Habib Bin Tofajjal
If you're in doubt ask الله.
Forum Staff
Moderator
Generous
ilm Seeker
Uploader
Exposer
HistoryLover
Q&A Master
Salafi User
- Joined
- Nov 25, 2022
- Threads
- 672
- Comments
- 1,229
- Solutions
- 17
- Reactions
- 7,210
- Thread Author
- #1
যারা কুরআনকে আল্লাহর কথা হিসাবে স্বীকার করতে চায়নি, তাদের মোকাবেলায় বলা হয়েছে “তাহলে কুরআনের অনুরূপ বা এর কোনো সূরা বা আয়াতের অনুরূপ রচনা করে আনো।” পক্ষান্তরে রাসূলের কথাকে যারা বিভিন্নভাবে মানতে চায়নি, তাদের জবাবে বলা হয়েছে “তোমাদের সাথি পাগল, কবি, গণক নন। তিনি মনগড়া কথা বলেন না। তিনি যা বলেন তা আল্লাহর পক্ষ থেকে নাযিল হয়েছে বা ওহি।” একারণে কুরআনে বর্ণিত ‘আল্লাহর কথা’ তথা আল-কুরআন এবং ‘রাসূলে কারীমের কথা” তথা হাদীস স্বতন্ত্র বিষয়, অবশ্য উভয়টিই আল্লাহর পক্ষ থেকে নাযিলকৃত ।
কুরআনের ক্ষেত্রে বর্ণিত ভাষা হলো :
বোঝা গেল, কুরআন ও হাদীসের ক্ষেত্রে পৃথক পৃথক বাক্য ব্যবহৃত হয়েছে। এটাও বলা হয়েছে, এ দুটোই ওহি এবং নাযিলকৃত ।
১. সূরা বানি ইসরাঈল: ৮৮।
২. সূরা হুদ: ১৩।
৩. সূরা ইউনুস: ৩৭-৩৮। আরো দ্র: সূরা বাকারা: ২৩-২৪ ।
৪. সূরা হাক্কাহ: ৪০-৪৩।
৫. সূরা নাজম: ২-৪ ।
কুরআনের ক্ষেত্রে বর্ণিত ভাষা হলো :
قُل لَّئِنِ اجْتَمَعَتِ الإِنسُ وَالْجِنُّ عَلَى أَن يَأْتُوا بِمِثْلِ هَذَا الْقُرْآنِ لَا يَأْتُونَ بِمِثْلِهِ وَلَوْ كَانَ بَعْضُهُمْ لِبَعْضٍ ظَهِيراً
“(হে নবি) বলুন! সমস্ত মানুষ ও জিন একত্রিত হয়েও যদি কুরআনের ন্যায় গ্রন্থ রচনায় নিয়োজিত হয়, তবুও অনুরূপ কিতাব রচনা করতে পারবে না। যদিও সকলের সমবেত প্রচেষ্টা তাতে নিয়োজিত হয়।১أَمْ يَقُولُونَ افْتَرَاهُ قُلْ فَأْتُواْ بِعَشْرِ سُوَرٍ مِثْلِهِ مُفْتَرَيَاتٍ وَادْعُوا مَنِ اسْتَطَعْتُم مِن دُونِ اللَّهِ إِن كُنتُمْ صَادِقِينَ
“তারা কি বলে, কুরআন তুমি রচনা করেছ? তুমি বল: তবে তোমরাও অনুরূপ দশটি সূরা তৈরি করে নিয়ে আসো এবং আল্লাহ ছাড়া যাকে পারো ডেকে নাও, যদি তোমাদের দাবি সত্য হয়ে থাকে।”২وَمَا كَانَ هَذَا الْقُرْآنُ أَنْ يُفْتَرَى مِنْ دُونِ اللَّهِ وَلَكِنْ تَصْدِيقَ الَّذِي بَيْنَ يَدَيْهِ وَتَفْصِيْلَ الْكِتَبِ لَا رَيْبَ فِيْهِ مِنْ رَّبِّ الْعَلَمِينَ ﴿۷۳) أَمْ يَقُوْلُوْنَ افْتَرَبَهُ قُلْ فَأْتُوْا بِسُورَةٍ مِثْلِهِ وَادْعُوا مَنِ اسْتَطَعْتُمْ مِنْ دُونِ اللَّهِ إِنْ كُنْتُمْ صَدِقِينَ (۸۳)
“কুরআন এমন জিনিস নয় যে, আল্লাহ ছাড়া অন্য কেউ তা রচনা করবে। অবশ্য এটি পূর্ববর্তী কিতাবসমূহের সত্যায়ন করে এবং বিস্তৃত কিতাব, যা রাব্বুল আলামীনের পক্ষ থেকে আগমনের ব্যাপারে কোনো সন্দেহ নেই। তারা কি বলে, এটা বানিয়ে এনেছ? বলে দাও, তোমরা নিয়ে এসো একটিই সূরা, আর ডেকে নাও, আল্লাহ ব্যতীত আর যাদেরকে নিতে সক্ষম হও, যদি তোমরা সত্যবাদী হও।”৩• হাদীসের ক্ষেত্রে বর্ণিত ভাষা হলো :
إِنَّهُ لَقَوْلُ رَسُوْلٍ كَريم : (۰۴) وَمَا هُوَ بِقَوْلِ شَاعِرٍ قَلِيْلًا مَّا تُؤْمِنُوْنَ ﴿۱۴﴾ وَلَا بِقَوْلِ كَاهِنِ قَلِيْلًا مَا تَذَكَّرُوْنَ ﴿۲۴﴾ تَنْزِيلٌ مِنْ رَّبِّ الْعَلَمِيْنَ
“নিশ্চয়ই এটা রাসূলে কারীমের বাণী। এটা কোনো কবির কথা নয়, তোমরা কম সংখ্যকই ঈমান আনো । এটা কোনো গণকের বাণী নয়, তোমরা কমই অনুধাবন করো। এটা রাব্বুল আলামীনের পক্ষ থেকে ওহি এবং নাযিলকৃত ।”৪ مَا ضَلَّ صَاحِبُكُمْ وَمَا غَوَى: ﴿۲﴾ وَمَا يَنْطِقُ عَنِ الْهَوَى ﴿۳﴾ إِنْ هُوَ إِلَّا وَحْيٌ يُوحَىٰ
“তোমাদের সাথি বিভ্রান্ত নন, বিপথগামী নন। এবং তিনি মনগড়া কথা বলেন না । এটাতো ওহি, যা তার প্রতি প্রত্যাদেশ করা হয় ।”৫বোঝা গেল, কুরআন ও হাদীসের ক্ষেত্রে পৃথক পৃথক বাক্য ব্যবহৃত হয়েছে। এটাও বলা হয়েছে, এ দুটোই ওহি এবং নাযিলকৃত ।
আরও পড়ুন - হাদীস কেন মানতে হবে?
১. সূরা বানি ইসরাঈল: ৮৮।
২. সূরা হুদ: ১৩।
৩. সূরা ইউনুস: ৩৭-৩৮। আরো দ্র: সূরা বাকারা: ২৩-২৪ ।
৪. সূরা হাক্কাহ: ৪০-৪৩।
৫. সূরা নাজম: ২-৪ ।