এই অধ্যায়ের অনুচ্ছেদ লিস্ট:
- তাকবীরে তাহরীমার পর পঠিত দুআ সমূহ
- সালাতের মাঝে শয়তানের কুমন্ত্রণা হতে বাঁচার দুআ
- রুকুর দুআ সমূহ
- রুকু থেকে উঠার দুআ
- রুকুর পরে দণ্ডায়মান অবস্থায় দুআ সমূহ
- সিজদায় পঠিতব্য দুআ সমূহ
- সিজদায় কুরআন পড়তে নিষেধ
- ধীরস্থিরভাবে সিজদার গুরুত্ব
- সিজদার দুআ সমূহ
- দুই সিজদার মধ্যবর্তী দুআ সমূহ
- সিজদার আয়াত পড়ে সিজদা দেওয়ার মহত্ত্ব
- সাধারণ অবস্থায় সিজদার আয়াত পড়ার পর দুআ
- সিজদার আয়াত পড়ে সিজদায় গিয়ে দুআ
- তাশাহুদ বা বৈঠকের দুআ
- রাসূল (ﷺ)-এর প্রতি দরূদ (শেষ বৈঠক)
- তাশাহুদের পর সালাম ফেরানোর আগে দুআ সমূহ (দুআ মাসূরা)
- সালাতের মধ্যে দুআ
- সলাতের মধ্যে হাঁচি দিলে
- ফজর ও মাগরিবের পরের দুআ সমূহ
- ফরয সালাতের পরে মাসনূন দুআ-মুনাজাত
- আয়াতুল কুরসী (সূরা আল-বাকারাহ্ ২:২৫৫)
- সূরা ইখলাস, সূরা ফালাক ও সূরা নাস
- সালাম ফিরানোর পর পঠিতব্য দুআ সমূহ
- পাপরাশি ক্ষমা করে দেওয়া হয়, যদিও তা সমুদ্রের ফেনারাশির মতো হয়
- সালাতের পরের দুআ
- ফজর সলাতের পরে পঠিতব্য দুআ
- ফজরের সালাতের পর দুআ
- সালাত সম্পর্কিত অন্যান্য দুআ সমূহ
দুআ মাসূরা
اَللَّهُمَّ أَلِّفْ بَيْنَ قُلُوبِنَا وَأَصْلِحْ ذَاتَ بَيْنِنَا وَاهْدِنَا سُبُلَ السَّلَامِ وَنَجِّنَا مِنَ الظُّلُمَاتِ إِلَى النُّوْرِ وَجَنِّبْنَا الْفَوَاحِشَ مَا ظَهَرَ مِنْهَا وَمَا بَطَنَ وَبَارِكْ لَنَا فِي أَسْمَاعِنَا وَأَبْصَارِنَا وَقُلُوبِنَا وَأَزْوَاجِنَا وَذُرِّيَّاتِنَا وَتُبْ عَلَيْنَا إِنَّكَ أَنْتَ التَّوَّابُ الرَّحِيْمُ وَاجْعَلْنَا شَاكِرِيْنَ لِنِعْمَتِكَ مُثْنِيْنَ بِهَا قَابِلِيْهَا وَأَتِمَّهَا عَلَيْنَا
উচ্চারণঃ আল্লা-হুম্মা, আল্লিফ বাইনা ক্বুলুবিনা-, ওয়া আসলি’হ যা-তা বাইনিনা-, ওয়াহ্দিনা- সুবুলাস সালা-ম, ওয়া নাজ্জিনা- মিনায যুলুমা-তি ইলান নূর। ওয়া জান্নিবনাল ফাওয়া-’হিশা মা- যাহারা মিনহা- ওয়ামা- বাতান, ওয়া বা-রিক লানা- ফী আসমা-’ইনা-, ওয়া আবসা-রিনা, ওয়া ক্বুলুবিনা, ওয়া আঝওয়া-জিনা, ওয়া যুররিয়্যা-তিনা-। ওয়া তুব ‘আলাইনা-, ইন্নাকা আনতাত তাওয়া-বুর রাহীম। ওয়াজ ‘আলনা- শা-কিরীনা লিনি'মাতিকা, মুছনীনা বিহা- ক্বা-বিলীহা, ওয়া আতিম্মাহা- ‘আলাইনা
অনুবাদঃ হে আল্লাহ্, আপনি আমাদের অন্তরের মধ্যে পরস্পরের প্রতি ভালোবাসা ও সম্প্রীতি সৃষ্টি করে দিন। আপনি আমাদের মধ্যে সুসম্পর্ক ও সৌহার্দ্য প্রদান করুন। আপনি আমাদেরকে শান্তির পথে পরিচালিত করুন, আমাদেরকে অন্ধকার থেকে মুক্ত করে আলোয় নিয়ে আসুন, আমাদেরকে প্রকাশ্য ও অপ্রকাশ্য সকল অশ্লীলতা থেকে রক্ষা করুন। আপনি আমাদের শ্রবণযন্ত্রে, আমাদের দৃষ্টিশক্তিতে, আমাদের অন্তরে, আমাদের দাম্পত্য সঙ্গীগণের মধ্যে এবং আমাদের সন্তানগণের মধ্যে বরকত প্রদান করুন। আপনি আমাদের তাওবা কবুল করুন। নিশ্চয় আপনি তাওবা কবুলকারী পরম করুণাময়। আপনি আমাদেরকে আপনার নিয়ামতের কৃতজ্ঞতা আদায়ের, নিয়ামতের জন্য আপনার প্রশংসা করার এবং নিয়ামতকে সসম্মানে গ্রহণ করার তাওফীক প্রদান করুন এবং আপনি আমাদের জন্য প্রদত্ত্ব আপনার নিয়ামতকে পূর্ণ করুন।
