারে। তারা নিজেরাই চাঁদ দেখার দায়িত্ব বহন করবে। কিছু উলামা ও গণ্যমান্য লোক মিলে হিলাল-কমিটি গঠন করবে। অতঃপর তাঁদের কাছে চাঁদ দেখা প্রমাণ হলে প্রচার-মাধ্যমে প্রচার করবে...
  15. Abu Abdullah

    সিয়াম কেউ একা চাঁদ দেখলে কি করবে?

    যে ব্যক্তি কোন দূরবর্তী জায়গায় থেকে একাকী চাঁদ দেখে; দেখাতে তার কোন সাথী না থাকে অথবা সে ছাড়া অন্য কেউ না দেখে এবং এ দেখার ব্যাপারে নিশ্চিত হয়, তাহলে তার জন্য রোযা রাখা ওয়াজেব। কারণ, এ ব্যাপারে মহান আল্লাহর সাধারণ বাণী হল, (فَمَنْ شَهِدَ مِنْكُمُ الشَّهْرَ فَلْيَصُمْهُ) অর্থাৎ, অতএব তোমাদের...
  16. Abu Abdullah

    সিয়াম মাস প্রমাণ হবে কিভাবে?

    রমাযান মাস প্রবেশ হওয়া প্রমাণ হবে দুয়ের মধ্যে একভাবেঃ- ১। রমাযানের চাঁদ দেখে। যেহেতু মহান আল্লাহ বলেন, (فَمَنْ شَهِدَ مِنْكُمُ الشَّهْرَ فَلْيَصُمْهُ) অর্থাৎ, তোমাদের মধ্যে যে কেউ এ মাস পাবে সে যেন এ মাসে রোযা রাখে। (কুরআনুল কারীম ২/১৮৫) আর মহানবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম) বলেন...
  17. Abu Abdullah

    সিয়াম বিনা ওযরে রোযা ত্যাগ করার সাজা

    যে ব্যক্তি বিনা ওজরে রমাযানের রোযা ত্যাগ করে সে ব্যক্তির দুটি কারণ হতে পারে; হয় সে তা ফরয বলে অস্বীকার করছে এবং তাকে একটি ইবাদত বলে স্বীকৃতি দিচ্ছে না, (নাঊযু বিল্লাহি মিন যালিক।) আর না হয় সে আলসেমি করে তা রাখছে না। সুতরাং যদি সে রোযা ফরয বলে অস্বীকার করে ও বলে যে, রোযা শরীয়তে ফরয নয়, তাহলে সে...
  18. Abu Abdullah

    সিয়াম রমাযানের রোযার মান

    রমাযানের রোযা আল্লাহর কিতাব, তাঁর রসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম)-এর হাদীস ও মুসলিম উম্মাহর ইজমা’ (সর্বসম্মতি) মতে চিরকালের জন্য ফরয। কুরআন কারীমে মহান আল্লাহ বলেন, ﴿يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا كُتِبَ عَلَيْكُمُ الصِّيَامُ كَمَا كُتِبَ عَلَى الَّذِينَ مِنْ قَبْلِكُمْ لَعَلَّكُمْ...
  19. Abu Abdullah

    সিয়াম রোযার প্রকারভেদ

    রোযা হল দুই প্রকার; ফরয (বাধ্যতামূলক) ও নফল (অতিরিক্ত)। ফরয রোযা আবার ৩ প্রকার; রমাযানের রোযা, কাফ্ফারার রোযা এবং নযর মানা রোযা। এক্ষণে রমাযানের রোযা সংক্রান্ত বিভিন্ন মাসায়েল আলোচনা করব। রমাযানের ফাযায়েল ও রোযার মাসায়েল শাইখ আব্দুল হামীদ আল-ফাইযী আল-মাদানী
  20. Abu Abdullah

    সিয়াম রোযার উদ্দেশ্য, লক্ষ্য, উপকারিতা ও যৌক্তিকতা

    মহান আল্লাহর ৯৯ এর অধিক সুন্দর নামাবলীর অন্যতম নাম হল ‘আল-হাকীম।’ ‘আল-হাকীম’ অর্থ হিকমত-ওয়ালা, বিজ্ঞানময়, প্রজ্ঞাময়। আর হিকমত ও প্রজ্ঞা হল সর্বকর্ম যথাযোগ্যভাবে নৈপুণ্যের সাথে সম্পাদন করা। মহান আল্লাহর এই নামের দাবী এই যে, তিনি যা কিছু সৃষ্টি করেছেন অথবা মানুষের জন্য বিধিবদ্ধ করেছেন তার...
Back
Top