সালাফী আকিদা ও মানহাজে - Salafi Forum

Salafi Forum হচ্ছে সালাফী ও সালাফদের আকিদা, মানহাজ শিক্ষায় নিবেদিত একটি সমৃদ্ধ অনলাইন কমিউনিটি ফোরাম। জ্ঞানগর্ভ আলোচনায় নিযুক্ত হউন, সালাফী আলেমদের দিকনির্দেশনা অনুসন্ধান করুন। আপনার ইলম প্রসারিত করুন, আপনার ঈমানকে শক্তিশালী করুন এবং সালাফিদের সাথে দ্বীনি সম্পর্ক গড়ে তুলুন। বিশুদ্ধ আকিদা ও মানহাজের জ্ঞান অর্জন করতে, ও সালাফীদের দৃষ্টিভঙ্গি শেয়ার করতে এবং ঐক্য ও ভ্রাতৃত্বের চেতনাকে আলিঙ্গন করতে আজই আমাদের সাথে যোগ দিন।
Mahfuj Ibn-Al Delowar
Reactions
5

Profile posts Latest activity Postings Awards About

  • কুকুর ক্রয়-বিক্রয় এ মাসআলা
    সহিহ হাদিস বনাম হানাফি ফিক্বহ্।

    ---হানাফি ফিক্বহ্----

    ‎قال ويجوز بيع الكلب والفهد والسباع ، المعلم وغير المعلم في ذلك سواء ... ولنا ( أنه عليه الصلاة والسلام نهى عن بيع الكلب إلا كلب صيد أو ماشية ) ولأنه منتفع به حراسة واصطيادا فكان ما لا يجوز بيعه ، بخلاف الهوام المؤذية ؛ لأنه لا ينتفع بها ، والحديث محمول على الابتداء قلعا لهم عن الاقتناء ولا نسلم نجاسة العين ، ولو سلم فيحرم التناول دون البيع .

    ইমাম কুদুরি রহিমাহুল্লাহ বলেন: কুকুর, চিতা ও অন্যান্য হিংস্র প্রাণী বিক্রি করা জায়েয। এক্ষেত্রে প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত ও অপ্রশিক্ষণপ্রাপ্ত পশু সমান। আমাদের ... প্রমাণ হলো বর্ণিত হাদীস যে, নবী (সাঃ) কুকুর বিক্রি নিষেধ করেছেন, শিকারের কুকুর এবং পশুপাল পাহারা দেওয়ার কুকুর বিক্রি নিষিদ্ধ নয়।
    তা ছাড়া এ কারণে যে, প্রহরার এবং শিকারের উদ্দেশ্যে এই কুকুর দ্বারা উপকার লাভ হয়। সুতরাং এটি (অর্থমূল্য সম্পন্ন) মাল হবে। তাই তা বিক্রি করা জায়েয হবে। কষ্টদায়ক কীট পতঙ্গের বিষয়টি ভিন্ন। কেননা তা দ্বারা উপকার লাভ হয় না। আর ইমাম শাফেঈ রহিমাহুল্লাহ বর্ণিত হাদীসটি ইসলামের প্রাথমিক অবস্থার সঙ্গে সম্পৃক্ত। উদ্দেশ্য ছিল তাদের কুকুর পালার অভ্যাস নির্মূল করা। আর আমরা কুকুরের সত্তাগত নাপাকির দাবি স্বীকার করি না এবং যদি স্বীকারও করা হয় তাহলে আমাদের বক্তব্য এই যে, এ কারণে তা খাওয়া হারাম হবে। বিক্রি করা হারাম হবে না।"৭০৪

    ----সহিহ হাদিস ---

    ‎وعن جابر أن رسول الله صلى الله عليه وسلم نهى عن ثمن الكلب والسنور

    "জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণিত: রাসূলুল্লাহ (সাঃ) সহীহ হাদীস কুকুর ও বিড়ালের মূল্য নিতে নিষেধ করেছেন।৭০১

    ‎عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ﷺ مَنْ أَمْسَكَ كَلْبًا فَإِنَّهُ يَنْقُصُ كُلَّ يَوْمٍ مِنْ عَمَلِهِ قِيرَاطٌ إِلَّا كَلْبَ حَرْثٍ أَوْ مَاشِيَةٍ... كَلْبَ صَيْدٍ أَوْ مَاشِيَةٍ

    আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রসলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন:
    যে ব্যক্তি শস্য ক্ষেতের পাহারা কিংবা পশুর হেফাযতের উদ্দেশ্য ছাড়া কুকুর পোষে, প্রতিদিন তার নেক আমল হতে এক কীরাত পরিমাণ (সওয়াব) কমতে থাকবে।...(অপর বাক্যটি হলো) শিকারী কুকুর বা পশুর হেফাযতের (জন্যে)। ৭০২

    অন্যত্র কুকুরের অপবিত্রতা সম্পর্কে নবী (সাঃ) বলেছেন:-

    ‎إِذَا وَلَغَ فِيْهِ الْكَلْبُ أَنْ يَغْسِلَهُ سَبْعَ مَرَّاتٍ أَوْلَهُنَّ بِالتُّرَابِ

    যখন কোন পাত্রে কুকুর মুখ দেয়, তখন সাতবার ধোও এবং প্রথমবার মাটি দ্বারা” অন্য বর্ণনায় আছে: فَلْيُرِقْهُ “সেটির উচ্ছিষ্ট বস্তু ফেলে দেও।৭০৩
    -----------------
    উল্লেখ্য শিকারী বা অনুরূপ কুকুর পোষা এবং সবধরনের কুকুর করা একই কথা নয়। তা ছাড়া কুরআন ও সহীহ হাদীস দ্বারা কুকুরের অপবিত্রতা প্রমাণিত। যা 'হিদায়া' গ্রন্থে স্বীকার করা হয়নি। আল্লাহ তাআলা সত্য বুঝার তাওফিক্ক দিন।

