সৃষ্টজীবের মধ্যে কেবল মানুষই পােশাক পরিধান করে। এটি আল্লাহর অশেষ নেয়ামত যা তিনি মানুষকে দিয়েছেন। বাবা আদম ও মা হাওয়া জান্নাতে থাকাকালীন পােশাক পরিধান করতেন। শয়তান প্রথম মানুষকে কুমন্ত্রণা দিয়ে বিপথগামী করেছে, পােশাক খুলেছে এবং পরম সুখের জায়গা জান্নাত থেকে বের করেছে। অভিশপ্ত শয়তানের দোসর ইয়াহুদি, খ্রিষ্টান এবং অন্যান্য বিধর্মী-নাস্তিক পশ্চিমা পুঁজিবাদী সমাজের বিলাসী ও আয়েশী জীবনের মােহে মুসলিম ভাই-বােনরাও তাদেরকে বস্তুগত ও অবস্তুগত সংস্কৃতির রােল-মডেল ধরে গডডলিকা প্রবাহে গা ভাসিয়ে দিয়েছে। অথচ তারা কখনাে মুসলিমদের অনুকরণীয় হতে পারে না। কারণ ইসলামই পূর্ণাঙ্গ জীবন বিধান। মুসলিমদের আছে স্বতন্ত্র সংস্কৃতি ও মূল্যবােধ। দুনিয়ার বুকে একমাত্র ইলাহী বিধান ইসলামে মুসলিমদের ড্রেসকোড কী তা সবিস্তারে বর্ণিত আছে। সেগুলাে না জানার কারণেই তারা বিজাতীয় অনুকরণে মত্ত। এ অবস্থা থেকে মুক্ত হতে জানা প্রয়ােজন কোনটি সুন্নতী পােশাক আর কোনটি বিজাতীয় পােশাক? এই বিষয়টি মাথায় রেখে সম্মানিত লেখক ‘পােশাক' নামের গ্রন্থটি রচনার প্রয়াস পান। এই দিক-নির্দেশনামূলক গ্রন্থটি আপনার জীবনে হয়ে উঠুক মুহাম্মাদী আদর্শের বাস্তব রূপ ও জান্নাতের পাথেয়। আল্লাহ তাওফীক দিন। আমীন।