সালাফী আকিদা ও মানহাজে - Salafi Forum

Salafi Forum হচ্ছে সালাফী ও সালাফদের আকিদা, মানহাজ শিক্ষায় নিবেদিত একটি সমৃদ্ধ অনলাইন কমিউনিটি ফোরাম। জ্ঞানগর্ভ আলোচনায় নিযুক্ত হউন, সালাফী আলেমদের দিকনির্দেশনা অনুসন্ধান করুন। আপনার ইলম প্রসারিত করুন, আপনার ঈমানকে শক্তিশালী করুন এবং সালাফিদের সাথে দ্বীনি সম্পর্ক গড়ে তুলুন। বিশুদ্ধ আকিদা ও মানহাজের জ্ঞান অর্জন করতে, ও সালাফীদের দৃষ্টিভঙ্গি শেয়ার করতে এবং ঐক্য ও ভ্রাতৃত্বের চেতনাকে আলিঙ্গন করতে আজই আমাদের সাথে যোগ দিন।
Mahmud ibn Shahidullah

বিদআত ঈদে মীলাদুন্নবী

Mahmud ibn Shahidullah

Knowledge Sharer

ilm Seeker
Q&A Master
Salafi User
LV
10
 
Awards
18
Credit
3,455
সংজ্ঞা : ‘জন্মের সময়কাল’কে আরবীতে ‘মীলাদ’ বা ‘মাওলিদ’ বলা হয়। সে হিসাবে ‘মীলাদুন্নবী’-র অর্থ দাঁড়ায় ‘নবীর জন্ম মুহূর্ত’। নবীর জন্মের বিবরণ, কিছু ওয়ায ও নবীর রূহের আগমন কল্পনা করে তার সম্মানে উঠে দাঁড়িয়ে ‘ইয়া নবী সালাম ‘আলায়কা’ বলা ও সবশেষে জিলাপী বিতরণ করা- এই সব মিলিয়ে ‘মীলাদ মাহফিল’ ইসলাম প্রবর্তিত ‘ঈদুল ফিতর’ ও ‘ঈদুল আযহা’-র দু’টি বার্ষিক ঈদ উৎসবের বাইরে ‘ঈদে মীলাদুন্নবী’ নামে তৃতীয় আরেকটি ধর্মীয় (?) অনুষ্ঠানে পরিণত হয়েছে।

উৎপত্তি : ক্রুসেড বিজেতা মিসরের সুলতান ছালাহুদ্দীন আইয়ূবী (৫৩২-৫৮৯ হি.) কর্তৃক নিযুক্ত ইরাকের ‘এরবল’ এলাকার গভর্ণর আবু সাঈদ মুযাফফরুদ্দীন কুকুবুরী (৫৮৬-৬৩০ হি.) সর্বপ্রথম ৬০৪ হিজরীতে মতান্তরে ৬২৫ হিজরীতে মীলাদের প্রচলন ঘটান। যা ছিল রাসূল (ﷺ)-এর মৃত্যুর ৫৯৩ বা ৬১৪ বছর পরে। এই দিন তারা মীলাদুন্নবী উদযাপনের নামে নাচ-গান সহ চরম স্বেচ্ছাচারিতায় লিপ্ত হ’ত। গভর্ণর নিজে নাচে অংশ নিতেন। আর এই অনুষ্ঠানের সমর্থনে তৎকালীন আলেম সমাজের মধ্যে সর্বপ্রথম এগিয়ে আসেন আবুল খাত্ত্বাব ওমর বিন দেহিইয়াহ (৫৪৪-৬৩৩ হি.)। তিনি মীলাদের সমর্থনে বহু জাল ও বানাওয়াট হাদীস জমা করে বই লেখেন এবং এক হাযার স্বর্ণমুদ্রা বখশিশ পান।[1] পরে অন্যান্য আলেমরাও একই পথ ধরেন কিছু সংখ্যক বাদে।

হুকুম : ঈদে মীলাদুন্নবী উদযাপন একটি সুস্পষ্ট বিদ‘আত। যা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ও সাহাবায়ে কেরামের যুগে ছিল না। রাসূল (ﷺ) বলেন,

مَنْ أَحْدَثَ فِى أَمْرِنَا هَذَا مَا لَيْسَ مِنْهُ فَهُوَ رَدٌّ​

‘যে ব্যক্তি আমাদের শরী‘আতে এমন কিছু নতুন সৃষ্টি করল, যা তার মধ্যে নেই, তা প্রত্যাখ্যাত’।[2]

