সালাফী আকিদা ও মানহাজে - Salafi Forum

Salafi Forum হচ্ছে সালাফী ও সালাফদের আকিদা, মানহাজ শিক্ষায় নিবেদিত একটি সমৃদ্ধ অনলাইন কমিউনিটি ফোরাম। জ্ঞানগর্ভ আলোচনায় নিযুক্ত হউন, সালাফী আলেমদের দিকনির্দেশনা অনুসন্ধান করুন। আপনার ইলম প্রসারিত করুন, আপনার ঈমানকে শক্তিশালী করুন এবং সালাফিদের সাথে দ্বীনি সম্পর্ক গড়ে তুলুন। বিশুদ্ধ আকিদা ও মানহাজের জ্ঞান অর্জন করতে, ও সালাফীদের দৃষ্টিভঙ্গি শেয়ার করতে এবং ঐক্য ও ভ্রাতৃত্বের চেতনাকে আলিঙ্গন করতে আজই আমাদের সাথে যোগ দিন।
shafinchowdhury

মানহাজ বিদআতিদের মৃত্যুতে সালাফদের আনন্দিত হওয়া এবং উচ্ছ্বাস প্রকাশ করা

shafinchowdhury

Salafi

Salafi User
LV
3
 
Awards
14
Credit
216
একজন সত্যিকারের মুসলিম উলামা এবং রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সুন্নাহকে অনুসরণ করে আল্লাহর পথে দাওয়াত প্রদানকারীদের মৃত্যুতে শোকাহত হয়।

সে বিদআতী, ভ্রষ্ট এবং বাতিলের দিকে আহবানকারীদের মৃত্যুতে আনন্দিত হয়। বিশেষত যদি তারা সেসব গোষ্ঠীর প্রধান ব্যক্তিত্ব, প্রবর্তক বা গঠনকারী হয়ে থাকে। আনন্দিত হয় কারণ তাদের ধ্বংস হবার সাথে সাথেই তাদের কলম ভেঙে যাবে আর তাদের ভ্রান্ত মতবাদ দিয়ে প্রভাবিত ব্যক্তিরা মর্মাহত হবে।

সালাফ সালেহীন এরকম ব্যক্তিরা জীবিত থাকাকালীন তাদের থেকে সতর্ক করে ক্ষান্ত হননি, এরকম ব্যক্তিদের মৃত্যুর পর তাদের রহমতের জন্য দোয়া বা কান্না করতেন না বরং তাদের মৃত্যুর পর তাদের প্রকৃত অবস্থা তুলে ধরতেন এবং তাদের মৃত্যুতে আনন্দ প্রকাশ করতেন, এই সংবাদ একে অপরের নিকট পৌঁছে
দিতেন।

সহীহাইনে (বুখারি ও মুসলিম) আবু কাতাদাহ রাদরাদ্বিআল্লাহু আনহুমা থেকে বর্ণিত হাদিসে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এরকম ব্যক্তিদের মৃত্যুর কথা বলেছেন,

مُسْتَرِيحٌ وَمُسْتَرَاحٌ مِنْهُ الْمُؤْمِنُ يَمُوتُ فَيَسْتَرِيحُ مِنْ أَوْصَابِ الدُّنْيَا وَنَصَبِهَا وَأَذَاهَا وَالْفَاجِرُ يَمُوتُ فَيَسْتَرِيحُ مِنْهُ الْعِبَادُ وَالْبِلاَدُ وَالشَّجَرُ وَالدَّوَابُّ ‏

রাসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সামনে দিয়ে একটি জানাযা নিয়ে যাওয়ার সময় তিনি বললেন, হয়তো বা এ ব্যক্তি নিষ্কৃতি পাচ্ছে বা তার থেকে লোকজন নিষ্কৃতি পাচ্ছে। সাহাবীগণ জিজ্ঞাসা করলেন যে, কেই বা নিজে নিষ্কৃতি পায় আর কার থেকেই বা লোকজন নিষ্কৃতি পায়? তিনি বললেন, যে মুমিন ব্যক্তি যখন মৃত্যুবরণ করে এখন সে দুনিয়ার দুঃখ কষ্ট থেকে নিষ্কৃতি পায় আর গুনাহগারের মৃত্যু হলে তার মৃত্যুতে অন্যান্য লোকজন, জনপদ, বৃক্ষরাজি এবং প্রাণীকুল তার থেকে নিষ্কৃতি পায়। (সুনানে আন-নাসায়ী:1930)

কোনো মুসলিম কীভাবে এরকম ব্যক্তিদের মৃত্যুতে অখুশি থাকতে পারে যারা দেশজুড়ে মানুষদের ক্ষতি করেছে, ফাসাদ ছড়িয়েছে?

