ভ্রান্তি নিরসন হাদীস অস্বীকারকারীরা দাবী করে হাদিস যদি গুরুত্বপূর্ণ হতো তবে কুরআনের মত হাদিস ও খোলাফায়ে রাশেদিনের লিখতো।

Abu Umar

If you're in doubt ask الله.

Forum Staff
Moderator
Generous
ilm Seeker
Uploader
Exposer
HistoryLover
Q&A Master
Salafi User
Joined
Nov 25, 2022
Threads
665
Comments
1,233
Solutions
17
Reactions
7,533
হাদীস অস্বীকারকারীরা দাবী করে হাদিস যদি গুরুত্বপূর্ণ হতো তবে কুরআনের মত হাদিস ও খোলাফায়ে রাশেদিনের লিখতো।

অর্থ্যাৎ তারা দাবী করে যে খোলাফায়ে রাশেদিনরা হাদিস লিখে নি।আসলে তাদের এই দাবী মিথ্যা ও তাদের হাদিস অস্বীকারকরার মুখরোচক স্লোগান ব্যাতিত।যা দিয়ে কুরআন সুন্নাহের জ্ঞান রাখে না এমন মুসলিমদের ধোঁকা দেওয়া যায়।আসুন তাদের এই দাবী যে মিথ্যা তার কিছু প্রমাণ দেখে নেওয়া যাক।

খোলাফায়ে রাশেদীনের হাদীছ লেখার অকাট্য দলীল।

খোলাফায়ে রাশেদীন লিখে রাখার মাধ্যমে রাসূল (ছাঃ)-এর হাদীছ সংরক্ষণ করতেন। নীচে তার কিছু দলীল পেশ করা হল :

দলীল-১
أن أنسا حدثه أن أبا بكر رضي الله عنه كتب له هذا الكتاب لما وجهه إلى البحرين بسم الله الرحمن الرحيم هذه فريضة الصدقة التي فرض رسول الله صلى الله عليه وسلم على المسلمين والتي أمر الله بها رسوله​

আনাস (রাঃ) বলেন, ‘আবু বকর (রাঃ) যখন তাকে বাহরাইনে পাঠান, তখন তাঁকে এই পুস্তিকাটি লিখে দেন। পুস্তিকাটিতে ছিল-'বিসমিল্লাহির রহমানির রহীম। ইহা যাকাতের হিসাব, যা রাসূল (ছাঃ) ফরয করেছেন এবং সে বিষয়ে নির্দেশ দিয়েছেন’।” এই চিঠি বা পুস্তিকাতে আবু বকর (রাঃ) পশু-প্রাণী ও অর্থ সম্পদ থেকে শুরু করে যাকাতের সকল হিসাব লিপিবদ্ধ করে আনাস (রাঃ)-কে প্রদান করেন। তথা ইসলামের ৩য় স্তম্ভকে প্রথম খলীফা আবু বকর (রাঃ) লেখনীর মাধ্যমে হেফাযত করেন। (বুখারী ১৪৫৪)

দলীল-২
عن أبي عثمان النهدي قال كتب عمر إلى عتبة بن فرقد أنّ النّبي صلى الله عليه وسلم نهى عن الحرير إلا ما كان هكذا وهكذا أصبعين وثلاثة وأربعة.​

আবু উছমান আন-নাহদী হতে বর্ণিত তিনি বলেন, ‘ওমর (রাঃ) উতবা ইবনে ফারকাদের নিকটে লিখে পাঠান, 'নিশ্চয় রাসূল (ছাঃ) রেশমের পোশাক পরিধান করতে নিষেধ করেছেন, তবে এক-দুই আঙ্গুল, তিন-চার আঙ্গুল সমপরিমাণ হলে কোন সমস্যা নেই। (আবু দাউদ ৪০৪২)
তাহক্বীক্ব: হাদীছটির সকল রাবী ‘মযবূত’।

দলীল-৩
فكتب إليه عمر إن رسول الله صلى الله عليه وسلم كان يقول الله ورسوله مؤلى من لا مولى له والخال وارث من لا وارث له.​

ওমর (রাঃ) আবু উবায়দা ইবনুল-জাররাহ (রাঃ)-কে লিখে পাঠান, “নিশ্চয় রাসূল (ছাঃ) বলতেন, আল্লাহ এবং তাঁর রাসূল ঐ ব্যক্তির মাওলা, যার কোন মাওলা নেই । আর যার কোন ওয়ারিছ নেই, মামা তার ওয়ারিছ'।(মুসনাদে আহমাদ ১৮৯)

তাহক্বীক্ব: হাদীছটির সকল রাবী ‘মযবূত’। দুই জন ব্যতীত। আব্দুর রহমান ইবনে হারিছ ইবনে আব্দুল্লাহ এবং হাকীম ইবনে হাকীম ইবনে আব্বাদ। তবে,উভয়েই ‘ছদূক্ব’ রাবী।”(আল কাশিফ,রাবী নং ১২০০,তাহযীবুল কামাল রাবী নং ৩৭৮৭)

দলীল-৪
আবু জুহায়ফা থেকে বর্ণিত, তিনি আলী ইবনে আবু জ্বালেব (রাঃ)-কে তাঁর নিকট কোন কিতাব আছে কিনা জিজ্ঞেস করলে তিনি জবাবে বলেন, তাঁর নিকট কুরআন ছাড়া একটি ছহীফা আছে।

قلت فما في هذه الصحيفة قال العقل وفكاك الأسير ولا يقتل مسلم بكافر.​

আবু জুহায়ফা বলেন, আমি তাকে জিজ্ঞেস করলাম, সেই ছহীফাতে কি আছে?তিনি বললেন, তাতে রক্তমূল্য, বন্দিমুক্তি (বিষয়ক হুকুম-আহকাম) আছে এবং আরো আছে, কোন মুসলিমকে কাফেরের বিনিময়ে হত্যা করা যাবে না'।(বুখারী ১১১)

উপরের আলোচনা থেকে অকাট্যভাবে প্রমাণিত হল যে, খোলাফায়ে রাশেদীন হাদীছ লিখতেন।


আমরা হাদিস মানতে বাদ্য
- আব্দুল্লাহ বিন আব্দুর রাজ্জাক(হাফি)
 
Similar threads Most view View more
Back
Top