তিনি আরও বলেন,

وَإِيَّاكُمْ وَمُحْدَثَاتِ الأُمُورِ فَإِنَّ كُلَّ مُحْدَثَةٍ بِدْعَةٌ وَكُلَّ بِدْعَةٍ ضَلاَلَةٌ،​

‘তোমরা দ্বীনের মধ্যে নতুন সৃষ্টি করা হ’তে বিরত থাক। নিশ্চয়ই প্রত্যেক নতুন সৃষ্টিই বিদ‘আত ও প্রত্যেক বিদ‘আতই গোমরাহী’।[3] অন্য বর্ণনায় এসেছে,

وَكُلَّ ضَلاَلَةٍ فِى النَّارِ،​

‘এবং প্রত্যেক গোমরাহীর পরিণাম জাহান্নাম’।[4]

ইমাম মালেক (রহঃ) স্বীয় ছাত্র ইমাম শাফেঈকে বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ও তাঁর সাহাবীদের সময়ে যেসব বিষয় ‘দ্বীন’ হিসাবে গৃহীত ছিল না, বর্তমান কালেও তা ‘দ্বীন’ হিসাবে গৃহীত হবে না। যে ব্যক্তি ধর্মের নামে ইসলামে কোন নতুন প্রথা চালু করল, অতঃপর তাকে ভাল কাজ বা ‘বিদ‘আতে হাসানাহ’ বলে রায় দিল, সে ধারণা করল যে, আল্লাহর রাসূল (ﷺ) স্বীয়

রিসালাতের দায়িত্ব পালনে খেয়ানত করেছেন’।[5]

মীলাদ বিদ‘আত হওয়ার ব্যাপারে চার মাযহাবের ঐক্যমত : ‘আল-ক্বাওলুল মু‘তামাদ’ গ্রন্থে বলা হয়েছে যে, চার মাযহাবের সেরা বিদ্বানগণ সর্বসম্মতভাবে প্রচলিত মীলাদ অনুষ্ঠান বিদ‘আত হওয়ার ব্যাপারে একমত হয়েছেন। তাঁরা বলেন, এরবলের গভর্ণর কুকুবুরী এই বিদ‘আতের হোতা। তিনি তার আমলের আলেমদেরকে মীলাদের পক্ষে মিথ্যা হাদীস তৈরী করার ও ভিত্তিহীন ক্বিয়াস করার হুকুম জারী করেছিলেন।[6]

উপমহাদেশের ওলামায়ে কেরাম : মুজাদ্দিদে আলফে ছানী শায়খ আহমাদ সারহিন্দী, আল্লামা হায়াত সিন্ধী, রশীদ আহমাদ গাংগোহী, আশরাফ আলী থানভী, মাহমূদুল হাসান দেউবন্দী, আহমাদ আলী সাহারানপুরী প্রমুখ ওলামায়ে কেরাম ছাড়াও আহলেহাদীস বিদ্বানগণ সকলে এক বাক্যে প্রচলিত মীলাদ অনুষ্ঠানকে বিদ‘আত ও গুনাহের কাজ বলেছেন (মীলাদুন্নবী ৩২-৩৩ পৃ.)

রাসূল (ﷺ)-এর জন্ম-মৃত্যুর সঠিক তারিখ : জ্যোতির্বিজ্ঞানের হিসাব মতে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর সঠিক জন্মদিবস হয় ৯ই রবীউল আউয়াল সোমবার। ১লা রবীউল আউয়াল সোমবার তাঁর মৃত্যুদিবস।[7] অথচ ১২ই রবীউল আউয়াল তাঁর জন্মবার্ষিকী বা ‘মীলাদুন্নবী’র অনুষ্ঠান করা হচ্ছে।

একটি সাফাই : মীলাদ উদযাপনকারীরা বলে থাকেন যে, মীলাদ বিদ‘আত হ’লেও তা ‘বিদ‘আতে হাসানাহ’। অতএব জায়েয তো বটেই বরং করলে ছওয়াব আছে। কারণ এর মাধ্যমে মানুষকে কিছু ওয়ায শুনানো যায়। অথচ ওয়াযের নামে সব ভিত্তিহীন কাহিনী শুনানো হয় ও সুরেলা কণ্ঠে সমস্বরে দরূদের নামে আরবী-ফারসী-উর্দূ-বাংলায় গান গাওয়া হয়। সবচেয়ে বড় কথা হ’ল বিদ‘আতী অনুষ্ঠান করে নেকী অর্জনের স্বপ্ন দেখা দুঃস্বপ্ন মাত্র। হাড়ি ভর্তি গো-চেনায় এক কাপ দুধ ঢাললে যেমন তা পানযোগ্য থাকে না, তেমনি বিদ‘আতী অনুষ্ঠানের কোন নেক আমলই আল্লাহর নিকট কবুল হয় না। তাছাড়া বিদ‘আতকে ভাল ও মন্দ দু’ভাগে ভাগ করাই আরেকটি বিদ‘আত।

