প্রশ্ন নওমুসলিম বোনের জন্য জিজ্ঞাসা

A

Anonymous User

Guest

আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ।
একজন নওমুসলিম বোন ৮ মাস আগে মুসলিম হয়েছে।সে তার স্কুলের বান্ধবীদের দেখে মোটিভেট হয়ে নিজে নিজে লেকচার শুনে ইসলাম গ্রহণ করেছে ও শাহাদা পড়েছে। এখন একদিন সে তার ঘরে সালাত আদায়ের সময় ধরা পড়ে যার জন্য তাকে এখন চোখে চোখে রাখা হয় এবং সালাত পর্দা এগুলো কিছু করতে দেওয়া হয় না।পর্দা করতে চাইলে ওড়না টেনে ফেলে দেয় এবং সালাত রোজা করতে চাইলে বকা দেওয়া হয়।এই মুহূর্তে তার আশেপাশে কোনো মুসলিম নেই যার সাহায্য করবে কেননা তার বাবা বড় একজন পলিটিকাল মানুষ এবং আশেপাশের সবার সাথে তার সম্পর্ক ভালো।সাথে তার বাবা ব্ল্যাকমেজিক চর্চাও করে আসছে।আর তাই তার বাবার জন্য কেউ এগিয়ে আসবে না। এই মুহূর্তে তার কি করণীয়? এবং সে ধারণা করছে সে বেশিদিন বাড়ি থাকলে তাকে অন্য কোনো হিন্দু ছেলের সাথে বিবাহ দেওয়া হবে। এখন তার কি কি করা উচিৎ?তার জন্য এখন শরয়ী বিধান কি কি ? শুকরান
 
Solution
IMG_1434.webp
ওয়া আলাইকুম আসসালাম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ।

প্রথমেই আপনার বোনকে আপনার কাছে উচিত প্রশিক্ষণ দিতে হবে, যাতে সে পর্দা কীভাবে করতে হয়, সালাত কীভাবে আদায় করতে হয় এবং রোজা কিভাবে রাখতে হয় সেগুলো সম্পর্কে জানতে পারে। সেই সাথে আপনার বাবার উপদেশ ও আদর্শসূচীকে সে ধারণা করতে পারবে।

দ্বিতীয়ভাবে, আপনার বোন নিজের সম্পর্কে প্রথমেই স্বচ্ছতা রক্ষা করতে পারেন। সালাত আদায়ের সময়ে জিজ্ঞাসা করলে সে বিষয়টি মন্দ করবেন না। তারপরে আপনি স্বয়ং যদি সম্ভব হয় তা পর্দা করতে পারেন এবং সম্ভবতঃ আপনার বন্ধুগণ প্রথমে কিছু জটিল বোধ করতে পারেন, কিন্তু এটি তাদের মধ্যে আপনার প্রত্যাশা ছড়িয়ে দিতে পারে। আপনার সর্বোচ্চ বিশ্বাস ও কিছু উদারতা দেখালে ক্ষেমতাপন্ন হয় যেইটা আপনার বিবাহের বিষয়ে বলা ছিল।

আপনার বোন জন্য সম্পর্কে স্বেচ্ছাসেবী সাহায্য করার চেষ্টা করলে ভাল হয়, যেমন মহিলা মুসলিম সম্প্রদায়ের সদস্যদের সাথে যোগাযোগ এবং স্থানীয় মসজিদে যাচাই করুন। যদি এগুলি না সম্ভব হয়, তবে তাকে ইসলামিক সংস্থার সাথে যোগাযোগ করতে পারেন যারা উচিত সম্পর্ক ও পরিচর্যা প্রদান করতে পারেন।

শরয়ী বিধানের ক্ষেত্রে, আপনার বোনকে এই অনুশাসনে আরও পড়তে উত্সাহিত করুন। কমপক্ষে তারা নিম্নলিখিত বিষয়গুলি ধারণা করতে পারেন:

১. মুসলিম সংস্কৃতি ও সাংস্কৃতিক বিধান সম্পর্কে অধ্যয়ন করুন।
২. ওয়াজিব ও সুন্নাতের প্রতিজ্ঞা সাম্প্রদায়িকতা বিষয়ে পাঠ পড়া ও তা অনুষ্ঠান এবং ক্রিয়াকলাপ অনুসরণ করা।
৩. ঈদের উপলক্ষে নামায পড়া, সাহারি করা এবং সজ্জা করা।
৪. কেউনিয়া, হিজাব সংক্রান্ত পদ্ধতি ও সর্তমুলকতা বিষয়ে জ্ঞান সংগ্রহ করা।

আপনার বোনকে উত্তেজিত রাখা এবং প্রথমেই উত্সাহ এবং প্রশিক্ষণ দিলে সে ইসলামিক আদর্শের সাথে একজন মুসলিম হিসেবে পরিচিত হতে সহায়তা পাবেন। আগামীতে আপনার সহায়তা ও উত্তেজনায় তার পার্থক্য বৃদ্ধি পাবেন।

আপনার বোনের নতুন শপথকালে আপনার ও তার পরিবারের উচিত এতদিন শিক্ষা এবং সহায়তা প্রদান করতে থাকবেন। মহিলা মুসলিম সম্প্রদায়ের দৃষ্টিভঙ্গী ও উদারতায় ক্ষেমতাপন্ন হয়ে যায় যদি তারা ঈমানদার, মধ্যস্থ, এবং সহযোগিতামূলক বন্ধুত্ব দিয়ে সহায়তা করেন। আল্লাহ আপনাকে জায়েয করুণ এবং তার দয়া আপনার বোনের পক্ষে জারো করুক।
 
উত্তর দিয়েছেন শাইখ মুস্তাফিজুর রহমান আল মাদানী হাফিযাহুল্লাহ
 

Attachments

  • Messenger.mp4
    919.2 KB
Back
Top