আব্দুল্লাহ ইবনু মাসউদ (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) আমাদেরকে তাশাহুদের পরে দুআর জন্য এ বাক্যগুলো শেখাতেন।
রেফারেন্স: সহিহ। আবু দাউদঃ ৯৬৯
দুআ মাসূরা #২
اَللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوْذُ بِكَ مِنْ عَذَابِ جَهَنَّمَ وَمِنْ عَذَابِ الْقَبْرِ وَمِنْ فِتْنَةِ الْمَحْيَا وَالْمَمَاتِ وَمِنْ شَرِّ فِتْنَةِ الْمَسِيحِ الدَّجَّالِ
উচ্চারণঃ আল্লা-হুম্মা, ইন্নী আ‘উযু বিকা মিন ‘আযা-বি জাহান্নাম, ওয়া মিন ‘আযা-বিল ক্বাব্র, ওয়া মিন ফিতনাতিল মা’হ্ইয়া- ওয়াল মামা-তি ওয়া মিন শার্রি ফিতনাতিল মাসী'হিদ দাজ্জা-ল
অনুবাদঃ হে আল্লাহ্, আমি আপনার নিকট আশ্রয় চাই- জাহান্নামের আযাব থেকে, কবরের আযাব থেকে, জাগতিক জীবনের ও মৃত্যুর ফিতনা (পরীক্ষা বা বিপদ) থেকে এবং দাজ্জালের অমঙ্গল থেকে।
রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেছেন, “তোমরা যখন তাশাহুদ শেষ করবে, তখন চারটি বিষয় থেকে আল্লাহ্র নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করে বলবে - (দুআটি উপরে উল্লেখিত হয়েছে)
রেফারেন্স: মুসলিমঃ ৫৮৮
দুআ মাসূরা #৩
রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) নামাযের শেষে তাশাহুদ ও সালামের মধ্যবর্তী সময়ে এ কথাগুলো বলতেন -
اَللَّهُمَّ اغْفِرْ لِي مَا قَدَّمْتُ وَمَا أَخَّرْتُ وَمَا أَسْرَرْتُ وَمَا أَعْلَنْتُ وَمَا أَسْرَفْتُ وَمَا أَنْتَ أَعْلَمُ بِهِ مِنِّي أَنْتَ الْمُقَدِّمُ وَأَنْتَ الْمُؤَخِّرُ لَا إِلَهَ إِلَّا أَنْتَ
উচ্চারণঃ আল্লা-হুম্মাগ্ফির লী মা- ক্বাদ্দামতু ওয়ামা- আখ্খারতু ওয়ামা- আস্রারতু ওয়ামা- আ’লান্তু ওয়ামা- আস্রাফতু ওয়ামা- আনতা আ’লামু বিহী মিন্নী। আনতাল মুক্বাদ্দিমু ওয়া আনতাল মুআখ্খিরু লা- ইলা-হা ইল্লা- আনতা
অনুবাদঃ হে আল্লাহ্, আপনি ক্ষমা করে দেন আমার আগের পাপ, পরের পাপ, গোপন পাপ, প্রকাশ্য পাপ, আমার বাড়াবাড়ি এবং যে সকল পাপের কথা আপনি আমার চেয়ে বেশী জানেন। আপনিই অগ্রবর্তী করেন এবং আপনিই পিছিয়ে দেন। আপনি ছাড়া কোন প্রকৃত উপাস্য নেই।
তাশাহুদের পর সালাম ফেরানোর আগে, আল্লাহ্র রাসূল (ﷺ) সব শেষে যা পড়তেন তার মধ্যে ছিল এটি।
রেফারেন্স: মুসলিমঃ ৭৭১
দুআ মাসূরা #৪
আবু বকর (রাঃ) রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-কে বলেন, আমাকে একটি দুআ শিখিয়ে দিন যা আমি নামাযের মধ্যে পড়ব, তখন তিনি এ দুআটি শিখিয়ে দেন -
اَللَّهُمَّ إِنِّي ظَلَمْتُ نَفْسِيْ ظُلْمًا كَثِيْرًا وَلَا يَغْفِرُ الذُّنُوبَ إِلَّا أَنْتَ فَاغْفِرْ لِي مَغْفِرَةً مِنْ عِنْدِكَ وَارْحَمْنِيْ إِنَّكَ أَنْتَ الْغَفُوْرُ الرَّحِيْمُ
উচ্চারণঃ আল্লা-হুম্মা ইন্নী যালাম্তু নাফ্সী যুলমান কাছিরান ওয়ালা- ইয়াগফিরুয যুনূবা ইল্লা- আনতা, ফাগ্ফিরুলী মাগফিরাতান মিন ‘ইনদিকা ওয়ার’হামনী ইন্নাকা আনতাল গাফূরুর্ রাহীম