    ৭০১. সহীহ মুসলিম, মিশকাত (এমদা) ৬/২৬৪৮ নং। কুকুরের মূল্য নিষেধ হওয়া সম্পর্কে আরও হাদীস দ্রঃ সহীহ বুখারী, সহীহ মুসলিম, মিশকাত (এমদা) ৬/২৬৪৩, ২৬৪৪ নং
    ৭০২. সহীহ বুখারী-কিতাবুল মুযারাআত (চাষাবাদ অধ্যায়) بَابِ اقْتِنَاءِ الْكَلْبِ لِلْحَرْثِ হা: ২৩২২
    ৭০৩. সহীহ মুসলিম, বুলুগুল মালাম হা১০
    ৭০৪. আল-হিদায়া (ইফা) ৩/১৪০ পৃ.আশরাফুল হিদায়া ৫/৫৭১ পৃ.

    -Mahfuj Ibn-Al DelowAr
    -বিস্তারীত জানতে পড়ুন:- ইমাম আবূ হানীফা রহিমাহুল্লাহর ব্যক্তিত্ব ও মাযহাব।
    Habib Bin Tofajjal
    Habib Bin Tofajjal
    আসসালামু আলাইকুম,
    ফোরামে প্রোফাইল পোস্টে রিচ কম।
    আপনি চাইলে পোস্টগুলো ফোরামের উপযুক্ত ক্যাটাগরিতে করতে পারেন রিচ বেশী হবে ইনশাআল্লাহ।
    -হে আল্লাহ তুমি চাইলে আমাকে মাফ করো' এভাবে দু'আ করা প্রসঙ্গে,

    সহীহ বুখারী ও মুসলিমে আবু হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেছেন,

    «لَا يَقُلْ أَحَدُكُمُ اللهُمَّ اغْفِرْ لِي إِنْ شِئْتَ، اللهمَّ ارْحَمْنِي إِنْ شِئْتَ، لِيَعْزِمِ الْمَسْأَلَةَ، فَإِنَّ اللَّهَ لَا مُكْرِهَ لَهُ»

    “তোমাদের কেউ যেন দু'আ করার সময় এভাবে না বলে, হে আল্লাহ্! তুমি যদি চাও তবে আমাকে ক্ষমা করো, হে আল্লাহ্! তুমি যদি চাও তবে আমার উপর রহমত নাযিল করো; বরং সে যেন দৃঢ় প্রত্যয়ের সাথে দু'আ করে কেননা আল্লাহকে বাধ্য করার কেউ নেই”।[১৮২৷

    সহীহ মুসলিমে বর্ণিত হয়েছে, রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন,
    «وَلِيُعَظِمِ الرَّغْبَةَ, فَإِنَّ اللَّهَ لَا يَتَعَاظَمُهُ شَيْءٌ أَعْطَاهُ».

    “আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করার সময় পূর্ণ দৃঢ়তার সাথে প্রয়োজন পেশ করা উচিত। কেননা আল্লাহ বান্দাকে যাই দান করেন না কেন তার কোনটাই তার কাছে বড় কিংবা কঠিন নয়”।[১৮৩]

    এই অধ্যায় থেকে নিম্নোক্ত বিষয়গুলো জানা যায়:

    ১) দু'আর মধ্যে ইনশা-আল্লাহ বলা নিষেধ। অর্থাৎ এভাবে দু'আ করা যে, হে আল্লাহ! তুমি ইচ্ছা করলে আমাকে ক্ষমা করো, তুমি ইচ্ছা করলে আমাকে এটা দান কর ইত্যাদি। এভাবে দু'আ করা অর্থাৎ দু'আ কবুল করা বা না করার বিষয়টি আল্লাহর ইচ্ছার উপর ছেড়ে দেয়া নিষেধ।
    ২) দু'আতে ইনশা-আল্লাহ বলা নিষেধ হওয়ার কারণ এ অধ্যায়েই বর্ণিত হয়েছে।
    ৩) দু'আর মধ্যে দৃঢ়তা থাকা চাই।
    ৪) দু'আ করার সময় মাকসুদ হাসিল হওয়ার জন্য পরিপূর্ণ আগ্রহ প্রকাশ করা জরুরী।
    ৫) দৃঢ়তার সাথে আল্লাহর কাছে চাওয়ার আদেশ দেয়ার কারণ এই অধ্যায়ে বর্ণিত হাদীসগুলোতে উল্লেখ করা হয়েছে।
    [১৮২] সহীহ বুখারী হা/৬৩৩৯, সহীহ মুসলিম হা/২৬৭৯। [১৮৩] সহীহ মুসলিম হা/২৬৭৯।

    -কিতাবুত তাওহীদ থেকে।
    Habib Bin Tofajjal
    Habib Bin Tofajjal
    আসসালামু আলাইকুম,
    ফোরামে প্রোফাইল পোস্টে রিচ কম।
    আপনি চাইলে পোস্টগুলো ফোরামের উপযুক্ত ক্যাটাগরিতে করতে পারেন রিচ বেশী হবে ইনশাআল্লাহ।
  • Loading…
  • Loading…
  • Loading…
  • Loading…
Total Threads
13,006Threads
Total Messages
16,557Comments
Total Members
3,401Members
Latest Messages
Top