যখন মারিসি এবং ভ্রষ্ট আল হারিছ এর মৃত্যুর সংবাদ বাজারে এলো তখন বলা হলো, যদি এটা জনসমাগমের জায়গা না হতো তাহলে এখানে শুকরিয়া আদায় আর সিজদা করা হতো, আর সকল প্রশংসা তার যিনি তাদেরকে মৃত্যু দিয়েছেন।

[তারীখু বাগদাদ ৭/৬৬, লিসানুল মিযান ২/৩০৮]

[বিশর আল মারিসি ছিল ইলমুল কালাম বা যুক্তি তর্ক বিদ্যায় পারদর্শী এক বিদআতী যে কুরআনকে মাখলুক বলতো, হারিছ আল মুহাসিবী ছিল আশআরী সূফী এবং ইলমুল কালাম এর চর্চার জন্য প্রসিদ্ধ ছিল। পরবর্তী পোস্টে আরো বিস্তারিত পাবেন - অনুবাদক]

এবং ইমাম আহমাদ বিন হাম্বলকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল যে ইবনে আবি দু'আদ এর আসহাবদের উপর যা বিপদ আপতিত হয়েছে তাতে কেউ খুশি হলে কি তার গুণাহ হবে? তিনি বলেন, এতে আবার কে আনন্দিত না হয়?!

[আস সুন্নাহ লিল খাল্লাল, ৫/১২১]

[ইবনে আবি দু'আদ ছিল মুতাযিলাদের অন্যতম প্রবক্তা, সে এর প্রতি দাওয়াত দিতো, এছাড়াও খলকে কুরআনের মাসআলাতে ইমাম আহমাদ নাসির যখন বিরোধীতা করেন তখন তাকে মৃত্যুদণ্ড দিতে কাযীদের সাথে ইবনে আবু দু'আদ সায় দিয়েছিল। ইবনে আবি দু'আদ প্যারালাইসিসে আক্রান্ত হয় এবং তখন আহলুস সুন্নাহ আনন্দিত হয়ে কবিতা লেখে - অনুবাদক]

সালামাহ বিন শাবিব বলেন, আমি আব্দুর রাজ্জাকের তথা ইমাম সানানীর সাথে থাকাকালীন আব্দুল মাজিদ এর মৃত্যুর সংবাদ আমাদের কাছে পৌছালো, এবং তিনি বললেন, সকল প্রশংসা তার যিনি আব্দুল মাজিদ থেকে মুহাম্মদের উম্মাতকে মুক্ত করেছেন।

সিয়ারু আল আমিন নুবালা, ৯/৪৩৫।

আর এই আব্দুল মাজিদ ছিল আব্দুল আজিজ বিন আবি রাওয়াদ এর পুত্র, যে কিনা ছিল ইরজা মতবাদের প্রচারকারীদের অন্যতম।

আর যখন ওয়াহাব আল কুরাইশি যে ভ্রষ্ট এবং বিপথগামী ছিল তার মৃত্যুর সংবাদ আব্দুর রহমান বিন মাহদীর নিকট এলো, তিনি বললেন, সকল প্রশংসা তার যিনি মুসলিমদের তার থেকে মুক্তি দিয়েছেন। [লিসানুল মিসান লি ইবন হাজার আস্কালানি, ৮/৪০২]

হাফিজ ইমাম ইবনু কাছির রাহিমাহুল্লাহ আল বিদায়া ওয়ান নিহায়া (১২ খণ্ড ৩৩৮ পৃ:) গ্রন্থে আহলুল বিদআহ এর অন্যতম একজন ব্যক্তিত্ব সম্পর্কে বলেছেন,

আল্লাহ এই বছরের যিলহজ্জ মাসে মুসলিমদেরকে তার অনিষ্ট থেকে মুক্ত করে দেন, তাকে তার বাড়িতে দাফন করা হয়েছে। এরপর তাকে কুরাইশদের কবরস্থানে স্থানান্তর করা হয়েছে। সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর। ফালিল্লাহিল হামদ ওয়া মিন্নাতি। আর যখন সে মারা যায় তখন আহলুস সুন্নাহ তার মৃত্যুতে খুবই উচ্ছ্বসিত হয় আর সৃষ্টিকর্তার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে। এমন একজন ব্যক্তিও পাওয়া যাবে না যে কিনা সৃষ্টিকর্তার কৃতজ্ঞতা আদায় করেনি!

উবাইদুল্লাহ বিন আব্দুল্লাহ আল হুসাইন, আবুল কাসিম আল খাফাফ যিনি ইবনুল নাক্বিব নামে খ্যাত, তিনি ছিলেন আহলুস সুন্নাহর অন্যতম ইমাম এবং যখন তাকে ইবনুল মুয়াল্লিম এর মৃত্যুর সংবাদ দেয়া হলো তখন তিনি অভিবাদন জানাতে বসে গেলেন। তিনি বলেন, ইবনুল মুয়াল্লিম এর মৃত্যু দেখতে পারার পর আমি যখনই মারা যাই তাতে আর কোনো আফসোস থাকবে না!

[আল বিদায়া ওয়ান নিহায়া, ১৫/৬০৪]

আর ইবনুল মুয়াল্লিম ছিল এক শিয়া ফকিহ।

এটা ছিল সালাফ সালেহীন (রাহিমাহুমুল্লাহ) দের অবস্থান যখন তাদের নিকট বিদআতীদের কোনো সর্দার এর মৃত্যুর সংবাদ পৌঁছাতো।

পরবর্তীতে কোনো কোনো ব্যক্তিরা এই অবস্থানের বিরুদ্ধে ছিলেন যেমনটা ইবনুল কাইয়্যিম তার কিতাবে [মাদারিজুস সালিকীন] এ উদ্ধৃত করেছেন,

তার শাইখ, শাইখুল ইসলাম ইবনু তাইমিয়্যাহ যখন তার বিরোধীদের ব্যাপারে বলেছেন,

আর একদিন আমি (ইবনু তাইমিয়্যাহ এর ছাত্র) তার অন্যতম এক শত্রুর মৃত্যুর সংবাদ নিয়ে এলাম, যিনি তার প্রতি প্রচণ্ড শত্রুতা রাখতেন এবং ক্ষতি করেছেন, তিনি আমাকে তিরষ্কার করলেন, নিষেধ করলেন এবং তা থেকে ফিরে আসতে বললেন।

কিন্তু যেকেউ এর প্রতি দৃষ্টিপাত করবে সে দেখতে পাবে যে উভয় বিষয়ের মধ্যেই কোনো তফাত নেই। সম্মানিত শাইখুল ইসলাম ইবনু তাইমিয়্যাহ কখনো নিজের বিরুদ্ধে অত্যাচারের প্রতিশোধ নিতেন না। সেজন্য যখন তার ছাত্র তার অন্যতম এক চরম শত্রুর মৃত্যুসংবাদ নিয়ে এলো তিনি তাকে তিরষ্কার করলেন আর নিন্দা জানালেন। তার ছাত্র কেবল তার শত্রুদের একজনের মৃত্যু হওয়াতে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন তার সেই শত্রুটির মৃত্যুতে নয় বরং সে বিদআত ও ভ্রষ্টদের অন্যতম প্রবক্তা হওয়ায় করেছেন।

এই খুশি হওয়ার পাশাপাশি অপরদিকে কিছু মানুষ মর্মামত হয় ও দু:খ প্রকাশ করে এবং এসব ব্যক্তিদের কেউ মরলে তাদের থেকে দু:খ প্রকাশ পায়। আর তারা আল্লাহর কাছে এই দোয়া করে যে তিনি যেন মুসলিমদেরকে তার মতো সফলকাম করে দেন!
আল্লাহ তাদের দোয়া কবুল করেননি। এসব লোকজন তাদের ভ্রষ্টতা ব্যাপারে ধারণা রাখলে নিজের দ্বীনদারিতা সমন্ধে ভয় পেতো।
কারণ কোনো মুসলিম আল্লাহকে ভয়কারী ও দ্বীনের ব্যাপারে আত্মমর্যাদাশীল হলে, সেসব ব্যক্তিত্ব যাদের অস্তিত্বের ফলে ইসলামকে ধ্বংস হবে এমন কারো ধ্বংসে খুশি না হয়ে থাকতে পারে না! তাদের মৃত্যুর মাধ্যমে তাদের কুঠিগুলোর একটি ভেঙে যাবে।

আমরা আল্লাহর নিকট এই দুয়া করি যেন তিনি আমাদেরকে ভ্রষ্টতার দিকে আহবানকারী প্রত্যেকের ধ্বংসের ব্যাপারে খুশি করান। সত্যকে সত্যকে হিসেবে দেখার এবং মানার বুঝ দেন। বাতিলকে বাতিল হিসেবে দেখান এবং তা থেকে বিরত থাকার বুঝ দেন। তার কিতাব ও রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর সুন্নাহ আকড়ে থাকার মাধ্যমে তার দ্বীনের উপর অবিচল রাখেন।

আরবি - إنَّ المُسلِمَ الحقَّ كما يَحزَنُ لموتِ العُلماءِ والدُّعاةِ إلى اللهِ تعالى المتَّبِعين لسُنَّةِ النبيِّ صلَّى الله عليه وسلَّم، يَفرَحُ بهَلاكِ أهلِ البِدعِ والضَّلالِ والدُّعاةِ إلى الباطِلِ، خاصَّةً إذا كانوا رُؤوسًا ورُموزًا ومُنظِّرين؛ يَفرَحُ لأنَّ بهَلاكِهم تُكسَرُ أقلامُهم، وتُحسَرُ أفكارُهم التي يُلبِّسون بها على النَّاسِ.


ولم يَكُن السَّلفُ الصَّالِحُ يَقتصِرونَ على التَّحذيرِ مِن أمثالِ هؤلاءِ وهم أحياءٌ فقط، فإذا ماتوا تَرَّحموا عليهم وبَكَوْا على فِراقِهم، بل كانوا يُبيِّنون حالَهم بعدَ مَوتِهم، ويُظهرونَ الفَرحَ بهَلاكِهم، ويُبشِّرُ بعضُهم بعضًا بذلك.

ففي الصَّحيحَينِ من حَديثِ أبي قَتادَةَ الأنصاريِّ رضِيَ اللهُ عنه، أنَّ النبيَّ صلَّى الله عليه وسلَّم قال عن موتِ أمثالِ هؤلاءِ: ((يَستريحُ منه العبادُ والبِلادُ والشَّجرُ والدَّوابُّ))؛ فكيف لا يَفرَحُ المسلمُ بموتِ مَن آذَى العِبادَ وأفْسَدَ في البلاد؟!

ولَمَّا جاء خَبرُ موتِ المِرِّيسيِّ الضالِّ وبِشرُ بنُ الحارثِ في السوقِ، قال: (لولا أنَّه كان موضِعَ شُهرةٍ لكانَ موضِعَ شُكرٍ وسُجودٍ، والحمدُ للهِ الذي أماتَه).[تاريخ بغداد: 7/66] [لسان الميزان: 2/308].

وقيل للإمامِ أحمدَ بنِ حَنبلٍ: الرَّجُلُ يَفرَحُ بما يَنزِلُ بأصحابِ ابنِ أبي دُؤاد؛ عليه في ذلك إثمٌ؟ قال: (ومَن لا يَفرَحُ بهذا)؟! [السنة للخلال: 5/121]

وقال سَلَمةُ بنُ شَبيبٍ: كنتُ عند عبد الرَّزَّاقِ- يعني الصَّنعانيَّ-، فجاءَنا موتُ عبد المجيدِ، فقال: (الحمدُ للهِ الذي أراحَ أُمَّةَ محمَّدٍ مِن عَبدِ المجيدِ). [سير أعلام النبلاء: 9/435]، وعبدُ المجيدِ هذا هو ابنُ عبد العَزيزِ بنِ أبي رَوَّاد، وكان رأسًا في الإرجاءِ.

ولَمّا جاءَ نعيُ وَهبٍ القُرشيِّ- وكان ضالًّا مُضِلًّا- لعبدِ الرَّحمنِ بنِ مَهديٍّ، قال: (الحمدُ للهِ الذي أراحَ المُسلِمينَ منه). [لسان الميزان لابن حجر: 8/402].