ক্বিয়াম প্রথা : সপ্তম শতাব্দী হিজরীতে মীলাদ প্রথা চালু হওয়ার প্রায় এক শতাব্দীকাল পরে আল্লামা তাক্বিউদ্দীন সুবকী (৬৮৩-৭৫৬ হি.) কর্তৃক ক্বিয়াম প্রথার প্রচলন ঘটে বলে কথিত আছে।[8] তবে এর সঠিক তারিখ ও আবিষ্কর্তার নাম জানা যায় না।[9]

এদেশে দু’ধরনের মীলাদ চালু আছে। একটি ক্বিয়ামী, অন্যটি বে-ক্বিয়ামী। ক্বিয়ামীদের যুক্তি হ’ল, তারা রাসূল (ﷺ)-এর ‘সম্মানে’ উঠে দাঁড়িয়ে থাকেন। এর দ্বারা তাদের ধারণা যদি এই হয় যে, মীলাদের মাহফিলে রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর রূহ মুবারক হাযির হয়ে থাকে, তবে এই ধারণা সর্বসম্মতভাবে কুফরী। হানাফী মাযহাবের কিতাব ‘ফাতাওয়া বায্যাযিয়া’তে বলা হয়েছে, ‘যে ব্যক্তি ধারণা করে যে, মৃত ব্যক্তিদের রূহ হাযির হয়ে থাকে, জেনে রাখ, সে ব্যক্তি কুফরী করল’।[10] অনুরূপভাবে ‘তুহফাতুল কুযাত’ কিতাবে বলা হয়েছে, ‘যারা ধারণা করে যে, মীলাদের মজলিসগুলিতে রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর রূহ মুবারক হাযির হয়ে থাকে, তাদের এই ধারণা স্পষ্ট শিরক’। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) স্বীয় জীবদ্দশায় তাঁর সম্মানার্থে উঠে দাঁড়ানোর বিরুদ্ধে কঠোর ধম্কি প্রদান করেছেন।[11] অথচ মৃত্যুর পর তাঁরই কাল্পনিক রূহের সম্মানে দাঁড়ানোর উদ্ভট যুক্তি ধোপে টেকে কি? আর একই সাথে লাখো মীলাদের মজলিসে হাযির হওয়া কারু পক্ষে সম্ভব কি?

মীলাদ অনুষ্ঠানে প্রচারিত বানাওয়াট হাদীস ও গল্পসমূহ :

(১) ‘(হে মুহাম্মাদ!) আপনি না হ’লে আসমান-যমীন কিছুই সৃষ্টি করতাম না’।[12]

(২) ‘আমি আল্লাহর নূর হ’তে সৃষ্ট এবং মুমিনগণ আমার নূর হ’তে’।

(৩) ‘নূরে মুহাম্মাদী’ হ’তেই আরশ-কুরসী, জান্নাত-জাহান্নাম, আসমান-যমীন সবকিছু সৃষ্টি হয়েছে’।[13]

(৪) আদম (আঃ) ভুল স্বীকার করার পরে মুহাম্মাদের দোহাই দিয়ে ক্ষমা চান। তাকে বলা হ’ল তুমি এ নাম কিভাবে জানলে? তিনি বললেন, আমি উপরে তাকিয়ে দেখি আপনার আরশের খুঁটিতে ঐ নামটি সহ লেখা আছে, লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ। তাই আমি তার দোহাই দিয়ে আপনার নিকট ক্ষমা চেয়েছি। আল্লাহ বললেন, কথা তুমি সত্য বলেছ। তার দোহাই দিয়ে তুমি ক্ষমা চাও। আমি ক্ষমা করে দিব। যদি মুহাম্মাদ না হ’ত, তাহ’লে আমি তোমাকে সৃষ্টি করতাম না’।[14]

(৫) আসমান-যমীন সৃষ্টির দু’হাযার বছর পূর্বে জান্নাতের দরজায় লেখা ছিল লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ এবং আলী মুহাম্মাদের ভাই’।[15]

