আদ-দার (যন্ত্রনাদানকারী, উৎপীড়নকারী): আন-নাফি‘ (অনুগ্রাহক, হিতকারী, উপকারকারী), আদ-দার (যন্ত্রনাদানকারী, উৎপীড়নকারী)।
আল্লাহর কিছু নাম আলাদাভাবে ব্যবহৃত হয়, আবার কিছু নাম অন্য নামের সাথে মিলে একত্রে ব্যবহৃত হয়। এ ধরণের নামই বেশি। এতে প্রমাণিত হয় যে, আলাদাভাবে আল্লাহ যেমন পূর্ণাঙ্গ গুণের অধিকারী...
আস-সামাদ (অমুখাপেক্ষী, অবিনশ্বর, চিরন্তন, স্বয়ং সম্পূর্ণ)[1]:
আস-সামাদ অর্থ পরিপূর্ণ রব, সাইয়্যেদ, মহান, যার এমন কোন ভালো সিফাত অবশিষ্ট নেই যা তাঁর নেই। তাঁর গুণাবলী সর্বোচ্চ পর্যায়ের, এর পূর্ণতা এতোই পরিপূর্ণ যে সৃষ্টিকুলের কেউ সে গুণের সামান্য অংশও তাদের অন্তরে বেষ্টন করতে পারে না এবং...
আশ-শাহীদ (প্রত্যক্ষদর্শী)[1] [2]:
আশ-শাহীদ (প্রত্যক্ষদর্শী) হলেন যিনি সব কিছু সম্পর্কে অবগত আছেন। সকলের স্পষ্ট অস্পষ্ট আওয়াজ শুনতে পান। তিনি যাবতীয় সূক্ষ্ম-অতিসূক্ষ্ম, ছোট-বড় সব কিছুই দেখতে পান। বান্দা যা কিছু দেখে এবং কাজ করে তিনি সব কিছুই বেষ্টন করে আছেন।[3]
[1] এ নামের দলিল আল্লাহর...
আশ-শাকির (পুরস্কার দানকারী, শুকরিয়াকারী)[1], আশ-শাকূর (গুণগ্রাহী, সুবিবেচক)[2]:
আল্লাহর নামসমূহের মধ্যে আশ-শাকির (পুরস্কার দানকারী, শুকরিয়াকারী) ও আশ-শাকূর (গুণগ্রাহী, সুবিবেচক)। তিনি বান্দার ইখলাসের সাথে স্বল্প আমলেরও পুরুস্কার দান করেন, বান্দার অনেক দোষ-ত্রুটি ও গুনাহ মাফ করে দেন, কেউ...
আস-সামী (সর্বশ্রোতা):[1]
আসমাউল হুসনার আরেকটি নাম হলো, আস-সামী‘ তথা সর্বশ্রোতা, যিনি ভাষার বিভিন্নতা সত্ত্বেও সকলের ভাষা ও তাদের অভাব বুঝতে পারেন। তাঁর কাছে গোপন হলো প্রকাশ্যের মতোই, যেমনিভাবে দূরত্ব তাঁর কাছে নিকটবর্তীর মতো।[2]
আল্লাহর শ্রবণ দুধরণের:
প্রথমত: সমস্ত প্রাণীর প্রকাশ্য...
আস-সালাম (শান্তি ও নিরাপত্তার উৎস, ত্রাণকর্তা), আল-কুদ্দূস (পূত:পবিত্র, নিখুঁত), আস-সালাম (দোষমুক্ত)।
আল্লাহর নামসমূহের মধ্যে অন্যতম হলো আল-কুদ্দূস (পূত:পবিত্র, নিখুঁত), আস-সালাম (ত্রুটিমুক্ত) অর্থাৎ সর্ব প্রকারের কমতি, দোষ-ত্রুটি ও সৃষ্টিকুলের সাদৃশ্য থেকে তিনি মহান, পুত:পবিত্র। তিনি যাবতীয়...
আর-রাকীব (পর্যবেক্ষক, সদা জাগ্রত, অতন্দ্র পর্যবেক্ষণকারী), আশ-শাহীদ (প্রত্যক্ষদর্শী, সাক্ষ্যদানকারী):
গ্রন্থকার শাইখ আস-সা‘দী রহ. বলেছেন, আর-রাকীব ও আশ-শাহীদ এদুটি আল্লাহর নাম। নাম দুটি সমর্থকবোধক। উভয় নাম-ই আল্লাহর সবকিছু শোনা ও দেখা এবং সৃষ্টিকুলের স্পষ্ট ও গোপনীয় যাবতীয় তথ্য অবগত হওয়া...
আর-রফীক (কোমল, নম্র ব্যবহারকারী):
আল্লাহর নামসমূহের মধ্যে আরেকটি নাম হলো আর-রফীক (কোমল, নম্র ব্যবহারকারী)। তিনি তাঁর কাজে-কর্মে ও শরী‘আতের বিধি-বিধান নাযিলে বান্দার উপর কোমলতা ও নম্রতা দেখিয়েছেন। আর এ নামটি রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিম্নোক্ত সহীহ হাদীস থেকে নেওয়া...
আর-রাশীদ (সঠিক পথের নির্দেশক, বিচক্ষণ, সচেতন)[1]:
তিনি কথা ও কাজে সর্বক্ষেত্রেই সঠিক পথের নির্দেশক। তিনি বিভ্রান্ত লোকদেরকে ইন্দ্রিয়বোধগাম্য পথ এবং পথহারাকে নৈতিকতার পথ প্রদর্শন করেন। তিনি সৃষ্টিকুলের জন্য নবী-রাসূলদের মাধ্যমে পূর্ণ হিদায়েতের যে শরী‘আত প্রেরণ করেছেন সে শরী‘আতের দ্বারা...
