- Joined
- Jan 3, 2023
- Threads
- 647
- Comments
- 790
- Reactions
- 6,877
- Thread Author
- #1
উত্তর : ১. হয়েয ও নিফাস হওয়া। এ অবস্থায় সিয়াম ভঙ্গ করে পরবর্তীতে ক্বাযা আদায় করে নেবে (মাজমূউল ফাতাওয়া ইবনে তাইমিয়্যাহ, ২৫/২২০, ২৫/২৬৭, ২৬/১৭৬: মুসলিম, ৪/২৬)। নবী (ﷺ) বলেছেন, 'আর হায়িয অবস্থায় তারা কি ছলাত । সিয়াম হতে বিরত থকে না?’ (ছহীহ বুখারী, হা/৩:০৪, ১৯৫১, ২৬৫৮; ছহীহ মুসলিম, হা/৭৯- ৮০)। সুতরাং একজন নারীর জন্য উত্তম হল তার স্বভাবজাত প্রকৃতির উপর অটল থাকা। আল্লহ্ তার জন্য যা লিখেরেখেছেন তার উপর সন্তুষ্ট থাকা, রক্ত বন্ধ করে এমন কিছু গ্রহণ না করা। কেননা এর মধ্যে নানাবিধ ক্ষতি আছে। তাই হায়িযের সময় সিয়াম ভঙ্গ করা ও পরে কথা অদায় করার যে বিধান আল্লাহ্ তার জন্য প্রদান করেছেন, তা গ্রহণ করা কর্তব্য। এমনই করতেন উম্মুল মুমিনীনগণ, পরবর্তী সাহাবী ও তাবিঈগণের স্ত্রীরা (ফাতাওয়া আল-লাজনা আদ-দায়িনাহ, ১০/১৫১ পৃঃ ইসলাম সাওয়াল ওয়া জাওয়াব, ফৎওয়া নং-৩৮০২৩)।
২. কাপিং করা বা শিঙ্গার মাধ্যমে রক্ত বের করা ; এ বিষয়ে মতপার্থক্য থাকলেও শায়খুল ইসলাম ইমাম ইবন তাইমিয়্যাহ (রহ.), সউদী আরবের স্থায়ী ফাতাওয়া কমিটির আলেমগণ, শয়খ ইবনু বায ও শায়খ উছাইমীন বলেন, সিয়াম থাকাবস্থায় হিজামাহ বা কাপিং করলে সিয়াম ভঙ্গ হয়ে যায়। কেননা এর ফলে শরীর প্রচণ্ড দুর্বল হয়ে পড়ে (আল-ইনছাফ, ৩/২১৪। আশ-শারহুল কাবীর, ৩/৪; মাজমুউল ফাতাওয়া ইবনে তাইমিয়্যাহ, ২৫/২৫২; মাজমুউ ফাতাওয়া ইবনে বাম, ১৫/২৭১। মাজমুউ ফাতাওয়া ইবনে উছাইমীন, ২০/১৪৫ পৃ.)। যেমন নবী (ﷺ) বলেছেন, ‘রক্তমোক্ষণকারী এবং যার রক্তমোক্ষণ করানো হয়েছে, তাদের উভয়ের হিয়াম নষ্ট হয়েছে গিয়েছে' (আবু দাউদ, হা/২২৬৭-২৩০; ইবনু মাজাহ, হা/১৬৮০-১৬৮১, সনদ ছহীহ)।
৩. রক্ত পরীক্ষা ও স্বেচ্ছায় রক্তদান করা : সিয়াম থাকাবস্থায় প্রয়োজনে রক্ত পরীক্ষা করলে সিয়াম ভঙ্গ হয় না। কেননা এতে খুবই যৎসামান্য রক্ত নেয়া হয়ে থাকে, যার ফলে শরীরে কোন প্রভাব পড়ে না। আর এটি হিজামার অন্তর্ভুক্ত নয়। পক্ষান্তরে অধিক মাত্রায় রক্ত নেয়া হলে সিয়াম ভঙ্গ হয়ে যাবে। যেমন কাউকে রক্তদান করার উদ্দেশ্যে, কেননা এটি হিজামাহ বা কাপিং-এর অন্তর্ভুক্ত। সেই জন্য সিয়াম থাকা অবস্থায় স্বেচ্ছায় রক্তদান করা জায়েয নয়, কেননা এর ফলে সিয়াম ভঙ্গ হয়ে যায়। তবে হ্যাঁ, যদি রোগীর অবস্থা খুবই বিপদজনক হয়, আর সে সূর্যাস্ত পর্যন্ত ধৈর্যধারণ করতে না পারে এবং ডাক্তারেরা সিদ্ধান্ত নেয় যে, সিয়াম পালনকারী ব্যক্তির রক্ত পেলে রোগী উপকৃত হবে তার প্রয়োজন পূরণ হবে, সেক্ষেত্রে রক্তদান করা জায়েয। পরে অবশ্যই এই দিনের ক্বাযা আদায় করে নেবে (মাজমূউ ফাতাওয়া ইবনে বায, ১৫/২৭৪; ফাতাওয়া আরকানুল ইসলাম, পৃ. ৪৭৮; মাজালিসু শাহরি রামাযান, পৃ. ৭১; ইসলাম সাওয়াল ওয়া জাওয়াব, ফওয়া নং- ৫০৪০৬)।
তবে অনিচ্ছাকৃতভাবে কোন কারণে রক্তপাত হয়ে
