সিয়াম তারাবীহর জন্য অর্থের বিনিময়ে ইমাম নিয়োগ

Abu AbdullahVerified member

Knowledge Sharer
ilm Seeker
Uploader
Salafi User
Joined
Jan 12, 2023
Threads
789
Comments
1,041
Solutions
19
Reactions
10,746
তারাবীহর নামাযের জন্য সুমধুর কণ্ঠবিশিষ্ট হাফেয-ক্বারী ইমাম অর্থের বিনিময়ে নিয়োগ দেয়া দোষাবহ নয়। তবে (ক্বারী সাহেবের তরফ থেকে) পারিশ্রমিক নির্দিষ্ট করা উচিৎ নয়। যেহেতু এক জামাআত সলফ এ কাজকে অপছন্দ করেছেন। অবশ্য মসজিদের জামাআত যদি অনির্দিষ্ট- ভাবে তাঁকে অনেক কিছু দিয়ে পুরস্কৃত বা সাহায্য করেন, তাহলে তাতে কোন ক্ষতি নেই।

পক্ষান্তরে এমন ইমামের পিছনে নামায শুদ্ধ। বেতন নির্দিষ্ট করলেও নামাযের কোন ক্ষতি হবে না - ইন শাআল্লাহ। কারণ, এমন ইমামের প্রয়োজন পড়েই থাকে। তবে চুক্তিগতভাবে বেতন নির্ধারিত করার কাজ না করাই উচিৎ। জামাআতের সুস্থ বিবেক অনুযায়ী ইমাম বিনিময়-সাহায্য পাবেন; তবে তা শর্ত-সাপেক্ষ হওয়া উচিৎ নয়। এটাই হল উত্তম ও পূর্বসতর্কতামূলক কর্ম। এ রকমই বলেছেন সলফের একটি জামাআত। রাহিমাহুমুল্লাহ।

আর এ কথার ইঙ্গিত রয়েছে হাদীসে। মহানবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম) উসমান বিন আবুল আস (রাঃ)-কে বলেছিলেন, ‘‘এমন মুআয্যিন রাখ, যে আযান দেওয়ার বিনিময়ে কোন পারিশ্রমিক গ্রহণ করে না।’’[1] এ নির্দেশ স্পষ্টতঃ যদিও মুআয্যিনের জন্য, তবুও ইমামের ক্ষেত্রে এ নির্দেশ অধিকতর প্রযোজ্য।

বলা বাহুল্য, হাফেয ও ক্বারী সাহেবদের উচিৎ, তাঁরাও যেন কুরআন-তেলাঅতকে অর্থোপার্জনের মাধ্যমরূপে ব্যবহার না করেন। যেহেতু মহানবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম) বলেন, ‘‘তোমরা কুরআন পাঠ কর, তার উপর আমল কর, (তার নির্দেশ অনুযায়ী কাজ কর,) তার প্রতি বৈমুখ হয়ে যেও না, তাতে অতিরঞ্জন করো না, তার মাধ্যমে উদরপূর্তি করো না এবং তার অসীলায় ধনবৃদ্ধিও করো না।’’[2]


[1] (সহীহ আবূ দাঊদ ৪৯৭নং)
[2] (আহমাদ, মুসনাদ, ত্বাবারানী, মু’জাম, আবূ য়্যা’লা, প্রমুখ, সিলসিলাহ সহীহাহ, আলবানী ২৬০নং)


রমাযানের ফাযায়েল ও রোযার মাসায়েল
শাইখ আব্দুল হামীদ আল-ফাইযী আল-মাদানী​
 
You must log in or register to view this reply.
 
Similar threads Most view View more
Back
Top