অনুবাদঃ হে আল্লাহ্! আমি নিজের উপর অনেক যুলুম করেছি, আর আপনি ছাড়া গুনাহসমূহ কেউই ক্ষমা করতে পারে না, সুতরাং আপনি নিজ গুণে আমাকে ক্ষমা করে দিন এবং আমাকে রহম করুন, আপনি বড়ই ক্ষমাশীল ও পরম দয়ালু।
রেফারেন্স: বুখারীঃ ৮৩৪
দুআ মাসূরা #৫
اَللَّهُمَّ بِعِلْمِكَ الْغَيْبَ وَقُدْرَتِكَ عَلَى الْخَلْقِ أَحْيِنِيْ مَا عَلِمْتَ الْحَيَاةَ خَيْرًا لِي وَتَوَفَّنِيْ إِذَا عَلِمْتَ الْوَفَاةَ خَيْرًا لِي اَللَّهُمَّ وَأَسْأَلُكَ خَشْيَتَكَ فِي الْغَيْبِ وَالشَّهَادَةِ وَأَسْأَلُكَ كَلِمَةَ الْحَقِّ فِي الرِّضَا وَالْغَضَبِ وَأَسْأَلُكَ الْقَصْدَ فِي الْفَقْرِ وَالْغِنَى وَأَسْأَلُكَ نَعِيْمًا لَا يَنْفَدُ وَأَسْأَلُكَ قُرَّةَ عَيْنٍ لَا تَنْقَطِعُ وَأَسْأَلُكَ الرِّضَا بَعْدَ الْقَضَاءِ وَأَسْأَلُكَ بَرْدَ الْعَيْشِ بَعْدَ الْمَوْتِ وَأَسْأَلُكَ لَذَّةَ النَّظَرِ إِلَى وَجْهِكَ وَالشَّوْقَ إِلَى لِقَائِكَ فِي غَيْرِ ضَرَّاءَ مُضِرَّةٍ وَلَا فِتْنَةٍ مُضِلَّةٍ اَللَّهُمَّ زَيِّنَا بِزِيْنَةِ الْإِيْمَانِ وَاجْعَلْنَا هُدَاةً مُهْتَدِيْنَ
উচ্চারণঃ আল্লা-হুম্মা, বি‘ইলমিকাল গাইবা ওয়া ক্বুদ্রাতিকা ‘আলাল খাল্ক্ব, আ’হ্য়িনী মা- ‘আলিম্তাল ‘হায়া-তা খাইরল্লী, ওয়া তাওয়াফ্ফানী ইযা- ‘আলিম্তাল ওয়াফা-তা খাইরান লী, আল্লা-হুম্মা, ওয়া আস্আলুকা খাশ্ইয়াতাকা ফিল গাইবি ওয়াশ শাহা-দাতি, ওয়া আস্আলুকা কালিমাতাল হাক্কি ফির রিদ্বা- ওয়াল গাদ্বাবি, ওয়া আস্আলুকাল ক্বাস্দা ফিল ফাক্বরি ওয়াল গিনা- ওয়া আস্আলুকা না’য়ীমান লা- ইয়ান্ফাদু, ওয়া আস্আলুকা ক্বুর্রাতা ‘আইনিন লা- তান্ক্বাতি’উ, ওয়া আস্আলুকার রিদ্বা- বা'অ্দাল ক্বাদ্বা-, ওয়া আস্আলুকা বার্দাল ‘আইশি বা’অ্দাল মাউতি, ওয়া আস্আলুকা লায্যাতান নাযারি ইলা ওয়াজ্হিকা ওয়াশ্ শাওক্বা ইলা- লিক্বা-য়িকা ফী গাইরি দ্বার্রা-আ মুদ্বির্রাতিন ওয়ালা- ফিত্নাতিন মুদ্বিল্লাতিন। আল্লা-হুম্মা, ঝায়্যিনা- বি-ঝিনাতিল ঈমা-নি ওয়াজ্‘আলনা- হুদা-তাম মুহ্তাদীন
অনুবাদঃ আল্লাহ্, আপনার গাইবী ইলমের ওসীলা দিয়ে এবং আপনার সৃষ্টির ক্ষমতার অসীলা দিয়ে (প্রার্থনা করছি), আপনি আমাকে জীবিত রাখুন যতক্ষণ আপনি জানবেন যে, জীবন আমার জন্য উত্তম। এবং আপনি আমাকে মৃত্যু দান করুন যখন আপনি জানবেন যে, মৃত্যু আমার জন্য উত্তম। হে আল্লাহ্, আর আমি আপনার কাছে চাচ্ছি গোপনে এবং প্রকাশ্যে আপনার ভীতি। আমি আপনার কাছে চাচ্ছি রাগ কিংবা সন্তুষ্ট উভয় অবস্থাতে সত্য কথন। এবং আমি আপনার কাছে চাচ্ছি মধ্যম পন্থা দারিদ্র্য এবং সচ্ছলতায়। এবং আমি আপনার কাছে চাচ্ছি অফুরন্ত নেয়ামত। এবং আমি আপনার কাছে চাচ্ছি অবিচ্ছিন্ন শান্তি-তৃপ্তি। এবং আমি আপনার কাছে চাচ্ছি তাকদিরের (প্রকাশ পাওয়ার) পরে সন্তুষ্টি। এবং আমি আপনার কাছে চাচ্ছি মৃত্যুর পরে শান্তিময় জীবন। এবং আমি আপনার কাছে চাচ্ছি আপনার পবিত্র মুখমণ্ডলের প্রতি দৃষ্টিপাতের আনন্দ, এবং আপনার সাথে সাক্ষাতের আগ্রহ, সকল ক্ষতিকর প্রতিকূলতা এবং বিভ্রান্তিকর ফিতনা-ফাসাদ হতে বিমুক্ত থেকে। হে আল্লাহ্, আপনি আমাদেরকে সৌন্দর্যময় করুন ঈমানের সৌন্দর্যে এবং আমাদেরকে বানিয়ে দিন সুপথপ্রাপ্ত পথপ্রদর্শনকারী।