গেলে, তার সিয়াম শুদ্ধ হবে। কেননা সে ইচ্ছাকৃতভাবে তা করেনি (ফাতাওয়া আল-লাজনা আদ-দায়িমাহ, ১০/২৬৪ পৃ.)। অনুরূপ দাঁত তোলা বা ক্ষতস্থান ড্রেসিং করা বা রক্ত পরীক্ষা ইত্যাদির জন্য রক্ত বের হলে সিয়াম ভঙ্গ হয় না। কারণ তা হিজামাহ বা শিঙ্গা লাগানোর অন্তর্ভুক্ত নয় এবং তা হিজামাহ বা শিঙ্গা লাগানোর ন্যায় শরীরের উপর প্রভাবও ফেলে না (মাজমূউ ফাতাওয়া ইবনে বায, ১৫/২৭৪; ফাতাওয়া আরকানুল ইসলাম, পৃ. ৪৭৮; ইসলাম সাওয়াল ওয়া জাওয়াব, ফওয়া নং-৫০৪০৬)।
সূত্রঃ মাসিক আল ইখলাস, এপ্রিল ২০২৩
২. কাপিং করা বা শিঙ্গার মাধ্যমে রক্ত বের করা ; এ বিষয়ে মতপার্থক্য থাকলেও শায়খুল ইসলাম ইমাম ইবন তাইমিয়্যাহ (রহ.), সউদী আরবের স্থায়ী ফাতাওয়া কমিটির আলেমগণ, শয়খ ইবনু বায ও শায়খ উছাইমীন বলেন, সিয়াম থাকাবস্থায় হিজামাহ বা কাপিং করলে সিয়াম ভঙ্গ হয়ে যায়। কেননা এর ফলে শরীর প্রচণ্ড দুর্বল হয়ে পড়ে (আল-ইনছাফ, ৩/২১৪। আশ-শারহুল কাবীর, ৩/৪; মাজমুউল ফাতাওয়া ইবনে তাইমিয়্যাহ, ২৫/২৫২; মাজমুউ ফাতাওয়া ইবনে বাম, ১৫/২৭১। মাজমুউ ফাতাওয়া ইবনে উছাইমীন, ২০/১৪৫ পৃ.)। যেমন নবী (ﷺ) বলেছেন, ‘রক্তমোক্ষণকারী এবং যার রক্তমোক্ষণ করানো হয়েছে, তাদের উভয়ের হিয়াম নষ্ট হয়েছে গিয়েছে' (আবু দাউদ, হা/২২৬৭-২৩০; ইবনু মাজাহ, হা/১৬৮০-১৬৮১, সনদ ছহীহ)।
৩. রক্ত পরীক্ষা ও স্বেচ্ছায় রক্তদান করা : সিয়াম থাকাবস্থায় প্রয়োজনে রক্ত পরীক্ষা করলে সিয়াম ভঙ্গ হয় না। কেননা এতে খুবই যৎসামান্য রক্ত নেয়া হয়ে থাকে, যার ফলে শরীরে কোন প্রভাব পড়ে না। আর এটি হিজামার অন্তর্ভুক্ত নয়। পক্ষান্তরে অধিক মাত্রায় রক্ত নেয়া হলে সিয়াম ভঙ্গ হয়ে যাবে। যেমন কাউকে রক্তদান করার উদ্দেশ্যে, কেননা এটি হিজামাহ বা কাপিং-এর অন্তর্ভুক্ত। সেই জন্য সিয়াম থাকা অবস্থায় স্বেচ্ছায় রক্তদান করা জায়েয নয়, কেননা এর ফলে সিয়াম ভঙ্গ হয়ে যায়। তবে হ্যাঁ, যদি রোগীর অবস্থা খুবই বিপদজনক হয়, আর সে সূর্যাস্ত পর্যন্ত ধৈর্যধারণ করতে না পারে এবং ডাক্তারেরা সিদ্ধান্ত নেয় যে, সিয়াম পালনকারী ব্যক্তির রক্ত পেলে রোগী উপকৃত হবে তার প্রয়োজন পূরণ হবে, সেক্ষেত্রে রক্তদান করা জায়েয। পরে অবশ্যই এই দিনের ক্বাযা আদায় করে নেবে (মাজমূউ ফাতাওয়া ইবনে বায, ১৫/২৭৪; ফাতাওয়া আরকানুল ইসলাম, পৃ. ৪৭৮; মাজালিসু শাহরি রামাযান, পৃ. ৭১; ইসলাম সাওয়াল ওয়া জাওয়াব, ফওয়া নং- ৫০৪০৬)।
তবে অনিচ্ছাকৃতভাবে কোন কারণে রক্তপাত হয়ে
গেলে, তার সিয়াম শুদ্ধ হবে। কেননা সে ইচ্ছাকৃতভাবে তা করেনি (ফাতাওয়া আল-লাজনা আদ-দায়িমাহ, ১০/২৬৪ পৃ.)। অনুরূপ দাঁত তোলা বা ক্ষতস্থান ড্রেসিং করা বা রক্ত পরীক্ষা ইত্যাদির জন্য রক্ত বের হলে সিয়াম ভঙ্গ হয় না। কারণ তা হিজামাহ বা শিঙ্গা লাগানোর অন্তর্ভুক্ত নয় এবং তা হিজামাহ বা শিঙ্গা লাগানোর ন্যায় শরীরের উপর প্রভাবও ফেলে না (মাজমূউ ফাতাওয়া ইবনে বায, ১৫/২৭৪; ফাতাওয়া আরকানুল ইসলাম, পৃ. ৪৭৮; ইসলাম সাওয়াল ওয়া জাওয়াব, ফওয়া নং-৫০৪০৬)।
সূত্রঃ মাসিক আল ইখলাস, এপ্রিল ২০২৩