Student Of Knowledge
Forum Staff
Moderator
Uploader
Exposer
HistoryLover
Salafi User
- Joined
- Nov 25, 2022
- Threads
- 343
- Comments
- 474
- Reactions
- 5,688
- Thread Author
- #1
আবু ত্বহা আদনান সাহেব বলেছেন, “নবিজি এই যুগের কথাই বলেছিলেন যে, এমন একটা যুগ আসতে যাচ্ছে, যে যুগে এমন একটা ব্যক্তি খুঁজে পাওয়া যাবে না, যে ব্যক্তি সুদ থেকে সম্পূর্ণ মুক্ত থাকতে পারবে। একটা ব্যক্তি খুঁজে পাওয়া যাবে না, একটাও না। এটাই সেই যুগ।” [দ্রষ্টব্য: https://youtu.be/u4K86nAvKaA (৩:০৭ মিনিট থেকে ৩:২১ মিনিট)]
আরেকটি বক্তব্যে আবু ত্বহা আদনান বলেছেন, “এটা সেই যুগ, যেই যুগ সম্পর্কে নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছিলেন যে, এই যুগে এমন মানুষের সংখ্যা খুবই কম হবে, যারা পরিপূর্ণভাবে রিবা (সুদ) থেকে দূরে থাকতে পারবে। যারা দূরে থাকতে চাইবে, তাদের গায়েও সুদের ছিটাফোঁটা গিয়ে পড়বে।” [দেখুন: https://youtu.be/4x9rVNdahyU (৮:০২ মিনিট থেকে ৮:১৮ মিনিট)]
আবু ত্বহা আদনান যে হাদিসটি বলেছেন, তার কাছাকাছি অর্থবোধক একটি হাদিস সুনানে আবু দাউদ, ইবনু মাজাহ, নাসায়ি ও মুসনাদে আহমাদে বর্ণিত হয়েছে। কিন্তু হাদিসটির সনদ দুর্বল। আমরা হাদিসটি উল্লেখ করছি। হাদিসটিতে বলা হয়েছে, عَنِ الْحَسَنِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ: لَيَأْتِيَنَّ عَلَى النَّاسِ زَمَانٌ لَا يَبْقَى أَحَدٌ إِلَّا أَكَلَ الرِّبَا، فَإِنْ لَمْ يَأْكُلْهُ أَصَابَهُ مِنْ بُخَارِهِ “হাসান বাসরি রাহিমাহুল্লাহর সূত্রে আবু হুরাইরা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত হয়েছে, রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, মানুষের ওপর এমন এক যুগ আসবে, যখন কেউ-ই সুদ খাওয়া ছাড়া থাকবে না। যদি কেউ সুদ না খায়, তবুও সুদের ধোঁয়া বা ধুলোবালি তাকে স্পর্শ করবে।” [আবু দাউদ, হা: ৩৩৩১; ইবনু মাজাহ, হা: ২২৭৮; নাসায়ি, হা: ৪৪৬৭; আহমাদ, হা: ১০৩৮৯]
উল্লিখিত হাদিসের বর্ণনাকারী হাসান বাসরি রাহিমাহুল্লাহ সাহাবি আবু হুরাইরা রাদিয়াল্লাহু আনহুর নিকট থেকে হাদিসটি শোনেননি। বিধায় উক্ত হাদিস বিচ্ছিন্নতার দোষে দুষ্ট। সুনানে আবু দাউদের বিখ্যাত ভাষ্যকার মুহাদ্দিস ইমাম শামসুল হক আযিমাবাদি রাহিমাহুল্লাহ (মৃত: ১৩২৯ হি.) হাদিসটি নিয়ে আলোচনা করতে যেয়ে লিখেছেন, قال المنذري وأخرجه النسائي وبن مَاجَهْ وَالْحَسَنُ لَمْ يَسْمَعْ مِنْ أَبِي