তাবিয়ী সাইব ইবনু মালিক (রহ) বলেন, একদিন আম্মার ইবনু ইয়াসির (রাঃ) আমাদেরকে নামায পড়ালেন। তিনি সংক্ষেপে নামায পড়ালেন। তখন জামাতে উপস্থিত কেউ কেউ বলল, আপনি সংক্ষেপেই নামায পড়ালেন। তখন তিনি বললেন, আমি এ নামাযের মধ্যে এমন কিছু দুআ করেছি যেগুলো আমি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) থেকে শুনেছি। এ বলে তিনি উপরের দুআটি তাদেরকে শিখিয়ে দেন।
রেফারেন্স: সহিহ। নাসাঈঃ ১৩০৫
দুআ মাসূরা #৬
اَللَّهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ مِنَ الْخَيْرِ كُلِّهِ عَاجِلِهِ وَآجِلِهِ، مَا عَلِمْتُ مِنْهُ وَمَا لَمْ أَعْلَمْ، وَأَعُوْذُ بِكَ مِنَ الشَّرِّ كُلِّهِ عَاجِلِهِ وَآجِلِهِ، مَا عَلِمْتُ مِنْهُ وَمَا لَمْ أَعْلَمْ، اَللَّهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ مِنْ خَيْرِ مَا سَأَلَكَ عَبْدُكَ وَنَبِيُّكَ، وَأَعُوْذُ بِكَ مِنْ شَرِّ مَا عَاذَ بِهِ عَبْدُكَ وَنَبِيُّكَ، اَللَّهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ الْجَنَّةَ وَمَا قَرَّبَ إِلَيْهَا مِنْ قَوْلٍ أَوْ عَمَلٍ، وَأَعُوْذُ بِكَ مِنَ النَّارِ وَمَا قَرَّبَ إِلَيْهَا مِنْ قَوْلٍ أَوْ عَمَلٍ، وَأَسْأَلُكَ أَنْ تَجْعَلَ كُلَّ قَضَاءٍ قَضَيْتَهُ لِي خَيْرًا
উচ্চারণঃ আল্লা-হুম্মা, ইন্নী আস্আলুকা মিনাল খাইরি কুল্লিহী, ‘আ-জিলিহী ওয়া আ-জিলিহী, মা-‘আলিম্তু মিন্হু ওয়ামা- লাম্ আ’অ্লাম। ওয়া আ‘উযু বিকা মিনাশ্ শার্রি কুল্লিহী ‘আ-জিলিহী ওয়া আ-জিলিহী মা- ‘আলিম্তু মিন্হু ওয়ামা- লাম্ আ’অ্লাম। আল্লা-হুম্মা, ইন্নী আস্আলুকা মিন খাইরি মা- সাআলাকা ‘আব্দুকা ওয়া নাবিয়্যুকা, ওয়া আ’ঊযু বিকা মিন শার্রি ‘মা ‘আ-যা বিহী ‘আব্দুকা ওয়া নাবিয়্যুকা। আল্লা-হুম্মা, ইন্নী আস্আলুকাল জান্নাতা ওয়ামা- ক্বার্রাবা ইলাইহা- মিন ক্বাওলিন আও ‘আমাল। ওয়া আ’ঊযু বিকা মিনান না-রি ওয়ামা- ক্বার্রাবা ইলাইহা- মিন ক্বাওলিন আও 'আমাল। ওয়া আস্আলুকা আন তাজ‘আলা কুল্লা ক্বাদ্বা-ইন ক্বদ্বাইতাহু লি খইরা
অনুবাদঃ হে আল্লাহ্, আমি আপনার কাছে চাই সকল কল্যাণ থেকে নিকটবর্তী কল্যাণ, দূরবর্তী কল্যাণ, আমি যে কল্যাণ সম্পর্কে অবগত আছি এবং আমি যে কল্যাণ সম্পর্কে অবগত নই। আর আমি আপনার আশ্রয় গ্রহণ করছি সকল অকল্যাণ থেকে নিকটবর্তী অকল্যাণ, দূরবর্তী অকল্যাণ, আমি যে অকল্যাণ সম্পর্কে অবগত আছি এবং আমি যে অকল্যাণ সম্পর্কে অবগত নই। হে আল্লাহ্, আমি আপনার কাছে সে সকল কল্যাণ চাই যে সকল কল্যাণ চেয়েছেন আপনার কাছে আপনার বান্দা এবং আপনার নবী (মুহাম্মাদ ﷺ)। হে আল্লাহ্, আমি আপনার কাছে আশ্রয় চাই সে সকল অকল্যাণ থেকে যে সকল অকল্যাণ থেকে