وقال الحافظُ ابنُ كثيرٍ في [البداية والنهاية 12/338] عن أحدِ رُؤوسِ أهلِ البِدعِ: (أراحَ اللهُ المُسلِمينَ منه في هذِه السَّنةِ في ذِي الحِجَّةِ منها، ودُفِن بدارِه، ثم نُقِل إلى مَقابرِ قُرَيشٍ؛ فللهِ الحمدُ والمِنَّةِ. وحين ماتَ فرِحَ أهلُ السَّنَّة بموتِه فرحًا شديدًا، وأظْهَروا الشُّكرَ لله؛ فلا تَجِدُ أحدًا منهم إلَّا يَحمَدُ الله)!
وقال أيضًّا: (عُبيد الله بنُ عبدالله بن الحُسين، أبو القاسم الخفَّاف المعروف بابن النَّقيب، كان من أئمة السُّنَّة وحين بلغه موتُ ابن المُعْلِّم جلس للتهنئة، وقال ما أبالي أيَّ وقتٍ متُّ بعد أن شاهدتُ موتَ ابنِ المعلِّم)[البداية والنهاية 15/604]، وكان ابن المعلِّم فقيه الشيعة.

هكذا كان موقِفُ السَّلفِ الصَّالِحِ رحِمهم اللهُ عندَما يَسمَعون بموتِ رأسٍ مِن رُؤوسِ أهلِ البِدعِ والضَّلالِ.

وقد يَحتجُّ بَعضُ النَّاس على ضدِّ هذا الموقف بما نقلَه الحافظُ ابنُ القيِّم في [مدارج السالكين: 2/345] عن موقِف شيخِه شيخِ الإسلامِ ابنِ تَيميَّةَ من خُصومِه، حيث قال: (وجئتُ يومًا مُبشِّرًا له بموتِ أكبرِ أعدائِه وأشدِّهم عَداوةً وأذًى له، فنَهرَني وتَنكَّر لي واسترجَع،...).

ولكن مَن تأمَّلَ ذلك وجَدَ أنَّه لا تَعارُضَ بين الأَمرينِ؛ فمِن سَماحةِ شيخِ الإسلامِ ابنِ تَيميَّةَ أنَّه لا يَنتقِمُ لنَفْسِه؛ ولذلك عندما أتاه تلميذُه يُبشِّرُه بموتِ أحدِ خُصومِه وأشدِّهم عَداوةً وأذًى له= نَهَره وأَنكَر عليه؛ فالتلميذُ إنَّما أبْدَى لشَيخِه فَرحَه بموتِ خَصمٍ من خُصومِه، لا فَرحَه بموتِه؛ لكونِه أحدَ رُؤوسِ البِدعِ والضَّلالِ.


وفي مُقابِلِ هذا الفَرحِ- مع الأسفِ- يحزنُ آخَرون ويبكون أَسَفًا وحُزنًا إذا مات أحَدُ هؤلاء، ويدعُون اللهَ أنْ يُخلِفَ على المُسلِمينَ مِثلَه!- لا أجابَ اللهُ دُعاءَهم-؛ فأمثالُ هؤلاء يُخشَى على دِينِهم إذا كانوا يَعْلَمون ضَلالَهم؛ لأنَّه ما مِن مُسلمٍ يَخشَى اللهَ ويَغارُ على هذا الدِّينِ إلَّا ويَفرَحُ بهلاكِ مَن يَعلَمُ أنَّ ببَقائِه هَدْمَ الإسلامِ، ومَن بمَوتِه يَنكسِرُ مِعوَلٌ مِن مَعاولِ هذا الهدْمِ.



نسألُ اللهَ عزَّ وجلَّ أنْ يُفرِحَنا بهلاكِ كلِّ داعيةٍ إلى ضلال، وأنْ يُرِيَنا الحقَّ حقًّا ويَرزُقَنا اتِّباعَه، وأنْ يُرِيَنا الباطِلَ باطلًا ويَرزُقَنا اجتِنابَه، وأنْ يُثبِّتَنا على دِينِه وعلى التَّمسُّكِ بكِتابِه وسُنَّةِ نبيِّه صلَّى اللهُ عليه وآله وسَلَّمَ.

মূল - শাইখ আলাউয়ী আস সাক্কফ হাফিজাহুল্লাহ।
অনুবাদ - সাফিন চৌধুরী।

মূল ফতোয়া লিংক।
 

Create an account or login to comment

You must be a member in order to leave a comment

Create account

Create an account on our community. It's easy!

Log in

Already have an account? Log in here.

Total Threads
13,033Threads
Total Messages
16,593Comments
Total Members
3,420Members
Latest Messages
MinarLatest member
Top