Knowledge Sharer
ilm Seeker
Uploader
Salafi User
- Joined
- Jan 12, 2023
- Threads
- 864
- Comments
- 1,113
- Solutions
- 20
- Reactions
- 13,043
- Thread Author
- #1
প্রশ্ন: ফক্বীহগণ শরীআতের বিভিন্ন মাসআলায় মতভেদ করেছেন। তন্মধ্যে নারীদের পর্দাসংক্রান্ত মাসআলাটি অন্যতম। বাহ্যিক দৃষ্টিতে পর্দাসংক্রান্ত বিভিন্ন বর্ণনার পারস্পরিক বৈপরীত্যের দরুন এ মতভেদের সৃষ্টি। আসলে শারঈ পর্দা বলতে কী বুঝায়?
উত্তর: শারঈ পর্দা হচ্ছে, শরীরের যেসব অঙ্গ পরপুরুষের সামনে প্রকাশ করা হারাম, সেসব অঙ্গ ভালোভাবে ঢেকে রাখা। মুখমণ্ডল ঢাকা তার মধ্যে অন্যতম। কারণ, মুখমণ্ডল ফেতনা এবং জৈবিক আকাঙ্ক্ষা সৃষ্টির কেন্দ্র। অতএব, গায়রে মাহরাম পুরুষদের সামনে মুখ ঢেকে রাখা নারীদের উপর ওয়াজিব। যারা শারঈ পর্দা বলতে মাথা, ঘাড়, গলা, পা, পায়ের নলা ও বাহু ঢেকে রাখা মনে করেন এবং মুখমণ্ডল ও হাতের কব্জি খোলা রাখাকে বৈধ বলে মত প্রকাশ করেন, আমি তাদের কথা শুনে অবাক হয়ে যাই। কারও অজানা নেই যে, মুখমণ্ডলই হচ্ছে জৈবিক আকাঙ্ক্ষা এবং ফেতনা সৃষ্টির মূল কেন্দ্র। কোনো বিবেকে আমরা বলি, শরীআত মেয়েদের পা খোলা রাখা হারাম করেছে, আর মুখমণ্ডল খোলা রাখা বৈধ করেছে? এটি মহান আল্লাহ প্রদত্ত প্রজ্ঞাপূর্ণ সামঞ্জস্যশীল পবিত্র শরীআতের বিধান হতে পারে না। যার সামান্যতম জ্ঞান আছে সেও জানে, পা খোলা রাখলে যে ফেতনা সৃষ্টি হতে পারে, মুখমণ্ডল খোলা রাখলে তার থেকে নিঃসন্দেহে বেশি হবে।
সে এটাও জানে, পুরুষদের জৈবিক আকাঙ্ক্ষা সৃষ্টির মূল কেন্দ্র মেয়েদের মুখমণ্ডল। এ কারণে বিবাহের প্রস্তাবকারী ছেলেকে যদি বলা হয়, তুমি যে মেয়েটিকে বিবাহ করতে চাচ্ছ, তার মুখমণ্ডল তেমন সুন্দর না, তবে তার পা দুটি খুবই সুন্দর, তাহলে সে ছেলে ঐ মেয়েকে বিয়ে করতে আগ্রহী হবে না। পক্ষান্তরে যদি তাকে বলা হয়, মেয়েটির মুখমণ্ডল অনেক সুন্দর, তবে তার হাত/পা/পায়ের নলা তেমন একটা সুন্দর না, তবুও সে ঐ মেয়েকে বিয়ে করতে আগ্রহী হবে। এ থেকে বুঝা যাচ্ছে, নারীদের মুখমণ্ডল ঢেকে রাখা কত জরুরী বিষয়!
