হাত কোথায় বাঁধতে হবে?
এতে আলেমদের ইখতেলাফ রয়েছে। আহলেহাদীছদের নিকটে, সালাতে নাভীর উর্দ্ধে বুকের উপর হাত বাঁধতে হবে।
সাইয়েদুনা হুলব আত-ত্বাঈ বলেন, 'আমি দেখেছি যে, মুহাম্মাদ (ﷺ) (ছলাতে) একে (হাতকে) স্বীয় বুকের উপর রাখতেন। * ইমাম বাইহাক্বী লিখেছেন, ছলাতে বুকের উপর হাত রাখা সুন্নাহর অন্তর্ভুক্ত-এর অনুচ্ছেদ।”
এর বিপরীতে হানাফী, ব্রেলভী, দেওবন্দী হযরতগণ এটি বলেন যে, *ছলাতে নাভীর নীচে হাত বাঁধতে হবে'।
হাফেয ইবনে আব্দুল বার লিখেছেন, *ছাওরী, আবূ হানীফা ও ইসহাক (বিন রাহাওয়াইহ) বলেছেন, নাভীর নীচে (হাত বাঁধতে হবে)! এবং এটি আলী, আবূ হুরায়রা, ইবরাহীম নাখঈ হ'তে বর্ণিত। কিন্তু তাদের হ'তে সাব্যস্ত নেই। আর আবূ মিজলাযের বক্তব্য এটাই।”
সৌদী আরবের প্রসিদ্ধ শাইখ আব্দুল্লাহ বিন আব্দুর রহমান আল- জিবরীনের ভূমিকা এবং সম্পাদনায় প্রকাশিত গ্রন্থে লেখা হয়েছে যে,
'সঠিক হ'ল, ডান হাত বাম হাতের উপরে বুকের উপর রাখা সুন্নাত'। ইমাম ইসহাক বিন রাহাওয়াইহ স্বীয় দু'টি হাতকে তার ছাতির উপর বা
ছাতির নীচে (বুকের উপর) রাখতেন।
এর বিপরীতে দেওবন্দী এবং ব্রেলভী হযরতগণ এই প্রোপাগান্ডা করেন যে, 'গায়ের মুকাল্লিদগণ বলে যে, বুকের উপর হাত বাঁধতে হবে' দেওবন্দী এবং ব্রেলভীদের এই দাবী যে, 'পুরুষ তো নাভীর নীচে হাত বাঁধবে। আর নারীরা বুকের উপর হাত বাঁধবে। অথচ এই দাবীর কোন স্বচ্ছ দলীল এই লোকদের কাছে নেই।
শেষে নিবেদন হ'ল যে, ব্রেলভী এবং দেওবন্দীদের সাথে আহলেহাদীছদের আসল মতানৈক্য আকায়েদ এবং উছুলের মধ্যে রয়েছে।
সতর্কীকরণ : 'রুকূ'র পর হাত বাঁধতে হবে নাকি বাঁধতে হবে না” -এই মাসআলাটি হ'ল ইজতিহাদী । উভয় পদ্ধতিই ছহীহ। এ প্রসঙ্গে কঠোরতা করা উচিৎ নয়। উত্তম এটাই যে, রুকূ'র পর হাত ছেড়ে দিতে হবে। তা সত্ত্বেও যদি কোন ব্যক্তি হাত বেঁধে ছলাত পড়তে চায় তবে কোন অসুবিধা নেই।
এতে আলেমদের ইখতেলাফ রয়েছে। আহলেহাদীছদের নিকটে, সালাতে নাভীর উর্দ্ধে বুকের উপর হাত বাঁধতে হবে।
সাইয়েদুনা হুলব আত-ত্বাঈ বলেন, 'আমি দেখেছি যে, মুহাম্মাদ (ﷺ) (ছলাতে) একে (হাতকে) স্বীয় বুকের উপর রাখতেন। * ইমাম বাইহাক্বী লিখেছেন, ছলাতে বুকের উপর হাত রাখা সুন্নাহর অন্তর্ভুক্ত-এর অনুচ্ছেদ।”
এর বিপরীতে হানাফী, ব্রেলভী, দেওবন্দী হযরতগণ এটি বলেন যে, *ছলাতে নাভীর নীচে হাত বাঁধতে হবে'।
হাফেয ইবনে আব্দুল বার লিখেছেন, *ছাওরী, আবূ হানীফা ও ইসহাক (বিন রাহাওয়াইহ) বলেছেন, নাভীর নীচে (হাত বাঁধতে হবে)! এবং এটি আলী, আবূ হুরায়রা, ইবরাহীম নাখঈ হ'তে বর্ণিত। কিন্তু তাদের হ'তে সাব্যস্ত নেই। আর আবূ মিজলাযের বক্তব্য এটাই।”
সৌদী আরবের প্রসিদ্ধ শাইখ আব্দুল্লাহ বিন আব্দুর রহমান আল- জিবরীনের ভূমিকা এবং সম্পাদনায় প্রকাশিত গ্রন্থে লেখা হয়েছে যে,
'সঠিক হ'ল, ডান হাত বাম হাতের উপরে বুকের উপর রাখা সুন্নাত'। ইমাম ইসহাক বিন রাহাওয়াইহ স্বীয় দু'টি হাতকে তার ছাতির উপর বা
ছাতির নীচে (বুকের উপর) রাখতেন।
এর বিপরীতে দেওবন্দী এবং ব্রেলভী হযরতগণ এই প্রোপাগান্ডা করেন যে, 'গায়ের মুকাল্লিদগণ বলে যে, বুকের উপর হাত বাঁধতে হবে' দেওবন্দী এবং ব্রেলভীদের এই দাবী যে, 'পুরুষ তো নাভীর নীচে হাত বাঁধবে। আর নারীরা বুকের উপর হাত বাঁধবে। অথচ এই দাবীর কোন স্বচ্ছ দলীল এই লোকদের কাছে নেই।
শেষে নিবেদন হ'ল যে, ব্রেলভী এবং দেওবন্দীদের সাথে আহলেহাদীছদের আসল মতানৈক্য আকায়েদ এবং উছুলের মধ্যে রয়েছে।
সতর্কীকরণ : 'রুকূ'র পর হাত বাঁধতে হবে নাকি বাঁধতে হবে না” -এই মাসআলাটি হ'ল ইজতিহাদী । উভয় পদ্ধতিই ছহীহ। এ প্রসঙ্গে কঠোরতা করা উচিৎ নয়। উত্তম এটাই যে, রুকূ'র পর হাত ছেড়ে দিতে হবে। তা সত্ত্বেও যদি কোন ব্যক্তি হাত বেঁধে ছলাত পড়তে চায় তবে কোন অসুবিধা নেই।
- Purchase Link
- Click Here to BUY NOW!
বইটি ক্রয় করে লেখক ও প্রকাশককে নতুন বই প্রকাশে উদ্বুদ্ধ করুন।