আপনার আশ্রয় চেয়েছেন আপনার বান্দা এবং আপনার নবী (মুহাম্মাদ ﷺ)। হে আল্লাহ্, আমি আপনার কাছে চাই জান্নাত এবং জান্নাতের নিকটে নিয়ে যায় এরূপ সকল কথা বা কাজের তাওফীক। এবং আমি আপনার আশ্রয় চাই জাহান্নাম থেকে এবং সেই সব কথা বা কাজ থেকে যা জাহান্নামের কাছে নিয়ে যায়। আর আমি আপনার নিকট প্রার্থনা করি যে, আপনি আমার জন্য যা কিছু ভাগ্য নির্ধারণ করেছেন সব কিছুর চূড়ান্ত পরিণতি আমার জন্য মঙ্গলময় কল্যাণকর করে দিন।
রেফারেন্স: সহিহ। ইবনে মাজাহঃ ৩৮৪৬
দুআ মাসূরা #৭
কবর ও জাহান্নামের আযাব, জীবন, মৃত্যু ও দাজ্জালের ফিতনা এবং গুনাহ ও ঋণ থেকে আশ্রয় চাওয়ার দুআ -
اَللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوْذُ بِكَ مِنْ عَذَابِ الْقَبْرِ، وَأَعُوْذُ بِكَ مِنْ فِتْنَةِ الْمَسِيحِ الدَّجَّالِ، وَأَعُوْذُ بِكَ مِنْ فِتْنَةِ الْمَحْـيَا وَالْمَمَاتِ. اَللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوْذُ بِكَ مِنَ الْمَأْثَمِ وَالْمَغْرَمِ
উচ্চারণঃ আল্লা-হুম্মা ইন্নী আ‘উযু বিকা মিন 'আযা-বিল ক্বাবর, ওয়া আ‘উযু বিকা মিন ফিতনাতিল মাসীহিদ্ দাজ্জা-ল, ওয়া আ‘উযু বিকা মিন ফিতনাতিল মা'হইয়া- ওয়াল মামা-ত। আল্লা-হুম্মা ইন্নী আ‘উযু বিকা মিনাল মা’ছামি ওয়াল মাগরাম
অনুবাদঃ হে আল্লাহ্! আমি আপনার কাছে আশ্রয় চাই কবরের আযাব থেকে, আশ্রয় চাই মাসীহ দাজ্জালের ফিতনা থেকে এবং আশ্রয় চাই জীবন-মৃত্যুর ফিতনা থেকে। হে আল্লাহ্! আমি আপনার কাছে আশ্রয় চাই পাপাচার ও ঋণের বোঝা থেকে।
আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, আল্লাহ্র রাসূল (ﷺ) সালাতের মধ্যে এ দুআ পড়তেন -একজন তাঁকে জিজ্ঞাসা করেন, “আপনি ঋণের ব্যাপারে (আল্লাহ্র কাছে) এত বেশি আশ্রয় চান কেন?” জবাবে নবী (ﷺ) বলেন, “মানুষ যখন ঋণে জড়িয়ে পড়ে, তখন কথা বললে মিথ্যা বলে আর ওয়াদা দিলে তা ভঙ্গ করে।”
রেফারেন্স: বুখারীঃ ৮৩২
দুআ মাসূরা #৮
اَللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوْذُ بِكَ مِنْ عَذَابِ جَهَنَّمَ وَأَعُوْذُ بِكَ مِنْ عَذَابِ الْقَبْرِ وَأَعُوْذُ بِكَ مِنْ فِتْنَةِ الْمَسِيْحِ الدَّجَّالِ وَأَعُوْذُ بِكَ مِنْ فِتْنَةِ الْمَحْيَا وَالْمَمَاتِ. اَللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوْذُ بِكَ مِنَ الْمَأْثَمِ وَمِنَ الْمَغْرَمِ
উচ্চারণঃ আল্লা-হুম্মা ইন্নী আ‘উযু বিকা মিন্ ‘আযা-বি জাহান্নাম্ ওয়া আ‘উযু বিকা মিন্ ‘আযা-বিল্ ক্বাব্র, ওয়া আ‘উযু বিকা মিন্ ফিত্নাতিল্ মাসীহিদ্ দাজ্জা-ল্, ওয়া আ‘উযু বিকা মিন ফিত্নাতিল্ মাহ্ইয়া- ওয়াল্ মামা-ত্, আল্লা-হুম্মা ইন্নী আ‘উযু বিকা মিনাল্ মা’ছামি ওয়া মিনাল্ মাগ্রাম।
অনুবাদঃ হে আল্লাহ্! আমি তোমার নিকট জাহান্নামের ‘আযাব হতে আশ্রয় চাচ্ছি, কবরের ‘আযাব্ হতে আশ্রয় চাচ্ছি, আশ্রয় চাচ্ছি কানা দাজ্জালের পরীক্ষা হতে। তোমার নিকট আশ্রয় চাচ্ছি জীবন ও মৃত্যুর পরীক্ষা হতে এবং তোমার নিকট আশ্রয় চাচ্ছি পাপ ও ঋণের বোঝা হতে।