هُرَيْرَةَ فَهُوَ مُنْقَطِعٌ “মুনযিরি বলেছেন, নাসায়ি ও ইবনু মাজাহ হাদিসটি বর্ণনা করেছেন। হাসান রাহিমাহুল্লাহ হাদিসটি আবু হুরাইরা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে শোনেননি। এজন্য হাদিসটি মুনকাতি তথা বিচ্ছিন্ন (জইফ হাদিসের অন্যতম প্রকার)।” [আযিমাবাদি কৃত আওনুল মাবুদ আলা সুনানি আবি দাউদ (ইবনুল কাইয়্যিম কৃত হাশিয়া-সহ); খণ্ড: ৯; পৃষ্ঠা: ১২৯]
তদ্রুপ জগদ্বিখ্যাত মুহাদ্দিস হাফিয যাহাবি রাহিমাহুল্লাহ, বিগত শতাব্দীর অপ্রতিদ্বন্দ্বী মুহাদ্দিস ইমাম মুহাম্মাদ নাসিরুদ্দিন আল-আলবানি রাহিমাহুল্লাহ, হানাফি মুহাক্কিক আল্লামা শুয়ায়িব আল-আরনাউত রাহিমাহুল্লাহ, বর্তমান যুগের শ্রেষ্ঠতম মুহাদ্দিস ইমাম আব্দুল মুহসিন আল-আব্বাদ হাফিযাহুল্লাহ-সহ আরও অনেকে হাদিসটিকে দুর্বল ও অশুদ্ধ আখ্যা দিয়েছেন। [দেখুন: যাহাবি কৃত আল-মুহাযযাব ফি ইখতিসারিস সুনানিল কাবির, খণ্ড: ৪; পৃষ্ঠা: ২০৪১; আলবানি কৃত দয়িফুল জামি, হা: ৪৮৬৪; দয়িফ ইবনু মাজাহ, হা: ৪৪৯; আরনাউত কৃত তাহকিক সুনানি আবি দাউদ, খণ্ড: ৫; পৃষ্ঠা: ২২০; আব্বাদ কৃত শারহু সুনানি আবি দাউদ, খণ্ড: ১৬; পৃষ্ঠা: ৩৮৩]
কেয়ামতের কোনো আলামতকে সামসময়িক বিষয়ের ওপর প্রয়োগ করার ক্ষেত্রে একটি অন্যতম মূলনীতি হচ্ছে— অবশ্যই সংশ্লিষ্ট আলামতটি বিশুদ্ধ সূত্রে প্রমাণিত হতে হবে। হাদিস সহিহ হলে তা গৃহীত হবে। আর দুর্বল সনদের হলে তা হবে প্রত্যাখ্যাত, সেই দুর্বল দলিল অনুযায়ী সামসময়িক বিষয়কে হাদিসটির ব্যাখ্যা হিসেবে পেশ করা যাবে না। [দেখুন: শাইখ আব্দুল্লাহ আল-উজাইরি বিরচিত মাআলিম ওয়া মানারাত ফি তানযিলি নুসিসিল ফিতানি ওয়াল মালাহিমি ওয়া আশরাতিস সাআতি আলাল ওয়াকায়িয়ি ওয়াল হাওয়াদিস, পৃষ্ঠা: ৮৮-৯৭]
ইমাম ইবনু কুদামা আল-মাকদিসি রাহিমাহুল্লাহ (মৃত: ৬২০ হি.) বলেছেন, وأما الأحادِيث المَوْضُوعَة الَّتِي وضَعتها الزَّنادِقَة ليلبسوا بها على أهل الإسْلام أو الأحادِيث الضعيفة إمّا لضعف رواتها أو جهالتهم أو لعِلَّة فِيها لا يجوز أن يُقال بها ولا اعْتِقاد ما فِيها بل وجودها كعدمها “ধর্মচ্যুত জিন্দিকরা মুসলিমদের কাছে শরিয়তকে সংশয়াবিষ্ট করার জন্য যেসব বানোয়াট হাদিস তৈরি করেছে, সেসব হাদিস কিংবা হাদিসের বর্ণনাকারীদের দুর্বলতা, বা তাদের অজ্ঞাতপরিচিতি অথবা হাদিসের ত্রুটির কারণে দুর্বল সাব্যস্ত হয়েছে — এমনসব হাদিস ব্যক্ত করা এবং এসবের প্রতি বিশ্বাস করা না-জায়েজ। বরং এসব হাদিসের বিদ্যমানতা মূলত হাদিসগুলো না থাকার মতোই।” [ইবনু কুদামা কৃত যাম্মুত তাবিল, পৃষ্ঠা: ৪৭]