পবিত্র কুরআন, ছহীহ সুন্নাহ, ছাহাবায়ে কেরাম এবং বিজ্ঞ ইমামগণ ও খ্যাতনামা উলামায়ে কেরামের বক্তব্য দ্বারা সুস্পষ্টভাবে প্রমাণিত হয় যে, গায়রে মাহরাম পুরুষদের সামনে মুখমণ্ডলসহ শরীরের পুরো অংশ ঢেকে রাখা নারীদের উপর আবশ্যকীয়। তবে এতসব দলীল-প্রমাণ এখানে উল্লেখ করার সময় নেই। আমি আপনাদেরকে এ বিষয়ে আমার ছোট্ট পুস্তিকাটি পড়ার অনুরোধ করছি। বইটি আকারে ছোট হলেও এর ফায়দা অনেক ইনশাআল্লাহ।
উত্তর: শারঈ পর্দা হচ্ছে, শরীরের যেসব অঙ্গ পরপুরুষের সামনে প্রকাশ করা হারাম, সেসব অঙ্গ ভালোভাবে ঢেকে রাখা। মুখমণ্ডল ঢাকা তার মধ্যে অন্যতম। কারণ, মুখমণ্ডল ফেতনা এবং জৈবিক আকাঙ্ক্ষা সৃষ্টির কেন্দ্র। অতএব, গায়রে মাহরাম পুরুষদের সামনে মুখ ঢেকে রাখা নারীদের উপর ওয়াজিব। যারা শারঈ পর্দা বলতে মাথা, ঘাড়, গলা, পা, পায়ের নলা ও বাহু ঢেকে রাখা মনে করেন এবং মুখমণ্ডল ও হাতের কব্জি খোলা রাখাকে বৈধ বলে মত প্রকাশ করেন, আমি তাদের কথা শুনে অবাক হয়ে যাই। কারও অজানা নেই যে, মুখমণ্ডলই হচ্ছে জৈবিক আকাঙ্ক্ষা এবং ফেতনা সৃষ্টির মূল কেন্দ্র। কোনো বিবেকে আমরা বলি, শরীআত মেয়েদের পা খোলা রাখা হারাম করেছে, আর মুখমণ্ডল খোলা রাখা বৈধ করেছে? এটি মহান আল্লাহ প্রদত্ত প্রজ্ঞাপূর্ণ সামঞ্জস্যশীল পবিত্র শরীআতের বিধান হতে পারে না। যার সামান্যতম জ্ঞান আছে সেও জানে, পা খোলা রাখলে যে ফেতনা সৃষ্টি হতে পারে, মুখমণ্ডল খোলা রাখলে তার থেকে নিঃসন্দেহে বেশি হবে।
সে এটাও জানে, পুরুষদের জৈবিক আকাঙ্ক্ষা সৃষ্টির মূল কেন্দ্র মেয়েদের মুখমণ্ডল। এ কারণে বিবাহের প্রস্তাবকারী ছেলেকে যদি বলা হয়, তুমি যে মেয়েটিকে বিবাহ করতে চাচ্ছ, তার মুখমণ্ডল তেমন সুন্দর না, তবে তার পা দুটি খুবই সুন্দর, তাহলে সে ছেলে ঐ মেয়েকে বিয়ে করতে আগ্রহী হবে না। পক্ষান্তরে যদি তাকে বলা হয়, মেয়েটির মুখমণ্ডল অনেক সুন্দর, তবে তার হাত/পা/পায়ের নলা তেমন একটা সুন্দর না, তবুও সে ঐ মেয়েকে বিয়ে করতে আগ্রহী হবে। এ থেকে বুঝা যাচ্ছে, নারীদের মুখমণ্ডল ঢেকে রাখা কত জরুরী বিষয়!
পবিত্র কুরআন, ছহীহ সুন্নাহ, ছাহাবায়ে কেরাম এবং বিজ্ঞ ইমামগণ ও খ্যাতনামা উলামায়ে কেরামের বক্তব্য দ্বারা সুস্পষ্টভাবে প্রমাণিত হয় যে, গায়রে মাহরাম পুরুষদের সামনে মুখমণ্ডলসহ শরীরের পুরো অংশ ঢেকে রাখা নারীদের উপর আবশ্যকীয়। তবে এতসব দলীল-প্রমাণ এখানে উল্লেখ করার সময় নেই। আমি আপনাদেরকে এ বিষয়ে আমার ছোট্ট পুস্তিকাটি পড়ার অনুরোধ করছি। বইটি আকারে ছোট হলেও এর ফায়দা অনেক ইনশাআল্লাহ।
মুসলিম পরিবার সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নোত্তর
মূল : শায়খ মুহাম্মাদ ইবনে ছলেহ আল-উছায়মীন
-অনুবাদ : ড. আব্দুল্লাহিল কাফী মাদানী
মূল : শায়খ মুহাম্মাদ ইবনে ছলেহ আল-উছায়মীন
-অনুবাদ : ড. আব্দুল্লাহিল কাফী মাদানী
পরপুরুষের সামনে হাতমোজা পরা খুবই ভালো অভ্যাস, বরং সব মেয়েদেরই এমনটি করা উচিত। রাসূল (ﷺ) ইহরাম অবস্থায় নারীদেরকে নিকাব এবং হাতমোজা পরিধান করতে নিষেধ করেছেন। এর দ্বারা প্রমাণিত হয় যে, ঐ সময় মুসলিম নারীরা হাতমোজা পরতে অভ্যস্ত ছিলেন। নিঃসন্দেহে এটি নারীদের পূর্ণাঙ্গ পর্দার অংশ এবং ফেতনা থেকে বেঁচে থাকার অন্যতম উপায়। তবে সতর্ক থাকতে হবে, যাতে হাতমোজা পুরুষদের নযর কাড়বে এমন আকর্ষণীয় না হয়।
মুসলিম পরিবার সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নোত্তর
মূল : শায়খ মুহাম্মাদ ইবনে ছলেহ আল-উছায়মীন
-অনুবাদ : ড. আব্দুল্লাহিল কাফী মাদানী
...মূল : শায়খ মুহাম্মাদ ইবনে ছলেহ আল-উছায়মীন
-অনুবাদ : ড. আব্দুল্লাহিল কাফী মাদানী
- Abu Abdullah
- Replies: 0
- Forum: মহিলা অঙ্গন