ইব্নু ‘আব্বাস্ (রাঃ) বলেন, নবী করীম (ﷺ) তাঁদেরকে (ছাহাবীগণকে) এই দুআ শিক্ষা দিতেন, যেভাবে তাঁদেরকে কুরআনের সূরা শিক্ষা দিতেন। তিনি বলতেন - (দুআটি উপরে উল্লেখিত হয়েছে)
রেফারেন্স: মুসলিমঃ ১/৪১২
দুআ মাসূরা #৯
اَللَّهُمَّ أَعِنِّي عَلَى ذِكْرِكَ، وَشُكْرِكَ، وَحُسْنِ عِبَادَتِكَ
উচ্চারণঃ আল্লা-হুম্মা আ‘ইন্নী ‘আলা জিকিরিকা ও শুকরিকা ওয়া হুসনি ইবা-দাতিক
অনুবাদঃ হে আল্লাহ্! আমাকে সাহায্য করো যেন তোমাকে স্মরণ রাখতে পারি, তোমার শুকরিয়া আদায় করতে পারি, এবং সুন্দরভাবে তোমার গোলামি করতে পারি।
মু‘আয ইবনু জাবাল (রাঃ) থেকে বর্ণিত, একদা রসূলুল্লাহ (ﷺ) তার হাত ধরে বললেন, হে মু‘আয! আল্লাহ্র শপথ! আমি অবশ্যই তোমাকে ভালোবাসি, আল্লাহ্র শপথ! আমি অবশ্যই তোমাকে ভালোবাসি। তিনি বললেন, হে মু‘আয! আমি তোমাকে ওয়াসিয়াত করছি, তুমি প্রত্যেক সালাতের পর এ দু‘আটি কখনো পরিহার করবে না - (দুআটি উপরে উল্লেখিত হয়েছে)
রেফারেন্স: সহিহ। আবু দাউদঃ ১৫২২
দুআ মাসূরা #১০
اَللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوْذُ بِكَ مِنَ الْبُخْلِ، وَأَعُوْذُ بِكَ مِنَ الْجُبْنِ، وَأَعُوْذُ بِكَ مِنْ أَنْ نُرَدَّ إِلَى أَرْذَلِ الْعُمُرِ، وَأَعُوْذُ بِكَ مِنْ فِتْنَةِ الدُّنْيَا وَعَذَابِ الْقَبْرِ
উচ্চারণঃ আল্লা-হুম্মা ইন্নী আ‘উযু বিকা মিনাল বুখলি, ওয়া ‘আউযু বিকা মিনাল জুবনি, ওয়া আ‘উযু বিকা মিন আন নুরাদ্দা ইলা- আরযালিল্ ‘উমুরি, ওয়া আ‘উযু বিকা মিন্ ফিতনাতিদ দুন্ইয়া- ওয়া আযা-বিল ক্বাবর
অনুবাদঃ হে আল্লাহ্! আমি কাপুরুষতা ও কৃপণতা থেকে আপনার কাছে আশ্রয় চাচ্ছি। আমি বার্ধক্যের অসহায়ত্ব থেকে আপনার কাছে আশ্রয় চাচ্ছি। আর আমি দুনিয়ার ফিত্না ও ক্ববরের 'আযাব থেকে আপনার কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করছি।
সাদ ইবনু আবী ওয়াক্কাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত, শিক্ষক যেভাবে বাচ্চাদের হাতের লেখা শেখায়, সাদ (রাঃ) তার ছেলেদের এসব বাক্য সেভাবে শেখাতেন। আর তিনি বলতেন, সালাতের শেষের দিকে আল্লাহ্র রাসূল (ﷺ) এসব বিষয়ে (আল্লাহ্র কাছে) আশ্রয় চাইতেন- (দুআটি উপরে উল্লেখিত হয়েছে)
রেফারেন্স: বুখারীঃ ৬৩৭৪
দুআ মাসূরা #১১
আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আল্লাহ্র রাসূল (ﷺ) এক ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসা করেন, “তুমি সালাতে কী দুআ করো?" লোকটি বলে, আমি তাশাহুদ পাঠ করে বলি -
اَللَّهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ الْجَنَّةَ وَأَعُوْذُ بِكَ مِنَ النَّارِ
উচ্চারণঃ আল্লা-হুম্মা ইন্নী আসআলুকাল জান্নাতা ওয়া আ‘উযু বিকা মিনান না-র
অনুবাদঃ হে আল্লাহ্! আমি তোমার কাছে জান্নাত চাই; আর জাহান্নাম থেকে তোমার কাছে আশ্রয় চাই।
আমি তো আর আপনার মতো সুন্দর করে দুআ পড়তে পারি না, মুআযের মতোও না! "তখন নবী (ﷺ) বলেন, “আমাদের দুআও এর কাছাকাছি অর্থ বহন করে!"