আর-রাযযাক (রিযিকদাতা):
তিনি সমস্ত সৃষ্টির রিযিকদাতা। ঊর্ধ্বজগত ও নিম্নজগতের এমন কোন সৃষ্টি নেই যে তাঁর রিযিক ভোগ করে না। সকলেই তাঁর দয়ার সাগরে ডুবে আছে।[1]
আল্লাহর রিযিক দু’ধরণের;
আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন,
﴿ إِنَّ ٱللَّهَ هُوَ ٱلرَّزَّاقُ٥٨﴾ [الذاريات: ٥٨]
“নিশ্চয় আল্লাহই রিযিকদাতা।” [সূরা...
আর-রহমান (পরম করুণাময়, সবচেয়ে দয়ালু, কল্যাণময়):
আর-রাহীম (অতি দয়ালু)[1]:
আর-রহমান ও আর-রাহীম নামদ্বয় প্রমাণ করে যে, আল্লাহ তা‘আলা পরম দয়াময়, অতি দয়ালু, প্রশস্ত রহমতের অধিকারী; যার রহমত সব কিছুকে বেষ্টন করে রেখেছে এবং সমস্ত সৃষ্টির উপর তাঁর রহমত ব্যাপক ভাবে বিস্তৃত। তাঁর নবী ও রাসূলগণের...
আর-রাফি‘(উন্নীতকারী, উঁচুকারী), আল-খাফিদ (অবিশ্বাসীদের অপমানকারী)।[1]
আর-রাব (রব, পালনকারী)[2]:
আল-কুরআনে রব নামটি অনেক আয়াতেই একাধিক বার উল্লেখ হয়েছে। রব হলেন যিনি বান্দাকে পরিচালনা, দেখা-শোনা ও যাবতীয় নি‘আমত প্রদান করে লালনপালন করেন।
উপরোক্ত অর্থ থেকে রবের আরো বিশেষ অর্থ হচ্ছে, তিনি তাঁর...
আর-রঊফ (অত্যন্ত স্নেহশীল, সদয়, সমবেদনা প্রকাশকারী, দয়াশীল)[1]:
গ্রন্থকার শাইখ আস-সা‘দী রহ. বলেছেন, আর-রাঊফ হলেন যিনি বান্দার প্রতি অত্যন্ত স্নেহশীল। বান্দার প্রতি তাঁর স্নেহ ও দয়ার কারণে তিনি তাদের প্রতি তাঁর নি‘আমত পূর্ণ করেছেন। তাঁর স্নেহশীলতার কারণে তিনি বান্দাকে তাঁর প্রতি করণীয় দায়িত্ব ও...
যুল জালালি ওয়াল-ইকরাম (মহা মর্যাদাবান, মহা মহত্ত্ব ও মহা সম্মানিত)[1]:
যুল জালালি ওয়াল-ইকরাম অর্থ মহা মহিমাবান, গর্ব ও অহংকারের অধিকারী, দয়াবান, দানশীল, বিশেষ ও ব্যাপক ইহসান দানকারী, তাঁর প্রিয়জন ও নির্বাচিতজনের সম্মানকারী; যিনি তাদের সম্মান, মহিমা ও ভালোবাসা প্রাপ্ত।[2]
[1] এটি আল্লাহর...
আল-হাইয়্যু[1]: আল-হাইয়্যু (চিরঞ্জীব, যার কোন শেষ নেই), আল-কাইয়্যূম (চিরপ্রতিষ্ঠিত ধারক):
আল-হাইয়্যু হলেন যার রয়েছে পূর্ণ জীবন, চিরঞ্জীব, যার কোন শেষ নেই এবং আল-কাইয়্যূম হলেন যিনি নিজে প্রতিষ্ঠিত, চিরপ্রতিষ্ঠিত ধারক। তিনি আসমান ও জমিনের সব কিছুকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন, তাদের পরিচালনা, রিযিক দান...
আল-হামীদ (সকল প্রশংসার দাবীদার, মহা প্রশংসনীয়)[1]:
আল্লাহ তাঁর যাতগত, নামগত, সিফাতগত ও কর্মগত সব দিক থেকেই আল-হামীদ তথা মহা প্রশংসনীয়। তাঁর রয়েছে সুন্দর সুন্দর নামসমূহ, পরিপূর্ণ সিফাতসমূহ ও পূর্ণাঙ্গ কর্মসমূহ। কেননা আল্লাহর কর্মসমূহ দয়া ও ন্যায়পরায়নতার মধ্যে ঘূর্ণায়মান।[2]
অত:এব, হামদ তথা...
আল-হালীম (মহা সহনশীল, মহা ধৈর্যশীল, প্রশ্রয়দাতা)[1]:
আল-হালীম (মহা সহনশীল, মহা ধৈর্যশীল, প্রশ্রয়দাতা) হলেন যার রয়েছে পূর্ণ ধৈর্য। কাফির, ফাসিক ও অবাধ্য সকলের ব্যাপারেই যিনি ধৈর্য ব্যাপক ও প্রশস্ত করে রেখেছেন এবং তিনি তাদেরকে দুনিয়াতে শাস্তি প্রদান থেকে বিরত রয়েছেন এভাবে যে, তাদের মধ্যকার অক্ষম...