(৬) মুহাম্মাদ (ﷺ) আল্লাহর সঙ্গে (ক্বিয়ামতের দিন) তাঁর আরশে বসবেন’।[16]

(৭) রাসূল (ﷺ)-এর জন্মের খবরে খুশী হয়ে আঙ্গুল উঁচু করার কারণে ও সংবাদ দানকারিণী দাসী ছুওয়াইবাকে মুক্ত করার কারণে জাহান্নামে আবু লাহাবের হাতের মধ্যেকার দু’টি আঙ্গুল পুড়বে না। এছাড়াও প্রতি সোমবার রাসূল (ﷺ)-এর জন্ম দিবসে আবু লাহাবের জাহান্নামের শাস্তি মওকূফ করা হবে বলে হযরত আববাস (রাঃ)-এর নামে প্রচলিত তাঁর কাফের অবস্থার একটি স্বপ্নের বর্ণনা।

(৮) মা আমেনার প্রসবকালে জান্নাত হ’তে বিবি মরিয়ম, বিবি আসিয়া, মা হাজেরা সকলে দুনিয়ায় নেমে এসে সবার

অলক্ষ্যে ধাত্রীর কাজ করেন।

(৯) নবীর জন্ম মুহূর্তে কা‘বার প্রতিমাগুলো হুমড়ি খেয়ে পড়ে, রোমের অগ্নি উপাসকদের ‘শিখা অনির্বাণ’গুলো দপ করে নিভে যায়। বাতাসের গতি, নদীর প্রবাহ, সূর্যের আলো সাময়িকভাবে বন্ধ হয়ে যায় ইত্যাদি...।[17]

এছাড়াও বলা হয়ে থাকে যে, (ক) ‘আদম সৃষ্টির সত্তর হাযার বছর পূর্বে আল্লাহ তাঁর নূর হ’তে মুহাম্মাদের নূরকে সৃষ্টি করে আরশে মু‘আল্লায় লটকিয়ে রাখেন’।

(খ) ‘আদম সৃষ্টি হয়ে উপরের দিকে তাকিয়ে জ্যোতির্ময় নক্ষত্ররূপে মুহাম্মাদের নূর অবলোকন করে মুগ্ধ হন’।

(গ) ‘মে‘রাজের সময় আল্লাহ পাক তাঁর নবীকে জুতা সহ আরশে আরোহন করতে বলেন, যাতে আরশের গৌরব বৃদ্ধি পায়’ (নাঊযুবিল্লাহ)।

উপরের বিষয়গুলি সবই বানাওয়াট।

মীলাদ উদযাপনকারী ভাইদের এই সব মিথ্যা ও জাল হাদীস বর্ণনার দুঃসাহস দেখলে শরীর শিউরে ওঠে। যেখানে আল্লাহর নবী (ﷺ) হুঁশিয়ারী উচ্চারণ করে বলেন, ‘যে ব্যক্তি ইচ্ছাপূর্বক আমার নামে মিথ্যা হাদীস রটনা করে, সে জাহান্নামে তার ঘর তৈরী করুক’।[18]

তিনি আরও বলেন,

لاَ تُطْرُوْنِى كَمَا أَطْرَتِ النَّصَارَى ابْنَ مَرْيَمَ، فَإِنَّمَا أَنَا عَبْدُهُ، فَقُولُوا عَبْدُ اللهِ وَرَسُولُهُ​

‘তোমরা আমাকে নিয়ে বাড়াবাড়ি করো না, যেভাবে নাছারাগণ ঈসা (আঃ) সম্পর্কে বাড়াবাড়ি করেছে।... বরং তোমরা বল যে, আমি আল্লাহর বান্দা ও তাঁর রাসূল’।[19]

যেখানে আল্লাহপাক এরশাদ করছেন, ‘যে বিষয়ে তোমার নিশ্চিত জ্ঞান নেই, তার পিছনে ছুটো না। নিশ্চয়ই তোমার কান, চোখ ও হৃদয় সবকিছু (ক্বিয়ামতের দিন) জিজ্ঞাসিত হবে’ (বনু ইস্রাঈল ১৭/৩৬)। সেখানে এই সব লোকেরা কেউবা জেনে শুনে কেউবা অন্যের কাছে শুনে ভিত্তিহীন সব কল্পকথা ওয়াযের নামে মীলাদের মজলিসে চালিয়ে যাচ্ছেন। ভাবতেও অবাক লাগে।