শাইখুল ইসলাম ইমাম ইবনু তাইমিয়া রাহিমাহুল্লাহ (মৃত: ৭২৮ হি.) বলেছেন, الِاسْتِدْلالَ بِما لا تُعْلَمُ صِحَّتُهُ لا يَجُوزُ بِالِاتِّفاقِ، فَإنَّهُ قَوْلٌ بِلا عِلْمٍ، وهُوَ حَرامٌ بِالكِتابِ والسُّنَّةِ والإجْماعِ “শুদ্ধ হিসেবে বিদিত নয় এমন হাদিস দিয়ে দলিলগ্রহণ করা সর্বসম্মতিক্রমে না-জায়েজ। কেননা এটা বিনা ইলমে কথা বলার অন্তর্গত। আর কিতাব, সুন্নাহ ও উলামাদের সর্ববাদিসম্মত অভিমতের ভিত্তিতে এ কাজ হারাম।” [ইবনু তাইমিয়া কৃত মিনহাজুস সুন্নাতিন নাবাবিয়্যা, খণ্ড: ৭; পৃষ্ঠা: ১৬৮]
শাইখুল ইসলাম ইমাম ইবনু তাইমিয়া রাহিমাহুল্লাহ অন্যত্র বলেছেন, ولا يجوز أن يعتمد في الشريعة على الأحاديث الضعيفة التي ليس صحيحة ولا حسنة “যেসব হাদিসের মান সহিহ নয়, কিংবা হাসানও নয়, শরিয়তের ক্ষেত্রে এমনসব জইফ হাদিসের ওপর নির্ভর করা না-জায়েজ।” [ইবনু তাইমিয়া কৃত কায়িদাতুন জালিলাহ ফিত তাওয়াসসুলি ওয়াল ওয়াসিলা, পৃষ্ঠা: ৮৪; মাজমুউ ফাতাওয়া, খণ্ড: ১; পৃষ্ঠা: ২৫০]
সুতরাং যারা কেয়ামতের আলামত বলার সময় সহিহ-জইফ নির্ণয় করে বক্তব্য দেয় না কিংবা হাদিসের মান যাচাই করে বক্তব্য দেওয়ার সক্ষমতা রাখে না, আর ইচ্ছামতো দুর্বল ও বানোয়াট হাদিস দিয়ে বক্তব্য দেয়, এদের থেকে সাবধান থাকা জরুরি। নিজেদের দিন-ধর্ম সুরক্ষার স্বার্থে এরকম বক্তাদের বক্তব্য শোনা থেকে বিরত থাকা অত্যাবশ্যক। আল্লাহ সহায় হোন, আমিন।
আরেকটি বক্তব্যে আবু ত্বহা আদনান বলেছেন, “এটা সেই যুগ, যেই যুগ সম্পর্কে নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছিলেন যে, এই যুগে এমন মানুষের সংখ্যা খুবই কম হবে, যারা পরিপূর্ণভাবে রিবা (সুদ) থেকে দূরে থাকতে পারবে। যারা দূরে থাকতে চাইবে, তাদের গায়েও সুদের ছিটাফোঁটা গিয়ে পড়বে।” [দেখুন: https://youtu.be/4x9rVNdahyU (৮:০২ মিনিট থেকে ৮:১৮ মিনিট)]
আবু ত্বহা আদনান যে হাদিসটি বলেছেন, তার কাছাকাছি অর্থবোধক একটি হাদিস সুনানে আবু দাউদ, ইবনু মাজাহ, নাসায়ি ও মুসনাদে আহমাদে বর্ণিত হয়েছে। কিন্তু হাদিসটির সনদ দুর্বল। আমরা হাদিসটি উল্লেখ করছি। হাদিসটিতে বলা হয়েছে, عَنِ الْحَسَنِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ: لَيَأْتِيَنَّ عَلَى النَّاسِ زَمَانٌ لَا يَبْقَى أَحَدٌ إِلَّا أَكَلَ الرِّبَا، فَإِنْ لَمْ يَأْكُلْهُ أَصَابَهُ مِنْ بُخَارِهِ “হাসান বাসরি রাহিমাহুল্লাহর সূত্রে আবু হুরাইরা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত হয়েছে, রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, মানুষের ওপর এমন এক যুগ আসবে, যখন কেউ-ই সুদ খাওয়া ছাড়া থাকবে না। যদি কেউ সুদ না খায়, তবুও সুদের ধোঁয়া বা ধুলোবালি তাকে স্পর্শ করবে।” [আবু দাউদ, হা: ৩৩৩১; ইবনু মাজাহ, হা: ২২৭৮; নাসায়ি, হা: ৪৪৬৭; আহমাদ, হা: ১০৩৮৯]
উল্লিখিত হাদিসের বর্ণনাকারী হাসান বাসরি রাহিমাহুল্লাহ সাহাবি আবু হুরাইরা রাদিয়াল্লাহু আনহুর নিকট থেকে হাদিসটি শোনেননি। বিধায় উক্ত হাদিস বিচ্ছিন্নতার দোষে দুষ্ট। সুনানে আবু দাউদের বিখ্যাত ভাষ্যকার মুহাদ্দিস ইমাম শামসুল হক আযিমাবাদি রাহিমাহুল্লাহ (মৃত: ১৩২৯ হি.) হাদিসটি নিয়ে আলোচনা করতে যেয়ে লিখেছেন, قال المنذري وأخرجه النسائي وبن مَاجَهْ وَالْحَسَنُ لَمْ يَسْمَعْ مِنْ أَبِي هُرَيْرَةَ فَهُوَ مُنْقَطِعٌ “মুনযিরি বলেছেন, নাসায়ি ও ইবনু মাজাহ হাদিসটি বর্ণনা করেছেন। হাসান রাহিমাহুল্লাহ হাদিসটি আবু হুরাইরা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে শোনেননি। এজন্য হাদিসটি মুনকাতি তথা বিচ্ছিন্ন (জইফ হাদিসের অন্যতম প্রকার)।” [আযিমাবাদি কৃত আওনুল মাবুদ আলা সুনানি আবি দাউদ (ইবনুল কাইয়্যিম কৃত হাশিয়া-সহ); খণ্ড: ৯; পৃষ্ঠা: ১২৯]
তদ্রুপ জগদ্বিখ্যাত মুহাদ্দিস হাফিয যাহাবি রাহিমাহুল্লাহ, বিগত শতাব্দীর অপ্রতিদ্বন্দ্বী মুহাদ্দিস ইমাম মুহাম্মাদ নাসিরুদ্দিন আল-আলবানি রাহিমাহুল্লাহ, হানাফি মুহাক্কিক আল্লামা শুয়ায়িব আল-আরনাউত রাহিমাহুল্লাহ, বর্তমান যুগের শ্রেষ্ঠতম মুহাদ্দিস ইমাম আব্দুল মুহসিন আল-আব্বাদ হাফিযাহুল্লাহ-সহ আরও অনেকে হাদিসটিকে দুর্বল ও অশুদ্ধ আখ্যা দিয়েছেন। [দেখুন: যাহাবি কৃত আল-মুহাযযাব ফি ইখতিসারিস সুনানিল কাবির, খণ্ড: ৪; পৃষ্ঠা: ২০৪১; আলবানি কৃত দয়িফুল জামি, হা: ৪৮৬৪; দয়িফ ইবনু মাজাহ, হা: ৪৪৯; আরনাউত কৃত তাহকিক সুনানি আবি দাউদ, খণ্ড: ৫; পৃষ্ঠা: ২২০; আব্বাদ কৃত শারহু সুনানি আবি দাউদ, খণ্ড: ১৬; পৃষ্ঠা: ৩৮৩]
কেয়ামতের কোনো আলামতকে সামসময়িক বিষয়ের ওপর প্রয়োগ করার ক্ষেত্রে একটি অন্যতম মূলনীতি হচ্ছে— অবশ্যই সংশ্লিষ্ট আলামতটি বিশুদ্ধ সূত্রে প্রমাণিত হতে হবে। হাদিস সহিহ হলে তা গৃহীত হবে। আর দুর্বল সনদের হলে তা হবে প্রত্যাখ্যাত, সেই দুর্বল দলিল অনুযায়ী সামসময়িক বিষয়কে হাদিসটির ব্যাখ্যা হিসেবে পেশ করা যাবে না। [দেখুন: শাইখ আব্দুল্লাহ আল-উজাইরি বিরচিত মাআলিম ওয়া মানারাত ফি তানযিলি নুসিসিল ফিতানি ওয়াল মালাহিমি ওয়া আশরাতিস সাআতি আলাল ওয়াকায়িয়ি ওয়াল হাওয়াদিস, পৃষ্ঠা: ৮৮-৯৭]
ইমাম ইবনু কুদামা আল-মাকদিসি রাহিমাহুল্লাহ (মৃত: ৬২০ হি.) বলেছেন, وأما الأحادِيث المَوْضُوعَة الَّتِي وضَعتها الزَّنادِقَة ليلبسوا بها على أهل الإسْلام أو الأحادِيث الضعيفة إمّا لضعف رواتها أو جهالتهم أو لعِلَّة فِيها لا يجوز أن يُقال بها ولا اعْتِقاد ما فِيها بل وجودها كعدمها “ধর্মচ্যুত জিন্দিকরা মুসলিমদের কাছে শরিয়তকে সংশয়াবিষ্ট করার জন্য যেসব বানোয়াট হাদিস তৈরি করেছে, সেসব হাদিস কিংবা হাদিসের বর্ণনাকারীদের দুর্বলতা, বা তাদের অজ্ঞাতপরিচিতি অথবা হাদিসের ত্রুটির কারণে দুর্বল সাব্যস্ত হয়েছে — এমনসব হাদিস ব্যক্ত করা এবং এসবের প্রতি বিশ্বাস করা না-জায়েজ। বরং এসব হাদিসের বিদ্যমানতা মূলত হাদিসগুলো না থাকার মতোই।” [ইবনু কুদামা কৃত যাম্মুত তাবিল, পৃষ্ঠা: ৪৭]
শাইখুল ইসলাম ইমাম ইবনু তাইমিয়া রাহিমাহুল্লাহ (মৃত: ৭২৮ হি.) বলেছেন, الِاسْتِدْلالَ بِما لا تُعْلَمُ صِحَّتُهُ لا يَجُوزُ بِالِاتِّفاقِ، فَإنَّهُ قَوْلٌ بِلا عِلْمٍ، وهُوَ حَرامٌ بِالكِتابِ والسُّنَّةِ والإجْماعِ “শুদ্ধ হিসেবে বিদিত নয় এমন হাদিস দিয়ে দলিলগ্রহণ করা সর্বসম্মতিক্রমে না-জায়েজ। কেননা এটা বিনা ইলমে কথা বলার অন্তর্গত। আর কিতাব, সুন্নাহ ও উলামাদের সর্ববাদিসম্মত অভিমতের ভিত্তিতে এ কাজ হারাম।” [ইবনু তাইমিয়া কৃত মিনহাজুস সুন্নাতিন নাবাবিয়্যা, খণ্ড: ৭; পৃষ্ঠা: ১৬৮]
শাইখুল ইসলাম ইমাম ইবনু তাইমিয়া রাহিমাহুল্লাহ অন্যত্র বলেছেন, ولا يجوز أن يعتمد في الشريعة على الأحاديث الضعيفة التي ليس صحيحة ولا حسنة “যেসব হাদিসের মান সহিহ নয়, কিংবা হাসানও নয়, শরিয়তের ক্ষেত্রে এমনসব জইফ হাদিসের ওপর নির্ভর করা না-জায়েজ।” [ইবনু তাইমিয়া কৃত কায়িদাতুন জালিলাহ ফিত তাওয়াসসুলি ওয়াল ওয়াসিলা, পৃষ্ঠা: ৮৪; মাজমুউ ফাতাওয়া, খণ্ড: ১; পৃষ্ঠা: ২৫০]
সুতরাং যারা কেয়ামতের আলামত বলার সময় সহিহ-জইফ নির্ণয় করে বক্তব্য দেয় না কিংবা হাদিসের মান যাচাই করে বক্তব্য দেওয়ার সক্ষমতা রাখে না, আর ইচ্ছামতো দুর্বল ও বানোয়াট হাদিস দিয়ে বক্তব্য দেয়, এদের থেকে সাবধান থাকা জরুরি। নিজেদের দিন-ধর্ম সুরক্ষার স্বার্থে এরকম বক্তাদের বক্তব্য শোনা থেকে বিরত থাকা অত্যাবশ্যক। আল্লাহ সহায় হোন, আমিন।
লিখেছেন: মুহাম্মাদ আব্দুল্ললাহ মৃধা।