এই অধ্যায়ের অনুচ্ছেদ লিস্ট:
- ক্ষমা প্রার্থনার শ্রেষ্ঠ দুআ - সাইয়্যেদুল ইস্তিগফার
- যেসকল ইস্তেগফার হাদীসে বর্ণিত হয়েছে
- মাসনূন ইসতিগফার
- ইসমে আযমের অসীলায় ক্ষমা চাওয়া
- আল্লাহ্র সাড়া লাভ ও ক্ষমা লাভের দুআ
- দুনিয়া ও আখিরাতে ক্ষমা ও নিরাপত্তা চাওয়া
- সকল প্রকারের গুনাহ্ থেকে মুক্তির দুআ
- ক্ষমা, সুস্থতা এবং সর্বদিকের বিপদাপদ থেকে আশ্রয় চাওয়া
- ক্ষমা, রিযিক ও সুস্থ জীবন লাভের দুআ
- গুনাহ ও ভুল-ত্রুটি মাফের দুআ
- গোপনে ও প্রকাশ্যে সংঘটিত পাপ থেকে ক্ষমা চাওয়া
- জানা-অজানায় সংঘটিত পাপ থেকে ক্ষমা চাওয়া
- ইচ্ছায় অনিচ্ছায় সংঘটিত পাপ থেকে ক্ষমা চাওয়া
- গুনাহ ও ভুলভ্রান্তি থেকে পবিত্র হওয়া
- তাওবা'র সালাত
মাসনূন ইসতিগফার
أَسْتَغْفِرُ اللَّهَ
উচ্চারণঃ আস্তাগফিরুল্লা-হ
অনুবাদঃ আমি আল্লাহ্র ক্ষমা প্রার্থনা করছি।
রেফারেন্স: বুখারীঃ ৬৩০৭
মাসনূন ইসতিগফার #২
রাসূল (ﷺ) দৈনিক সত্তর বারেরও অধিক পাঠ করতেন -
أَسْتَغْفِرُ اللَّهَ وَأَتُوْبُ إِلَيْهِ
উচ্চারণঃ আস্তাগফিরুল্লা-হা ওয়া আতূবু ইলাইহি
অনুবাদঃ আমি আল্লাহ্র ক্ষমা প্রার্থনা করছি ও তাঁর দিকে ফিরে এসেছি।
রেফারেন্স: বুখারীঃ ৬৩০৭
মাসনূন ইসতিগফার #৩
আবদুল্লাহ ইবনু উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, “আমরা গণনা করে দেখতাম, আল্লাহ্র রাসূল (ﷺ) এক বৈঠকে একশত বার এই বাক্য বলেছেন -
رَبِّ اغْفِرْ لِي وَتُبْ عَلَيَّ إِنَّكَ أَنْتَ التَّوَّابُ الرَّحِيمُ (الْغَفُوْرُ)
উচ্চারণঃ রাব্বিগ্ ফিরলী, ওয়া তুব ‘আলাইয়্যা, ইন্নাকা আনতাত তাওয়া-বুর রাহীম (দ্বিতীয় বর্ণনয় “রাহীম”-এর বদলে: ‘গাফুর’)
অনুবাদঃ হে আমার প্রভু, আপনি আমাকে ক্ষমা করুন এবং আমার তাওবা কবুল করুন। নিশ্চয় আপনি মহান তাওবা কবুলকারী করুণাময়। দ্বিতীয় বর্ণনায়: তাওবা কবুলকারী ও ক্ষমাকারী।
রেফারেন্স: সহীহ। আবু দাউদঃ ১৫১৬
মাসনূন ইসতিগফার #৪
রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) আরও বলেন, যে ব্যক্তি বলবে -
أَسْتَغْفِرُ اللَّهَ الْعَظِيمَ الَّذِيْ لَا إِلَهَ إِلَّا هُوَ الْحَيُّ الْقَيُّومُ وَأَتُوبُ إِلَيْهِ
উচ্চারণঃ আসতাগফিরুল্লা-হাল 'আযীমাল্ লাযী লা- ইলা-হা ইল্লা-হুআল ‘হাইউল ক্বাইউমু ওয়া আতূবু ইলাইহি
অনুবাদঃ আমি মহান আল্লাহ্র ক্ষমা প্রার্থনা করছি, যিনি ছাড়া কোন প্রকৃত মাবুদ নেই, যিনি চিরঞ্জীব ও চিরস্থায়ী, আর আমি তাঁরই নিকট তাওবা করছি।
আল্লাহ্ তাকে মাফ করে দিবেন যদিও সে যুদ্ধক্ষেত্র থেকে পলায়নকারী হয়।” [১] রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) আরও বলেন, “রব একজন বান্দার সবচেয়ে বেশি নিকটবর্তী হয় রাতের শেষ প্রান্তে, সুতরাং যদি তুমি সে সময়ে আল্লাহ্র জিকিরকারীদের অন্তর্ভুক্ত হতে সক্ষম হও, তবে তা-ই হও।” [২] তিনি (ﷺ) আরও বলেন, “একজন বান্দা তার রবের সবচেয়ে কাছে তখনই থাকে, যখন সে সিজদায় যায়, সুতরাং তোমরা তখন বেশি বেশি করে দুআ করো।” [৩] তিনি (ﷺ) আরও বলেন, “নিশ্চয় আমার অন্তরেও ঢাকনা এসে পড়ে, আর আমি দৈনিক আল্লাহ্র কাছে একশত বার ক্ষমা প্রার্থনা করি।” [৪]