‘নূরে মুহাম্মাদী’র আক্বীদা মূলতঃ অগ্নি উপাসক ও হিন্দুদের অদ্বৈতবাদী ও সর্বেশ্বরবাদী আক্বীদার নামান্তর। যাদের দৃষ্টিতে স্রষ্টা ও সৃষ্টিতে কোন পার্থক্য নেই। এরা ‘আহাদ’ ও ‘আহমাদের’ মধ্যে ‘মীমের’ পর্দা ছাড়া আর কোন পার্থক্য দেখতে পায় না। তথাকথিত মা‘রেফাতী পীরদের মুরীদ হ’লে নাকি মীলাদের মজলিসে সরাসরি রাসূল (ﷺ)-এর জীবন্ত চেহারা দেখা যায়। এই সব কুফরী দর্শন ও আক্বীদা প্রচারের মোক্ষম সুযোগ হ’ল মীলাদের মজলিসগুলো। বর্তমানে সরকারী ও বেসরকারী রেডিও-টিভিতেও চলছে যার জয়জয়কার। এগুলির বিরুদ্ধে সাধ্যমত প্রচার করুন এবং এগুলি থেকে চোখ-কান বন্ধ রাখুন ও পরিবারকে রক্ষা করুন। আল্লাহ আমাদের সহায় হৌন- আমীন!

[1]. আল-বিদায়াহ ওয়ান নিহায়াহ (দারুল ফিকর, ১৯৮৬) পৃ. ১৩/১৩৭।
[2]. মুসলিম হা/১৭১৮; বুখারী হা/২৬৯৭; মিশকাত হা/১৪০।
[3]. আবূদাঊদ হা/৪৬০৭; তিরমিযী হা/২৬৭৬; মিশকাত হা/১৬৫।
[4]. নাসাঈ হা/১৫৭৮ ‘কিভাবে খুৎবা দিবে’ অনুচ্ছেদ।
[5]. আবুবকর আল-জাযায়েরী, (মদীনা বিশ্ববিদ্যালয়) আল-ইনছাফ ৩২ পৃ.।
[6]. মীলাদুন্নবী ৩৫ পৃ.; ইবনু তায়মিয়াহ, ইক্বতিযাউছ ছিরাত্বিল মুস্তাক্বীম (১ম সংস্করণ : ১৪০৪ হি./১৯৮৪ খৃ.) ৫১ পৃ.।
[7]. সীরাতুর রাসূল (ﷺ), ৩য় মুদ্রণ ৫৬ পৃ.।
[8]. আবু ছাঈদ মোহাম্মাদ, মিলাদ মাহফিল (ঢাকা ১৯৬৬), ১৭ পৃ.।
[9]. তাজুদ্দীন সুবকী, তাবাক্বাতু শাফেঈয়াহ কুবরা (বৈরূত : দারুল মা‘রিফাহ, তাবি, ১৩২২ হি. ছাপা হ’তে ফটোকৃত) ৬/১৭৪।
[10]. মুহাম্মাদ জুনাগড়ী, (মউ, ইউ পি ১৯৬৭)মীলাদে মুহাম্মাদী ২৫, ২৯ পৃ.।
[11]. তিরমিযী হা/২৭৫৫; আবূদাঊদ হা/৫২২৯; মিশকাত হা/৪৬৯৯ ‘আদব’ অধ্যায়।
[12]. দায়লামী, সিলসিলা যঈফাহ হা/২৮২।
[13]. আজলূনী, কাশফুল খাফা হা/৮২৭, সনদ বিহীন।
[14]. সিলসিলা যঈফাহ হা/২৫
[15]. সিলসিলা যঈফাহ হা/৪৯০১
[16]. সাবাঈ, আস-সুন্নাহ ৮৬ পৃ.
[17]. সবই ভিত্তিহীন। দ্র. সীরাতুর রাসূল (ﷺ) ৩য় মুদ্রণ ৫৬-৫৭ পৃ.।
[18]. বুখারী হা/১০৭; মিশকাত হা/১৯৮।
[19]
. বুখারী হা/৩৪৪৫; মিশকাত হা/৪৮৯৭।


সূত্র: আত-তাহরীক।​
 
Last edited:

Create an account or login to comment

You must be a member in order to leave a comment

Create account

Create an account on our community. It's easy!

Log in

Already have an account? Log in here.

Total Threads
12,909Threads
Total Messages
16,410Comments
Total Members
3,340Members
Latest Messages
bulbulLatest member
Top