রেফারেন্স: সহীহ। ইবনে মাজাহঃ ৩৮৪৬
দুআ মাসূরা #১২
মিজান ইবনুল আরদা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, আল্লাহ্র রাসূল (ﷺ) মসজিদে প্রবেশ করেন। তখন এক ব্যক্তি সালাতের শেষের দিকে তাশাহুদ পাঠ করছে। সে বলছে -
اَللَّهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ يَا أَللَّهُ بِأَنَّكَ الْوَاحِدُ الْأَحَدُ الصَّمَدُ الَّذِي لَمْ يَلِدْ وَلَمْ يُولَدْ، وَلَمْ يَكُنْ لَهُ كُفُوًا أَحَدٌ، أَنْ تَغْفِرَ لِي ذُنُوبِي إِنَّكَ أَنْتَ الْغَفُورُ الرَّحِيمُ
উচ্চারণঃ আল্লা-হুম্মা ইন্নী আসআলুকা ইয়া আল্লা-হু বিআন্নাকাল ওয়া-'হিদুল আ'হাদুস্ স্বমাদুল্লাযী লাম ইয়ালিদ ওয়ালাম ইঊ্লাদ্ ওয়ালাম ইয়াকুন লাহু কুফূওয়ান আ'হাদ, আন্ তাগফিরালী যুনূবী, ইন্নাকা আনতাল গাফূরুর রহীম
অনুবাদঃ হে আল্লাহ্! আমি তোমার কাছে চাই। হে আল্লাহ্! তুমি এক, একক, অমুখাপেক্ষী, যিনি কাউকে জন্ম দেননি এবং কারও থেকে জন্ম নেননি এবং যার সমকক্ষ কেউ নেই; তুমি আমাকে ক্ষমা করে দাও, একমাত্র তুমিই ক্ষমাশীল, দয়ালু।
তার দুআ শুনে আল্লাহ্র রাসূল (ﷺ) তিনবার বলেন, “তাকে মাফ করে দেওয়া হয়েছে।"
রেফারেন্স: সহিহ। নাসাঈঃ ১৩০১
দুআ মাসূরা #১৩
আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি আল্লাহ্র রাসূল (ﷺ)-এর সঙ্গে বসে আছি। তখন এক ব্যক্তি দাঁড়িয়ে সালাত আদায় করছে। সে রুকু, সিজদা ও তাশাহুদের পর দুআ করে। ওই দুআয় সে বলে -
اَللَّهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ بِأَنَّ لَكَ الْحَمْدَ لَا إِلَهَ إِلاَّ أَنْتَ الْمَنَّانُ، بَدِيعُ السَّمَوَاتِ وَالْأَرْضِ يَا ذَا الْجَلَالِ وَالْإِكْرَامِ، يَا حَيُّ يَا قَيُّومُ إِنِّي أَسْأَلُكَ
উচ্চারণঃ আল্লা-হুম্মা ইন্নী আসআলুকা বিআন্না লাকাল 'হামদা লা- ইলা-হা ইল্লা- আনতাল মান্না-নু, বাদী‘উস্ সামাওয়া-তি ওয়াল-আরদী, ইয়া যালজালা-লি ওয়াল-ইকরা-ম। ইয়া হাইয়্যু ইয়া ক্বাইয়্যূমু, ইন্নী আসআলুকা
অনুবাদঃ হে আল্লাহ্! আমি তোমার কাছে চাই। প্রশংসা কেবল তোমারই; তুমি ছাড়া কোনও হক্ব ইলাহ নেই, তুমি মহানদাতা এবং আকাশ সমূহ ও পৃথিবীর অস্তিত্বদানকারী হে মহত্ত্ব ও মহানুভবতার অধিকারী! হে চিরঞ্জীব! হে চিরস্থায়ী! আমি তোমার কাছেই চাই।
তখন নবী (ﷺ) তার সাহাবীদের বলেন, “তোমরা কি জানো, সে কী দুআ করেছে?" তারা বলেন, “আল্লাহ্ ও তাঁর রাসূলই ভালো জানেন।” নবী (ﷺ) বলেন, “শপথ সেই সত্ত্বার, যাঁর হাতে আমার প্রাণ! সে আল্লাহ্কে তাঁর মহান নাম নিয়ে ডেকেছে, যে নাম নিয়ে ডাকা হলে তিনি সাড়া দেন এবং যে নাম নিয়ে কিছু চাওয়া হলে তিনি তা দেন।
রেফারেন্স: সহিহ। নাসাঈঃ ১৩০০
দুআ মাসূরা #১৪
বুরাইদা ইবনুল হুসাইব (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী (ﷺ) এক ব্যক্তিকে এ কথা বলে দুআ করতে শুনেন -
اَللَّهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ بِأَنِّي اَشْهَدُ أَنَّكَ أَنْتَ اللَّهُ لَا إِلَهَ إِلَّا أَنْتَ الْأَحَدُ الصَّمَدُ الَّذِيْ لَمْ يَلِدْ وَلَمْ يُوْلَدْ وَلَمْ يَكُنْ لَّهُ كُفُوًا أَحَدٌ
উচ্চারণঃ আল্লা-হুম্মা ইন্নী আস্আলুকা বিআন্নী আশ্হাদু আন্নাকা আনতাল্লা-হু লা- ইলা-হা ইল্লা- আনতাল্ আ'হাদুস্ স্বামাদুল্ লাযী লাম্ ইয়ালিদ্ ওয়ালাম্ ইঊ্লাদ্ ওয়ালাম্ ইয়াকুন লাহু কুফুওয়ান্ আহাদ্
অনুবাদঃ হে আল্লাহ্! আমি তোমার কাছে চাই। আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি, একমাত্র তুমিই আল্লাহ্, তুমি ছাড়া কোনও হক্ব ইলাহ নেই, একক, অমুখাপেক্ষী, যিনি কাউকে জন্ম দেননি এবং কারও থেকে জন্ম নেননি এবং যার সমকক্ষ কেউ নেই।
তখন নবী (ﷺ) বলেন, “শপথ সেই সত্ত্বার, যাঁর হাতে আমার প্রাণ! সে আল্লাহ্কে তাঁর মহান নাম নিয়ে ডেকেছে, যে নাম নিয়ে ডাকা হলে তিনি সাড়া দেন এবং যে নাম নিয়ে কিছু চাওয়া হলে তিনি তা দেন।”
রেফারেন্স: সহীহ। আবু দাঊদঃ ১৪৯৩
দুআ মাসূরা #১৫
اَللَّهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ بِأَنَّ لَكَ الْحَمْدُ لَا إِلَهَ إِلَّا أَنْتَ وَحْدَكَ لَا شَرِيكَ لَكَ، الْمَنَّانُ، يَا بَدِيعَ السَّمَوَاتِ وَالْأَرْضِ يَا ذَا الْجَلَالِ وَالْإِكْرَامِ، يَا حَيُّ يَا قَيُّومُ إِنِّي أَسْأَلُكَ الْجَنَّةَ وَأَعُوْذُ بِكَ مِنَ النَّارِ
উচ্চারণঃ আল্লা-হুম্মা ইন্নী আসআলুকা বিআন্না লাকাল হামদু লা- ইলা-হা ইল্লা- আনতা ওয়াহ্দাকা লা- শারীকা লাকাল মান্না-নু, ইয়া বাদী‘আস্ সামাওয়া-তি ওয়াল-আরদী, ইয়া যালজালা-লি ওয়াল-ইকরা-ম। ইয়া হাইয়্যু ইয়া ক্বাইয়্যূমু, ইন্নী আসআলুকাল্ জান্নাতা ওয়া আ‘উযু বিকা মিনান না-র
অনুবাদঃ হে আল্লাহ্! আমি আপনার কাছে চাই; কারণ, সকল প্রশংসা আপনার, কেবলমাত্র আপনি ছাড়া আর কোনো হক্ব ইলাহ নেই, আপনার কোনো শরীক নেই, সীমাহীন অনুগ্রহকারী; হে আসমানসমূহ ও যমীনের অভিনব স্রষ্টা! হে মহিমাময় ও মহানুভব! হে চিরঞ্জীব, হে চিরস্থায়ী-সর্বসত্ত্বার ধারক! আমি আপনার কাছে জান্নাত চাই এবং জাহান্নাম থেকে আশ্রয় চাই।
রেফারেন্স: সহিহ। আবূ দাঊদঃ ১৪৯৩-১৪৯৫
দুআ মাসূরা #১৬
اَللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوْذُ بِكَ مِنَ الْكَسَلِ، وَأَعُوْذُ بِكَ مِنَ الْجُبْنِ، وَأَعُوْذُ بِكَ مِنَ الْهَرَمِ، وَأَعُوْذُ بِكَ مِنَ الْبُخْلِ
উচ্চারণঃ আল্লা-হুম্মা ইন্নি আ‘উযু বিকা মিনাল কাসালি, ওয়া আ‘উযুবিকা মিনাল জুব্নি, ওয়া আ‘উযুবিকা মিনাল হারামি, ওয়া আ‘উযুবিকা মিনাল বুখল।
অনুবাদঃ হে আল্লাহ্! আমি অলসতা থেকে আপনার আশ্রয় চাচ্ছি এবং আমি আপনার কাছে কাপুরুষতা থেকে আশ্রয় চাচ্ছি। আমি আপনার কাছে আরও আশ্রয় চাচ্ছি বার্ধক্যের আতিশয্য থেকে এবং আমি কৃপণতা থেকে আপনার আশ্রয় চাচ্ছি।
রেফারেন্স: বুখারিঃ ৬৩৭১