রেফারেন্স: [১] সহীহ। আবূ দাউদ ১৫১৭ [২] সহীহ। তিরমিযী ৩৫৭৯ [৩] মুসলিম ৪৮২ [৪] মুসলিম ২৭০২
মাসনূন ইসতিগফার #৫
لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ الْحَلِيمُ الْكَرِيمُ، لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ الْعَلِيُّ الْعَظِيمُ، سُبْحَانَ اللَّهِ رَبِّ السَّمَوَاتِ السَّبْعِ وَرَبِّ الْعَرْشِ الْعَظِيمِ، اَلْحَمْدُ لِلَّهِ رَبِّ الْعَالَمِيْنَ
উচ্চারণঃ লা- ইলা-হা ইল্লাল্লা-হুল ‘হালিমুল কারিম, লা- ইলা-হা ইল্লাল্লা-হুল ‘আলিইয়্যুল ‘আযীম্ সুবহা-নাল্লা-হি রাব্বিস সামাওয়া-তিস সাব’ঈ ওয়া রাব্বিল ‘আরশিল ‘আযীম, আল’হামদু লিল্লা-হি রাব্বিল ‘আ-লামিন
অনুবাদঃ মহা ধৈর্যশীল মহাসম্মানিত আল্লাহ্ ছাড়া সত্য কোন মা’বুদ নেই, মহা মর্যাদাবান সুউচ্চ আল্লাহ্ ছাড়া সত্য কোন মা’বুদ নেই। সাত আসমানের রব্ব ও মর্যাদাময় আরশের রব্বের পবিত্রতা ঘোষণা করছি। আল্লাহ্র জন্যই সকল প্রশংসা যিনি জগতসমূহের রব্ব।
‘আলী বিন আবি ত্বালিব (রাঃ) থেকে বর্ণিত, আমি কি তোমাকে শিখিয়ে দিবো না এমন কিছু বাক্যসমূহ যেগুলো তুমি বললে তোমাকে ক্ষমা করে দেয়া হবে যদিও তুমি ক্ষমা প্রাপ্ত। (এরপর তিনি উপরে উল্লেখিত বাক্যগুলো উল্লেখ করেন)
রেফারেন্স: সনদ সহিহ (আহমাদ শাকির)। মুসনাদ আহমাদ ২/৩৯
মাসনূন ইসতিগফার #৬
اَللَّهُمَّ إِنَّكَ عَفُوٌّ كَرِيمٌ تُحِبُّ الْعَفْوَ فَاعْفُ عَنِّي
উচ্চারণঃ আল্লা-হুম্মা ইন্নাকা 'আফুউন, কারীমুন তু'হিব্বুল 'আফওয়া, ফা'আফু 'আন্নী
অনুবাদঃ হে আল্লাহ্! তুমি ক্ষমাশীল, মহানুভব!, তুমি ক্ষমা করতে পছন্দ করো অতএব, আমাকে ক্ষমা করে দাও।
আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, “আমি বললাম “হে আল্লাহ্র রাসূল (ﷺ) আমি যদি বুঝতে পারি কোন রাতটি লাইলাতুল কদর, তা হলে ওই রাতে আমি কী বলব?” নবী (ﷺ) বলেন, তুমি বলো- (দুআটি উপরে উল্লেখিত হয়েছে)
রেফারেন্স: সহীহ। তিরমিযীঃ ৩৫১৩
মাসনূন ইসতিগফার #৭
اَللَّهُمَّ إِنِّي ظَلَمْتُ نَفْسِي ظُلْمًا كَثِيْرًا وَلَا يَغْفِرُ الذُّنُوبَ إِلَّا أَنْتَ فَاغْفِرْ لِي مَغْفِرَةً مِّنْ عِنْدِكَ وَارْحَمْنِيْ إِنَّكَ أَنْتَ الْغَفُوْرُ الرَّحِيْمُ
উচ্চারণঃ আল্লা-হুম্মা ইন্নী যালাম্তু নাফ্সী যুলমান কাছীরান ওয়ালা- ইয়াগফিরুয যুনূবা ইল্লা- আনতা, ফাগ্ফিরুলী মাগফিরাতান মিন ‘ইনদিকা ওয়ার’হামনী ইন্নাকা আনতাল গাফূরুর্ রাহীম
অনুবাদঃ হে আল্লাহ্! আমি আমার নিজের উপর অনেক জুলুম করেছি; তুমি ছাড়া আর কেউ গোনাহ ক্ষমা করতে পারে না; তোমার পক্ষ থেকে আমাকে পুরোপুরি ক্ষমা করে দাও; আমার উপর দয়া করো; তুমি তো ক্ষমাশীল, দয়ালু।
আবু বকর (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি আল্লাহ্র রাসূল (ﷺ)-কে বলেন, “আমাকে এমন একটি দুআ শিখিয়ে দিন, যা আমি সালাতে পাঠ করব।” নবী (ﷺ) বলেন, তুমি বলো - (দুআটি উপরে উল্লেখিত হয়েছে)
রেফারেন্স: বুখারীঃ ৮৩৪