Knowledge Sharer
ilm Seeker
HistoryLover
Q&A Master
Salafi User
- Joined
- Jan 3, 2023
- Threads
- 1,025
- Comments
- 1,211
- Solutions
- 1
- Reactions
- 11,233
- Thread Author
- #1
কোন ধরনের ওযর (অযুহাত) ব্যতীত যে সিয়াম ভঙ্গ করে ফেলে। অধিকাংশ আলিম বলেছেন: যে ব্যক্তি স্বেচ্ছায় রমযানের সিয়াম ভঙ্গ করবে তার কাযা আদায় ওয়াজিব, চাই তা ওযরের কারণে হোক কিংবা ওযর ব্যতীত হোক।
তবে আলিমগণ মতভেদ করেছেন, যে ব্যক্তি পানাহার করে তার উপর স্ত্রী সহবাসের মতই কাযা এবং কাফফারা উভয়টি ওয়াজিব হবে। এমত পোষণ করেছেন : ইমাম ইবনুল মুবারক, সাওরী, ইসহাক, আবূ হানীফা এবং মালিক।
আর ইমাম শাফিঈ এবং ইমাম আহমাদ বলেছেন, তাকে শুধু কাযা আদায় করতে হবে, কাফফারা নয়।
ইমাম ইবনে হাযম বলেছেন : “কোন ওযর ব্যতীত স্বেচ্ছায় সিয়াম ভঙ্গ করলে কাযা আদায়ের প্রসঙ্গটি শরিয়তসিদ্ধ নয়। এক্ষেত্রে তার মূলনীতি হল : যে সকল ইবাদত সময়ের
সাথে নির্ধারিত এবং তার প্রথম ও শেষ সময় নির্দিষ্ট সেগুলো স্বেচ্ছায় ওযর ব্যতীত ছেড়ে দেওয়া হলে তার কাযা আদায় শরিয়তসিদ্ধ হবে না যতক্ষণ না এ ব্যাপারে কুরআন হাদীস থেকে কোন দলীল পাওয়া যায়।অতএব রমযানের সিয়ামের পরিবর্তে রমাদ্বান মাসের বাহিরে অন্য কোন সিয়াম ওয়াজিব করার অর্থ এমন একটি জিনিস শরিয়তে ওয়াজিব করা, যার আদেশ আল্লাহ তা'আলা দেন নি।” — আল মুহাল্লা (৬/১৮০)- মাসআলাহ : ৭৩৫
আমার বক্তব্য (সহীহ ফিকহুস সুন্নাহ'র লেখক): ইবনে হাযমের মাযহাব এক্ষেত্রে শক্তিশালী। এর সমর্থনে আরো বলা যায় যে, রমাদ্বান মাসে স্ত্রী সহবাসে লিপ্ত হওয়ায়
রসূল (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) যে ব্যক্তিকে কাফফারা আদায়ের নির্দেশ দিয়েছিলেন, তাকে কাযা আদায়ের নির্দেশ দেননি।
ইবনে মাসউদ (রাদিআল্লাহু আনহু) থেকে বিশুদ্ধ সূত্রে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন :
“যে ব্যক্তি রমাদ্বান মাসে কোন ওজর এবং অবকাশ ব্যতীত একটি সিয়াম ভঙ্গ করল, সে সারা বছর সিয়াম পালন করলেও তা আদায় হবে না।” — ইবনে আবী শায়বাহ, হা. ৯৭৮৪ (সহীহ)
আবূ হুরাইরা (রাদিআল্লাহু আনহু) থেকেও এরূপ বর্ণিত আছে।
— সহীহ ফিকহুস সুন্নাহ, ৪র্থ খন্ড (ওয়াহিদীয়া ইসলামিয়া লাইব্রেরী)
তবে আলিমগণ মতভেদ করেছেন, যে ব্যক্তি পানাহার করে তার উপর স্ত্রী সহবাসের মতই কাযা এবং কাফফারা উভয়টি ওয়াজিব হবে। এমত পোষণ করেছেন : ইমাম ইবনুল মুবারক, সাওরী, ইসহাক, আবূ হানীফা এবং মালিক।
আর ইমাম শাফিঈ এবং ইমাম আহমাদ বলেছেন, তাকে শুধু কাযা আদায় করতে হবে, কাফফারা নয়।
ইমাম ইবনে হাযম বলেছেন : “কোন ওযর ব্যতীত স্বেচ্ছায় সিয়াম ভঙ্গ করলে কাযা আদায়ের প্রসঙ্গটি শরিয়তসিদ্ধ নয়। এক্ষেত্রে তার মূলনীতি হল : যে সকল ইবাদত সময়ের
সাথে নির্ধারিত এবং তার প্রথম ও শেষ সময় নির্দিষ্ট সেগুলো স্বেচ্ছায় ওযর ব্যতীত ছেড়ে দেওয়া হলে তার কাযা আদায় শরিয়তসিদ্ধ হবে না যতক্ষণ না এ ব্যাপারে কুরআন হাদীস থেকে কোন দলীল পাওয়া যায়।অতএব রমযানের সিয়ামের পরিবর্তে রমাদ্বান মাসের বাহিরে অন্য কোন সিয়াম ওয়াজিব করার অর্থ এমন একটি জিনিস শরিয়তে ওয়াজিব করা, যার আদেশ আল্লাহ তা'আলা দেন নি।” — আল মুহাল্লা (৬/১৮০)- মাসআলাহ : ৭৩৫
আমার বক্তব্য (সহীহ ফিকহুস সুন্নাহ'র লেখক): ইবনে হাযমের মাযহাব এক্ষেত্রে শক্তিশালী। এর সমর্থনে আরো বলা যায় যে, রমাদ্বান মাসে স্ত্রী সহবাসে লিপ্ত হওয়ায়
রসূল (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) যে ব্যক্তিকে কাফফারা আদায়ের নির্দেশ দিয়েছিলেন, তাকে কাযা আদায়ের নির্দেশ দেননি।
ইবনে মাসউদ (রাদিআল্লাহু আনহু) থেকে বিশুদ্ধ সূত্রে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন :
“যে ব্যক্তি রমাদ্বান মাসে কোন ওজর এবং অবকাশ ব্যতীত একটি সিয়াম ভঙ্গ করল, সে সারা বছর সিয়াম পালন করলেও তা আদায় হবে না।” — ইবনে আবী শায়বাহ, হা. ৯৭৮৪ (সহীহ)
আবূ হুরাইরা (রাদিআল্লাহু আনহু) থেকেও এরূপ বর্ণিত আছে।
— সহীহ ফিকহুস সুন্নাহ, ৪র্থ খন্ড (ওয়াহিদীয়া ইসলামিয়া লাইব্রেরী)
Last edited: